”একজন মানুষ হিসাবে সমগ্র মানবজাতি নিয়েই আমি ভাবি। একজন বাঙালী হিসাবে যা কিছু বাঙালীদের সাথে সম্পর্কিত তাই আমাকে গভীরভাবে ভাবায়। এই নিরন্তর সম্পৃক্তির উৎস ভালোবাসা, অক্ষয় ভালোবাসা। যে ভালোবাসা আমার রাজনীতি এবং অস্তিত্বকে অর্থবহ করে তোলে।”
-শেখ মুজিবুর রহমান, অসমাপ্ত আত্মজীবনী
★গত বইমেলা থেকে আমি বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বইটি সংগ্রহ করি। বইটি যেদিন হাতে নেই, সেদিনই মনের মাঝে একটা ইচ্ছার আনাগোনা শুরু হয়। তেমন কিছু না! জাস্ট ছড়িয়ে দেয়ার উদ্দেশ্যেই ইচ্ছাটা জেগেছিলো।
এতোদিন মনের মধ্যে জেগে উঠা ইচ্ছাটি সুপ্তই ছিলো। কিন্তু পড়তে শুরু করার পর থেকে সেটা বেশ খুঁচিয়ে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে শুরু করলেই তো একদিন শেষ হবে। সে উদ্দেশ্য নিয়েই গত সেপ্টেম্বরে আমি আমার বন্ধু/শুভাকাঙ্ক্ষী/পরামর্শক, যে হিসাবেই তাঁকে দেখি না কেনো, ইনবক্স করে তাঁর পরামর্শ চাইলাম। তাঁর পরামর্শ ছিলো “কাজটা করতে পারলে খুবই যুক্তি সংগত হবে।”
আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বইটি ছোট্টছোট্ট প্যারা আকারে ব্লগে তুলে ধরা শুরু করবো। ধারাবাহিকভাবে দেয়ারই ইচ্ছে, সময় হয়তো বেশি লাগবে। ইতোমধ্যে অনেকখানি টাইপও করেছি। ইচ্ছা ছিলো ডিসেম্বর থেকে প্রতি সপ্তাহে এক প্যারা করে তুলে ধরবো কিন্তু তা আর হয়ে উঠেনি। তাই নতুন বছর থেকেই শুরু করতে চাই।
আমি নিজে এখনো পুরো বইটি পড়ে শেষ করিনি কিন্তু যতটুকুন পড়েছি তাতে কেবল অবাক হয়েছি আর আবেগে আপ্লুত হয়েছি। বইটা পড়তে গিয়ে ছোটবেলার শুনা কথা মনে পড়ছিলো। শুনতাম রাজনীতিবিদরা নাকি বিবাগী হয়, ঘর-সংসার তাদের জন্য না; দেশ-মাটি-মানুষের কথা ভেবেই তাঁরা জীবন পার করে দেন। আর যদিও বা সংসার পাতেন কিন্তু ঘরের প্রতি তাঁদের কোন মনযোগই থাকে না। এই বইটা পড়তে পড়তে আমারও তাই মনে হয়েছে। আর বইটা পড়ে এখনকার সময়ে দেখা রাজনীতিবিদদের চেহারা মনে করলে কেবল তাঁদের প্রতি করুনাই হয়!
তাই ভাবি, ইতিহাস তাঁকেই কোলে তুলে নেয়, যে ইতিহাস সৃষ্টি করে। আরাম কেদারায় বসে কি আর ইতিহাসের নায়ক হওয়া যায়?
