কত্থকের সাথে দেখা হয়ে যায়, এলোমেলো ঘোরাঘুরির ফাকে।
কত্থকের বয়স বেড়েছে চোখেও তেমন ভালো দেখেনা, তবু স্মৃতির অদ্ভূত ঘ্রাণ তাকে মনে করায় সব কিছু।
"সে "ও তুমুল যৌবনের মধ্যভাগে প্রায়। তবুও সর্বাঙ্গে তার নিটোল শৈশব, কত্থক শুধায় বৃদ্ধ হবেনা হে? থিতু হবেনা?
"সে " ধোঁয়া উড়িয়ে বলে -
বার্ধক্য আমারে নাগালে পাবেনা। তার আগেই .....
কত্থক মুচকি হেসে আনমনা উচ্চারে বলে, গড়ানে পাথর।
পাশাপাশি হেটে চলে দুইজনে, গল্পের কত্থক এবং গল্প নিজেই। হাটতে হাটতে, হাটতে হাটতে হঠাৎ একটা এলোকেশী নদী। কত্থক চমকায়, "সে " নির্বিকার, যেন তার জানা ছিলো এইখানে থাকবে একটা নদী। মৃত জোছনার মতো আবছায়া যার দুই পার, যার জল আকাশের ছায়ার মতো নিরুত্তাপ। জল হেসে ওঠে ..... বলে এই জল নিয়ে কবিতা লিখোনা। এখানে তোমার একার নিমন্ত্রণ নেই। এইকবিতাটি লিখা হয়েছিল কালের আচড়ে, যাও ফিরে এ জল তোমার নয়।
"সে " পেরিয়ে আসে নদীটি, আর কত্থক স্তব্ধতা ঢাকতে আনমনা হাত বুলায় উদাসী একতারায়।
সুর্যাস্তের দিকে লক্ষ্যস্থির হেটে যেতে যেতে, যেতে যেতে হঠাৎই এক নরবড়ে কাঠের সাকো। ঐ পারের নাম ..... বহুদুর।
বহুদূর থেকে ভেসে আসা গুনগুন শুনে যেই পা বাড়ায়, অমনি কোত্থেকে আসে এক অদৃশ্য শেকল। ছুয়োনা ছুয়োনা, বহুদূরে একলা প্রবেশ নিষিদ্ধ। জল কই, জল?
কত্থক নির্বাক দর্শক।
গল্পের চরিত্র নিজেই গল্প বলে।
সুর্য ডুববার কালে আড়াল সরে যায়, সামনে আসে পুরনো ভুবনচিল। ক্রুদ্ধ চঞ্চুতে ততোধিক শ্লেষ মিশিয়ে বলে "কিহে, ভেবেছিলে এই পথে আর ফিরতে হবেনা? ভেবেছিলে এড়াতে পেরেছ আমাকে? দেখো, পিছু ফিরে দেখ "
"সে " পিছু ফিরে দেখে যাকে নতুন পথ ভেবে হেটে এসেছে কত্থকের সাথে, সেই পথ তার যাযাবর জীবনের। কত্থকের মুখপানে চেয়ে অবাক, অবাক ..... গলে যাওয়া মুখোশের পিছনে তার বহুদিনের পুরনো একাকীত্ব, নিজেই নিজেকে শোনালে জীবনের গল্প।
.......... আর ভুবনচিলের ডানার বিস্তারে আকাশ আড়াল, পৃথিবী আড়াল
(ক্রমশঃ)
৩০টি মন্তব্য
মোঃ মজিবর রহমান
“সে ” পেরিয়ে আসে নদীটি, আর কত্থক স্তব্ধতা ঢাকতে আনমনা হাত বুলায় উদাসী একতারায়।
হুম ঠিক তাই
আগুন রঙের শিমুল
তবু আনন্দ কি জাগে
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
গল্পের শুরুটা চমৎকার …চলুক গল্প।
আগুন রঙের শিমুল
🙂
এ এক অনিঃশেষ গল্প ভাই , ভুল জীবন কাটায়া গেলাম
শুন্য শুন্যালয়
ঐ পারের নাম… বহুদূর। পড়লাম… একবার, দুবার, তিনবার।
এমন লেখায় আমি মন্তব্য করিনা 🙂
আগুন রঙের শিমুল
এমন মন্তব্যের আমিও জবাব দেইনা :/
পুষ্পবতী
চলুক…..
