স্বপ্ন জানো, অকস্মাৎ উড়াল জানো,
নিঃশব্দ দ্বৈরথের স্মৃতি জানো-না
তা-কী হয়!
ছায়া হয়ে সন্ন্যাস-গামী হই, সন্ন্যাস নেই,
কৈ, সন্ন্যাসী হতে-তো পরি না,
খর-চোখের আরশিতে-ও ঐ আর্যমুখ ভেসে ওঠে
ঘুম পালিয়েছে একলা ফেলে,
এই বিজু বনে।
খুব মনে পড়ে তাকে, পড়ুক বেশি বেশি করে
পড়তেই থাকুক, মনের গহীন গভীরে
অনন্ত না-সুখেও পারিনি ভুলে যেতে,
অনির্ণীত থেকে যায় তৈলাক্ত বাঁশে বানর-মারপ্যাঁচ
আর সীতানাথ বসাক!
মুখরা রমণী বশীকরণ! কে করেছে কবে কখন!
কে সে রঙ্গনাথন!!
প্রত্নবিদ্যার ছাত্র নই,
খুড়ে ফেলব তাবৎ বই;
ডায়েরীর ভাঁজে রেখে যাওয়া চুল দেখে
কুষ্ঠি নেব মিলিয়ে, ইউরেকা বলে!
ধীরে-বহা শান্ত-নদী আজও শুধুই খুঁজি;
লেডি-গুরু কে!!
১৮টি মন্তব্য
মৌনতা রিতু
রমণীকে বশিকরণ করা কি এতোই সহজ! রমণী যখন নিজে বশিকরণ হতে আসে তখন সে মুখ ফিরায়।
আজ আমার ঘুম পালিয়েছে। যাক পালিয়ে। ধরব কিছু শব্দ তাই বেরোলাম বিজু বনে।
ধন্যবাদ।
ছাইরাছ হেলাল
খাইছে আইজ বনের কি অবস্থা হয় কে জানে!!
বুঝছি, মন্ত্র জানা লাগবে!!
মৌনতা রিতু
সত্যিই বেরিয়েছি। বিশ্বাস হলো না!
শব্দ আজ ধরবোই ধরব। জাল নিছি, নিয়েছি বাশের ঝুড়ি।
ছাইরাছ হেলাল
.অবশ্যই আস্থায় রাখছি,
দেখি কতটা কী কুড়োতে পারেন!
জলৌকা আছে কিন্তু, কেউ যেন কাঁদে-কাটে না!!
নীলাঞ্জনা নীলা
এ কি কবিতা! এত্তো সাহস আপনার! এভাবে লেডি-গুরু কে(!!) নিয়ে লিখলেন, মায়াবী জগতের ডাইনি, পেত্নী, মাতঙ্গী দেবী শেষে না ধরে প্যাদানি দেয়।
উঁই পোকার বসতবাড়ী আদর্শ লিপির পাতায়
আমি আর নতুন অক্ষর জানিনা,
ইচ্ছেও জাগেনা আর,
বরং ভালোই লাগে উঁইপোকাদের বিচরণ।
আর কিচ্ছু লিখতে পারমু না। এইবারে কন তো লেডি-গুরু কে!!
ছাইরাছ হেলাল
যারা লেখে-টেখে, মানে ভাল লেখে (আপনি) তারা সাহসী (বেপরোয়া) হয় দেখতেই পাচ্ছি।
এখন এই ঘটনাটিকে সঙ্গ-গুন হিসাবে মেনে নিতেই হবে।
বিচরণ ভাল লাগলেই হবে না, কিছু নুতন অক্ষর-ও শিখতে হবে,
পূজা-অর্চণার জন্য!!
ঠিকাছে বুঝছি, আর কিছু লেখন লাগপে না,
ওহ!! আমি ভাবলাম এই লেডি-গুরু আপনার চেনা!!
আমিও ভালু চিনি-না, তবে মনে হয় ডাকিনী-টাকিনী হবে হয়ত!!
নীলাঞ্জনা নীলা
আমি ভাল লিখি জেনে খুবই খুশি হয়েছি। আনন্দে আমি আবার নাচ শুরু করি। কিন্তু সমস্যা হলো এক্সিডেন্টের পর নাচাটা একটু কঠিন। তাও মুরগী ঠোকা নাচ মানে গলা ঠেলা মাথা দুলানো নাচ দিয়ে ওই সমস্যার সমাধান করেছি। আপনি তো জানেন সমস্যা যেখানে, আমি নাই সেখানে এমন টাইপের মানুষ।
না চিনেই কুবিতা লিখলেন! এইবারে তাহলে চেনা মানুষগো নিয়া লিখেন। এই যেমন আমি! 😀
ছাইরাছ হেলাল
আপনি বিশিষ্ট কবি!!
আপনাকে নিয়ে লেখার সাধ থাকলেও সাধ্যের খামতি অনুভূত হচ্ছে,
তাও অনুমতি পেয়ে ভাগ্যবান ভাবছি, দেখি-না কী হয়!!
নাচুনেরা যা নাচে তাই সুন্দর!!
জিসান শা ইকরাম
কাঁচের পরী! আঘাতেই তো পরী আর থাকবেনা, গুরা গুরা হইয়া যাইব।
ছাইরাছ হেলাল
গুরা-গুরা হইলেই ভাল, নূতন কাচ-পরী নিমু।
ইঞ্জা
মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে পাঠ করলাম, ভুত পেত্ন, ডাইনিদের কিন্তু খুব ভয় লাগে, এই জন্য দূরে থাকায় শ্রেয়।
ছাইরাছ হেলাল
উহ!!
এই লেখায় কিন্তু ডাইনি নেই।
তবে ডাইনিদের বিশেষ ভয় পাবার কিছু নেই।
মানবী-কুল থেকে তারা অনেক ভাল, ভাই।
মোঃ মজিবর রহমান
মন থাকলে মানুষ, তাই সন্যাসী না সেজে মনে ধারন করুন ভাই তবেই সন্যাসী হওয়ার বেশ ধরুন।
আর রমনী বশিকরন না ভাই আমি নায় শেষে নিজেই তাঁর বশিকরনের খপ্পরে না পড়ি???
ছাইরাছ হেলাল
দূরে থাকাই সব থেকে উত্তম।
মোঃ মজিবর রহমান
সেটাই ভাল।
ছাইরাছ হেলাল
.পারলে আর চিন্তার কিচ্ছু নেই।
শুন্য শুন্যালয়
হে রংগনাথন, রমনী বশীঃকরন মন্ত্র তো ভালোই শিখেছেন।
নির্ণয় অনির্ণয়ের মাঝেইই মাঝেই সঠিক কুষ্ঠি বিদ্যমান, ডিএনএ টেস্ট করিয়ে ফেললেই তো হয় ভবিতব্যের।
কপালে কপাল ঠেকিয়ে একদিন খোঁজাখুঁজির হেস্তনেস্ত করেই ছাড়বো। লেডি কবিগুরুর জন্য পার্ফেক্ট দক্ষিণা হে বৎস। 🙂
ছাইরাছ হেলাল
শিখতে পারলে আর এত্ত কিচ্ছু বলা-কওয়া সহ টইটই করা লাগত না।
টেস্টের দায়িত্ব নিতে কেউ-তো এগিয়ে আসেনি, তাই হ-জ-ব-র-ল অবস্থা।
আপনার হেস্ত আর নেস্তের অপেক্ষায় আছি, তা যেখানে যা-খুশি ঠেকিয়ে করুন-না কেন।
নাহ্ পার্ফেক্ট না!!