নধর শূন্যতায়
ছুঁয়ে যাই ঐ মেঘের আচল-আকাশ
ছুঁতে চাই আরও, আরও নিবিড়তায়;

এই যে অহর্নিশ ছুঁতে চাওয়া, ছোঁয়া ছুঁই-ই
ছুঁই-ছুঁই না ছুঁয়ে-ছুঁয়ে-ই, একেবারেই না-পাওয়া, বা
একান্তই পাওয়া, না-পাওয়ার বাহানা
বিষাক্ত যন্ত্রণায় বুঁদ হয়ে থাকা,
চারু-সুনিপুণ শাশ্বত একাকীত্ব, এ আমার, শুধুই আমার;

নিঃশব্দের গগন বিদারী চিৎকারে শীৎকারে
বেলা অবেলার সন্ধিক্ষণে এ এক মহা গুঞ্জরণ,
ছুঁয়ে যাওয়া একাকীত্বটুকু শুধুই আমার,
কুমারী-তন্দ্রা বা প্রেম-অপ্রেমের ঋতুতে
আনমনে ফুরানো সময়ও।

মোরগ ডাকা ভোরের চৈতন্যে আমার একাকীত্ব,
শুধুই আমার, সতেজ সুন্দরের আহ্বানে;

একাকীত্ব, তোমার ওলাওঠা হোক;
সুচীমুখ অশোভন বক্রোক্তির ঘূর্ণিপাক শেষে
হেরার গুহায়ও তোমাকেই চাই!!!

*************************************************************

আমার একমাত্র শিক্ষক (যে কিছুই শেখায় না)
শুন্য শুন্যালয় ভাইয়াকে!!

0 Shares

১৪টি মন্তব্য

  • মৌনতা রিতু

    প্রেমে অপ্রেমে বেঁধে ফেলি এক ঘর
    সে এক শুন্য ঘর, সে ঘর আমার ভেন্নাপাতার।
    সব ঋতুতে তার নড়েচড়ে বসা,
    কিবা শীত, কিবা বরষা, কিবা ঝড়, কিবা রোদ,
    শুধু অমাবস্যায় তীরতীরে বাতাসে শরীরে কাঁপন না ধরালেও, মনে কাঁপন তোলে
    ছুঁয়ে আসার উষ্ণতায় ছটফট মন মনন। শুক্লপক্ষে এক রুপোর আলোয় আলোময় এ ভেন্নাপাতার ঘর আমার।
    মনের জোরের যে সূচ আছে, তা দিয়ে গেঁথে চলি এক এক ভেন্না পাতা।
    বরষায় তার একরকম গাঁথুনি,
    শীতে আর এক রকম।
    আমার এ একার ঘরে গগন বিদারী এক হাহাকার আমার।
    তা শুধু আমার।
    না পাওয়ার এক হাহাকারের এক ভেন্নাপাতার ঘর আমার।’

    দিলাম জুড়ে সূঁচের খোঁচায় যা থাকে কপালে।
    আচ্ছা এতো সুন্দর করে কি করে লেখা হয় শুনি!!!

    • ছাইরাছ হেলাল

      সন্তান সন্তান-ই, তারপরেই কারো কারো প্রতি মায়ের পক্ষপাত অদৃশ্যতায় দৃশ্যমান থাকে।
      এই লেখাটি পক্ষপাতদুষ্ট ভাবেই অতি প্রিয়!!

      হ্যা, সুন্দর লেখাটির জন্মই হয়নি, তাই আতুর ঘর পেরিয়ে হামাগুড়ি থেকে টলমল পায়ে হাঁটা,
      শেষে বয়োপ্রাপ্ত হয়ে কারো/অনেকের ঘাড়ে আছড়ে পড়া, দিল্লি দুরাস্তের মতই,
      তবে আশায় বালির আধিক্য নিয়েই অপেক্ষা করছি।
      পানি ছাড়াই কোন এক প্রবল প্রত্যুষে চিড়া ভিজিয়ে ফেলব, অপেক্ষা করছি!!

      আমরা একা আসি এবং একাই ফিরে যাই, এই যে অসীম একাকীত্ব, তার সাথেই প্রচণ্ড প্রেমাকাঙ্খা,
      হেরা গুহা এমনই এক একাকীত্বের প্রতীক, যে একাকীত্বে আল্লাহর সান্নিধ্যের সাধনা থাকে।

      লেখক লিখে নিজের ভাব প্রকাশ করে, এখানে আপনিও করেছেন। এই ভাব প্রকাশ একটি আয়নার মত যেখানে
      লেখকের ভাব/রূপ প্রতিফলিত হয়। পাঠক নিজ সামর্থে সেই প্রতিফলন উপলব্ধি করে।
      আপনার আপন স্বপ্নকুঞ্জটি এখানে দেখতে পাচ্ছি বুড়োর ঘোলা চোখেই।
      আপনার ভাবনার রূপটি-ই হয়ত লিখে ফেলব কোন একদিন অথবা একটু পরেই!!

