(১)
আলোর গতিতে ছুটেচলেছে আমাদের স্পেসশীপ বিডি ০০৮।এইমাত্র মঙ্গল পেরিয়ে বৃহস্পতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।খুব অল্প সময় লাগবে বৃহস্পতির বায়ুমন্ডলে পৌঁছাতে। আমার সাথে আছে আরো তিনজন অভিযাত্রী।আমান,জুলহাস এবং সাব্বির। মাদারশীপটা কন্ট্রোল করার দ্বায়িত্ব সাব্বিরের। আমান এবং জুলহাস পৃথিবীর সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে। আমার দ্বায়িত্ব সকল কাজের তদারকিকরা। এই প্রথম কোন একটা স্পেসশীপের সমগ্র দ্বায়িত্ব আমার কাধে এসে পড়েছে। আগের অভিযানগুলো ছিল আমার জন্য অভিজ্ঞতা অর্জন মাত্র।

বাংলাদেশ থেকে এর আগের ৭টি অভিযানের সবগুলোতেই ছিলাম আমি এবং সাব্বির। তবে বলা বাহুল্য আলোক গতিসম্পন্ন যান এটাই প্রথম। আমেরিকা এবং রাশিয়া এর আগে দুইটি আলোক গতি সম্পন্ন স্পেসশীপ পাঠিয়েছিল। কিন্তু তার কোনটিই সফল হয়নি। বরং মানবযানসহ হারিয়ে গিয়েছে নিয়ন্ত্রণের বাইরে। তাই জীবন হাতে নিয়েই আমাদের যাত্রা।

বৃহস্পতির বায়ুমণ্ডলের সমগ্রটাই হাইড্রোজেন এবং হিলিয়ামে পরিপূর্ণ। বাইরের বায়ুমণ্ডল বিভিন্ন অক্ষাংশে বিভিন্ন ব্যান্ডে বিভক্ত যেগুলো বেশ সহজেই চোখে পড়ে। এ কারণে একটি ব্যান্ডের সাথে অন্য আরেকটি ব্যান্ডের সংযোগস্থলে ঝড়-ঝঞ্ঝাপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করে। এ ধরণের পরিবেশের একটি অন্যতম ফলাফল হচ্ছে মহা লাল বিন্দু (great red spot)। এটি মূলত একটি অতি শক্তিশালী ঝড় যা সপ্তদশ শতাব্দী থেকে একটানা বয়ে চলেছে বলে ধারণা করা হয়। গ্রহটিকে ঘিরে একটি দুর্বল গ্রহীয় বলয় এবং শক্তিশালী ম্যাগনেটোস্ফিয়ার রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে কমপক্ষে ৬৩টি উপগ্রহ। যাদের মধ্যে চারটি উপগ্রহ বৃহৎ আকৃতির। এই চারটিকে গ্যালিলীয় উপগ্রহ বলা হয়।

এতকিছু অতিক্রম করেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। যেহেতু বৃহস্পতি সম্পর্কে আজো মানুষের ধারণা কম এবং আগের অভিযানগুলোর নির্মম পরিণতি আমাদের সকলের জানা তাই সবাই সতর্ক আছি প্রতি মূহুর্তের বিপদ মোকাবেলার জন্য এবং সামান্য ভুলের ফলে আসন্ন মৃত্যুর জন্য।

