আমার এক খালার মেয়ে জামাই কৃষির উপর পিএইচডি করছে চিনে। চার বছরের মেয়াদ। ওখান থেকে জাপান অথবা কানাডা যাবে। তাদের ইচ্ছা দু বছর ওখানে কোর্স করেই ঐ দেশে থেকে যাবে। এই দেশে আসবে মেহমান হয়ে। তাদের কথার মধ্যে ছিল হতাশা, সেই হতাশা ছিল এই দেশ নিয়ে। আমি ফোনে বল্লাম,"কেন আপু দেশে থাকবে না "?
আপু বলল" তোমরা ভাল আছ দেশে ? স্বাধীনমতো কোনো কাজ করতে পারছ ? দেশে পরিবারে কোন্দল, সমাজে কোন্দল, রাষ্ট্রে কোন্দল। কোনো কিছুর উপর কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। সবাই যার যা ইচ্ছা তাই করছে। সাধারণ জনগন পিষে মরছে। আমি কষ্টের হাসি হাসলাম। আপু গল্প করল, " ওখানে সবাই সবাইকে যেভাবে পারে সাহায্য করে। এখানে আইন শুধু পাশই হয় না, প্রয়োগও হয়। রাস্তাঘাটে তুমি যেভাবে ইচ্ছে চলাফেরা করতে পারবে না। জোরে গাড়ির হর্ন বাজাতে পারবে না। যখন তখন বাজারের জিনিসের দাম বাড়ে না। সব থেকে বড় কথা সড়ক পথে নিরাপদ। এই দেশের মানুষ একটু বেশিই স্বাধীন তো! তাই যেখানে সেখানে মলমূত্র ত্যাগ করে, বিড়ি টানে। যা ইচ্ছে তাই করে। সরকারি সম্পদকে নিজের বাপদাদার সম্পত্তি মনে করে। ঘরের বৌ মনে করে যা ইচ্ছে নর্দমা ছোড়ে।
এইবার আমি জোরেই হাসলাম। ফোন কেটে গেল। সত্যিই তো, আমরা সড়কপথেই গেলে বুঝি কত ধানে কতো চাল। ট্রেনে বাসে কোথাও স্বস্তি নেই। পাবলিক বাস হোক আর যোগাযোগ মন্ত্রনালয়ের অধীনে বিআরটিসি আধা স্বায়ত্ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের বাসই কেন না হোক। দুর্ভোগ আমাদের আছেই।
আমি গত দু'সপ্তাহ্ আগে রাজশাহী থেকে ভুরুঙ্গামারীর বিআরটিসির বাসে কুড়িগ্রামের উদ্দেশ্যে আসছিলাম। বাসে উঠার সময়ই লক্ষ্য করলাম অনেকগুলো পাথরের বস্তা বাসের ছাদে উঠাচ্ছে। আমি ভাবলাম এই ২৫/৩০ টা বস্তা বাসের ছাদে উঠালে তো ছাদ ভেঙ্গে পড়বে।
সুপারভাইজারকে জিজ্ঞেস করলাম, উনি পান খাওয়া দাঁত কেলিয়ে কইল ''কিছুই হবে না আফা। অনেকবার নিছি তো এমন কতো মাল"। বুঝলাম একা বলে লাভ নেই। বাসে উঠে বসলাম। কিছুদূর যেতেই শুরু হল ওদের নিত্য অত্যাচার একটু পর পর লোক উঠানো নামানো। কাউন্টার থেকে টিকিট কাটা যাত্রীদের ওরা ঠিকমতো নামতেও দেয় না।
যাই হোক একটু পর দুড়ুম করে শব্দ হল, সেই সাথে লোকের চিৎকার। পিছনে ফিরে দেখি বাসের ছাদ ডেবে গেছে। সবাই বাস থেকে নেমে গেলো। বগুড়া অফিসগামী কিছু লোক ছিল, তারা বাসের ছাদে উঠে দেখে পাথরের বস্তার সাথে একশোটা রও বেশি পাটের বস্তা, আমের কার্টুন। দিল ড্রাইভারকে উত্তম মাধ্যম কিছু। কিন্তু বগুড়া পার না হতেই চাকা বাস্ট হল। এখানে আমাদের গালি দেওয়া ছাড়া কিছুই হয়ত করার থাকে না। কিন্তু কেন ?
