সংলাপ না কি সরকার পতন?

একজন আইজুদ্দিন ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, সোমবার, ০৪:৫১:০১অপরাহ্ন এদেশ, সমসাময়িক ২৩ মন্তব্য

বিরোধী দল রাজপথে নামতে পারছে না, রাজনৈতিক সমাবেশ করার মতো শক্তি এবং জনসমর্থন এই মুহূর্তে তাদের নেই। বিএনপি বার বার দাবী করে আসছে, তাদের নেতা কর্মীদের রাজপথে নামতে দেওয়া হচ্ছে না। পক্ষান্তরে বলা যায়, সরকারী আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে রাজপথে নেমে আন্দোলন করার ক্ষমতা তাদের নেই। তাহলে এটা স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়, সরকারের উপর চাপ সৃষ্টিতে তারা রাজনৈতিকভাবে পুরোপুরি ব্যর্থ। একটা ব্যর্থ রাজনৈতিক দলের দাবী মানতে সরকার কেন বাধ্য হবে? বিরোধীদল তাদের দাবী দাওয়া আদায়ে গনসম্পৃক্ততা বাড়িয়ে সোচ্চার আন্দোলন গড়ে তুলবে, দেশের সকল শ্রেণীর মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে সরকারকে সেই দাবীর কাছে মাথা নোয়াতে বাধ্য করতে হবে। তবেই না আন্দোলন!

এখন, দেশের বেশিরভাগ সুশীল শ্রেণীর বুদ্ধিজীবীরা দেশের চলমান সঙ্কটকে মোকাবেলা করার জন্য সরকারকে সংলাপে বসার আহবান জানাচ্ছেন। যে রাজনৈতিক দলটি আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের কাছে একটি সুনির্দিষ্ট ম্যাসেজ পৌছাতে পারে নাই তাদের সাথে কিসের ভিত্তিতে সংলাপ? যে দাবীতে সরকারকে আলোচনায় বসতে বলা হচ্ছে সেই দাবিটি যতক্ষণ পর্যন্ত গনমানুশের দাবী নয় ততক্ষন পর্যন্ত সে দাবী মানতে সরকার বাধ্য নয়। ধরে নিন, সরকার বিএনপি’র সাথে সংলাপে গেল তাহলে দেশের যে শ্রেণীর মানুষ মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তির সহযোগী হিসেবে বিএনপিকে অপছন্দ করে তারা কি সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে না? তারা কি বলবে না, একটি মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষ দল হয়ে জামাত এবং যুদ্ধাপরাধীদের সাথে কি কারনে সংলাপে গেল সরকার? এই প্রশ্ন উঠতে পারেনা? সরকার কি এই জবাব দিতে বাধ্য নয়?

মোদ্দা কথা, একটি দাবী আদায়ের জন্য যে পরিমান গন মানুষের মতামত লাগে সেই পরিমান মানুষকে বিএনপি কনভিন্স করতে ব্যর্থ হয়েছে। বিএনপির দাবী দেশের বেশিরভাগ মানুষের কাছে কোন নির্দেশনা নিয়ে যেতে পারেনি বা বিএনপি চাপ সৃষ্টি করার মতো শক্তি’র স্ফুরন ঘটাতে ব্যর্থ হয়েচে।তাই সরকার বিএনপির দাবীর কাছে নতি স্বীকার করবে না, এটাই স্বাভাবিক।

সরকার কার সাথে সংলাপ করবে?