আর কয়েক মিনিটের মাঝেই আমরা ক্যালিষ্টো উপগ্রহের পাশ কাটিয়ে প্রবেশ করব বৃহস্পতির শক্তিশালী ম্যাগন্যাটোস্ফিয়ারে। এই এলাকাগুলোতে হাজার হাজার গ্রহাণু ভেসে বেড়াচ্ছে। যা পাশ কাটিয়ে বৃহস্পতির মূল বায়ুমন্ডলে প্রবেশ করাটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। গ্রহাণু মূলত সূর্যের চারপাশে ঘুর্ণনরত পাথরখন্ড বা লৌহখন্ড। মঙ্গল ও বৃহস্পতির আবর্তন পথের মাঝামাঝি ডোনাটের মত একটি এলাকায় এদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। বিনা বাধায় ওই এলাকা পেরুলেও আরো অনেক গ্রহাণু আছে বৃহস্পতির কক্ষপথেও। বিজ্ঞানীরা মনে করেন বৃহস্পতি গ্রহের দুর্বার আকর্ষনে গ্রহাণুগুলো নিজেরা মিলিত হয়ে আরেকটি গ্রহে পরিণত হতে পারে নি। সবচেয়ে বড় গ্রহাণুটির আকার প্রায় ৯৪০ কিলোমিটার হিসেব করা হয়েছে।

পৃথিবী থেকে ২৮ মিলিয়ন মাইল দূরে অবস্থানকারী গ্রহাণুগুলোই মূলত বিপজ্জনক বলে চিহ্নিত। এরা অনেক সময় প্রতিটি গ্রহের মুলকক্ষপথ অতিক্রম করে। ফলে অনেক সময় সংঘর্ষেরসম্ভাবনা থাকে।

(২)
সাব্বিরকে বেশ উদ্বিগ্ন দেখাচ্ছে। আমি পাশে গিয়ে বসলাম। স্পেসশীপের মনিটরে ভেসে উঠেছে হাজার হাজার গ্রহানুর ছবি।কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই এগুলোকে অতিক্রম করতে হবে। কোন একটির সাথে সংঘর্ষ হলেই স্পেসশিপের আর কোন অস্তিত্ব থাকবেনা। এর মাঝেই মনিটরে ভেসে এলো একটি ম্যাসেজ। STOP within 30 Seconds!!!

সাব্বির আমার দিকে তাকালো ভয়ালো দৃষ্টিতে। আমি ইশারায় ওকে বললাম আস্তে আস্তে গতি কমাতে। ও গতি কমিয়ে ফেলল এবং আমরা সবাই অবাক হয়ে দেখলাম আমাদের যানটির ঠিক সামনেই একটি অত্যাধুনিক ফ্লাইং সসার। আরো অবাক করা বিষয় হল আমাদের যানটি একটি ক্ষুদ্র গ্রহাণুর উপর ল্যান্ড করলো। আমরা কি নিয়ন্ত্রণ হারালাম? নাকি অন্যের নিয়ন্ত্রণে চলে গেলাম?

আবারো একটি ম্যাসেজ ভেসে এলো মনিটরে।
-“কিছুক্ষণের মধ্যেই আপনারা গ্রেপ্তার হতে চলেছেন!!”
সাব্বিরের কাছ থেকে হ্যান্ডকিবোর্ডটি হাতে নিয়ে আমি রিপ্লাই করলাম।
-“কে তোমরা?কি চাও?”

আমার ঘাড়ের কাছে শীতল নিঃশ্বাস অনুভব করলাম। আতঙ্কে পিছন ফিরে তাকালাম। নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই সুচের মত কিছু একটা আমার বুকের ঠিক মাঝ বরাবর এসে বিধল। এরপরের ঘটনা গুলো আমি আর জানি না।

(৩)
যখন জ্ঞান ফিরে পেলাম তখন নিজেকে আবিষ্কার করলাম এক নির্জন স্থানে । যতদুর চোখ যায় শুধু ধুধু প্রান্তর ছাড়া কিছুই চোখে পড়েনা। মাটিতে হাত বুলালাম। নরম ট্যালকম পাঊডারের মত লালচে ধরণের। নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে। মাথা ঝিমঝিম করছে। কিছুই মনে করতে পারছিনা। স্পেসশ্যুটের দিকেই চোখ পড়তে মনে পড়ে গেল আমি একজন নভোচারী। পকেটে হাত ঢুকিয়ে বের করলাম অটোঅক্সিজেন (অটোজেনারেটেড অক্সিজেন মাস্ক) মাস্কটি। ঈশ্বরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানালাম অক্সিজেন মাস্কটি সাথে পাওয়ার জন্য। কে বলেছে বিজ্ঞানীরা ঈশ্বরে বিশ্বাস করে না? এই দেখুন না সবার আগেই আমার ঈশ্বরের কথা মনে পড়ে গেল।

উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলাম। উহ! একি এত হালকা লাগছে কেন নিজেকে? ঠিক যেন একটি বেলুনের মত? নিজেকে পাখির মত কোন এক প্রাণি মনে হচ্ছে। আমি কি তবে বৃহস্পতির ভূমিতে? নাকি বৃহস্পতির কোন এক উপগ্রহে? প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে নতুন ছাত্রদের আমি নিজেই শিখিয়েছি কিভাবে প্রতিকুল একটা পরিবেশে একজন নভোচারীকে বেঁচে থাকতে হয়। কিভাবে নিজেকে কন্ট্রোল করতে হয়।আজ বুঝতে পারছি বাস্তবতা কতটা ভিন্ন।

কিছুক্ষণ আকাশের দিকে চেয়ে শুয়ে রইলাম। সাব্বির,আমান,জুলহাস সবার জন্য চিন্তা হতে লাগল।পরিবারের কথা ,বন্ধু-বান্ধবের কথা আর নিজের গ্রহের কথা মনে পড়ে গেল। চোখের জল আটকে রাখতে পারলাম না।নিজেকে সান্ত্বনা দেওয়ার কিছু খুঁজে পেলাম না। এই কি ছিল নিয়তি।আমার মৃত্যুতে এই নিথর দেহ নিয়ে মাতম করার কেউ থাকবেনা। হয়ত পৃথিবীতে এতক্ষণে খবর পৌছে গেছে বিডি ০০৮ নিয়ন্ত্রণের বাইরে হারিয়ে গেছে! কান্নার রোল পড়েছে আমাদের প্রতিটি পরিবারে।

আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখলাম ঘন মেঘের ধোয়াটে আস্তরণ। এক গবেষণায় দেখেছিলাম হিলিয়াম এবং হাইড্রোজেন মেঘের প্রায় ১০০কিলোমিটারের একটা আস্তরণ সমগ্র বৃহস্পতিকে ঘিরে রয়েছে।আর এই কারণেই আজো এই গ্রহ সম্পর্কে মানুষের ধারণা নেই বললেই চলে। কিন্তু একটা জিনিস কিছুতেই আমার মাথায় ঢুকছেনা। যে গ্রহের তাপমাত্রা প্রায় -১২০ ' সে. সেখানে কেন এমন পাউডারের মত ভূমি? সব কিছুতো বরফে ঢেকে থাকার কথা কিন্তু কোথাও একটুকরো বরফতো দূরে থাক এক বিন্দু পানির ফোটাও দেখলাম না। সম্ভবত অক্সিজেনের অভাবের কারণেই পানি বা বরফের অস্তিত্ব এখানে নেই।

পানির কথা মনে পড়তেই গলা যেন শুকিয়ে এল। আরো অসহায় হয়ে পড়লাম। কে জানত মৃত্যু এত যন্ত্রণাদায়ক হবে? যদিও মৃত্যু সুনিশ্চিত জেনেই এই যাত্রা শুরু করেছিলাম। তবু কি ভুলেও ভেবেছিলাম এমনটি হবে? আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি ছিলনা এক ফোঁটাও। আমেরিকা-রাশিয়ার লক্ষ লক্ষ ডলারের প্রস্তাব প্রত্যাখান করে শুরু করেছিলাম এই যাত্রা। আসলে তারা কখনোই চায় নি বাংলাদেশের মত পুঁচকে একটা দেশ বৃহস্পতি জয় করুক। আমি নিশ্চিত আজ নাসা মুখ টিপে হসছে আমাদের করুণ পরিণতির কথা জেনে। হয়তো সারা দেশে আজ চলছে জাতীয় শোক দিবস! কালো পতাকায় ছেয়ে গেছে সারা বিশ্ব।সন্ধ্যায় হয়ত মঙ্গল দ্বীপ জ্বালানো হচ্ছে আমাদের স্মরণে।