আর এরা এতো বেপরোয়াভাবে ওভারটেক করে কি বলব! সামনে পিছনে কিছুই দেখে না। সেদিন বগুড়াতে এমন ভাবে ওভারটেক করার কারনে, পার্কিংএ থাকা এক প্রাইভেট কারকে দিল চাপা। গাড়ির সামনেরটা একেবারে দুমড়ে মুচড়ে গেল। যদি লোক থাকত, তবে তো মরেই যেত। গাড়িটা একদম নতুন গাড়ি। দাম অন্তত ৪০/৫০ লাখ টাকা হবে। বাসের ড্রাইভার ফকিরনির বাচ্চা এই গাড়ি ও জীবনের মূল্য কি বুঝবে! বাসের লোক গুলোও সুবিধাবাদী, তারা ড্রাইভারকে গাড়ি টান মারতে বলছে। তাদের হাতে যে সময় নেই! কেন ঝামেলায় যাবে। কিন্তু যদি আইনের শাসন থাকত, তবে নিয়ম মতো ঐ বাস আটকে, বাসের লোকদের অন্য বাসে উঠিয়ে দিয়ে, ঐ অপরাধী বেপরোয়া ড্রাইভারকে শাস্তি দেওয়া যেতো। জরিমানা করা যেতো।
যে দেশে মেধাবী মানুষ মরলে কিছু হয় না সে দেশে আবার সামান্য কারের ক্ষতিপূরণ! মিশুক মনির মারা গেল, আমি বলব খুন হল, কিছুই হল না। ওরা আন্দোলন করেই পার পেয়ে যায়। সব দেশেই অ্যাকসিডেন্ট হয়, তার কিন্তু সাজাও হয়। হয় না শুধু এই দেশে।এই দেশে যতোটা না গুম খুন হয় তার থেকে বেশী মানুষ মরে রোড অ্যাকসিডেন্টে। তার কোনো বিচার হতে আমরা কখনোই দেখি না। রোড অ্যাকসিডেন্টে মানুষ মরা যে খুন হওয়া এইটা যেন কেউ বোঝেই না। এটা আমাদের গা সওয়া হয়ে গেছে। একদিন গুম খুন, জঙ্গি হামলাও গা সওয়া হয়ে যাবে। কারণ বাঙ্গালি ধৈর্য্যশীল।
২০টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
কোনোদিন দেশ ত্যাগের চিন্তাই করিনি
তবে ইদানিং দেশে যা হচ্ছে, তাতে দেশ ত্যাগ এর চিন্তাটা মাথায় স্থান করে নিয়েছে।
লেখার প্রসংগে পরে মন্তব্য করছি।
মৌনতা রিতু
মন্তব্যের অপেক্ষায় থাকলাম।
জিসান শা ইকরাম
দেশের পরিবহন সেক্টরে মনে হয় সবচেয়ে বেশি নৈরাজ্য চলছে। একজন চালক পথচারী চাঁপা দিয়ে মেরে ফেললে তার সর্বোচ্চে শাস্তি হয় ৩ মাসের জেল। একজন খুনির সবচেয়ে কম সাঁজা চালকরা ভোগ করে। যে সব মানের গাড়িতে যাত্রী পরিবহন করা হয়, পৃথিবীর আর কোথাও এত নিম্নমানের গাড়ি ব্যবহার করা হয়না। ধাক্কা দিয়ে যাত্রীকে চলন্ত বাস হতে ফেলে দেয়ারও উদহারন আছে ঢাকা শহরে। সেবার মানের কথা না বলাই ভালো। যাত্রীসেবা কি তাই এরা জানে না। ভাড়ার কোন নির্দিষ্ট চার্ট নেই। জ্বালানী তেলের মুল্য বৃদ্ধির সাথে সাথে এরা ভাড়া বৃদ্ধি করে। জ্বালানী তেলের মূল্য কমালে সে অনুপাতে ভাড়া