সারাদেশে অবরোধের নামে যে সহিংসতা চলছে তার দায় স্বীকার করছে না বিএনপি তথা বিশদলীয় জোট। আবার বিশদলীয় জোট সরকারের উপর এমন রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি করতে সমর্থ হয়নি যার কারনে তাদের সাথে সংলাপ বা আলোচনায় যাবে সরকার। এখন, সরকার যদি সহিংসতা নিরসনে সত্তিকারেই সংলাপে আগ্রহী হয়ে থাকে তাহলে সেই পেট্রোলবোমা নিক্ষেপকারী সন্ত্রাসী বাহিনীর সাথেই তাদেরকে আলোচনায় বসতে হবে। পেট্রোলবোমা নিক্ষেপকারী এই জঙ্গি দলের এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান কোন রাজনৈতিক পরিচয় নাই তাই এই সন্ত্রাসী বাহিনীকেই তাদের পরিচয় প্রকাশ করতে হবে এবং সরকারের কাছে তাদের দাবী দাওয়া পেশ করে বলতে হবে যে তাদের দাবী পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এই সন্ত্রাস চলতেই থাকবে। তবেই না চাপে পড়ে সরকার  তাদের সাথে আলোচনায় যেতে বাধ্য হবে। বিরোধী দল বলছে তারা বা তাদের কেউ সন্ত্রাস করছে না, তাহলে প্রশ্ন উঠতেই পারে, তাদের সাথে তাহলে সংলাপ করে লাভ কি? বিএনপি যদি এই সন্ত্রাস না করে তবে সরকার বিএনপি’র সাথে সংলাপ করতেই থাকবে আর অন্যদিকে অন্য কেউ তাদের দাবী বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত পেট্রোলবোমা ছুড়তেই থাকবে কেননা তাদের এজেন্ডা’র সাথে বিশ দলীয় ঐক্য জোটের কোন সম্পৃক্ততা থাকার কথা’ই নয়(যদিও এজেন্ডা মিলে যায় তবে তারা কোন না কোনভাবে বিশদলীয় জোটের’ই অংশ এবং তাদের কর্মের দায় অবশ্যই বিশ দলীয় জোটের ঘাড়েই বর্তায়।)সেই হিসেবে, বিএনপির দাবী দাওয়া পূরণ হওয়ার সাথেও তাদের কোন যাওয়া আসার কথা নয়। তাই, বিশ দলীয় জোটের সাথে আলোচনা করে যদি এই সন্ত্রাস’ই না থামে তাহলে সংলাপ করে অযথা সময় ক্ষেপন কেন করতে চাইবে সরকার?

বিএনপি পড়ে গেছে গ্যাঁড়াকলে! এখন তাই তারা সংলাপের কথা বলতেই চাইছে না। কারন, সংলাপের প্রশ্ন এলে সাথে সাথে সহিংসতা বন্ধের দাবী উঠবেই। সরকার নিশ্চয় সহিংসতা বন্ধের প্রতিশ্রুতি না পেলে সংলাপে বসবে না। বিএনপি যদি বলে, “আচ্ছা, আমরা সহিংসতা বন্ধ করছি, আপনারা সংলাপের ব্যবস্থা করুন” তাহলে এতো দিন যে তারা বলে আসছে তারা এই সহিংসতা করছে না সেটা মিথ্যা প্রমানিত হয়ে যাবে। এমনকি, সংলাপের পর যদি চলমান সহিংসতা বন্ধ হয়ে যায় তবেও প্রমানিত হবে যে এই সহিংসতা আসলে বিএনপি বা বিশদল করেছিল যা তাদের দাবী আদায়ের সাথে সাথেই বন্ধ হয়ে গেছে। এই সাথে, প্রমাণ হবে তিপ্পান্ন জন মানুষকে পুড়িয়ে মারার দায় আসলে তাদের’ই। এটা হবে বিএনপির রাজনৈতিক মৃত্যু’র চূড়ান্ত ধাপ। সুতরাং, তারা সহিংশতার দায় স্বীকার করে সংলাপে যেতে চাইবে না, তারচে বরং হামলা মামলা গুম খুনের দায় আওয়ামীলীগের ঘাড়ে চাপিয়ে সরকার পতনের দাবীতে স্থির থাকাটাই অনেকটা নিরাপদ। সুতরাং, সরকার চাইলেও যে বিএনপি সংলাপে আসবে না এটা প্রায় নিশ্চিত।

 

এখন অপেক্ষার পালা।

 

0 Shares

২৩টি মন্তব্য

  • খসড়া

    জঙ্গীদের সাথে সংলাপ মানে তাদের হাতে জিম্মি হওয়া, আর সন্ত্রাসের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর মানে মুক্তিযুদ্ধের পরাজয়। এমন চিন্তা আসে কি ভাবে। সন্ত্রাস বন্ধ হোক। সংলাপ তার পর দেখা যাবে।
    মাহাথীর বলেছেন ‘ কে কিভাবে ক্ষমতায় এসেছে তার চেয়ে বড় কথা কে কিভাবে দেশ চালাচ্ছে।” এদেশ গত ৪০ বছরে যা পায়নি তা পাচ্ছিল এবং পাচ্ছে।