যাহোক, আমার বিশ্বাস যারা বইটা এখনো পড়তে পারেন নি, তাঁরা এখানে পড়তে পারবেন।
এবার আপনাদের পরামর্শ চাই।
২৯টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
একটি বড় কাজে হাত দিয়েছেন
ধৈর্য্য নিয়ে চালিয়ে যাওয়া অত্যন্ত কঠিন হবে
তবে আপনি পারবেন
যারা বইটি সংগ্রহ করেননি, তারা পড়তে পারবেন আপনার মাধ্যমে
বঙ্গবন্ধুকে জানা প্রতিটি বাঙালীর জন্য কর্তব্য।
শুভ কামনা।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
যারা বইটি সংগ্রহ করেননি, তারা যাতে পড়তে পারেন সে উদ্দেশ্যেই এই উদ্যোগ। কারন বড় বই অনেকেই পড়তে চায় না। ধৈর্য ধরে অল্প অল্প করে লিখার কারনে যদি কেউ দশ ভাগের একভাগও পড়ে তবুও আমার কষ্ট সার্থক হবে।
সাহস করে হাত দিয়েছি, আশীর্বাদ করুন যাতে চালিয়ে যেতে পারি।
শুভ কামনার জন্য ধন্যবাদ।
মৌনতা রিতু
যে বাঙ্গালি তার হাত ধরে স্বাধীন তাকে তো জানতেই হবে।সেই জানাটা চাই অন্তর থেকে।
কারণ পূর্বে বাঙ্গালি কখনোই স্বাধিনতার স্বাধ পাইনি।
তা সে যে আমলই হোক।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
জানতে হবে কি গুনে তিনি গুণান্বিত ছিলেন যে হ্যামিলনের বাঁশী ওয়ালার মতো তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে আপামর বাঙালী যুদ্ধে নেমেছিলো।
সাথে থাকুন। ধন্যবাদ।
মরুভূমির জলদস্যু
বইটি এখনো পড়া হয়ে উঠেনি।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
আশা করি এবার ব্লগ থেকেই পড়া হয়ে যাবে।
বঙ্গবন্ধুকে পরিপূর্ণভাবে জানতে হলে পড়া উচিৎ।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
-{@ -{@শুভ কামনা এবং স্বাগতম।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
শুভকামনার জন্য ধন্যবাদ।
নূরু
দারুন একটা কাজে হাত দেবার পরিকল্পনা!!
প্রত্যাশা, বাধা বিপত্তি পেরিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছবেন।
শুভেচ্ছা রইলো। এগিয়ে যান দৃঢ় প্রত্যয়ে।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
অনুপ্রেরণা যোগানোর জন্য ধন্যবাদ। সাহস করে কাজে হাত দিলাম। সংগে থাকুন, এগিয়ে যাওয়া সহজ হবে।
ধন্যবাদ 🙂
তানজির খান
খুব ভাল উদযোগ নিয়েছেন। আমি অপেক্ষায় থাকলাম। বইটি কিনি কিনি করেও কেনা হয় নাই। কিনব খুব দ্রুতই। আজ আব্বা বেঁচে থাকলে তিনিই হতেন এই বইয়ের প্রথম সারির ক্রেতা। আপনি শেষ করে আগে একটি রিভিউ লিখবেন, অনুরোধ রইল। তারপর আপনার মিশন প্রথম থেকে শুরু করবেন। তাহলে নিয়মিত পাঠক পড়ে আরো বেশী আগ্রহী হয়ে উঠবে।
শুভ কামনা ও শ্রদ্ধা রইল এমন একটি কাজ করবার উদযোগ নেবার জন্য।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
পরামর্শ দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
“আপনি শেষ করে আগে একটি রিভিউ লিখবেন, অনুরোধ রইল। তারপর আপনার মিশন প্রথম থেকে শুরু করবেন। তাহলে নিয়মিত পাঠক পড়ে আরো বেশী আগ্রহী হয়ে উঠবে।” বক্তব্যটি আরেকটু স্পষ্ট করুন।
শুভকামনার জন্য ধন্যবাদ। সঙ্গে থাকুন। (y)
তানজির খান
তেমন কিছু নয়। আমি শুধু অনুরোধ করেছি আপনি বইটি পড়ে শেষ করলে একটা সুন্দর রিভিউ লিখবেন। তারপর ধাপে ধাপে দিতে চেয়েছিলেন ব্লগে সেটা করবেন। রিভিউ পড়লে পাঠক এমনিতেই বইটি পড়তে আগ্রহী হয়ে উঠবে। রিভিউ না লিখলেও পাঠক পড়বে। আমার শুধু মনে হয়েছে রিভিউ লিখলে আরো বেশী ভাল হবে,তাই বলেছি।যাইহোক, অপেক্ষায় রইলাম আপনার লেখার।
শুভ কামনা রুবা, সঙ্গে আছি সব সময়
অপার্থিব
