প্রায় ৪ বছর ১০ মাস আগে প্রিয় সোনেলায় যখন আমার হ-য-ব-র-ল লেখা লিখতে শুরু করি তখন এই সোনেলার ভুমিহীন জমিদার আইডির মানুষটি Sm Wali Ullahসহ বেশ কয়েকজন প্রিয় মুখ আমার লেখার ধরণ,বানান ইত্যাদি সঠিক ভাবে প্রয়োগে অনেক সহযোগিতা করেছেন সে জন্য আমি কৃতজ্ঞ।সম্ভবত তার দু'এক বছর পর সোনেলার কোন এক আড্ডায় "ভুমিহীন জমিদার"আইডির এই সরল মনের মানুষটির সাথে আমার দেখা হয়,কথা হয়।তখনি জানতে পারি তিনি এক জন বীর মুক্তি যোদ্ধা।মাতৃ ভুমির রক্ষার্থে জীবন বাজি রেখে নাপাকিদের সাথে যুদ্ধ করে দেশটিকে স্বাধীন করেছেন।
যদিও আমার নিজের কেউ (জানা মতে) মুক্তি যোদ্ধা নেই কিন্তু জীবিত এবং শহীদ মুক্তি যোদ্ধাদের প্রতি রয়েছে আমার প্রচুর বিশ্বাস।তাদের প্রতি আমি বরাবরই কৃতজ্ঞ কেননা তাদের আত্ম ত্যাগেই আজ আমাদের এ দেশে বসবাসে পায়ের তলায় এক খন্ড নিজস্ব জমি আছে আছে ঘর বাড়ী আছে নিশ্চিন্তে বসবাসে একটি সংসার।স্বস্তিতে নিঃস্বাস নেবার আছে বিশাল ফ্রি আকাশ,আছে যেমন খুশি তেমন সাজোঁর মতো জীবনকে উপলব্দি করার জন্য লাগামহীন আনন্দ করার স্থান।এখন আর দিতে হয় না নিজের কষ্টে অর্জিত সম্পদের ভাগ কোন বর্গীদের।যে সকল মানুষগুলোর আত্ম ত্যাগের জন্য আজ পরাধীনতার শিকল ভেঙ্গে বিশ্ব মানচিত্রে মাথা উচু করে দাড়াতে শিখালো সেই তাদের এই আমরাই অবহেলা-তিরস্কার,রাষ্ট্রীয় সামান্য সুবিদা হতে বঞ্চিত করতে একটুও ভাবি না।একটুও ভাবি না এক অকৃতজ্ঞ জাতি কি নির্লজ্জতায় তাদের দানের জমিতে রাজাকারদের সঙ্গে করে আবার বাহাদুরী দেখাই।
কোটা আন্দোলন এখন সেই সাধারণ জনতার আন্দোলনে নেই এখানেও ঢুকে গেছে রাজাকারের বীজ নতুবা এতো সাহস হলো কি করে একটি স্বাধীন দেশে ঘৃনিত রাজাকারের কথা বুকে পিঠে লিখে বলে 'আমি রাজাকার!কি করে সাহস পায় বঙ্গ বন্ধু মুক্তিযুদ্ধ,মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কটুক্তি করার?আবার তাদের সাথে যোগ দিয়েছেন এ দেশের তথাকথিত শিক্ষকরা যাদের অনুসর করেন এ জাতি।কোটা সংস্কারের বিষয়ে এতো মাথা ব্যাথা কেন?আবদার অনুরোধ সরকার প্রধানের নজরে আছে তা এক সময় হয়ে যাবে এটাকে কেন্দ্র করে এমন লং টাইম মাঠে থাকা ধরে নিতে হবে অন্দর মহলে কিছু একটা চলছে।
আন্দলন করতে হলে করুন সাধারন জনগণ বাচাতে "নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মুল্যের উর্ধগতি,আন্দোলন করুন গ্যাস তৈল বিদ্যুতের ঘণ ঘণ মূল্য বাড়ার বিরুদ্ধে,আন্দোলন করুন মহামারী আকারে ধারন করা ধর্ষণের,জঙ্গিবাদ,প্রশাসনের দৌড়াত্মা,দূর্ণীতি,রাষ্ট্রীয় সম্পদ অবৈধ ভাবে ভক্ষণে ও ভোট ও ভাতের নিশ্চয়তায়।এ সব আন্দোলনে আপনারা কেন এ দেশে কেউ আসবেন না কারন এ সব আন্দোলনে রাজপথে আপনাদের পকেট ভরাতে কেউ আসবে না।
অনেকে আমার সাথে দ্বিমত পোষন করবেন জানি কারন আমরা স্বাধীনতার স্বাধ এতোটাই পেয়েছি যে স্বাধীনতা অর্জনের সেই ত্যাগগুলোকে নিমিষেই ভুলে যাই....এম ইঞ্জা ভাইয়ের ফেবুক ওয়াল হতে কপি করা দেশ স্বাধীনের একটি অংশের ত্যাগের ভয়াবহতা....!!!!