    • একজন আইজুদ্দিন

      আমি বিশ্বাস করতে চাই, বিএনপি একটি রাষ্ট্রমুখী গনতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। কিন্তু যেদিন ঐ যুদ্ধাপরাধী জামাতে ইসলামী নামক জঙ্গি সংগঠনটি বিএনপির ঘাড়ে সওয়ার হয়েছে সেদিন থেকেই বিএনপি তার গনতান্ত্রিক রাজনৈতিক রুপ পরিবর্তন করে ফেলেছে। আমি এখনও বিশ্বাস করতে চাই, বিএনপি অচিরেই জামাতের কবল থেকে মুক্ত হয়ে উন্নয়নমুখী রাষ্ট্র গঠনে একটি যোগ্য রাজনৈতিক দলের রুপ রেখায় ফিরে আসবে, এবং আমি এটাও বিশ্বাস করি বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভারসাম্যতা রক্ষার ক্ষেত্রে বিএনপিকে সাথে রাখাও আওয়ামীলীগের অবশ্য কর্তব্য।

      সেক্ষেত্রে, বিএনপিকে জামাতের সঙ্গ ছাড়তে হবে এবং একই সাথে আওয়ামীলীগকেও বিএনপি’র যৌক্তিক দাবিগুলো পূরণে উদ্যোগী হতে হবে। আরেকটি কথা প্রণিধানযোগ্য যে, রাজনীতি থেকে বিএনপি নিশ্চিহ্ন হলে সবচে ক্ষতি হবে আওয়ামীলীগের, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে একটি যোগ্য বিরোধীদল থাকাটা সংবিধানশিদ্ধ ভাবেই আবশ্যক, বিএনপি নিশ্চিহ্ন হলে জামাতে ইসলাম মাথা চাঁড়া দিয়ে উঠবেই এবং সেটা আওয়ামীলীগের জন্য সুখকর হবে না। তাই, জামাতে ইসলামকে প্রতিরোধ করতে হলে বিশেষ বিষয়ে বিএনপি’র সাথে মতৈক্যের বিকল্প নাই।

      মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।

  • ব্লগার সজীব

    সরকার পতনের মত পর্যাপ্ত জন-সমর্থন নেই বিধায় বিএনপি সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে।স্বাধীনতার পরে ৯০,৯৬,২০০৬ এর সরকার পরিবর্তন রাজনৈতিক ভাবেই আন্দোলনের মাধ্যমে হয়েছে।এমন সন্ত্রাসের মাধ্যমে নয়।প্রথম সন্ত্রাস দমন হোক,এরপর সংলাপের চিন্তা।এই মুহুর্তে সন্ত্রাস দমন করা জরুরী।

  • আজিজুল ইসলাম

    সময় কম বলে পো্ষ্টটা পড়া হলোনা। পরে তো পড়বই ইনশাল্লাহ্। তবে মন্তব্য পড়েই বুঝেছি পোষ্টে কী লেখা আছে। আসলে সোনেলায় প্রকাশিত গত দু’একদিনের কয়টা পোষ্ট পড়ে আমার একটা পোষ্ট দেয়ার ইচ্ছা ছিল এবং আছে।
    ব্লগার জনাব আইজুদ্দিনের মতোই আমারও চিন্তা। শত্রুর সাথে শত্রুর মতো ব্যবহার করলে কখনো দেশে শান্তি আসবেনা। যুদ্ধাপরাধী এবং তাদের সমর্থকদেরকে আমরা যে চোখে দেখব, অন্যদের সে চোখে নিশ্চয় দেখবনা। জামাতীদের মধ্যে কিন্তু দু’টি ধারা ক্রিয়াশীল, যুদ্ধাপরাধদের একাত্তরের দায় বাকী জামাতীরা নেবে কি-না, এই বিষয়ে। শেষ পযর্ন্ত যদি তারা যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষাবলম্বন করা না ছাড়ে, তখন তাদেরকে সবর্শক্তি দিয়ে অবশ্যই দমন করতে হবে এবং তা করতেই হবে। কারন উক্ত পদক্ষেপ গ্রহনের তখন আর কোন বিকল্প থাকবেনা। তার আগে পর্ন্ত তাদেরকে যুদ্ধাপরাধীদের সম্বন্ধে সম্যক ধারনা নিতে এবং সিদ্ধান্ত গ্রহন করতে একটা সুযোগ দেওয়া দরকার।
    দেশে শক্তিশালী একটা প্রেশারগ্রুপ আগামীতে দেশে কাযর্কর থাকবে, যে প্রেশারগ্রুপ এদেশে জঙ্গীবাদ যেমন প্রতিষ্ঠিত হতে দেবেনা, তেমন দু:শাসনও থাকতে দেবেনা। অতএব বিএনপিসহ জঙ্গীদেরকে যদি মানুষ প্রত্যক্ষ ভোটদানের মাধ্যমে দেশের ক্ষমতায় আনে-ও, (সে-সম্ভাবনা আমি দেখিনা চলমান তাদের চরম সন্ত্রাসী কাযর্ক্রমের কারনে; আবার একেবারে যে দেখিনা তা-ও নয় সরকারের ক্ষমতালিপ্সুতা এবং বিভিন্ন দু:শাসনের কারনে) তবুও দুশ্চিন্তার কিছু নাই। কারন মানুষ যা চায়না, তা কোনদিনই দেশে প্রতিষ্ঠালাভ করবেনা। এদেশের মানুষ জঙ্গীবাদ চায়না, অতএব এটা কোনদিন এদেশে বিস্তারলাভ করতে পারবেনা।

