//“England get destroyed by Rubel Hossain. He also have rape case open in Bangladesh. This boy is full time criminal, part time criketer.”

“Bangladesh celebrating like they win 1971 war! And this time they do without India help.” //

বাংলাদেশের জয়ের পর এইভাবেই কলিজায় জ্বালাপোড়া শুরু হয়ে যায় পাকিস্তানি মারখোর,শুয়োরের বাচ্চা নাসির জামশেদের। জ্বালাপোড়ার মাত্রা এতোই বেশি ছিল যে একাত্তরকে টেনে আনলেও একাত্তরে ওদের বাপ-দাদাদের কৃতকর্মের কথা বেমালুম ভুলে যায় এই মারখোর! প্রতিহিংসার বশে ও ভুলেই যায় যে, একাত্তরে মাত্র ৯ মাসে ওদের বাপেরা ৬ লক্ষ নারীকে ধর্ষণ করেছে; আবার ও কিনা আমাদের রুবেলকে ক্রিমিনাল বলে! মানুষ এতোটা নিচু মানসিকতার কি করে হয় তা আমার বোধগম্য নয়! আপনারা কি জানেন যেই জমশেদ আজকে আমাদের জয়ের নায়ক রুবেলকে কটূক্তি করছে সে  ২০১২ সালে BPL এ ম্যাচ ফিক্সিং এর কারণে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ছিলো ! নিলজ্জতার একটা সীমা থাকা দরকার, এই বেজন্মা সেই সীমাকেও অতিক্রম করে গেছে!

রুবেলের নামে একটা তথাকথিত রেইপ কেইস আছে বলে বহু হাকডাক ছাড়লো ও, কিন্তু এই মারখোর কি জানে একাত্তরে ওর পিতাদের নৃশংশতার কথা! মাত্র ৯ মাসে ৬ লাখ নারী ধর্ষণ-যা কিনা পৃথিবীর সকল নৃশংশতাকে হার মানিয়েছে। শুধু ধর্ষন করেই ক্ষান্ত হয় নি ওর পিতারা, বিকৃত যৌন লালসা চরিতার্থ করতে তাঁর নিদর্শনও রেখে গিয়েছে সিলেটের শালুকটিকরের একটি দেয়ালে।

 

 

 

 

 

 

(ছবিগুলো ঢাকার সেগুনবাগিচাতে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে। চাইলে যে কেউ সেখানে গিয়ে দেখতে পারেন)

ছবিগুলো ওখানকারই !ধর্ষণ শেষে পাকিদের বিকৃত মানসিকতার প্রকাশ পায় এই ছবিগুলোর মাধ্যমেই। আর সেই পাকি জাতই কিনা তথাকথিত একটা রেইপ কেইস নিয়ে আমাদের খেলোয়াড়কে কটূক্তি করে! বড়ই হাস্যকর ব্যপার স্যপার!

গঠনমূলক সমালোচনা সবসময়ই কাম্য। কিন্তু সমালোচনার আড়ালে যদি থাকে প্রতিহিংসা আর অশ্লীলতা তাহলে সেটাকে অবশ্যই সমালোচনা বলা যাবে না। রুবেলের ক্ষেত্রে ও যেটা বলেছে সেটা মানতে কষ্ট হলেও মানতে চাইছি আবার চাইছিও না! কিন্তু জমশেদের মতো একটা পাকি কীট তো দূরের কথা আমার রক্তের সম্পর্কের কেউ যদি “একাত্তরকে” নিয়ে অপমানজনক কিছু বলে আমি কিছুতেই তা সহ্য করতে পারবো না, মেনে নেবো না! একাত্তর আমার শেকড়, প্রতিটি বাঙালির শেকড়...

জমশেদের ভাষ্যে একাত্তরে ভারতের সাহায্যে আমরা বিজয়ী হয়েছি। কি হাস্যকর কথা দেখুন তো! আমি অবশ্যই ভারতের অবদান অস্বীকার করবো না, কিন্তু পুরো নয় মাসের  সাড়ে সাত থেকে আট মাসের লড়াইটা কিন্তু আমরা বাঙালিরাই করেছি।

এবার আসছি “খেলার সাথে রাজনীতি মেশাবেন না” এই বানীতে বিশ্বাসীদের প্রসঙ্গে-

যেহেতু পাকি সমর্থকেরাই এরূপ বানী দিয়ে থাকেন,তাহলে এক্ষেত্রে কি খেলার সাথে রাজনীতি মেশানো হল না? আমি তো এখানে খেলার সাথে “ইতিহাস” মেলানোরও দৃশ্য দেখছি।বাংলাদেশে থেকে-খেয়ে, বাংলাদেশরই চিরশত্রুদের সমর্থন কেউ কি করে করে তা আমার বোধগম্য নয়। আচ্ছা, একেই কি ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো বলে?! গত এশিয়া কাপে পাকিস্তানের কাছে হারার পর আফ্রিদি বলেছিলো-“বাংলাদেশের সাথে নাকি ওদের পুরনো হিসেব আছে”। তা, এক্ষেত্রে “বুম বুম আফ্রিদি আর ম্যারি মি আফ্রিদি প্রজন্ম” কি বলবে জানতে ইচ্ছে হয় !

