সাপ্তাহিক ছুটির দিনে কেনাকাটা এবং খাওয়া-দাওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে বসুন্ধরায় গিয়েছিলো পরিবারটি। কিন্তু বিধিবাম ! ঢুকার সময় প্রচণ্ড ভিড়ে টিনএজ কন্যাটির কোমরে অনাকাঙ্খিত স্পর্শ তাদের সেই আনন্দ নষ্ট করে দেয়। কন্যাটি ক্রোধে-ঘৃণায় প্রতিবাদী হয়ে উঠে। উচ্চপদস্থ সরকারী কর্মকর্তা অসহায় বাবা মান-সন্মানের কথা ভেবে মেয়েকে শান্ত করতে ব্যস্ত হয়ে উঠেন। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষায় শিক্ষিত মা মেয়েকেই দোষারোপ করেন এই বলে__ "বোরখা/হিজাব পড়লে এমন ঘটনা ঘটানোর সাহস পেতো না। এরই মাঝে অপরাধী "সরি" বলে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে।
সামাজিক এসব অপরাধীরা এভাবেই পার পেয়ে যায় আমার দেশে।
অথচ সর্বোচ্চ খোলামেলা চলাফেরার দেশ এই আমেরিকায় প্রচণ্ড ভিড়ের সময়টাতেও দেখেছি বাস-ট্রেনে মানুষজন কতটা ভদ্র, সংযত হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে।
এমন অসুস্থ, অমানবিক, অনাকাঙ্খিত উৎপাত আমার স্বজনদের সইতে হবে আর কতকাল... জানিনা
সুন্দর,আনন্দময় ভাবে শুরু হওয়া দিনটি দুঃখজনক চরম এক তিক্ততার মাঝে শেষ হওয়া পরিবারগুলোর প্রতি সহানুভুতি...
২৬টি মন্তব্য
স্বপ্ন নীলা
পড়ে ভীষণ খারাপ লাগলো — পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় আমরা স্থান কাল পাত্রভেদে প্রতিনিয়ত নির্যাতিত হচ্ছি — এ কারণে আমাদেরকে এগিয়ে আসতে হবে —
রিমি রুম্মান
সবাই মিলে এগিয়ে গেলে অনেক কিছুই সম্ভব হতো … আমি আশাবাদী, তবুও
লীলাবতী
আসলেই এভাবে পার পেয়ে যায় সামাজিক এসব অপরাধীরা । খারাপ লাগে এটি ভেবে যে, এসব ক্ষেত্রে মেয়েদেরই দোষ দেয়া হয়।
রিমি রুম্মান
আজ পরিবারগুলো শুধু নিজেদের মান-সন্মানের কথা ভাবছে। কিন্তু এটি খুব দ্রুতই সামাজিক ব্যাধির ন্যায় ছড়িয়ে পড়ছে …
শুন্য শুন্যালয়
যতোদিন না আমরা নিজেদেরকে পরিবর্তন করতে পারবো, ততোদিন এভাবেই চলবে।
রিমি রুম্মান
অন্যায় যে করে, আর অন্যায় যে সহে
তব ঘৃন তারে যেন তৃণ সম দহে…
মোঃ মজিবর রহমান
আপু অনেক দিন পরে এলেন।
কেমন আছেন?
আপু কি করবেন এই আইনেই আমরা বাধা।
অপরাধীর মত মত আমিও সরি।
সব মাপ ।
রিমি রুম্মান
অনেকদিন পর না তো ! মাঝে মাঝেই আসি। তবে হ্যাঁ মাঝে একটু গ্যাপ হয়ে গেসিলো … ভাল থাকবেন
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
অথচ সর্বোচ্চ খোলামেলা চলাফেরার দেশ এই আমেরিকায় প্রচণ্ড ভিড়ের সময়টাতেও দেখেছি বাস-ট্রেনে মানুষজন কতটা ভদ্র, সংযত হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে।
শুধু কি তাই…সরিও বলে থাকেন।
রিমি রুম্মান
একদম ঠিক বলেছেন… শুভ কামনা রইলো
সাইদ মিলটন
হাস্তে আছি দুঃখে
রিমি রুম্মান
কন্যা সন্তানের মায়েরা যে বড় অসহায় আমার দেশে !