    • একজন আইজুদ্দিন

      ” জামাতীদের মধ্যে কিন্তু দু’টি ধারা ক্রিয়াশীল, যুদ্ধাপরাধদের একাত্তরের দায় বাকী জামাতীরা নেবে কি-না, এই বিষয়ে। শেষ পযর্ন্ত যদি তারা যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষাবলম্বন করা না ছাড়ে, তখন তাদেরকে সবর্শক্তি দিয়ে অবশ্যই দমন করতে হবে এবং তা করতেই হবে।”

      আপনার এই মন্তব্যের বিষয়ে কিছু কথা বলতে চাই। মুক্তিযুদ্ধের পর দীর্ঘ সময় উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার পরেও তারা মুক্তিযুদ্ধকালীন তাদের অপকর্মের দায় স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করেনি, এখনও তাদের কর্মকাণ্ড সংবিধান পরিপন্থি। এখনও তারা একটি বিশেষ দেশের এজেন্ডা বাস্তবায়নে জঙ্গি কার্যক্রমে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। তাই তাদের মধ্যে ক্রিয়াশীল ধারা’র কোন একটি পক্ষ যে গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্যে সংযুক্ত হবে এটা প্রত্যাশা করাও বাতুলতা।

      আমি বিএনপি’র সাথে সর্বতভাবে আলোচনায় পক্ষপাতী কিন্তু যুদ্ধাপরাধ এবং যুদ্ধাপরাধী বিষয়ে কোন ছাড় দেওয়ার সুযোগ নাই। এদেরকে কঠোর এবং কঠিনভাবে প্রতিরোধ করতেই হবে। এদেরকে যারা আশ্রয় প্রশ্রয় দিচ্ছে, সেটা হোক রাজনৈতিকভাবে কিম্বা লজিস্টিকসাপোর্ট ( বুদ্ধিজীবী সহ) দিয়ে তাদেরকেও একই রকমভাবে দমন করা আশু প্রয়োজন। বাংলাদেশের রাজনীতিতে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তির ঠাই নাই। যারা গণতন্ত্রের নামে রাজনীতিতে জামাতে ইসলামকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য বক্তৃতা দিয়ে বেড়াচ্ছে তাদের মুখেও ওয়াক থুঃ

      • আজিজুল ইসলাম

        আমিও চাই যুদ্ধাপরাধী এবং তাদের সমথর্ক গোষ্টি, যে-গোষ্টি আজ পেট্রোলবোমাসহ অন্যান্য জঙ্গীবাদী সহিংসতা করে আমাদের জীবনকে অতিষ্ট করে তুলেছে, তাদের একেবারে ম্যাষ্ট করে দেয়া হোক। তাদেরকে কোন সময় দেয়া নয়, কোন দেরী করা নয়, কোন শর্তসাপেক্ষে-ও নয়, তাদেরকে একেবারে গুঁড়িয়ে দেয়া হোক।
        বিএনপি ব্যর্থ হলেও এদেশে জামাত-শিবির কোনদিনই প্রতিষ্ঠালাভ করতে পারবেনা। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় সাম্যতা বজায় রাখার জন্য বিএনপি ব্যর্থ হলে জামাত সেই শুন্যস্থান দখল করে নেবে বলে এই পোষ্টেই দেখলাম। এই জঙ্গীরা কোনদিনই সেইস্থানে আসতে পারবেনা। কারনটা জানতে হলে আমাদের কেজরিওয়ালের উত্থানের দিকে চোখ দিতে হবে। আমার মতে সেখানকার শিক্ষা এই যে, ঔদ্ধত্ব, হামবড়া ভাব নিয়ে চলা, গর্ব করা, অন্যকে ছোট মনে করার রাজনীতি বিসজির্ত হতে বাধ্য। সততার রাজনীতির শোনা যাচ্ছে আগমনী। কপটতা, প্রতারণার কৌশল গ্রহন আসলে দীর্ঘমেয়াদে টেকেনা।