আর কমে না। গাড়ির মাইলেজে আছে ব্যপক দুর্নিতি। মাইলেজ ধরা হয় ঢাকা জিরো পয়েন্ট অর্থাৎ জিপিও সিগনাল হতে, অথচ গাড়ি টার্মিনাল গাবতলি, মহাখালি বা সায়েদাবাদ। বাস টার্মিনাল হতে জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত গাড়ির ভাড়া যাত্রির কাছ হতে নিয়ে নেয়া হয় আন্তজেলা বাস গুলোতে।
পরিবহন সেক্টরে কোন আশাজনক কিছুই নেই।
ভালো লেখেন আপনি, সমাজ নিয়ে আপনার ভাবনা সবাইকে মুগ্ধ করবে আশাকরি।
মৌনতা রিতু
ধন্যবাদ ভাইয়া। সবই আপনার ও রুনার উৎসাহ। জানেন, জুলি তো খুব খুশি।
সকাল স্বপ্ন
দেশ হল মা — আর তার উপর অত্যাচার করছে কিছু হিটলার —- লোক,
এখন সন্তান হয়ে আপনি হয়তো ছোট কিন্তু মনবল যদি খাটো হয় তবে যতই বড় হন সেই খাটো কখন বড় হতে পারবে না-
অনেকটা প্রতিবন্ধির মতো—–
ভাগ্য ভালো দেশ প্রেমিক রা মরে বেঁচে গেছে নয়তো এই সব কথা শুনলে বলতো—- এতো গুপ্ত রাজাকার এর দল—-
নিজের সাময়িক ভালো ও দেশের উন্নতির জন্য আপনি দেশ ত্যাগ করতে পারেন তবে পালাতে পারেন না—–
যা চলছে তা মোটেই ভালো না সেটা সবাই জানে
এবং এর পরিবর্তন জন্য আমাদের ই সচেতন হওয়া জরুরি-
পরিবার +সমাজ+নগর+ দেশ= সবাই কে নিয়ে —
ভালো একটি পোস্ট—- ধন্যবাদ লেখক এর–
মৌনতা রিতু
ধন্যবাদ ভাই।
অপার্থিব
আমার ভার্সিটি লাইফের বন্ধুদের এক তৃতীয়াংশই এখন দেশের বাইরে। ভার্সিটিতে পড়াকালীন সময় থেকে এদের অনেকের সঙ্গে এই বিদেশ মুখী প্রবণতা নিয়ে অনেক তর্ক-বিতর্ক করেছি। অভিজ্ঞতা থেকে জানি যারা নুতুন নুতুন বিদেশ যায় তাদেের অনেকেই দেশের নানা সমস্যার কথা বলে অর্থাৎ দেশটা একেবারে জঘণ্য , দেশ ছেড়ে এসে খুব ভাল করেছি ইত্যাদী।এরা নিজেকে একধরনের স্বান্তনা দেয়, নিজের বিদেশ যাওয়াকে জাষ্টিফাই করার চেষ্টা করে। বাস্তবতা হচ্ছে এদের একটা অংশের দেশে ভাল কিছু করার ক্ষমতা ছিল না আর যাদের ছিল (মূলত ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার , গবেষক বা অন্য পেশাজীবী) তাদের এই ইচ্ছাটুকু লোভ বা স্বার্থপরতার কাছে হেরে গিয়েছিল। এখন প্রশ্ন উঠতে পারে বাংলাদেশে কি সমস্যা নেই । অবশ্যই আছে কিন্ত সেই সমস্যার সমাধান আমাদেরই করতে হবে , বাইরের কেউ এসে করে করে দিয়ে যাবে না। রং দে বাসন্তী সিনেমার একটা সংলাপ আমার খুব প্রিয়- No country is perfect, we have to work to make it perfect.
