"যে মুহূর্তে একজন শিক্ষক তার ছাত্র বা ছাত্রীকে পিটুনি দেয়ার জন্য হাতে বেত তুলে নেন, সেই মুহূর্তে তিনি নিজে শিক্ষক হিসেবে পরাজিত হন।"

উপরের কোটেশনটি বিবিসি তাদের অফিসিয়াল ট্যুইটার পেজে শেয়ার করেছে। সেখানে অতি বিজ্ঞজনদের কিছু মন্তব্য দেখে নিজেই লজ্জিত হয়েছি। একজন শিক্ষক মানুষ গড়ার কারিগর। তাদেরকেও অপমান সুচক মন্তব্য করতে তারা পিছপা হয়নি!

বিবিসি'র সেই ট্যুইটের জবাব আমি দিয়েছি।তবে নিজের ভাবনাটুকু সবার সাথে শেয়ার করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছি।

ছোটবেলায় শুনতাম - গুরুজনেরা বলতেন শিক্ষকের মার যে খায়নি সে মানুষ হবে কিভাবে? জানিনা এর সত্যতা কতটুকু, তবে একজন শিক্ষক শেষ পর্যন্ত উপায়ন্তর না দেখে তার ছাত্রকে সামান্য শাসন করেন এটা ঠিক; এর প্রয়োজনও আছে।

স্কুলজীবনে আমিও কম মার খাইনি শিক্ষকদের হাতে, অমানুষ হয়েছি কি? আমার মনে হয় ঐটুকু শাসন করেছেন বলেই আমি আজ লিখতে পড়তে পারছি। আমরা তাদের সন্তানের মতই। তা না হলে পিতামাতা শিক্ষকদের হাতে আমাদের ছেড়ে দিতেন না।

কঠোর শাসন করা শিক্ষকের আদর্শে মানুষ হতে গিয়ে একটি ছেলে বা মেয়ে যখন বড় কোন সরকারি বা বেসরকারি অফিসের থিংকট্যাংক বনে যান, তখন সাধারন মানুষকেও তারা যাঁতাকলে পিষে মারেন। কারন সেই শিক্ষা তার মাথায়, রক্তে মিশে থাকে সেই ছোটবেলা থেকেই।

অভ্যাস সহজে পরিবর্তন হয়না। কাজেই শুধু শুধু তাদের দোষ না খুঁজে গাছের গোঁড়াটাও শক্ত করতে হবে। আর এটা আমাদের সবার ঐকান্তিক দায়িত্ব বৈকী।

ছোটবেলার আচরণ আর মননে যখন শুদ্ধতা আসবে তখনই সেটা বড় হয়ে কাজে লাগবে। ঘটনা দুর্ঘটনা ঘটার পর কার দোষ তা না খুঁজে সেটা যাতে না ঘটে সে পদ্ধতিই গ্রহন করা যুক্তিযুক্ত নয় কি?

মানুষ বড় হয়ে যখন নৈতিকতা, মনুষ্যত্ব এসব লোপ পেয়ে বিবেকবুদ্ধিহীন হয়ে যায় তখন বুঝতে হবে সমস্যাটা কিন্তু তার ব্যাক্তিত্বের সংঘাতে, অন্য কোথাও নয়। আর ব্যক্তিত্ব গঠন হয় প্রথম পরিবার থেকে, তারপরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে।

আজকের বাংলাদেশে যদি এখন থেকে এসবের পরিচর্যা শুরু করা হয় এর ফলাফল পেতে আমাদের আরও ত্রিশ বছর অপেক্ষা করতে হবে নিশ্চিত। কারন যে শিশুটি এখন বিদ্যালয়ে যাবে সে একজন থিংকট্যাংকে পরিণত হতে এই ত্রিশ বছর সময়তো লাগবেই।

আমার এই লেখাটি ব্যতিক্রমী শিক্ষকের ব্যতিক্রমী শাস্তির বিরুদ্ধাচরণ মাত্র। আমাদের সম্মানিত গুরুজন এবং মহানুভব শিক্ষকগন এ লেখার আওতাভুক্ত নন। একজন শিক্ষকের চাওয়া থাকে তার ছাত্রটি যেন সবার মুখ উজ্জ্বল করে, সেই শিক্ষক পরাজিত হলে পরাজিত হয় পরিবার, সমাজ, দেশ এবং দেশের মানুষ।

এসবই আমার নিজস্ব অভিব্যক্তি, আপনার কাছে হয়তো মুল্যহীন। তবে একবার হলেও ভাববেন কিন্তু!