      • একজন আইজুদ্দিন

        “রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় সাম্যতা বজায় রাখার জন্য বিএনপি ব্যর্থ হলে জামাত সেই শুন্যস্থান দখল করে নেবে বলে এই পোষ্টেই দেখলাম”

        দেখুন, জামাত বা জঙ্গি গোষ্ঠী বাংলাদেশে কোন কালেই দ্বিতীয় বৃহত্তম শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারবে না কিন্তু আমি যেটা বলতে চেয়েছি সেটা হল বিএনপি যত শক্তিহীন হয়ে পড়বে জামাত তত শক্তি বৃদ্ধি করতে থাকবে এবং একারনে এক সময় তারা কুট কৌশল এবং বল প্রয়োগের মাধ্যমে কোন রাজনৈতিক শক্তিকে তাদের পক্ষে অবস্থান নিতে বাধ্য করার ক্ষমতা অর্জন করতে পারবে যেটা আমরা অলরেডি দেখতে পারছি। ভবিষ্যতে, বিএনপি যদি এই রকমভাবে চলতেই থাকে তবে এটা প্রায় নিশ্চিত বলা যায়, বিএনপি’ই জামাতের বি টীম হতে বাধ্য হবে যা আমাদের কাম্য হতে পারেনা। তাই, রাজনীতিতে বিএনপিকে একটা স্পেস দেয়া দরকার যাতে জঙ্গিবাদ মাথা চাঁড়া দিতে না পারে। তবে, বিএনপির বর্তমান কার্যক্রমে সেরুপ দৃশ্যমান কোন স্বদিচ্ছার প্রমাণ মিলছে না বলে তাদের কাছে সন্ত্রাস এবং জঙ্গিবাদ দমনে সহযোগিতার প্রত্যাশা করাটা বোকামি। তাই, আলোচনা সংলাপের পূর্বে জঙ্গিবাদ দমনে সরকারের কঠোর না হয়ে উপায় নেই, সরকারকে যেকোনো মূল্যে এই সন্ত্রাস এবং জঙ্গিবাদ দমন করতেই হবে।

  • জিসান শা ইকরাম

    বিএনপি যেহেতু বলছে তাঁদের আন্দোলন শান্তি পুর্ন
    পেট্রল বোমা নিক্ষেপকারী তারা নয়
    সেক্ষেত্রে পেট্রল বোমা নিক্ষেপকারীদের খুঁজে বেড় করাটা এখন সবচেয়ে জরুরী
    এবং এদের সমুলে বিনাশ করে দেশ শান্ত করা প্রয়োজন সরকারের।

    সংলাপে বসে এই পেট্রল বোমা বন্ধ হবেনা,
    কারন বিএনপির ভাষ্যমতে জঙ্গিরা তাঁদের না।

  • নওশিন মিশু

    এই কথিত বিশিষ্ট নাগরিকেরা যেদিন মিটিং করলো সেদিনও মানুষ পোড়ানো হয়। এদেও মিটিং এ না কেউ মানুষ পোড়ানো বন্ধের দাবী জানিয়েছে না কেউ মিটিং শেষে পোড়া মানুষ গুলোকে সহানুভুতি জানাতে গিয়েছে। এদের কাছে মানুষ পোড়ানো বন্ধ জরুরী নাকি আলোচনা জরুরী। আলোচানাও চলবে আবার মানুষও পুড়বে এক সাথে দুটি হয় না।

