ক্যাটাগরি খ্যাতনামা ব্যক্তি

অনেক সময় দেখা গেছে, একজন অশিক্ষিত লোক লম্বা কাপড়, সুন্দর চেহারা, ভাল দাড়ি, সামান্য আরবি ফার্সি বলতে পারে, বাংলাদেশে এসে পীর হয়ে গেছে। বাঙালি হাজার হাজার টাকা তাকে দিয়েছে একটু দোয়া পাওয়ার লোভে। ভাল করে খবর নিয়ে দেখলে দেখা যাবে এ লোকটা কলকাতার কোন ফলের দোকানের কর্মচারী অথবা ডাকাতি বা খুনের মামলার আসামি। অন্ধ কুসংস্কার [ বিস্তারিত ]
শেষ পর্যন্ত আমিও হাশিম সাহেবকে বলেছিলাম, সালাম সাহেবকে নমিনেশন দিতে। সেজন্যে আমার উপর রাগ করেছিলেন তিনি। শহীদ সাহেব রিপোর্ট দিলেন, সালাম সাহেবই সকলের চেয়ে জনপ্রিয়। তিনি সালাম সাহেবকে নমিনেশন দিতে প্রস্তাব করেছিলেন। লাল মিয়া ও হাশিম সাহেব বেঁকে বসলেন। এই সময় কিছু টাকা পয়সার ছড়াছড়ি হচ্ছিল। আমি খবর পেতাম, যদিও চোখে দেখি নাই। শেষ পর্যন্ত [ বিস্তারিত ]
আমরা রওয়ানা হয়ে চলে এলাম সাইকেল, মাইক্রোফোন, হর্ন , কাগজপত্র নিয়ে। জেলা লীগ আমাদের সাথে সহযোগিতা করবে। আমরা প্রত্যেক থানায় ও মহকুমায় একটা করে কর্মী শিবির খুলব। আমাকে কলেজ ছেড়ে চলে আসতে হল ফরিদপুরে। ফরিদপুর শহরে মিটিং করতে এসেছি মাঝে মাঝে, কিন্তু কোনোদিন থাকি নাই। আমাকে ভার দেওয়ার জন্য মোহন মিয়া সাহেব ক্ষেপে যান। সকলকে [ বিস্তারিত ]
সন্ধ্যা পর্যন্ত ভোট গণনা হয়ে গেল। শহীদ সাহেবের দলের পাঁচজনই জিতলেন। আমি ফুলের মালা জোগাড় করেই রেখেছিলাম, আরও অনেকেই মালা জোগাড় করে রেখেছিল। আমি যখন শহীদ সাহেবের গলায় মালা দিলাম, শহীদ সাহেব আমাকে আদর করে বললেন, তুমি ঠিক বলেছিলে। লাল মিয়া সাহেবকে নিয়ে আমাদের ভয় ছিল। আমি ব্যক্তিগতভাবে অনেককে অনুরোধ করেছিলাম, তাঁকে একটা ভোট দিতে। [ বিস্তারিত ]
শহীদ সাহেব ও হাশিম সাহেব পরামর্শ করে পাঁচজনের নাম ঠিক করলেন: ১. হোসেন শহীদ সোহরাওয়ারদী ২. আবুল হাশিম ৩. মওলানা রাগীব আহসান ৪. আহমদ হোসেন এবং ৫. লাল মিয়া আমাদের পক্ষের, অন্য পক্ষ থেকে নাজিমুদ্দীন সাহেবও পাঁচজনের নাম দিলেন। এই সময় ফজলুল কাদের চৌধুরী সাহেব পার্লামেন্টারি বোরডের সদস্য হবার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন ও ভীষণ [ বিস্তারিত ]
দিন তারিখ আমার মনে নাই, তবে ঘটনাটা মনে আছে। বিকালে কলকাতা এসেম্বলি পার্টি রুমে এমএলএ, এমএলসি ও লীগ নেতাদের বৈঠক হবে, সেখানে আপোস হবে। আমরাও খবর পেলাম। বেকার হোস্টেল ও অন্যান্য হোস্টেলে খবর দিয়ে দুই তিনশত ছাত্র নিয়ে আমিও উপস্থিত হলাম। দরজা বন্ধ করে সভা হচ্ছিল। আমি দরজায় যেয়ে বললাম, " আমাদের কথা আছে, শুনতে [ বিস্তারিত ]
নাজিমুদ্দীন সাহেব পার্লামেন্টারি পার্টির নেতা ছিলেন, এমএলএ ও এমএলসিরা তাঁরই ভক্ত বেশি ছিল। শহীদ সাহেব ডেপুটি লিডার হওয়া সত্ত্বেও তাঁকে প্রতিনিধি না করে নাজিমুদ্দীন সাহেব ফজলুর রহমান সাহেবকে পাঠালেন। শহীদ সাহেবকে বললেন, আপনাকে নির্বাচিত করে লাভ কি? আপনি তো কাউন্সিল থেকে ইলেকশন করে বোর্ডের মেম্বার হতে পারবেন। ফজলুর রহমান সাহেব পারবেন না, তাই তাঁকেই সদস্য [ বিস্তারিত ]
১৯৭২ সাল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তখন স্বাধিন বাংলাদেশের রাষ্টপতি। তখন তথ্য মন্ত্রনালয় দেশের অনেক পত্রিকার সাথে মাসিক মদীনার প্রকাশনা বন্ধ করে দিয়েছে। প্রায় দুই মাস মাসিক মদিনা পত্রিকা বন্ধ ,  এই সময়ে  মাসিক মদীনার সম্পাদক মাওলানা মুহিউদ্দীন খানের কাছে ফরিদপুর টুঙ্গিপাড়া থেকে একটি চিঠি এলো । পাঠিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর পিতা শেখ লুৎফুর রহমান। শ্রদ্ধেয় সম্পাদক [ বিস্তারিত ]
