মোহনাঃ হুম আছি। এই অর্ণব আমাকে ডাইভিং শিখাবি ?
অর্ণবঃ স্বপ্নে গিয়ে শিখাবো নাকি ডাইভিং?
মোহনাঃ আরে শোন না, আমাকে ডাইভিং শিখিয়ে ড্রাইভারের চাকরিটা দিস। বেশি বেতন দিতে হবে না। চলার মতো হলেই হবে।
অর্ণবঃ আমি তো কোন টাকা পয়সায় দিতে পারবো না। ফ্রীতে চাকরি করলে আইসা পর।
মোহনাঃ আচ্ছা কোন টাকা পয়সা দিতে হবে না। খেতে দিস তাইলে হবে। খেতে দিবি নাকি?
অর্ণবঃ শুধু গাড়িই চালাবি?
মোহনাঃ হুম। তোর সাথে সাথে থাকবো। আর কি চাই?এতো ভালো একজন বন্ধু পাবো কখনো ভাবিনি রে।
অর্ণবঃ যতোক্ষণ ডিউটি ততক্ষণ থাকবে তারপরে কি করবি?
মোহনাঃ ওভার ডিউটি করবো। মানে হলো তোর সাথেই থাকবো।
অর্ণবঃ আমার ঘরে?
মোহনাঃ তোর ঘরে থাকতে দিবি? না দিলেও সমস্যা নাই বাইরে থাকবো। দারজার সামনে বসে থাকবো সারা রাত। ভালো হবে না বল!
অর্ণবঃ আচ্ছা সে না হয় ঘরেই থাকলি। তখন যদি আমার কিছু দরকার পড়ে এই যেমন ধর একটা কোলবালিশ এর দরকার পরলো তখন।
মোহনাঃ কোলবালিশ তোর ঘরে নেই নাকি? আচ্ছা যদি না থাকে আমি বানিয়ে দিবো। আমি কোলবালিশ বানাতে জানি। তোর জন্য রান্না করে দিবো। তোকে আর বাইরে খেতে যেতে হবে না। ঘর মুছবো কাপড়-চোপড় ধুয়ে দেবো। তোর সব কাজ আমি করে দেবো
অর্ণবঃ তুই এমন কোলবালিশ বানাতে পারিস? যে কোলবালিশ কথা বলতে পারে, আদর করতে পারে? কিরে পারবি বানাতে এমন কোলবালিশ?
মোহনাঃ কথা বলা কোলবালিশ! কোলবালিশ আবার কথাও বলতে পারে নাকি? জীবনেরও শুনিনি এমন কথা। কোথায় তৈরি হয় এমন কোলবালিশ?
অর্ণবঃ ঐ যে বললি তুই কোলবালিশ বানিয়ে দিবি।
মোহনাঃ আরে ধুর কথা বলা কোলবালিশ আমি কি করে বানাবো? তোর এখন কোলবালিশ লাগছে না, আমি যেতে চাইলাম বলেই লাগবে। করবো না বাপু তোর চাকরি। থাক তুই একাই, আমার আর গিয়ে কাজ নেই।
বেচারীও মোহনা বেশ জব্দ অর্ণবের এমন উদ্ভট কথায়,,,,😛😛
১৫টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
ওরে বন্ধুত্ব!
তবে বন্ধুত্বের মধ্যে আদর আসবে কেন?
কথা বলা কোলবালিশ বন্ধুত্বের মধ্যে আসা ঠিক না।
লেখা মজার হয়েছে।
শুভ কামনা।
সুরাইয়া পারভিন
এটা তো মজা করার জন্যই বলেছে। মোহনা কে জব্দ করাই ছিলো উদ্দেশ্য। আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন ভাইয়া। কৃতজ্ঞতা অশেষ
নিতাই বাবু
কি যে আর লিখবো, ভেবে পাচ্ছি না! তবে একটু বলতে পারি, মোহনা তো এমনিতেই একটা কোলবালিশ। তা যেকোনো পুরুষের জন্যই হতে পারে, যদি তার বিবাহিত স্বামী হয়। মোহনারাএরকম কথা বলা কোলবালিশ হবে শুধু তাঁদের স্বামীর ঘরে। তো গল্পের মোহনা এখনই কথা বলা কোলবালিশ হচ্ছে না, তা ঠিক! কেননা, মোহনা+অর্নব এখনো বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়নি, তাই।
যাইহোক, আপনার লেখা উপন্যাসিক গল্প “কথা বলা কোলবালিশ” কিন্তু দারুণ হয়েছে।
সুরাইয়া পারভিন
ওটা তো অর্ণব মজা করে বলেছে। মোহনা কখনোই অর্ণবের কথা বলা কোলবালিশ হবে না। ওরা শুধু বন্ধু, খুব ভালো বন্ধু।
আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন দাদা
অনন্য অর্ণব
সত্যিই কি কোলবালিশ কথা বলতে পারে🤔🤔
সুরাইয়া পারভিন
রক্ত মাংসে গড়া কোলবালিশ কথা বলতে পারে বৈকি,,,😏😏
এস.জেড বাবু
করবো না বাপু তোর চাকরি। থাক তুই একাই, আমার আর গিয়ে কাজ নেই।
তাহলে চাকরিটা করছিস না ?
না- কথাবলা কোলবালিশ বানাতে হলে কাজী অফিসে যেতে হবে। আপাতত যাওয়া হচ্ছে না।
কেন ?
আগে ঘরের সিঙ্গেল খাট বদলে ডাবল একটা কিনে আন। পরে ভেবে দেখবো। কথা তে আর চিৎকার করে বললে হবে না ফ্লোরে শুয়ে, পরে না পড়শী সব থানায় যাবে মামলা করতে।
না বাপু- সামনের মাসের বেতন পেয়ে ফার্নিচার দোকানে যাবি।
হাহাহা
কিছু মনে করবেন না প্লিজ – খানিক টেনে লম্বা করে দিলাম।
চমৎকার আপু – দারুন হয়েছে।
সুরাইয়া পারভিন
হা হা হা হা,,, দারুণ
ভাবতে হচ্ছে তো মোহনা এসব পেলে কোলবালিশ হতে সম্মতি জানাই কি না!😛😛
আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন ভাইয়া
ছাইরাছ হেলাল
কথা বলা বালিশ ভাবনা!
আর না আর না।
অমরত্ব পেয়ে যাচ্ছে এ বন্ধুত্ব।
সুরাইয়া পারভিন
আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন ভাইয়া
মনির হোসেন মমি
হা হা হা চাকুরীর শখ মিটেছে। খুব জমছে বন্ধুত্বের আলাপন। চলুক।
সুরাইয়া পারভিন
হা হা হা ,,,,,,একদম
আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন ভাইয়া
মোঃ মজিবর রহমান
অর্নব চেয়েছিল মোহনা যেন চলে যায়, তাই সে কথা কোলবালিশ চেয়ে বসল যাতে মোহনা চলেই গেল, মানে বাধ্য হল।
দারুন ইঞ্জয়।
সুরাইয়া পারভিন
ঠিক ধরেছেন
আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন ভাইয়া
মোঃ মজিবর রহমান
আপনাকেউ সুন্দর সুন্দর লেখা দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।