নিজেকে সামলে উঠে দাঁড়ালাম। বাঁচার নিশ্চয়ই কোন একটা পথ খোলা রেখেছেন ঈশ্বর নইলে কেনই বা আমার মৃত্যু হলনা? হালকা দেহ নিয়ে পা ঘষে ঘষে এগিয়ে যেতে লাগলাম। জানিনা কোথায় যাব। তবুও দুচোখ যেদিকে যায়,নিয়তি যেখানে নিয়ে ফেলায় সেখানেই যাব। মেঘের কারণে সূর্যের আলো ঠিকমত পৌঁছায় না এখানে। বেশ বড় বড় কিছু জ্যোতিষ্ক দেখতে পাচ্ছি আকাশে। এগুলো যে বৃহস্পতির চাঁদ তা বুঝতে বাকি রইল না। জ্যোৎস্না ভরা একটা রাতের মত পরিবেশ যেখানে নিস্তবতা ছাড়া আর কোন সঙ্গী নেই।

(৪)
কতক্ষণ হেঁটেছি জানিনা। ক্লান্তি আর আবছা আলো ছায়ার ভেতর দূরে একটা নীল আলোর রেখা চোখে পড়ল। আশান্বিত হলাম নতুন কিছুর আশায়। ঠিক সোডিয়াম বাতির মত আলোক বিন্দুটা। খুব দ্রুত হাঁটছি।হালকা দেহ নিয়ে যেন উড়ে চলছি। ক্রমশই স্পষ্ট হয়ে উঠছে আলোক বিন্দুটা। পা আর চলতে চাইছে না। শরীর অবসন্ন হয়ে আসছে। জানি না কি অপেক্ষা করছে আমার জন্য। বাঁচার আকাঙ্ক্ষা আমাকে পেয়ে বসেছে। আমি যেন মরিচিকার পিছনে ছুটছি। হয়ত বিপদ ছাড়া আর কিছুই নেই ভাগ্যে। তবু যেন নেশায় পেয়েছে।

নভোচারীদের নতুন কিছু আবিষ্কারের নেশা নতুন কিছু নয়। কিন্তু আমার এ নেশা আবিষ্কারের নয়, বেঁচে থাকার।

হঠাৎ কিছু একটায় হোঁচট খেলাম। কয়েক হাত দূরে গিয়ে পড়লাম। ফিরে তাকালাম বস্তুটার দিকে। শুভ্র একটা পাথরের টুকরো মনে হল। মঙ্গলেও এমন ধরণের অসংখ্য পাথর দেখেছি। কাছে এসে হাত রাখলাম বস্তুটাতে। বেশ শক্ত। বৃহস্পতির ভূমিতে শক্ত কোন বস্তু থাকতে পারে এ ব্যাপারে কোন গবেষণার ফলাফল দেখিনি। সবাই বলেছে বৃহস্পতির ভূমি বেশ নরম। ঠিক ফোমের মত। এখানে প্রথম মাটিতে হাত দিয়েও সেটা বুঝেছি। তবে কি আমার ধারণা ভূল?