যাহোক, একটা ছোট্ট ঘটনা দিয়ে শেষ করবো-

ময়টা ১৯৭১। যুদ্ধের মাঝামাঝি সময়। চারিদিকে আতংক।সারাদেশের মানুষের মতোই মনছুরা খাতুনও খুব শঙ্কিত তাঁর পরিবার পরিজন এবং অনাগত সন্তানকে নিয়ে। পৃথিবীতে তাঁর ১ম সন্তান আসছে, এই ভেবে একজন মায়ের যতোটা উচ্ছ্বাসিত হবার কথা তার চেয়ে   হাজার গুন বেশি উদ্বিগ্ন মনছুরা। মনে একটাই প্রশ্ন শেষ পর্যন্ত তাঁর অনাগত সন্তানটিকে কি সে পৃথিবীতে আনতে পারবে ?

সেদিন সকালে আর ১০ টা দিনের মতোই ঘুম থেকে উঠে সংসারের কাজে ব্যস্ত মনছুরা। হঠাৎ কিসের যেন একটা শব্দে প্রচণ্ড আতংকিত হয়ে ছুটে গেল বৃদ্ধ শ্বশুরের কাছে। “আব্বা, আইতাছে ওরা...”

কিছু বুঝে উঠার আগেই দানবের মতো কয়েকটা লোক দাঁড়ালো মনছুরাদের উঠোনে। সামনে তাকাতেই সে দেখতে পেল হিংস্র নেকড়ের মতো কয়েকটা লোক এগিয়ে আসছে তাঁর দিকে। প্রায় আধ ঘণ্টা পাকি হানাদারগুলা হায়নার মতো মনছুরার শরীরটাকে ছিন্নভিন্ন করে ভোগ করলো। নিজের চোখের সামনে ছেলের বউয়ের এই পরিণতি দেখে জ্ঞান হারালেন মনছুরার বৃদ্ধ শ্বশুর। এখানেই শেষ নয়; এরপরে সেখান থেকে মনছুরাকে রংপুর টাউন হলে ১৯ দিন আটক রাখে পাকি জানোয়ারগুলো। এ সময় পাকিস্তানী দখলদার বাহিনীর বিভিন্ন অফিসাররা  তাকে নিয়মিত ধর্ষণ করত।একটু একটু করে শেষ হয়ে যেতে লাগলো অনাগত সন্তানকে নিয়ে দেখা সকল স্বপ্ন। সে বুঝতে পেরে গেলো তাঁর বুকের মানিকের আর আসা হবে না এই পৃথিবীতে, আর কোনোদিন মা ডাক শুনবে না ওর মুখ থেকে। এবং তা-ই হল। মারা গেল মনছুরার গর্ভের নিষ্পাপ শিশুটি।

কোনোরকমে মরার মতো বেঁচে রইলো সে। পরবর্তীতে তাঁর কাছ থেকে জানা যায়- তাঁকে যে রুমে আটক রাখা হয়েছিল, ঐ রুমে আরও ১০/১২ জন যুবতী মেয়ে এবং পাশের রুমেও  ১০/১২ জন যুবতী মেয়ে আটক ছিল। তাদের কারও পরনে সালোয়ার-কামিজ, কারও পরনে শাড়ি ছিল। তাদের একজনের সঙ্গে আরেকজনের কথা বলতে দেয়া হতো না।
তাদের সেখানে আলবদর ও পাকিস্তানী সেনাবাহিনী পাহারা দিয়ে রাখত।  রাতে ক্যান্টনমেন্ট থেকে গাড়িতে আর্মি অফিসাররা টাউন হলে আসত এবং মনছুরা ও আটককৃত যুবতী মেয়েদরকে এক এক রুমে নিয়ে পাকিস্তানী সেনারা একেকজনকে ২/৩ জনে পালাক্রমে ধর্ষণ করত। মনছুরা খাতুন যে টাউন হলে আটক ছিল সেই হলের অনেক সময়েই জানালার ফাক দিয়ে দেখতে পায় যে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী ও আলবদররা প্রতিরাতেই অনেক পুরুষ এবং মহিলাকে উলঙ্গ করে ঝুলিয়ে চাকু দিয়ে শরীর ক্ষতবিক্ষত করত। একটা টিনের কৌটায় এ্যাসিড দিয়ে একটা কাপড় পেঁচানো লাঠি ঐ এ্যাসিডের মাঝে ভিজিয়ে কাটা জায়গায় দিত, নাকে, মুখে, চোখে দিত, যৌনাঙ্গে দিত, এবং মরে গেলে লাশ উত্তর পাশের কূপ এবং ঝোপ জঙ্গলে ফেলে দিত।

কেউ খেলার সাথে রাজনীতি মেশাবেন না যদি জারজ হন! কথাটা ঘুরিয়ে বললে এমন হয় যে- জারজ হলেই একমাত্র খেলার সাথে রাজনীতি মেশাবেন না! আজকের এই ঘটনার পরে  কোন বাঙালি যদি বলতে  আসে “খেলার সাথে রাজনীতি মেশাবেন না” তাহলে বুঝতে হবে সে বাঙালি নয় “পাকি বীর্যে জন্ম নেয়া পাকি জারজ” ... ক্লিয়ার?

 

 

 

 

 

0 Shares

২০টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