  • মারজানা ফেরদৌস রুবা

    এই মুহুর্তে কঠোরহস্তে জঙ্গীবাদ দমন না করে সংলাপের প্রশ্ন আসেই না। জঙ্গীবাদ দমন না করে সংলাপে বসা মানে সহিংসতার কাছে মাথা নত করা, যা ভবিষ্যত রাজনীতিকে আরোও কদর্য করে তুলবে, ভবিষ্যত রাজনীতির জন্য উদাহরন হয়ে থাকবে। জঙ্গীবাদই হবে তখন ক্ষমতার পালাবদলের একমাত্র পথ।

    এটা সত্য, বিএনপি ভেঙে পড়লে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক রাজনীতির ভারসাম্যতা হারাবে। মৌলবাদ মাথাছাড়া দিয়ে উঠবে, নিঃসন্দেহে আওয়ামীলীগও সেচ্ছাচারী হয়ে উঠবে। কিন্তু তাবলে বিএনপি’কে ধরে রাখার জন্য সংলাপে বসা মানে জঙ্গীবাদের কাছে মাথা নত করা।
    সংলাপ হবে, কিন্তু তার আগে হতে হবে জঙ্গীবাদের দমন। যারা কৌশলে দেশকে জঙ্গীবাদের দিকে ঠেলে নিয়ে যেতে চাচ্ছে, তাদের জানিয়ে দিতে হবে এদেশে তা কখনোই সম্ভব নয়্।

    আর সরকার পতনেরই বা কথা আসছে কেনো? গত একবছরে সরকারের বিরুদ্ধে এমন কোন জনরোষ মাথাছাড়া দিয়ে উঠেনি যে পতনের কথা আসে। এখন একজনের একগুয়েমিকে সমর্থন দেয়ার জন্য তো আর সরকারের পতন চাইতে পারি না। গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থায় যতক্ষন জনগণ না চাইবে ততক্ষন সরকারের পতন কেউ ঘটাতে পারেনা।

    • একজন আইজুদ্দিন

      আপনার কথার সাথে সহমত পোষণ করছি।

      আশা করি লক্ষ্য করছেন, চলমান এই সহিংসতায় এ পর্যন্ত যত মানুষ পুড়ে মারা গেছে তাদের সবাই রাজনীতি’র পরিমণ্ডলের বাইরের লোক। পূর্বেও রাজনৈতিক আন্দোলন হানাহানি মারামারি হয়েছে, ভিক্টিম হয়েছে রাজনৈতিক নেতা কর্মী কিন্তু এবারই প্রথম যেখানে সাধারন মানুষকে টার্গেট করা হয়েছে। সাধারন মানুষকে জিম্মি করে কোন রাজনৈতিক আন্দোলন সফল হতে পারেনা বরং জনসম্পৃক্ত রাজনৈতিক আন্দোলন সংগ্রামের কারনের একটি দাবী পূরণ হতে পারে, হাস্যকর একটি বিষয়, এদেশে মানুষ পুড়িয়ে মানুষের ভোটের অধিকার আদায়ের আন্দোলন করছে কিছু মূর্খ রাজনৈতিক দল, এর চাইতে তামাশা আর কি হতে পারে?

    • একজন আইজুদ্দিন

      আমি যতদূর জানি, সুশীল সমাজের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত মানুষ পোড়ানো বিষয়ে সে রকম কোন জোরালো দাবী উত্থাপন করা হয়নি। বরং তারা এ বিষয়টিকে পাশ কাটিয়ে সংলাপ আয়োজনের দাবী জোরালোভাবে উত্থাপন করছে। তারা সংলাপের জন্য সরকারের কাছে যেভাবে দাবী জানিয়েছে ঠিক তেমনটিভাবে বিশ দলের কাছে মানুষ পোড়ানো বিষয়ে দাবী উত্থাপন করেনি। তাদের দাবীও পক্ষপাত দোষে দুষ্ট বলে প্রতীয়মান হয়।

  • মোঃ মজিবর রহমান

    আগে অবরোধ হরতাল বন্ধ
    তারপর অন্যকিছু।
    কিসের সংলাপ কেন সংলাপ
    সরকার যদি দেশ যদি দেশ চালাতে ব্যারথ হত তবে
    কোন সংলাপ প্রয়োজন ছিল।
    আর জংগীরা বার বার বলছে সরকার অবৈধ
    তবে অবইধ্যর সঙ্গে কেন আলাপের দরকার।
    আর সরকার যদি অবৈধ হয় তবে কেন ১বসর সময় দিল?

    আসল কথা বিএনপি ও জামাত আর দেওলিয়া হইয়া গেছে।

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