  • জিসান শা ইকরাম

    স্রষ্টাকে উদ্দেশ্য করেই লিখেছেন বোধ হয়,
    স্রষ্টাকে পাওয়া অত্যন্ত কঠিন, অথবা পরিপুর্ন ভাবে কখনোই পাওয়া হয় না,
    একাকীত্ব থেকেই যায়,
    তারপরেও পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা থাকেই সবার।

    অনেক ভাল লাগলো আপনার এই কবিতাটি,
    শুভ কামনা।

    উৎসর্গ যথার্থ হয়েছে।

  • নীলাঞ্জনা নীলা

    বারবার পড়েছি। কেন জানিনা আমি এই কবিতার ভেতর সেই মানুষকে পেলাম না, যাঁর ভেতর আলো-ছায়া খেলা করতো। বিশ্বব্রহ্মাণ্ডর উর্ধ্বে কাল্পনিক কোনো জায়গা, যেখানে আজও পৌঁছায়নি আমাদের দৃষ্টি কিংবা আলো। আপনি কি সেই শূন্যে যা আমাদের ধরা-ছোঁয়ার বাইরে, সেখানে নিয়ে যেতে চাইছেন কুবিরাজ ভাই?

    কবিতা বুঝিনি। তবে কবিতা পড়ার পর মনে হলো আপনাকে বলতে, মানুষের আত্মাটাই তো স্রষ্টা। আর আত্মা শূন্য, নিঃসঙ্গ, একাকী! পরিভ্রমণ করে, এখানে-ওখানে-সেখানে। সে কাউকে চেনেনা, জানেনা, বোঝেনা। তাকে ধরা যায়না, ছোঁয়া যায়না, কাটা চেরা করা যায়না। তবে আমরা মানুষেরা এটা তৈরী করেছি, “কারো মনে দিওনা আঘাত, সে আঘাত লাগে কাবার গায়।”

  • ইঞ্জা

    অনন্য অসাধারণ লিখলেন ভাইজান, এমন কাব্যর কাব্যিকতা শুধু মাত্র একজন প্রকৃত কবিই পারে এর রস আহরণ করতে, ধন্যবাদ এমন কাব্য আমাদের উপহার দেওয়ার জন্য। -{@

  • শুন্য শুন্যালয়

    এতো ডাকাডাকির কী আছে!! আমি ভ্রমণে আছি, এটাতে দিস্তাব না দিলেই চলতো না!
    আর হ্যাঁ..
    অইসব কৈশোরিক একাকীত্ব আমি
    অনেক আগেই লাটিম বানিয়ে হাতে ঘুরিয়েছি
    একাকীত্ব আমি ডিস্টিপিরিনের মতো হামেশাই গুলিয়ে খাই।
    যেদিন কলম, কিবোর্ড, ডায়েরী এবং নিজের সাথেই কথা বলার ইচ্ছে মরে যাবে
    একা সেইদিন থেকেই হবেন,
    এবং একাকীত্বের গল্প শোনার জন্যেও কেউ থাকবেনা,
    বোঝা গেলো!!!

    • ছাইরাছ হেলাল

      দুজ্ঞা দুজ্ঞা,
      কে আছিস, উলু দে, শঙ্খ ছুঁড়ে মার,
      দুয়ারে এসেছে রথ!!

      মৃগয়া করতেছেন করুন, বলে-কয়ে-যেয়ে
      অধমদের রক্ষা করুন;

      ডাকাডাকি কেউ সাধে সেধে সেধে করে না,
      গরু হারালে সবারই আনচান হয়,
      আপনার হারায় না (অবশ্য গরু আছে বলে মনে ক্য় না), তাই তোয়াক্কাও নেই;

      আপনি তো দেখছি বিরাট-বিকট লাটিম-বিজ্ঞানী
      পান-ভোজনেও উস্তাদ!!

      একাকীত্বের ভয় দেখানো ঠিক না, ঠিক না;
      কলম-খেকোরা ক্লিন-চিপ পাবেই, কালি শুকোলেও!

      হুট করে এসে খুট করে উড়ে-ফুড়ে যাওয়া,
      এ যে কঠিন-উসর-হাওয়া!!

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