দুই জেলে…

আবু জাকারিয়া ১২ মার্চ ২০১৫, বৃহস্পতিবার, ১১:১৬:২৭অপরাহ্ন গল্প, সাহিত্য ১০ মন্তব্য

দুই জেলে।

নৌকার পাটাতনে বসে তামুক টেনে কিছুক্ষন বিশ্রাম নিতে ভাল লাগে। মনে প্রশান্তি পাওয়া যায়। দুরে নদীর পাড়ের ঘরবাড়ি আর ঘন গাছপালা দেখা যায়। পাড় ধরে লোকজনকে আসতে যেতে দেখা যায় আপন মনে। ওরা সবাই আমাদের পরিচিত। কিন্তু ওদের সাথে ঘনিষ্ঠতা ততটা বেশি নয়।
হারুন বলল, মাছগুলো আজ খুচড়া বিক্রি করব।
আমি ওর কথায় সায় দিলাম।
আমরা স্বাধারনতো প্রতিদিন যে মাছ পাই, সেগুলো কোন পাইকারের কাছে বিক্রি করে দিই। পাইকার মাছগুলো হাটে নিয়ে খুচড়া বিক্রি করে। এতে তার মোটামুটি ভাল লাভ থাকে। তবে আমরা মাঝে মধ্যে পাইকারের কাছে বিক্রি না করে নিজেরাই হাটে গিয়ে খুচড়া বিক্রি করে আসি। এতে আমাদের আয় প্রায় দ্বিগুন হয়ে যায়।
জেলে পাড়ায় আমাদের যত পরিচিত জেলেরা আছে, তারা প্রায়ই বলে, হারুনের মাছের ভাগ্য আছে।
আমিও দির্ঘদীন ওর সাথে মাছ ধরার পর জেলেদের কথার সাথে একমত হয়েছি। আসলেই হারুন ভাল মাছ ধরতে পারে। এর কারন হল ও ভাল খাটতে পারে। আজ পর্যন্ত ওর ভীতরে কোন অলসতা দেখতে পাইনি। খুব ভোরে আমাকে ডাকতে আসে ও। আমি তখনও ঘুমিয়ে থাকি। ও প্রথমে আমার জালানার কাছে এসে দাড়ায়। তারপর চেপে রাখা জালানাটা আস্তে করে খুলে ফেলে। জালানা দিয়ে আলো আমার চোখে এসে পড়লে ঘুম ভেংগে যায় আমার। কিন্তু ঘুম গাঢ় হলে ভাংগে না। তখন ও আমাকে ডেকে তোলে। তারপর চোখ ডলতে ডলতে মাছ ধরতে চলে যাই ওর সাথে।