বস্তুটা বেশ চকচক করছে। টেনে তোলার চেষ্টা করলাম। বস্তুটা অনেক ভারী। আমার অবসন্ন দেহের পক্ষে এটা টেনে তোলা সম্ভব নয়। তবু কয়েকবার ব্যার্থ চেষ্টা চালালাম। মেজাজ বিগড়ে গেল। জোরে একটা লাথি মারলাম বস্তুটিতে। আলোর ঝলকানিতে সমগ্র এলাকা পরিষ্কার হয়ে গেল। আমি ভয়ে কয়েকপা পিছিয়ে গেলাম।

একদল অদ্ভুত টাইপের প্রাণি আমি দেখলাম কয়েকটি উড়ন্ত মোটর বাইকের মত যানে চড়ে আমার সামনে ল্যান্ড করল। আমি এই প্রানিগুলোকে স্পেসশীপে দেখেছিলাম। হ্যাঁ ঠিকই খেয়াল করতে পারছি। তারপর কিভাবে এখানে এসেছি তা আর খেয়াল করতে পারছিনা। ওরা নিজেদের ভাষায় কথা বলছে। ইউনিভার্স্যাল অনুবাদক যন্ত্রটা আমার কানেই লাগানো ছিল। আমি স্পষ্ট ওদের আলাপ চারিতা শুনতে পেলাম।

-আরেকটাকে পেয়েছি বস। দেখতে ঠিক শয়তানের মত!!
-হুম ওটাকেও উঠিয়ে নাও। এদের কেটেকুটে গবেষণা করা দরকার।
-কি অদ্ভুত প্রানি এগুলো। কিন্তু কোথা হতে আসল এরা? কি উদ্দেশ্য? এরা কি মহাজাগতিক কোন শয়তান?
-এটাই ভাবনার বিষয়। আমাদের গ্রহকে নিরাপদ রাখতে হলে জানতে হবে এরা কারা? তুলে নাও এটাকে।

ওদের একজন আমাকে এক হাত দিয়ে তুলে নিল। অসম্ভব শক্তিধর বলা চলে। আমি বাঁধা দিলাম না দুইটি কারনে। প্রথমত,শক্তিতে কুলাতে পারব না। দ্বিতীয়ত,ওদের কথাবার্তায় আমি বুঝে ফেলেছি আমার মত আরো অনেকেই ওদের কাছে আছে। হয়ত সাব্বির,আমান আর জুলহাসকেও ওরা আটকে রেখেছে।

(৫)
মুহুর্তের মাঝেই আমাকে এনে বড় একটি ক্যাভিটিতে আটকে ফেলল। এরকমের ভয়ঙ্কর অন্ধকার আমি আমার জীবনে কখনো দেখিনি। ঠিক দেখা বলব না। আমি কখনো উপলব্ধি বা ধারণাও করতে পারিনি অন্ধকারও এত ভয়ঙ্কর রকমের কালো হতে পারে। কিছু জ্বলজ্বলে চোখ ঘুরাফিরা করছে। এটা যে ওই প্রানিগুলোরই চোখ হবে এটা বুঝতে বাকি রইল না। ওরা কি অন্ধকারেও দেখতে পারে? হতে পারে। বিলুপ্তপ্রায় নিশাচর হায়েনার মত চোখ।

একটা বিষয় আমি এতক্ষণে নিশ্চিত হয়েছি। আমার স্পেসস্যুটটাকে ওরা আইডেন্টিফাই করতে পারেনি। ওটা খুলে নিলে আমি কয়েক সেকেন্ডের মাঝে মারা পড়ব হাইড্রোজেন-হিলিয়াম ভর্তি এই গ্রহে। এটা ভাগ্য না দূর্ভাগ্য ঠিক বুঝতে পারলাম না। মাঝে মাঝে মনে হতে লাগল পৃথিবীর সবচেয়ে বুদ্ধিমান ও সুন্দর প্রাণিটি এদের কাছে অদ্ভুত আর শয়তানের মত লাগছে!!!! এমন অপবাদের চেয়ে মৃত্যুই ঢের ভাল।

অনেকক্ষণ ধরে ভাবতে ভাবতে একটা বিষয় খুব ভালোমত বুঝতে পারলাম। আমি যে পাথর খন্ডকে লাথি মেরে ছিলাম ওটা আসলে সাধারণ কোন পাথর খন্ড নয়। তবে ওটা কি ছিলো? (চলবে......)

0 Shares

২২টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