ছাইরাছ হেলাল
যেতে হবে দূর বহুদূর।
রিমি রুম্মান
সেই বহুদুর আর কতো দূর ?
জিসান শা ইকরাম
কিছু স্পট কঠিন শাস্তি দিলে এমন আর হতো না দেশে।
বিদেশের কথা ভেবে হাহাকার হয়।
রিমি রুম্মান
বিদেশে আমরা ভাল আছি দৃশ্যত … কিন্তু এসব অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার শিকার যখন আমারই পরিবারের কেউ, তখন নিজের কি আর ভাল থাকা হয় !
বনলতা সেন
এ সব এখন গা সওয়া হয়ে গেছে। ভাবিনা আর ।
রিমি রুম্মান
এভাবে গা সয়ে সয়ে আর কতকাল ! শুভকামনা রইলো।
খসড়া
অসুস্থ্য মানুষ আছে থাকবেই, তাইবলে পথে বের হব না। মেয়েটির বাবা মাই অশিক্ষিত। হিজাব কি মেয়েটিকে মেয়ে নাবানিয়ে থার্ড জেন্ডার বানাবে নাকি ছেলে বানাবে? আমি হলে হামলাকারির কলার ধরার শিক্ষা দিতাম মেয়েকে এবং তা দেই ও।
রিমি রুম্মান
কন্যা সন্তানের বাবা-মা’রা বড় বেশি অসহায় । তবে আপনার মতন প্রতিবাদী মানুষ এই অসুস্থ সমাজের বড় বেশি প্রয়োজন। ভাল থাকুন নিরন্তর…
কৃন্তনিকা
এসব নিয়ে কিছুই বলার নেই।
যারা এভাবে রাস্তা-ঘাটে এমন করে তারা কি হিজাব দেখলে ছেড়ে দিবে নাকি? এসব বিকৃত মনের লোকজনে আমাদের সমাজটা ভরে গেছে।
রিমি রুম্মান
সমাজটায় ভাল মানুষও নেহায়েৎ কম নয়… এভাবেই ভাল মন্দের মাঝে মানিয়ে নিচ্ছে সবাই। শুভকামনা অশেষ …
সীমান্ত উন্মাদ
কারো মানুষিক দৈন্যতা দায়ভার আপনি পুরা দেশের উপর দিতে পারেন না।
তবে হাঁ এই সব অপরাধির শাস্তি হওয়াটা অবশ্যই জরুরি। শুভকামনা অনেক অনেক আপনার জন্য।
রিমি রুম্মান
পুরো দেশে এমন অসুস্থ মানুষ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। একজন একজন করে প্রতিবাদী হয়ে উঠলে অনেক না পাওয়ার দেশটায় আপনার আমার বোন, ভাগ্নি কিংবা কন্যার চলাফেরা অনেক সুন্দর হয়ে উঠবে … ভাল থাকুন, দোয়া রইলো ।
নীলাঞ্জনা নীলা
এমন অবস্থা কেনাডাতেও কল্পনা করা যায়। এর আগে ছিলাম বেলজিয়াম, জাপান। কোন দেশে এমনটা দেখিনি বা শুনিনি আমি। কত খোলা মেলা পোষাক পরিধান করে এসব দেশের মানুষ। আর আমাদের দেশে সেলোয়ার,কামিজ, ওড়নায় শরীর ঢেকেও নিস্তার নেই মেয়েদের। খারাপ লাগে খুব।
নুসরাত মৌরিন
উফ্, কি জঘন্য।
এইসব ঘিনঘিনে সরীসৃপদের নোংরা দৃষ্টি আর লালসা থেকে মুক্তি নাই বুঝি মেয়েদের…। সমাজের এইসব কীটদের সংখ্যা কমে না, শুধু যেন বাড়েই…।