আমরা দুইজন একদিন সময় ঠিক করে তাঁর সাথে দেখা করতে যাই এবং বুঝিয়ে বলি বেশি টাকা লাগবে না, কারণ সাপ্তাহিক কাগজ। আমাদের মধ্যে ভাল ভাল লেখার হাত আছে, যারা সামান্য হাত খরচ পেলেই কাজ করবে। অনেককে কিছু না দিলেও চলবে। আরও দু'একবার দেখা করার পরে শহীদ সাহেব রাজী হলেন। মুসলিম লীগ অফিসের নিচের তলায় অনেক [ বিস্তারিত ]
যে জেলার তাঁর জীবন বাঁচিয়েছিলেন, সেই জেলারকে বঙ্গবন্ধু কখনো ভোলেননি। ১৯৭৪ সালের জুন মাসে ভূট্টো সাহেব যখন ঢাকায় আসেন, বঙ্গবন্ধু ঐ জেলারকে তাঁর ব্যক্তিগত অতিথি হিসেবে দাওয়াত করেছিলেন। দেশের জনগনকে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি ও সেনা ছাউনির তলে বসে ক্ষমতা দখলের কুচিন্তায় বঙ্গবন্ধুর নামে তারা কুৎসা রটাতে শুরু করে এই বলে যে, বঙ্গবন্ধু দেশকে দেশকে ভারতের [ বিস্তারিত ]
"মুজিব শব্দটি একটি যাদু" "মুজিব একটি আলৌকিক নাম" পাকিস্তানের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বৃহত্তর দলের নেতা ও জনগনের ভাগ্য পরিবর্তনের নেতা হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান তার প্রদেশের বৃহত্তর স্বায়ত্বশাসনের যে ন্যায্য দাবী জানিয়েছিল তা ঐ পাকিস্তানি শাষক গোষ্ঠি না মেনে বঙ্গবন্ধুকে জেলে দেয়। তখনকার বঙ্গবন্ধুর সেই দাবিই বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বাস্তব রুপলাভ করে। কারামুক্তির পর বঙ্গবন্ধু [ বিস্তারিত ]
"দেশের জন্য আমি যা করছি, ও করতে চাচ্ছি, তা কেউ অনুধাবন করল না " --- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান। বঙ্গবন্ধুকে নৃশংসভাবে হত্যা করার যে প্রধান ভূমিকা রেখেছিল, সেই নরখাদক, কলঙ্কময় নামটি হচ্ছে, মেজর ফারুক। মেজর ফারুক তার এই নারকীয় চিন্তাটি প্রথমে তার বৌ এর বড় বোন জোবায়দার স্বামী মেজর খন্দকার আব্দুর রশিদকে জানিয়েছিল। ফারুকের বিবাহ [ বিস্তারিত ]
এই সময় আমি বাধ্য হয়ে কিছুদিনের জন্য ইসলামিয়া কলেজের ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হই। অনেক চেষ্টা করেও দুই গ্রুপের মধ্যে আপোষ করতে পারলাম না। দুই গ্রুপই অনুরোধ করল, আমাকে সাধারণ সম্পাদক হতে, নতুবা তাদের ইলেকশন করতে দেওয়া হোক। পূর্বের দুই বৎসর নির্বাচন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় করেছি। ইলেকশন আবার শুরু হলে আর বন্ধ [ বিস্তারিত ]
এদিকে মুসলিম লীগ অফিসে ও শহীদ সাহেবের কানে পৌঁছে গিয়েছে আমরা শেরে বাংলার বাড়িতে যাওয়া-আসা করি। তাঁর দলে চলে যেতে পারি। কয়েকদিন পরে যখন আমি শহীদ সাহেবের সঙ্গে দেখা করতে যাই তিনি হাসতে হাসতে বললেন, " কি হে, আজকাল খুব হক সাহেবের বাড়িতে যাও, খানাপিনা কর?" বললাম, "একবার গিয়েছি জীবনে।" তাঁকে সমস্ত ঘটনা বললাম। তিনি [ বিস্তারিত ]
শহীদ সাহেব মন্ত্রীত্ব চলে যাওয়ার পরে মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠানের দিকে মন দিলেন। যুদ্ধের প্রথম ধাক্কা সামলিয়ে ইংরেজ যুদ্ধের গতি পরিবর্তন করে ফেলল। এই সময় কংগ্রেস 'ভারত ত্যাগ কর আন্দোলন' ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়েছিল। পাকিস্তান আন্দোলনকেও শহীদ সাহেব এবং হাশিম সাহেব জনগণের আন্দোলনে পরিণত করতে পেরেছিলেন। ইংরেজের সাথেও আমাদের লড়তে হবে, এই শিক্ষাও হাশিম সাহেব আমাদের [ বিস্তারিত ]

মাসের সেরা ব্লগার

সংরক্ষণাগার

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