(y) যুদ্ধ শেষে ক্যাম্প থেকে কয়েকটি কাঁচের জার উদ্ধার করা হয়,যার মধ্যে ফরমালিনে সংরক্ষিত ছিল মেয়েদের শরীরের বিভিন্ন অংশ। অংশগুলো কাটা হয়ে ছিল খুব নিখুঁতভাবে।"- ডাঃ বিকাশ চক্রবর্তী, খুলনা
(y) "মার্চে মিরপুরের একটি বাড়ি থেকে পরিবারের সবাইকে ধরে আনা হয় এবং কাপড় খুলতে বলা হয়। তারা এতে রাজি না হলে বাবা ও ছেলেকে আদেশ করা হয় যথাক্রমে মেয়ে এবং মাকে ধর্ষণ করতে। এতেও রাজি না হলে প্রথমে বাবা এবং ছেলে কে টুকরো টুকরো করে হত্যা করা হয় এবং মা মেয়ে দুজনকে দুজনের চুলের সাথে বেঁধে উলঙ্গ অবস্থায় টানতে টানতে ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়।"-মোঃ নুরুল ইসলাম, বাটিয়ামারা কুমারখালি।
(y) "আমাদের সংস্থায় আসা ধর্ষিত নারীদের প্রায় সবারই ছিল ক্ষত-বিক্ষত যৌনাঙ্গ। বেয়োনেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে ছিড়ে ফেলা রক্তাক্ত যোনিপথ, দাঁত দিয়ে ছিড়ে ফেলা স্তন, বেয়োনেট দিয়ে কেটে ফেলা স্তন-উরু এবং পশ্চাৎদেশে ছুরির আঘাত নিয়ে নারীরা পুনর্বাসন কেন্দ্রে আসতো।"-মালেকা খান, যুদ্ধের পর পুনর্বাসন সংস্থায় ধর্ষিতাদের নিবন্ধীকরণে যুক্ত সমাজকর্মী।
(y) "১৮ ডিসেম্বর মিরপুরে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া একজনকে খুঁজতে গিয়ে দেখি মাটির নিচে বাঙ্কার থেকে ২৩জুন সম্পূর্ণ উলঙ্গ, মাথা কামানো নারীকে ট্রাকে করে নিয়ে যাচ্ছে পাক আর্মিরা।"-বিচারপতি এম এ সোবহান
(y) "যুদ্ধের পর পর ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারী, ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন স্থানে উদ্বাস্তুর মতো ঘুরে বেড়াতে দেখা গেছে বেশ কিছু নারীকে। তাদের পোশাক এবং চলাফেরা থেকে আমরা অনেকেই নিশ্চিত জানতাম ওরা যুদ্ধের শিকার এবং ওদের যাওয়ার কোনো জায়গা নেই।"-ড. রতন লাল চক্রবর্তী, অধ্যাপক ইতিহাস বিভাগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
(y) "কোনো কোনো মেয়েকে পাকসেনারা এক রাতে ৮০ বারও ধর্ষণ করেছে।"-সুসান ব্রাউনি মিলার (এগেইনেস্ট আওয়ার উইল: ম্যান, উইম্যান এন্ড রেপঃ ৮৩)
"এক একটি গণধর্ষণে ৮/১০ থেকে শুরু করে ১০০ জন পাকসেনাও অংশ নিয়েছে।"-ওয়ার ক্রাইমস ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটির গ্রন্থ “যুদ্ধ ও নারী”।
এর পরও কি আপনি রাজাকারদের আপনি সাপোর্ট দিবেন?উত্তর আপনাদের কাছে।

বীর মুক্তিযুদ্ধা ভুমিহীন জমিদারের ফেবুক ওয়াল হতে কপি করা :
বাংলাদেশে এ ধরনের ঘটনা ঘটবে কখনও ভাবিনি // কোটা আন্দোলনকারিদের উপর কে বা কারা হামলা করেছে , সেই হামলার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জন শিক্ষক ঠিক এই ভাবেই উনার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।স্যার আমিও আপনার কন্ঠের সাথে কন্ঠ মিলিয়ে বলতে চাই - বাংলাদেশে এ ধরনের ঘটনা ঘটবে কখনও ভাবিনি ।
স্যার আমি বেশি লেখা পড়া করিনি।মেট্রিক পাশের ১০ বছর পর দেবী সরস্বতীর হাতে পায়ে ধরে প্রাইভেট পরীক্ষা দিয়ে টাইনা টুইনা কোন ভাবে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে আর লেখা পড়ার দিকে যাইনি । শৈশবে একটা শিক্ষা পেয়েছি যে -শিক্ষকরা মানুষ গড়ার কারিগর । সে জন্যই নিজের পিতা মাতার চেয়ে শিক্ষকদের দরজা আমার কাছে অনেক উচু । আপনারা যা বলেন অবনত মস্তকে তা মেনে নেই ।
-স্যার আপনি যেই বাংলাদেশের কথা বলছেন সেই বাংলাদেশের নামের সাথে বঙ্গবন্ধু , মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তি যোদ্ধাদের নাম জড়িত,এই সব বিষয়ে আপনি কি আপনার ছাত্রদেরকে কখনও কোন শিক্ষা দিয়েছেন?
