
অনুকথনঃ
মস্তপাহাড় ক্ষয়ে ক্ষয়ে পড়ে আছে এক পাথরখণ্ড,,
তা এখন
অবাঞ্ছিত অপ্রয়োজনীয় নিদর্শন চিন্হিত অতি ক্ষৃদ্র ভাষ্কর্য
মোহোকালের এক ভারি বস্তু যেনো।
তাতে অপলক দৃষ্টি ফেলে যে অবয়ব ফোটে তা নিজেরই প্রতিচ্ছবি।
যে দৃষ্টিতে পলক নেই,,
নির্বাক স্থির ঠায় দাঁড়িয়ে থাকা।
তার মতো আমার অন্তরআত্মার সকল আবেগ ক্ষয়ে গেছে একটু একটু।
পার্থক্য শুধু
আমায় অপলোক দেখার সে গল্প লেখক নির্মাতা নেই।
কবে যেনো কোনো এক বরষা স্নিগ্ধ রাতে
খুব করে চেয়েছিলাম
কারো অন্তরের অন্তরীক্ষে ছায়াসুনিবিড় শান্ত এক নীড় হোক
শুধু আমার তরে,,
একদিন সেখানে স্নানান্তে শ্বেত মসলিন শাড়ি জড়িয়ে,
তসাদা বেলিতে সাজাব নিজেকে,,
তার চরণরেণু ছোঁয়াব শিরোদেশে।
পরম মমতায় সেথা আশীর্বাদের হাত রেখে
কপালজুড়ে অধরামৃত চিহ্ন এঁকে
গভীর দীর্ঘ আলাপনে রাতের এক এক প্রহরে তীরতীরে বাতাস মেখে জড়িয়ে রাখবে আমায়।
শুধু আমায় দেখবে অপলক।
,,জাহান,, রংপুর
#আমার_লেখা
৭টি মন্তব্য
মোঃ মজিবর রহমান
“আমায় অপলোক দেখার সে গল্প লেখক নির্মাতা নেই।” –এসেছেন অনেক পুর্বে কিন্তু সময়াভাবে আশা হইনি বেশ কয়েকদিন বলতে পারি প্রিয় দুমাস হতে পারে। ঐ যে বললেন, “তার মতো আমার অন্তরআত্মার সকল আবেগ ক্ষয়ে গেছে একটু একটু।” আজ আমিও মনে হই পাঠক হতে পারিইনি কিঞ্চিত পরিমান। আজ আবেগ, ভালোবাসা, সব ধুয়ে চলে গেছে ইনকামের অসহায়ত্বের অতল গহীনে। আজ সব কিছুর দাম নাগালের উর্ধ্বে। সরকারকে কি বলব? নিজেই নিজের দোষারোপ করি। পারি নাই অসৎ হয়ে কিছু করতে আবার পারি নাই মাথার মগজ খাটিয়ে চলার মত জমাতে। তাই সময় এর অভাবে আসতে বেশি পারিনা। খুব ভালো লাগল আপু।
হালিমা আক্তার
বাহ্ চমৎকার। দেখার সেই লোক হয়তো আছে হয়তোবা নেই। নাকি দেখার সেই দৃষ্টি আজ নাই। রুনা লায়লার গানের সুরে বলতে হয় – আমাকে দেখার সেই চোখ তোমার কই গো। শুভ কামনা রইলো।
বোরহানুল ইসলাম লিটন
অসাধারণ লেখাটি!
শব্দের কৌশলী প্রতিটি সেলাইয়ে জেগে আছে মমতা মাখানো জীবনের কথা।
অশেষ মুগ্ধতা ও শুভ কামনা রেখে গেলাম।
ছাইরাছ হেলাল
নির্বাকের ধীর-স্থিরতায় ঠায় দাঁড়িয়ে থেকে থেকে
বিভ্রান্ত ঘাসফড়িঙের মত মনে হয়,
বিশাল সবুজ পালকের আড়াল নিয়ে
কী না কী ভেবে ঝিলিক হানে,
গভীর ক্লান্তি নিয়ে থিতিয়ে যাওয়া হুল্লোরে………
রিতু জাহান
আসছি উত্তরে,,
দারুন দারুন
রোকসানা খন্দকার রুকু
একদিন সেখানে স্নানান্তে শ্বেত মসলিন শাড়ি জড়িয়ে,
তসাদা বেলিতে সাজাব নিজেকে,,
তার চরণরেণু ছোঁয়াব শিরোদেশে।
পরম মমতায় সেথা আশীর্বাদের হাত রেখে
কপালজুড়ে অধরামৃত চিহ্ন এঁকে
গভীর দীর্ঘ আলাপনে রাতের এক এক প্রহরে তীরতীরে বাতাস মেখে জড়িয়ে রাখবে আমায়।
শুধু আমায় দেখবে অপলক।””” শেষটুকু অসাধারণ!! পূরণ হোক এই কামনা।।
রিতু জাহান
হয়না, আর হবেও না।
পাহাড়ের বুকে কবর দেয়া তা সেই উজান পথে,, উঠতে আর পারলাম কই!