রাত্রি, কেন নিঘুম হও! অন্য কিছু কেন নও?
তুমি কী ঘুমের নিঘুম সঙ্গী!
রাত্রি হেঁকে যায় ঘুম থেকে অঘুমে;
এই যে
ক্রমাগত বয়ে যাওয়া, সয়ে সয়ে যাওয়া
সাথে সাথে যাওয়া, হিম হিম স্রোতের দুঃসহতা!
এ কোন্ রাত জাগা! ঘুম প্রহরের মাথা কুটে মরা!
তবুও
ঘুমেরা আসে আসবে এলোমেলো পায়ে, কালে ভাদ্রে
এই নিভৃত রাত্রির শিয়রে আলতো পায়ে
শিশিরের শিশিরশব্দতায়,
ভেজা চোখের নিবিড় কটাক্ষে
হাসবে শিশিরসূর্য চকচকে দাঁত মেলে;
বজ্জাত বেহেড মাতাল রাত্রি, রাত্রিতরঙ্গে কেঁপে কেঁপে
পৌঁছে যায় না-ছুঁই-ঘুম না-ছুঁই-অঘুম সাকোঁতে;
বুক ফাটা তৃষ্ণার নিপুণ নটী তৃষ্ণা নিবারণ, জোড়া পানীয়তে,
খুব চুপে চুপে, স্তব্ধ কিন্তু উত্তাল উনুনে, সুনসান নীরবতায়।
এসো রাত্রি
শীতহেঁসেলের সৌরভে নিবিড় আলিঙ্গনের জোড়া চোখ মেলি,
ঝিনুক চোখে বনজ্যোৎস্নার স্বপ্নাকাশে স্বপ্নচোখ আঁকি;
২০টি মন্তব্য
মিষ্টি জিন
রাত্রিকে এত প্রশ্রয় দেন বলেই তো নিঘুমতায় কাটাতে হচ্ছে।
দুইটা ডায়াজিপাম খেয়ে নিন, রাত্রির সাধ্য নেই ধারে কাছে আসে। 🙂
ছাইরাছ হেলাল
হাজার ডায়াজিপামে কিচ্ছুটি হবে না,
এ যে বজ্জাত বেহেড মাতাল রাত্রি।
প্রশ্রয় দিতে হয় না, প্রশ্রয় নিতে নেয়!!
নীলাঞ্জনা নীলা
রূপকাশ্রিত কবিতার ভেতরে ডুব দিয়ে পাড়ে ওঠা অনেক কঠিন। আর সেই কঠিন কাজটি করতে যাচ্ছি আমি এখন।
শেষ থেকেই শুরু করি। আমার প্রথম কথা কার এতো এতো চোখ? ঝিনুকের তো সারা শরীরে চোখ থাকে। ওহো আপনার তো প্রেমিকাদের অভাব নেই। মনে পড়েছে আপনার প্রেমিকা রাত্রিও তো বটে। রাত্রির এতো চোখ থাকলে ঘুম তো হবার কথা নেই। আমার দ্বিতীয় কথা, বনজ্যোৎস্নার স্বপ্নের আকাশে স্বপ্নচোখ নিয়ে রাত্রিকে ডাকছেন, আপনার সমস্যা কি?
কুবিরাজ ভাই এতো রাত্রি রাত্রি করতে যাবেন না। যারা ভোরের পক্ষী, হেগো লাইগা রাত্রি থাকেনা, জাগেও না। বুজছেন? 😀
অসহ্য টাইপের কুবিতা, না কিছু বুঝি, না কইতে পারি। ^:^
ছাইরাছ হেলাল
রাত্রি খুব দুষ্টু, জোর করে সব নিয়ে নেয়!!
আমিও আর কিছু কইতে পারি না, অসুবিধা আছে,
নীলাঞ্জনা নীলা
থাউক তাইলে অসুবিধা যখন।
ছাইরাছ হেলাল
আচ্ছা
নিহারীকা জান্নাত
রাত্রি কি আপনার আহবানে সাড়া দিয়েছে?