চমৎকার উদ্যোগ।বইটা এখনো কেনা হয়নি। আগামী বইমেলায় শাহবাগের দিকে গেলে কিনে ফেলব। আপনার পোষ্টের অপেক্ষায় রইলাম।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
ভালো লাগছে সবার অপেক্ষা দেখে। মনে হচ্ছে বই থেকে কপি করে এখানে তুলে ধরাটা সার্থক হবে।
ধন্যবাদ -{@
ফাতেমা জোহরা
বইটা পড়া তো সহজই। কিন্তু এই বইটাকে মাথায় ধারণ করতে বহুদিন লাগবে আপু। আমি একবার পড়ে এখনো কিছু বুঝে উঠিনি।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
হ্যাঁ, খুব সহজ ভাষায় লিখা কিন্তু তবুও মাঝেমধ্যে বুঝে উঠতে একটু যেনো সময় লাগে।
আমি কোন কোন জায়গা দুবার করেও পড়েছি এবং বইটাকে ধারন করতে গিয়েই মনে হয় এমন হয়েছে।
ব্লগার সজীব
আপু আপনার প্রতি অপরিসীম শ্রদ্ধা -{@ প্রতি সপ্তাহ একটি পোষ্ট দিন।আপনার পোষ্ট সোনেলা পাঠাগারে স্থান পাবে বলে আমার বিশ্বাস।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
ধন্যবাদ সজীব।
সব্বাই মিলে পাশে থাকবেন, আমার বিশ্বাস দীর্ঘমেয়াদী হলেও আপনাদের সহযোগিতা আমাকে অনুপ্রাণিত করবে।
ব্লগার সজীব
আপনার পাশেই আছি আপু।অপেক্ষা করছি আপনার এই কঠিনতম ও দীর্ঘমেয়াদী কাজের জন্য।
মোঃ মজিবর রহমান
আপু বইটি কিনেছিলাম অনেক আগে কিন্তু সময় হয়নি কিন্তু গত ঈদে একনাগাড়ে কয়েকবার পড়েছিলাম আর প্রথম প্যারায় আটকিয়ে থাকি অনেক্ষন। যা ফাকা সময়েই ভাবি। কি অদ্ভু্দ ভাবনা এই দেশকে নিয়ে।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
আপনার মতো করে আমিও মাঝেমধ্যেই আটকে যেতাম, ভাবনার জগতে তলিয়ে যেতাম। একেকটা প্যারা দুবার করেও পড়েছি অনেক সময়। পড়তে পড়তে যতোই এগুচ্ছি, ততোই অভিভুত হচ্ছি।
এই মানুষটিকে মানুষের জানা যে বড় দরকার।
ছোটবেলা বাবা প্রায়ই এই বাক্যটি আমাদের শুনাতেন “এমন জীবন তুমি করিবে গঠন, মরিলে হাসিবে তুমি কাঁদিবে ভূবন।”
মোঃ মজিবর রহমান
“এমন জীবন তুমি করিবে গঠন, মরিলে হাসিবে তুমি কাঁদিবে ভূবন।”
হ্যা আপু এই বাক্য একটি কিন্তু অর্থের বিচারে বিশাল অর্থ বহ।
আর বঙ্গবন্ধু কে বুঝতে হলে অধিক মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। জানার জন্য।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
ঠিক বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকে বুঝতে হলে অধিক মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।
মোঃ মজিবর রহমান
হ্যা আপু আপনাকে ধন্যবাদ।
ছাইরাছ হেলাল
বইটি বের হওয়ার সাথে সাথে সংগ্রহে নিয়েছি যত্ন সহকারে।
আপনার উদ্যোগের প্রসংশা করে ছোট করতে চাই না,
সোনেলা সমৃদ্ধির পথে আর এক পা এগুলো, আপনার একান্ত সহযোগিতায়।
আপনি সময় দিচ্ছেন তা দেখে ভালই লাগে।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
হেলালভাই, দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা হলেও সাহস করেছি মূলতঃ একধরনের দায় থেকে। এখনকার সময়ে এই প্রজন্ম রাজনীতিবিমুখ হয়ে উঠেছে মূলত দুর্নীতিপরায়ন সুবিধাবাদী রাজনৈতিক নেতাদের দেখে। তাঁদের ধারনা রাজনীতি মানেই ধাপ্পাবাজি।
কিন্তু আমার বিশ্বাস বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ পড়লে ধারনা অনেকটাই পালটে যাবে।
আর দশভাগের একভাগ লিখাও যদি কেউ পড়ে আর কিছুটা হলেও প্রতিক্রিয়া হয়, তাই আমার প্রাপ্তি।
আর মানুষ এখন বই থেকে অনলাইনেই পড়ে বেশি।
আর ‘সোনেলা’ তো আমারই আঙ্গিনা!
নীলাঞ্জনা নীলা
অসাধারণ পরিকল্পনা। শুরু করুন। পাশে আছি। জানার এবং পড়ার অদম্য ইচ্ছে নিয়েই আছি। -{@
মারজানা ফেরদৌস রুবা
পাশে আছেন জেনে অনুপ্রাণিত হলাম।
ধন্যবাদ -{@