পারফেক্ট দেশ বলে আসলে পৃথিবীতে কিছু নেই , জার্মানি ইউরোপের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ, সেদেশে জন সংখ্যা বৃদ্ধির হার ক্রমশ নিম্নমুখী , জার্মান সংস্কৃতির টিকে থাকাই এখন হুমকির মুখে। জাপান এশিয়ার সবচেয়ে সমৃদ্ধ দেশ গুলোর একটি কিন্ত আত্নহত্যায় তারা পৃথিবীর শীর্ষে।ধরুন কেউ যদি জাপান কানাডাকে তার ভাষায় ‘পারফেক্ট’ দেশ বলে মনে করে তবে এটাও বুঝতে হবে সেই দেশটাকে পারফেক্ট তার মত ইমিগ্রান্টরা করেনি , করেছে সে দেশের মানুষেরা। তারা যদি দেশ ছেড়ে অন্য জায়গায় যেত তবে তাদের দেশ আজকে এই অবস্থায় যেত না।
মৌনতা রিতু
প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই। মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ তো আছেই। জাফর ইকবাল স্যার এর বড় উদাহরন। অথচ স্যারকেই আমরা অপমান করতে ছাড়িনি। আমার এক ভাসুর আছেন, উনি জার্মানে অনেকদিন থাকার পরে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে জয়েন করেন। কিন্তু বিভিন্ন সমস্যা যেমন, প্রশাষনের দলিয়করন, রাজনৈতিক নোংড়ামির কারনে বুলগেরিয়া চলে যায়।
আমার বান্ধবী মিতুর দুই ছেলে পড়াশোনার কারনে ফোনে বলে,” জান খালামনি, এখানে এতো পড়া নেই, খুব মজা”।
আমরা যে সব ঠিক করব, সেই সুযোগই তো আমরা পাই না। কথা বললেই তো মুখ বন্ধ করে দেয়। সুন্দরবন আজ ধ্বংসের মুখে।
ইনজা
দুঃখজনক হলেও আপনার আপার কথাটি সত্য, আমারও ইচ্ছে হচ্ছে এখন যদি পারি চলে যাবো বিদেশে আর দেশে আসবো মেহমানের মত।
ধন্যবাদ আপনার লেখাটির জন্য।
মৌনতা রিতু
তবু পালাতে চাই, কিন্তু কোথায় যাব ? এ যে আমারই দেশ।
তবুও আমি মাঝে মাঝে সত্যি সুযোগ খুজি।
লীলাবতী
এই বাস এর চালক হেলপার আর যার পাথর সবাই ননসেন্স একেকটা। কতটা ভর হলে এভাবে বাসের চালা দেবে যায়। কতবড় দুর্ঘটনা হতে পারতো। পরিবহন গুলোর জুলুমবাজি বন্ধ করার উপায় নেই মনে হয়। আমাদের দেশের মানুষ ট্রেড ইউনিয়ন করার উপযোগী নয়। প্রতিটি ক্ষেত্রে এরা জনগনের উপর ষ্টিম রোলার চালায়। এমন প্রতিবাদী লেখা আরো চাই আপু।
মৌনতা রিতু
কাঁকন কন্যার কথা তো রাখতেই হবে। সে দেখতে আবার আমার মতো।
কিন্তু মাইর খাইলে দুইজন কি ভাগ করে নিব ? :p
আবু খায়ের আনিছ
দেশ ত্যাগ করা মানুষগুলোর মুখে বিদেশের অনেক ভালো ভালো গল্প শুনেছি, পরক্ষণেই আবার প্রবাসী বন্ধুদের মুখে শুনেছি তাদের নিদারুণ কষ্টের কথা।