আগুন রঙের শিমুল
হু
খসড়া
ঐ পারের নাম… বহুদূর । একবার এসে দেখ কাছে টানা যায় কিনা। চমৎকার।
আগুন রঙের শিমুল
এইটা শোনেন শেষের লাইনগুলোয় আপনার মন্তব্যের উত্তর আছে 🙂
স্বপ্ন
লেখা পড়ে এত বেশী মুগ্ধ হলাম যে সে মুগ্ধতা আমাকে বলে ‘ এ লেখায় মন্তব্য করো না। এমন লেখায় মন্তব্য করতে হয়না, শুধু উপলব্দি করতে হয় । ‘
আগুন রঙের শিমুল
এমন মন্তব্যের উত্তর দেইনা আমিও
ছাইরাছ হেলাল
বার্ধক্য এড়ানোর সাহস দেখাচ্ছেন দেখে ভাল লাগল । পাথর ও কিন্তু ক্ষয়িষ্ণু ।
জল না ছুঁয়ে বহুদূরে যেতে পারা যাবে না মনে হয় ।
নিজের দ্বিতীয় সত্ত্বার সাথে কথোপকথন ভালই , চলুক ।
আগুন রঙের শিমুল
কবির বুকে জমে যে গৈরিক জল , কে তার খবর রাখে
ছাইরাছ হেলাল
একদম ই রাখে না লেখায় তা মনে হয় না ।
বরং টানাপোড়নের আওয়াজ পাওয়া যায় ।
আগুন রঙের শিমুল
জলের তলায় ভুমিক্ষয় হয় নিঃশব্দে
পার ভেঙে পরবার আগে ঠিক টের পাওয়া যায়না
এও মন্দ নয়
ব্লগার সজীব
পোষ্ট দেয়া বন্ধ করবো কিনা ভাবছি। খুব বেমানান লাগে এধরনের লেখার কাছে নিজের আউল ফাউল লেখা। অসাধারন।
আগুন রঙের শিমুল
এরকম বললে লেখালেখি আসলেই ছেরে দেয়া লাগবে দেখছি
নুসরাত মৌরিন
ভুবনচিলের ডানার বিস্তারে আকাশ আড়াল, পৃথিবী আড়ালে চলুক গল্পের কত্থক আর গল্পের অনিঃশেষ পথ চলা…যাযাবর জীবন পেরিয়ে বহুদূরে।
(y)
আগুন রঙের শিমুল
এ ভুবনচিল প্রত্যেকটি মানুষের পিছু পিছু আছে, থাকে 🙂
থ্যাঙ্কস
স্বপ্ন নীলা
ভাল লেগেছে — চলুক —
আগুন রঙের শিমুল
আচ্ছা চলুক তবে 🙂
ওয়ালিনা চৌধুরী অভি
অদ্ভুত সুন্দর, অসাধারন বললেও কম বলা হয় এই লেখাকে।
আগুন রঙের শিমুল
অতোটা ভালো নয় :/
কৃতজ্ঞতা জানবেন
মিসু
লেখাটি অনেক ভালো লাগলো। ঐ পারের নাম বহুদুর। এমন প্রথম পড়লাম।
আগুন রঙের শিমুল
যার যেখানে যাবার উপায় নেই সেতো বহুদুরই তাইনা
বনলতা সেন
সহজে সহজ করে লিখতে হবে। মাথা ঘুরে যাবার জোগার হচ্ছে ।
বহুদূরের দেখা পেলে আমাদের জানান দিয়েন ।
আগুন রঙের শিমুল
জটিল লাগলো নাকি? 😮
আচ্ছা জানাবো 🙂
জিসান শা ইকরাম
শিমুল ভাই, এই লেখা সম্পর্কে মন্ত্যব্য করতে এসে শুব্দ খরায় পরেছি
সব শব্দ পালিয়ে গিয়েছে ।
কিভাবে লেখেন এমন লেখা ?
আগুন রঙের শিমুল
দাদা
আমি কি করব আমার চারপাশে এমন সব ঘটনা ঘটে আর আমি দেখে দেখে লিখি। তারচে বড় কথা আমাকে ভালোবাসেন বলেই আমার মোটামুটি মানের লেখাও অনেক ভালো লাগে আপনার