বঙ্গবন্ধু,মুক্তিযুদ্ধ কিংবা মুক্তি যোদ্ধাদের কিভাবে সন্মান করে কথা বলতে হয় সেই শিক্ষা দিয়েছেন ?
আমি নিশ্চিত যে দেননি । দিয়ে থাকলে আপনার ছাত্ররা এই ভাবে বঙ্গ বন্ধু , মুক্তি যুদ্ধ এবং মুক্তি যোদ্ধাদের অসন্মান করে কথা বলতে পারতোনা ।
-স্যার আপনার কাছে ছোট্ট একটা প্রস্ন- ৭৫ এ যখন বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হতা করা হয়েছিলো সেদিন কিন্তু আপনাকে বলতে শুনিনি-// বাংলাদেশে এ ধরনের ঘটনা ঘটবে কখনও ভাবিনি // ।
শিবিরের ছেলেরা যখন ঢাকা রাজশাহী চট্রগ্রামে ছাত্রলীগের পায়ের রগ কেটে দিচ্ছিলো , তখনও কিন্তু আপনি কিছু বলেননি । কেন বলেননি স্যার ?
কোটা আন্দোলনকারিরা যখন বুকের মধ্যে রাজাকার লিখে মুক্তিযুদ্ধের অবমাননা করে মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে শ্লোগান দিলো , রাস্তা অবরোধ জনজীবন বিপর্যস্ত করলো, আপনার এক সহকর্মির বাসায় আগুন দিলো , লুট করলো - কৈ তখন আপনার স্নেহধন্য ছাত্রদেরকে শাসন করেননি কেন ? আপনাদের সমস্যা হলো আপনারা হ্যামার দেখেন কিন্তু বন্দুক চাপাতি দেখতে পাননা ।
জামাত শিবিরের পে রোলে আছেন এমন একজন শিক্ষক বলেছেন - এই হামলায় বাংলাদেশের মানচিত্রকে খন্ডন করা হয়েছে । এই স্যারের কাছে সবিনয়ে জানতে চাই - বাংলাদেশের মান চিত্রটার জন্মের ইতিহাস জানেন ? আপনার কথা আর কি বলবো । আপনার সম্পর্কে জাহানারা ইমামই যা বলার বলে গেছেন । এই টুকুন বলি- বাংলাদেশ হয়েছে বলেই আপনি আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন ,পাকিস্থান আমল হলে দফতরির কাজ পেতেন কিনা সন্দেহ । আমার সন্দেহ এই জন্য যে দি দ্যান ইস্ট পাকিস্তানের সাথে পশ্চিম পাকিস্থানিরা কি ভাবে বৈষম্য করেছে - এটা আমরা দেখেছি ।
আর একটা কথা না বললেই নয় - বিভিন্ন টকশোতে বলে বেড়ান যে বাংলাদেশে বাক স্বাধীনতা নেই , বাক স্বাধীনতা যদি নাই থাকতো তাহলে 'দেশে বাক স্বাধীনতা নেই' কথাটা বলার সুযোগ পেতেন না ইউ মিস্টার ইনটেক্লেচ্যুয়াল প্রস্টিটিউট ।

বীর মুক্তিযোদ্ধা এই লেখকের সাথে সহমত পোষন করে বলছি
"আসুন,এ অভাগা দেশটাতে মুক্তি যুদ্ধের স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করি,একাত্মতায় কাধে কাধ মিলিয়ে।

0 Shares

১৮টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