মাছ ধরার সরঞ্জামগুলো আমরা দুজনেই ভাগে কিনেছি। আগে আমাদের নিজেদের কোন নৌকা-জাল ছিল না। আমরা অন্যের নৌকায় মাছ ধরতে যেতাম।
আমাদের স্বপ্ন ছিল টাকা গুছিয়ে একটা নৌকা আরেকটা বড় জাল কিনব। কয়েক বছরের মাথায় আমাদের স্বপ্ন পূরন হল। আমরা টাকা গুছিয়ে একটা নৌকা আরেকটা মাছ ধরার জাল কিনে ফেললাম। নৌকাটা তেমন বড় না। মাঝারি ধরনের। তা দিয়ে দুই তিনজনে মাছ ধরা যায়, তবুও আমাদের জন্য নৌকাটা উপযুক্ত ছিল।
আমরা অনেক বড় একটা জাল কেনার আশা করেছিলাম। কিন্তু টাকা কম থাকায় বড় জাল কেনা হল না। কিনলাম মাঝারি আকারের একটা জাল। মাঝারি আকার না বলে ছোটও বলা যায়। অর্থাৎ জালটি ছোট জালের থেকে কিছুটা বড় আর মাঝারি জালের থেকে কিছুটা বড়। জালটি ছোট হোক আর বড় হোক, সেটা বড় কথা নয়। বড় কথা হল জালটি দিয়ে আমরা অনেক মাছ ধরেছি এ পর্যন্ত। কিছু টাকাও গুছিয়ে ফেলেছি আমরা। আরো কিছু টাকা গোছাতে পারলেই বড় একটা জাল আর বড় একটা নৌকা কিনতে পারব। আগে জাল কিনব, তারপর নৌকা। বড় নৌকা আর বড় জাল নিয়ে আমরা নদীতে মাছ ধরতে যাব। বেতনের বিনিময়ে তিন চারজন লোক রাখব নৌকায়। তারা আমাদের মাছ ধরতে সাহায্য করবে। আর আমাদের পরিশ্রমও কম হবে। আয় বৃদ্ধি পাবে।
সেই লক্ষ নিয়ে আমরা কিছুদিন যাবত অনেক বেশি পরিশ্রম করছি। যাতে খুব তারাতারি বড় একটা নৌকা আর বড় একটা জাল কেনার জন্য টাকা গোছাতে পারি।
তবে হারুনের একটা সমস্যা আছে। সমস্যাটা হল খুব বেশি রোদের মধ্যে থাকতে পারেনা ও। বেশিক্ষন রোদে থাকলে ওর মাথায় জালা শুরু হয়ে যায়। তখন বিশ্রাম নেয়া ছাড়া আর কোন উপায় থাকেনা ওর।
ছোট বেলা থেকেই ওর এই রোগটা দেখতে দেখতে এসেছি। ছোট বেলায় নদীর পাড়ে এসে খেলা করতাম। আবহাওয়া একটু গরম হলেই ও খেলা ছেড়ে দিয়ে গাছের ছায়ায় গিয়ে বসে থাকত। কিছুক্ষন বসে থাকার পর আবার খেলতে আসত ও। খেলতে খেলতে হঠাৎ ধপ করে মুখ থুপড়ে মাটিতে পড়ে যেত। তখন ওর বাবা মা এসে তুলে নিয়ে যেত ওকে। অনেক সময় সেবা যত্ন করার পর সুস্থ হয়ে উঠত।
ছোট বেলায় এরকম ঘটনা প্রায়ই ঘটত। যখন একটু বড় হল, তখন ওর এই সমস্যাটা অনেকটাই কমে গেল। একপর্যায়ে ওর এই সমস্যাটা ছিল না বললেই চলে।
কিন্তু পুরানো সমস্যাটা হঠাৎ আবার নতুন করে শুরু হয়েছে। বেশিক্ষন রোদে পুড়তে পারেনা ও। বেশি রোদে পুড়লে মাথায় প্রচুর যন্তনা শুরু হয়ে যায়। তখন লুঙি গামছা দিয়ে তাবু টানিয়ে নৌকার পাটাতনে বসে তামুক টানতে থাকে। আর মাছ ধরার কাজটা তখন আমার একারই করতে হয়। দুইজনের কাজ একা করে এগোনো যায় না। তবে বেশিক্ষন একা কাজ করতে হয়না আমাকে। ও কিছুক্ষন বিশ্রাম নেয়ার পর আবার সুস্থ হয়ে ওঠে। তখন আমরা দুজনে মিলে পুরোদমে মাছ ধরার কাজ শুরু করে দিই। শেষ করতেও বেশি সময় লাগেনা।

মাছ ধরা হয়ে গেলে মাছগুলো নিজেরাই হাটে গিয়ে খুচড়া বিক্রি করে আসি। যদিও অনেকদিন ধরে মাছগুলো পাইকারি বিক্রি করছি। কিন্তু আজ খুচড়া বিক্রি করে আসলাম। কারন মাছ ধরার পর যথেষ্ট সময় ছিল আমাদের হাতে।

মাছ বিক্রি করে আসার পথে আমাদের অনেক আনন্দ লাগে। আমরা সারাটা পথ গল্প করতে করতে বাড়ি আসি। অনেক রাত পর্যন্ত জেগে জেগে গল্প করি। নদীর পাড়ে গিয়ে চাদের আলোয় বসে থাকি। হুকো জ্বালিয়ে তামুক টানতে টানতে গল্প করি।
কিছু কিছু জেলে অনেক রাত পর্যন্ত নদীতে থেকে মাছ ধরে। তাদের টিম টিমে বাতিগুলো জ্বলতে দেখা যায় দুর থেকে। মাঝে মধ্যে আমাদেরও দেরি হয়। আমাদেরও মাঝে মাঝে অনেক রাত পর্যন্ত মাছ ধরতে হয়। তবে খুব কম।

তামুক টানা শেষ করে হারুন বাড়ি চলে যায়। টর্চের আলোয় কিছু দুর এগিয়ে দিয়ে আসি ওকে।

