চোখের নীল আভা
সে তো কবেই বিদায় নিয়েছে
এখন নীলের পরিবর্তে
চোখের নীচে কালির স্পট
হৃদয়ে ক্যান্সার
হাতে ইঞ্জেকশন
কলংকিত ঠোঁট
তারপরও ভালোবাসো ?
নাকি করুনা --
অভিনয় !
অবশ্য যাই করোনা কেন
ক্ষতির কোনো সম্ভাবনাই নেই
যে মানুষ ক্ষতকে ভালোবাসে
তার আবার ক্ষতি ?
আর বোলোনা ওভাবে ---
“সপ্তপর্ণা ! তুমি আমার প্রতীক্ষার তেরোটি বছর !"
আশ্চর্য যা আমি শুনতে পাবোনা
কোনোদিন!!
**পুরোনো একটা লেখা দিলাম। বসতে পারছিনা, তাই লিখতেও পারছিনা। ভালো থাকুন সকলে।**
শমশেরনগর চা' বাগান,মৌলভীবাজার
আগষ্ট, ১৯৯১ ইং ।
২২টি মন্তব্য
শুন্য শুন্যালয়
যে মানুষ ক্ষতকে ভালোবাসে, তার আবার ক্ষতি? বলো কী? তাই বুঝি ডাক্তাররা মৃত্যু ভয় পায়না? 🙂
সেই ৯১ তে কবিতা লেখার ফল দেখো। তোমার হাতে এখন সত্যি সিরিঞ্জ, হৃদয়ে ক্যানসার।
হতাশার কবিতা লেখো বলেই তোমার হতাশা পালিয়েছে, লেডি গুরু। 🙂
সপ্তপর্ণা, তোমার কাছ থেকে নাম শিখতে হবে।
নীলাঞ্জনা নীলা
হতাশা শব্দটা যতোটা না আমার লেখায়, তার উল্টো আমার জীবন। মুখ এবং মুখোশ! 🙂
এই লেখাটি যখন লিখি, স্যার বললেন পত্রিকায় পাঠাতে। প্রকাশিত হবার পর সে কী লজ্জ্বা! কারণ তখন পর্যন্ত প্রেমের সাথে এই জীবনের সাক্ষাৎ ঘটেনি। :p
নামটা খুব প্রিয় ছিলো আমার। বাপিকে বলেছিলাম আমার নাম কেন সপ্তপর্ণা রাখলেনা? জানো ফেসবুকে নামটা রেখেছিলাম। কিন্তু কেউ শেষে চিনতেই পারেনা। 😀
অনেক ভালো থেকো আপু। -{@
ইঞ্জা
ভীষণ মন ছোঁয়া, এমন লেখা আপু আপনার দ্বারা সম্ভব।
নীলাঞ্জনা নীলা
হ্যান্ডপাম্প ভাইয়া লিখতেই তো পারছিনা এখন! 🙁 ;(
নীহারিকা
এত পুরোনো কবিতা কিন্ত মনে হচ্ছে যেন এখনই লেখা। এতেই বুঝা যায় কত আধুনিক আপনার লেখা যা সবসময়ই নতুন মনে হয়।
নীলাঞ্জনা নীলা
আপু কী যে বলেন না! সেই সময় মোটে ইন্টার প্রথম বর্ষে পড়ি। প্রেমের সাথে সাক্ষাৎ হয়নি। আর যখন প্রেম করলাম, জঘণ্য টাইপের লেখা আসতো। যা লিখেই ছিঁড়ে ফেলতাম। 😀
নীহারিকা
আরে ১৯৯১ এ তো আমিও এস এস সি পাশ করে ইন্টার ফার্স্ট ইয়ার। 🙂 আপনিতো কি সুন্দর লিখতেন, আমিতো শুধু আড্ডাবাজি করতাম তখন আর আম্মার বকা খেতাম 😀
নীলাঞ্জনা নীলা
১৯৯০ তে এস.এস.সি? কী দারুণ! 🙂
আমার আড্ডাবাজি শুরু হলো ইন্টার থেকে। এর আগে শুধু ভাই-বোনেরা মিলে গল্প হতো।
আমি বাপির বকুনি খেতাম। তাতে লাভই হতো। তারপর আদরের চোটে বই কেনার জন্য টাকা পেতাম। 🙂
ছাইরাছ হেলাল
কিছু পুরনো পুরনো-না,
ভালভাবেই প্রমাণিত, কঠিন এক প্রেমিককে দেখছি!!
এখন আবার একখান লেখেন প্লিজ!!