ছাইরাছ হেলাল
এত্ত কঠিন প্রশ্ন করা ঠিক না,
নিহারীকা জান্নাত
\|/
ছাইরাছ হেলাল
বুঝিনাই,
ইমো অজ্ঞ,
প্রহেলিকা
মিষ্টিমিষ্ট করে এই আহবানে যদি রাত্রি সাড়া দেয় তবেই সেরেছে। এ যাত্রায় বেঁচে যাক প্রার্থনায় রাখলাম। অঘুমেই নাহয় বয়ে যাক শ্বাসজীবীর রাত। আর কিছু না হোক লেখাতো আসবেই, এ পরম পাওয়া জীর্ণপাতায়।
ক্ষেপে গেলে কি হয়? বুক ফাটা তৃষ্ণারা জেগে থকুক। লেখায় গ্যাপ দিচ্ছেন সেটা ভালোই কারণ মায়া খুব করেই মেশাচ্ছেন। দেখি সব।
ছাইরাছ হেলাল
আপনি ঠিক বলেছেন,
রাত্রি চুলোয় যাক, লেখারা নিঘুমে বেঁচে থাক, এই কামনাই করি,
নো খ্যাপা-খেপি!!
প্রায় রোজই তো দিচ্ছি ল্যাহা!!
আপনার ভালহওয়া এগুলেই ভাল!!
মৌনতা রিতু
শিশির বিন্দু মাড়িয়ে রাত আসুক ঘুম নিয়ে।
এই কবিতাটা মনে হয় আমার থেকে নেওয়া😝। এইটা তো মোরই কথা।
আমিও এলোমেলো ঘুমকে সাজিয়ে আনতে চাই।
ভাল লাগা রইল কবিতায়।
ছাইরাছ হেলাল
আসলে আসুক, তবে সুস্থ শরীরে আসলেই ভাল,
আপনার থেকে নিতেও পারি, টুকে-ফুকে লিখি, আপনিও টুকুন,
সাজান ঘুম আসুক সিঁথান জুড়ে সেই কামনা করি।
ভালর জন্য অবশ্যই ধন্যবাদ।
জিসান শা ইকরাম
রাত্রিকে কাটা ছেড়া ভালই করছেন দেখছি,
ছাইরাছ হেলাল
কাটাকুটি করা মন্দ না,
ট্রাই করা যেতেই পারে।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
রাত্রী শব্দের ব্যাবহারে অবাক রাত নাকি কোন বিশেষণ।চমৎকার কবিতাটি -{@
ছাইরাছ হেলাল
রাত্রি, রত্রি-ই।
রাত্রির উদ্দেশ্যে নানান ভাবনার কথা বলা।
শুন্য শুন্যালয়
না-ছুঁই-ঘুম, না-ছুঁই-অঘুম সাঁকো? কলিকালে কতো শব্দ যে দেখবো কবির কলি কালে। ভাল্লাগছে কিন্তু শব্দটা। 🙂
আপনার তো রাত্রিরোগ হয়েছে, ডাক্তার না দেখিয়ে রাত্রির কাছে কী করছেন?
ঘুম আসবেই এলোমেলো পায়ে। যতক্ষন জেগে আছেন, স্বপ্ন আঁকুন, এঁকে এঁকে কাগজের শ্রাদ্ধ করুন। ভালো হয়েছে কিন্তু খুব 🙂
ছাইরাছ হেলাল
তাও রক্ষা, ভাল্লাগাটি কলি কালের না ধরে নিচ্ছি,
দেখুন ডাক্তারের খুব আকাল, চিকিৎসার খবর নেই খালি এই টেস্ট ঐ টেস্ট, টেস্টে টেস্ট জীবন শেষ,
তাছাড়া দাঁতের ডাক্তার সব চিকিৎসা করতেও পারে না,
শ্রাদ্ধ তো করতেই চাই, খাঁটি ঘি সংগ্রহ করতে পারিনি যে,
‘ভাল হয়েছে’ এটি ঠিক কথা কি না আল্লাহ মালুম,
ফুল-চন্দন দিলাম, তাও;