মাঝে মাঝে আমার ঘুম অতিরিক্ত গাঢ় হয়। এর কারন আমি নিজেও জানিনা।
জালানার ছিদ্র দিয়ে আমার চোঁখে সূর্যের আলো এসে পড়ল। ঘুম ভেংগে গেল হঠাৎ। জালানা খুলে চেয়ে দেখি অনেক বেলা হয়ে গেছে। কিন্তু হারুন আমাকে ডাকতে আসেনি।
হারুনের বাড়ি বেশি দুরে না। আমি হাটতে হাটতে ওদের বাড়িতে চলে আসলাম। হারুনকে দেখলাম বারান্দায় পাটি পেতে শুয়ে আছে। ওর মা মাথায় পানি দিয়ে দিচ্ছে। জিজ্ঞেস করলাম, কি হয়েছে?
হারুনের মা বলল, হঠাৎ মাথায় যন্ত্রনা শুরু হয়েছে। নাক দিয়ে রক্ত পরেছিল।
এর আগে হারুন যতবার অসুস্থ হয়েছিল, কোনবারই নাক দিয়ে রক্ত পড়েনি, এই প্রথম ওর নাক দিয়ে রক্ত পড়ার কথা শুনলাম। আর এর আগে যতবার অসুস্থ হয়েছে, প্রতিবার রোদে থাকার কারনে হয়েছে। কিন্তু রোদে না পুড়েও এই প্রথম অসুস্থ হতে দেখলাম ওকে।
হারুন বলল, আমাকে গঞ্জে নিয়ে ডাক্তার দেখাতে পারবি?
ওর এই অবস্থা দেখে আমার মনে মনে খুব কষ্ট হচ্ছিল। কিন্তু প্রকাশ করলাম না।

নদীর ওপার বড় একটা গঞ্জ আছে। সেখানে অনেক ডাক্তার পাওয়া যায়।
আমি হারুনের জন্য নৌকায় ছোট খাট একটা তাবু তৈরি করলাম। তাবুর নিচে শুইয়ে রাখলাম ওকে।

নদীতে বড় বড় ঢেউ হচ্ছিল। আমাদের নৌকা এদিক ওদিক দুলছিল। নৌকা যখন মাঝ নদীতে আসল, হারুনের নাক দিয়ে আবার রক্ত ছুটতে শুরু করল। কি করব বুঝতে পারলাম না। নৌকা চালানো বন্ধ করে ওর কাছে ছুটে আসলাম। ও আমাকে মাথায় পানি দিয়ে দিতে বলল। আমি নদী থেকে পানি তুলে ওর মাথায় ঢালছি। নৌকা বাতাশে কোন দিকে যাচ্ছে সেদিকে আমার খেয়াল নেই। আমি ওর মাথায় আস্তে আস্তে পানি ঢেলে চলছি। নদীর পানি ঘোলা আর লোনা। এই ঘোলা আর লোনা পানিতে ওর কতটুকু উপকার হচ্ছে বোঝা যাচ্ছে না। তবুও বুঝলাম, একটু উপকার হলেওতো হচ্ছে। আর ওর মাথায় পানি দেয়া ছাড়া আর কিইবা করার আছে আমার? হঠাৎ খেয়াল করলাম, নৌকাটা আস্তে আস্তে দুরে সরে যাচ্ছে। অর্থাৎ স্রোতের প্রবাহ যেদিকে সেদিকে চলে যাচ্ছে।
কিছুক্ষন মাথায় পানি দেয়ার পর হারুনের নাক দিয়ে রক্ত পড়া বন্ধ হল। হারুন আমাকে নৌকা বাইতে বলল। আমি নৌকাটা আবার গঞ্জের দিকে বাইতে শুরু করলাম।
গঞ্জে পৌছাতে অনেক দেরি হল আমাদের। নদীতে স্রোত না থাকলে এত দেরি হত না।
একজন ডাক্তারের কাছে উপস্থিত হলাম আমরা। এখানে বেশিরভাগ ডাক্তারেরই বেশ সুনাম আছে। আমরা যে ডাক্তারের কাছে আসলাম তার সুনাম আছে কিনা বুঝতে পারলাম না। তবে সে আমাদের সাথে খুব সুন্দর আচরন করেছে। অনেক সময় নিয়ে হারুনকে পরীক্ষা করে দেখেছে।
পরিক্ষা নিরিক্ষার সব কাজ শেষ হলে কিছু ওশুধ দিয়ে দিল । আর ৬ মাসের মধ্যে হারুনকে কোন কাজ করতে নিষেধ করে দিল। এমনকি এই ছয় মাসে হারুনের রোদ্রে হাটা ও তামুক টানা নিষেধ।
ডাক্তার আমাদের পুরোপুরি আশ্বাস দিয়ে বলল, হারুন এই ছয় মাসের মধ্যে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যাবে আর কাজ করতেও কোন সমস্যা হবে না।

আবার নৌকা বাইতে শুরু করলাম আমি। হারুনকে নৌকায় শুইয়ে দিলাম। ওর গায়ে একটু একটু রোদ পরছিল। আমি তাবুটা ঠিক করে দিলাম। ফলে ওর গায়ে আর রোদ পড়ছেনা।

