স্বর্গ-পরী, স্বর্গেই থাক স্বর্গসুখের মৌতাতে!
সুখ-পাখির সুখে সুখে, বৌকথাকও পাখির ডাকে।
বসন্তের কোকিলের বেশে,
তবক দেয়া পানের-মুখে উদ্বাহু তাথৈ-নৃত্য নেচে,
নিত্য অসুখের চোস্ত জড়িবুটি খেয়ে
মনোরম ইক্ষু দণ্ডে ঝঁকানো দাঁতের মৃদু দংশন শেষে
ইক্ষুরস চুষে চুষে, দুরন্ত সখার বিঘত শয্যা-সুখে;
নরক-সুখের নরকরাজ্যে নিত্য বসবাসে
এখানেও আনাগোনা মেঘেদের বর্ষামাদলে,
বন-হংস পাখা মেলে বনহংসির খোঁজে
কবিতাকাতর কবি বিমূঢ়তায়ও হন্যে হয় চাঁদ দেখবে বলে,
নেই এখানে ময়না পাখি, টিয়ে পাখি, লুলু পাখি, সোনা পাখি
কামনার রি রি কানাকানি,
নেই খোমাখাতার অতল তলোয়ার গুলতানি।
তবুও ভাদ্রের ঘোর অমাবস্যায় ভয়ংকর ভয়ানক উরু মেলে
ব্রক্ষ্মদৈত্যনী সেজে এসো,
বা, কোজাগরী পূর্ণিমায় সুগন্ধি ডানার ফুল-পরী হয়ে এসো
মায়াবতী মায়াবিনীর মায়াবীণ নিয়ে এসো।
ভুলেও ঝুঁকি নিয়ে উঁকি দিও না স্বর্গবাসী স্বর্গ-লোভী প্রেমিকা!
তবে দিতে পারো ছুঁড়ে সবুজের বনানী নরকের স্বর্গে;
৮টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
এত সুখ সবার সহ্য হয়না,
নরকের স্বর্গ আবার কি? !!
ছাইরাছ হেলাল
পাখিরা এক গাছের ডালে বসে থাকে না,
পা গরম হয়ে যায় বলে!!
নরকবাসীদেরও ইসপেশাল ব্যবস্থা থাকে,
নীলাঞ্জনা নীলা
বাপ্রে মাথার উপ্রে দিয়া গেছে। ^:^
ছাইরাছ হেলাল
বাঁচিয়ে দিলাম, মনে থাকে যেন!!
উহ্ স্বর্গসুখ!!
নীলাঞ্জনা নীলা
কি শান্তি বাঁচতে পারছি। 😀 \|/
ছাইরাছ হেলাল
ফাড়া কিন্তু কাটানি!!
মৌনতা রিতু
ডেকশনারিতেও কুল খাইতেছে না। ^:^
প্রেমিকেরই তো যতো লোভ।
নরকেও সে স্বর্গ খোঁজে।
ছাইরাছ হেলাল
কুল খাইছে ভাল করেই,
প্রেমিকা যে স্বর্গসুখ নিচ্ছে!!