একটা বিষয় এখানে, বিদেশ সম্পর্কে একটা ভালো ধারণা আমাদের মধ্যে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়, যা থেকে আমরা বের হতে পারি না। একটা উদাহারণ দেওয়া যায়, একটা রেষ্টুরেন্ট এ কাজ করতে গিয়ে ছয় বা আট ঘণ্টা যতক্ষণই ডিউটি থাকুক দাড়িয়ে ডিউটি করতে হবে অনবরত। অথাৎ আপনার যে সময়টুকু আপনার মালিক কিনে নিয়েছে তার সবটুকুই ব্যবহার সে করবে, পারলে একটু বেশি করবে।
অপার্থিব ভাইয়ার মতের সাথে সহমত, দেশে থেকেই দেশটাকে বদলাতে হবে, বিদেশ থেকে এসে কেউ বদল করে দিয়ে যাবে না।
ট্রাফিক আইন অমান্য করা বা অটোমোবাইল এর সাথে জড়িতদের আলাদা আইনে বিচার করা হয়। জিসান ভাই বলে দিয়েছে, এর আগে আমি বলেছি, তিন মাসের জেল, জরিমানা এইটুকু করতে গেলেই নানান ঝামেলা শুরু করে পরিবহণ মালিক,শ্রমিক সংঘঠনগুলো। সাধারণ মানুষ এক প্রকার জিম্মিই হয়ে আছে এদের কাছে।
ঢাকার রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে কতবার যে অল্পের জন্য বেচেঁ গিয়েছি। মাঝে মাঝে চালকদের দিকে প্রচন্ড রাগ হয়, কখনো কখনো দেখি মানুষ মারামারিও করছে। এত মেরেও কিছু হচ্ছে কি?
প্রত্যাশা আর প্রাপ্তি এর মাঝে বিশাল একটা ঘ্যাপ হয়ে গেছে, তাই সব কিছুই আমাদের সহ্য হয়ে যাচ্ছে ক্রমশ।।
মৌনতা রিতু
এই পরিবহন শ্রমিকদের হাত থেকে মুক্তিও নেই।
ঢাকা রাস্তায় বেরলে তো মেজাজ গরম করে বাসায় ফিরতে হয়।
ধন্যবাদ ভাই।
আবু খায়ের আনিছ
উপায় নেই আমাদের তাই সহ্য করতে হয়। শুভেচ্ছা আপু।
ইকবাল কবীর
বিলেত থেকে গ্রাজুয়েশন করে দেশে এসেছিলাম কিছু করব দেশের জন্য। যেই উদ্যামে এসেছিলাম তারচেয়ে বেশী হতাশা নিয়ে আবার ও দেশের বাইরে চলে যেতে হয়েছে।
মৌনতা রিতু
হুমম, আসলেই কি হবে, কি হচ্ছে জানিনা।
ধন্যবাদ।
ব্লগার সজীব
কি অবস্থা বিআরটিসি গাড়ির। যাত্রী পরিবহন না করে এরা মালামাল পরিবহন করলেই পারে।
মৌনতা রিতু
ব্লগার সজীব ভাই কোথায় ছিল এতোদিন ? আমি তো ভাবলাম হারান বিজ্ঞপ্তি দিব।
লেখার কথায় আসি, বি আর টি সি বাস সব থেকে খারাপ পরিবহন গুলোর মধ্যে অন্যতম। এরা যা ইচ্ছা তাই করে।
হুম, পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
নীলাঞ্জনা নীলা
খুব মন টানে দেশে যেতে, গিয়ে থাকতে। যতোবারই যাই, মন ভেঙ্গে যায়। সত্যি বলতে কি নিরাপত্তা নেই।
গতবছর দেশে গিয়ে ছেলেকে নিয়ে লোকাল বাসে উঠেছি। ওকে দেখাতে ওর মা এভাবেই বাসে আসা-যাওয়া করতো মিরপুর-আজিমপুর।
ছেলে ভয়ে একেবারে চুপ। কারণ চলন্ত বাসে উঠেছি, নেমেছিও ওই চলন্ত বাসেই।
সকলে বললো আমার ছেলেটা নাকি সত্যি লক্ষ্মী, দেশে গিয়ে সবকিছুর সাথে মানিয়ে নিয়েছিলো।