ওকে পৌছে দিয়ে বাড়ি চলে আসলাম আমি। নৌকাটা ঘাটে বাধা অবস্থায় পড়ে রইল।
হারুন ছয় মাসের মধ্যে কোন কাজ করতে পারবে না। ছয় মাস ওর মাছ ধরা হবেনা।
আমি মাঝে মধ্যে অন্যের নৌকায় মাছ ধরতে যাই। সন্ধ্যেয় হারুনকে দেখতে আসি। ও কখনই বিছানায় শুয়ে থাকে আবার কখনও বসে থাকে। অনেক রাত পর্যন্ত গল্প করি আমরা। ডাক্তার হারুনকে তামুক টানতে নিষেধ করেছে। তাই তামুক টানছিনা আমরা।
প্রতিদিন দুই তিনবার হারুনকে দেখতে যেতাম। যখন খুশি তখন যেতাম। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গল্প করতাম। কিভাবে মাছ ধরলে বেশি মাছ পাওয়া যাবে, কি করলে বেশি টাকা আয় করা যাবে, কোন অঞ্চলে বেশি মাছ পাওয়া যায় ইত্যাদি।
হারুনও খুব উৎসাহের সাথে বিভিন্ন পরিকল্পনা করত।
আমাদের দুজনের পরিকল্পনাই নিখুত মনে হত। এমন কি পূর্বের পরিকল্পনার থেকেও নিখুঁত। অনেক বড় বড় স্বপ্ন উজ্জল হয়ে আমাদের চোঁখে এসে আছড়ে পড়ত। অনেক বড় একটি জাল অথবা অনেকগুলো বড় জাল, একটা বড় নৌকা অথবা অনেকগুলো বড় নৌকা আমাদের চোঁখের সামনে ভেসে ভেসে উঠত। নৌকায় জালে পেচিয়ে অনেক বড় বড় রুপালী ইলিশ লাফাচ্ছে। পাইকাররা বেশি দাম দিয়ে ইলিশগুলো কিনতে চাচ্ছে। আমরা তাদের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছি। মাঝে মাঝে ইলিশগুলো হাটে বিক্রি করতে যাচ্ছি। অনেক টাকা আয় করছি আমরা। মাঝে মাঝে গল্পে আর পরিকল্পনায় এত মজে থাকতাম যে বাড়ি যাবার কথা ভূলেই যেতাম প্রায়।

হারুন আস্তে আস্তে সুস্থ হয়ে উঠতে শুরু করেছে। ডাক্তারের দেয়া ওশুধ খাওয়ার পর ওর নাক দিয়ে একবারও রক্ত বের হয়নি। তারপরেও ছয় মাস অপেক্ষা করতে হবে। এই ছয় মাসে কোন কাজ করতে পারবে না হারুন। এমনকি রোদ লাগাতেও পারবে না। কারন ডাক্তার নিষেধ করে দিয়েছে। হারুন ডাক্তারের নিষেধ অক্ষরে অক্ষরে পালন করছে আর ওশুধগুলোও ঠিক মত খাচ্ছে।

হারুন তিন চার মাসের মাথায়ই পুরোপুরি সুস্থ হয়ে গেল। ওর মাথায় একটুও যন্ত্রনা হচ্ছেনা। যদিও আগে মাথায় সব সময় একটা চিনচিনে ব্যাথা অনুভব করত। এখন সেই ব্যাথাটিও নেই ওর। তবুও ওকে ছয় মাসের পুরো নিয়োম মানতে হবে।
আমিও অপেক্ষা করতে লাগলাম।
দেখতে দেখতে ছয় মাস কেটে গেল। রাতে ঠিক মত ঘুম হল না আমার। আগামীকাল আমরা আবার মাছ ধরা শুরু করব। ঠিক আগের মত।

সকালে সূর্য ওঠার অনেক আগেই আমি হারুনকে ডেকে আনলাম। ছয়মাস অব্যাহৃত আমাদের মাছ ধরার মাঝারি আকারের জালটা নৌকায় তুললাম। খুব উৎসাহের সাথে। তারপর অন্যান্ন সরঞ্জামগুলোও তুললাম। হারুন নীরবে দাড়িয়ে দেখছিল সব কিছু।
আমাদের নৌকা মাছ ধরার উদ্দেশ্য চলতে শুরু করল। আজ আমরা মাঝ নদী ছাড়িয়ে অনেক দুরে গিয়ে জাল ফেলব। নৌকা খুব দ্রুত চলছে। হারুন চুপ করে পাটাতনের উপর বসে আছে। ছয় মাস না দেখা নদীটা ভাল করে দেখে নিচ্ছে ও। আমি জানি কিছুক্ষন পরেই ওর নিরবতা ভাংবে। তারপর পুরোদমে মাছ ধরার মনোযোগ দেবে ও।

ছয় মাস পরে অতি উৎসাহের সাথে আবার মাছ ধরতে শুরু করেছিআমরা। আমাদের এত দিনের পরিকল্পনাগুলো এখন বাস্তবায়ন করতে হবে..(সমাপ্ত)

0 Shares

১০টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