শুভ ২০১৬!

নাসির সারওয়ার ১২ জানুয়ারি ২০১৬, মঙ্গলবার, ১২:১২:৪৯পূর্বাহ্ন একান্ত অনুভূতি ৪১ মন্তব্য

অল্প কিছুদিনের হাঁটাহাঁটি এই আমার সোনেলা, তবে প্রাপ্তির ভার অনেক। সাদা মনের মানুষেরা নতুনদের অল্পতেই কত আপন করে নেয়, অবাক হওয়াটাতো অন্যায় নয়। সবচাইতে ভালো লাগে অনেক ভালো লিখিয়েরা নতুনদের যেভাবে উৎসাহ দেন। ভুল শুধরে দিয়ে আগে বাড়াতে সাহায্য করেন যা অনেক সময় প্রকাশেও আসেনা। এযেনো ওনাদের পন, লিখতে তোমায় হবেই হবে। এই লেখালিখির মাঝে সচেতনাও আছে, রস বোধ দিয়ে কাউকে যেনো মনে কষ্ট না দেয়া হয়। সব যখন সন্মানের মাঝে, তখন রাফ খাতা ব্যবহার বেশ সহজ হয়ে ওঠে। বয়সের ভাঁজে ভাঁজে পিছু ভাবি। যদি পারতাম তাহলে নিজেকে সুধরে নিতাম। কিন্তু ফিরে কি যাওয়া যায় সেথায়।

কিছু অকর্ম করেছিলাম যা এখন কি ফেরত নিতে পারবো! আমার কোন দোষ ছিলনা কারন প্রকৃতি আমাকে দুষ্ট প্রকৃতি করে এই ধরনীতে পাঠিয়েছে।

কয়েকজন মিলে আমাদের এক লঞ্চ বন্ধুর সাথে ওদের একটা ডুবে যাওয়া লঞ্চ তুলবো বলে বরিশাল গিয়াছিলাম সেই কলেজ জীবনে। ভাবখানা তেমনই যেনো আমরাই ডুবুরী। হামজা নামক একটা দৈত্য জাহাজ ঘাঁটে আছে যার বিশেষ কাজ হোল ডুবে যাওয়া চুনোপুঁটি তুলে আনা। আর আমদের কাজ হোল তা দেখে নয়ন ঝুড়ানো। মালিক বন্ধুর বদৌলতে হামজাতে আমাদের যাওয়া আসা বেশ ভালো। সবচাইতে বড় পধবীর মানুষ হলেন সারেং। কেনযে তাকে ক্যাপ্টেন বলা হয়না! সাদা পাকা চুলের সেই মাঝ বয়েসের মানুষটি তার দক্ষ্যতা জাহির করছেন একটার পর একটা। এইটা হইলো সেইটা, সেইটা দিয়ে এইটা হয়। আমরাও তাকে সন্মানের তীব্র তীড় দিয়ে ফাফিয়ে রাখছি যেনো সে খেই হারিয়ে না ফেলেন। সবচাইতে আকর্ষণীও হোল ক্রেনটা যা আসলেই একটা বিশাল ব্যপার স্যাপার আর কি। সারেং সাহেব কতোগুলো লঞ্চ তুলেছেন তা আমাদের মুখেস্ত প্রায়। সব শেষে আমি আমাদের শেষ ইচ্ছাটা পেশ করার জন্যই রেখেছিলাম। সে কি অনুনয় বিনয় যাতে সারেং চাচাতো বাকুম বাকুম। “চাচা আপনি কত মানুষের উপকারই না করেছেন এই এত্ত বড় জাহাজ দিয়া, তা যদি একটা বিশেষ উপকার করতেন!” “কইরবো না কেন। কও কও কি করতি হবি”।

“আমার নানু অজু করতে পারছেনা, তার বদনাটা যদি পুকুর দিয়া তুইলা দিতেন”!

শুভ নববর্ষ সোনেলা!

0 Shares

৪১টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