নীলাঞ্জনা নীলা
আরে মরণ! ওই সময় প্রেম!!! প্রেম তো ১৯৯৩ সাল থেকে শুরু হয়েছিলো। যখন এটা লিখেছি সকলের প্রেমপত্র সব বাপিকে দিয়ে দিতাম। বাপিও জমাতো, গুনতো কয়টা হলো! 😀
এইবারে আর প্রেম নিয়া লিখমু না। বিষয় তো অনেকগুলা আছে, কিন্তু ঠিক করতে পারতাছি না। 🙁
ছাইরাছ হেলাল
আচ্ছা, অপেক্ষাই এবার।
নীলাঞ্জনা নীলা
অপেক্ষা শেষ করিয়ে দিলাম! 😀
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
মাঝে মাঝে পুরনোতে চলে গেলে মন হালকা হয়।লেখাটি খুবই ভাল লাগল।
নীলাঞ্জনা নীলা
মনির ভাই ঠিক বলেছেন। পুরোনো লেখা মানেই স্মৃতিময় সময়গুলোকে নিয়ে আনন্দ করা।
ভালো থাকবেন।
জিসান শা ইকরাম
বেঙ এর আবার সর্দি জ্বর কিসের?
অনেক ভাল লেগেছে লেখাটি।
কেমন আছো নাতনি?
নীলাঞ্জনা নীলা
নানা আজ একটু ভালো আছি। তাইতো ব্লগে এলাম। বসতে পারছি যে!
তোমার কি খবর? ভালো থেকো কিন্তু!
মৌনতা রিতু
ক্ষতকে ভালবাসি বলেই তোমার ব্যথায় কুঁকড়ে উঠি।
হৃদয় নিংড়ে কেড়ে নিব সেসব ব্যথার যন্ত্রনা।
শুধু অভিমান ভুলে হাত বাড়িয়ে বলো,” ছুঁয়ে দাও।”
আমি তোমার জন্য প্রতীক্ষা করব। অপেক্ষা একটি আপেক্ষিক শব্দ আটপৌরে, যা অন্য সবার জন্য।
প্রতীক্ষা শব্দটিই আমাদের জন্য। আমি তোমার জন্য প্রতীক্ষা করব অসহ্যের মতো ঐ অশ্বত্থের মতো ঠায় দাঁড়িয়ে রইব।
পূরানো হলেও বেশ লেগেছে কবিতার শব্দমালা।
এই নীলনদ, এখন কেমন আছো? ব্যাথাকে বলো তো বিদেয় হও।
তাড়াতাড়ি সুস্থ হও। প্লিজ। -{@ (3
নীলাঞ্জনা নীলা
ওরে আপু এত্তো চমৎকার মন্তব্য করেছো, আমার মনটা নেচে উঠলো। রফিক আজাদের “প্রতীক্ষা” কবিতায় কবি তাঁর প্রেমিকার জন্য “প্রতীক্ষা” শব্দটিই তুলে রেখেছিলেন। খুব প্রিয় একটা কবিতা ওটি আমার।
এখন ভালো আছি আপু। এমন তো হবেই। ভাঙ্গা জায়গা জোড়া লেগেছে, জোড়া লাগা জিনিস কী আর আগের মতো থাকে? তুমি-ই বলো! প্রার্থনায় রেখো। অনেক ভালো রেখো নিজেকে শান্তসুন্দরী আপু। -{@ (3
মিষ্টি জিন
তুমি সেই একানব্বইতে এত ভাল লিখতে?
ক্ষতকে আমিও ভালবাসি । মাঝে মাঝে ক্ষতকে খুচিয়ে খুচিয়ে রক্তাত্ব করতে খারাপ লাগেনা।
তুমি অসুস্হ দিদি? তাড়াতাড়ি সুস্হ হয়ে যাও।
নীলাঞ্জনা নীলা
মিষ্টি আপু এটাকে ভালো বললে! আমি কেন যে খুঁজে পাইনা কিছু!
আমি ব্যথা পেলে কি করি শুনবে? জোরে জোরে হেড়ে গলায় গান গাই। এক্সিডেন্টের পরে আমাকে আইসিইউ রেড জোন থেকে যখন বেডে দিয়ে গেলো, পরিচিত একজন এসে জিজ্ঞাসা করলো, এখন কেমন আছি! আমি বললাম ভালো আছি, তবে একটু ব্যথা আছে। 😀
জানো হাসপাতালে রাতে ঘুম হতোনা ব্যথায়? ইয়ারফোন লাগিয়ে গান শুনতাম। :p অবশ্য প্রধান কারণ ছিলো পাশের বেডের একজন মহিলা খুব নাক ডাকতো, উফ! ^:^
অনেক কথা বলে ফেললাম। ভালো থেকো।
অপ্সরা
অনেক অনেক ভালো লাগা আপুনি!
তোমার লেখা সবসময়ই সুন্দর!
নীলাঞ্জনা নীলা
আপু তুমি সোনেলাতে এসেছো। দারুণ দারুণ লেখা পাবো।
আমি সেই খুশী নিয়ে অপেক্ষা করি তোমার পোষ্টের।
ভালো থেকো অনেক।