0 Shares

২৫টি মন্তব্য

  • সাবিনা ইয়াসমিন

    শিক্ষকের শাষন আর নির্যাতন এক নয়। শাষন সব সময় দৈহিক হয়না। ক্ষেত্রবিশেষে ভৎসনা বা টুকিটাকি পিটুনির কথাকে এখন শিক্ষকের শাষন বলা হয়না। বর্তমানে শিক্ষকের শাষন কথাাটির অর্থ ব্যপক নির্যাতন অর্থে ধরা হয়।

    আগে শিক্ষকের শাষনকে অভিভাবকরা সাপোর্ট করতো কারন শিক্ষকরা তাদের শাষনের লিমিট রাখতেন। এখন তাদের শাষন শিক্ষার্থীদের দৈহিক এবং মানষিক সহ্যশক্তির সীমা অতিক্রম করে যায়। কেউ শিক্ষকের হাতে পিটুনি খেয়ে মরে যায় আর কেউ তাদের ভৎসনা সহ্য করার ক্ষমতা হারিয়ে নিজেকে নিজে হত্যা করে।

    নিজেকে নিজে হত্যা করার মানে শুধু আত্মহত্যা বোঝায় না। অনেক শিক্ষার্থী শুধুমাত্র শিক্ষকদের শাষন থেকে বাঁচতে লেখাপড়া ছেড়ে দেয়। এভাবে সে নিজের ভবিষ্যৎ গড়ার বড় একটা সুযোগকেও মেরে ফেলে। এখন সময় এসেছে শিক্ষকদের শাষন আর তাদের মনোভাব নিয়ে ভেবে দেখার। নয়তো মানুষ গড়ার এই কারিগরেরা নিজেদের সম্মানের আসন নিয়ে গর্বিত হওয়ার পথ নিজেরাই বন্ধ করে দিবেন।

    অনেক ভালো লিখেছেন তৌহিদ ভাই। সমসাময়িক বিষয় নিয়ে নিয়মিত লিখে সোনেলাকে সমৃদ্ধ করার ধারা চালিয়ে যান। শুভকামনা নিরন্তর রইলো। 🌹🌹

  • জিসান শা ইকরাম

    আমাদের দেশের প্রেক্ষিতে শিক্ষকদের ছাত্রদের প্রতি শাসন করা কিছু ক্ষেত্রে জরুরী। সামাজিক অবস্থা, ক্লাসের বাইরে ছাত্রদের সমাজ, বিভিন্ন প্রলোভনে অনেক ছাত্রই পড়াশুনার প্রতি অমনযোগী হয়। তাদের মনযোগ বজায়ের জন্য ভয় জরুরী।

    বিদেশে যে পদ্ধতিতে শিক্ষা দেয়া হয়, তাতে শাসনের দরকার হয়না। প্রতি শিশুদের জন্য একজন মেনটর আছে অস্ট্রেলিয়ায়, এটি আমাদের দেশে অকল্পনীয়। সিংগাপুরে বিদ্যালয় থেকে পরীক্ষাই উঠিয়ে দিয়েছে। এটি আমরা কল্পনাও করতে পারব না।
    আমি নিজেও শিক্ষকদের হাতে পিটুনি খেয়েছি, এতে কখনোই ঐ শিক্ষকের প্রতি রাগ করিনি, অশ্রদ্ধাও করিনি কখনো।

    ভালো পোস্ট। আরো লেখুন এমন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে।

    • তৌহিদ

      আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে উন্নত দেশের মত শিক্ষাপদ্ধতি প্রণয়ন করা এখনো সুদূরপরাহত, হবে হয়তো একসময়। হওয়াই উচিত। তারা ছাত্রদের জন্য মেন্টর নিয়োগ করে আর আমরা অতিরঞ্জিত অনেক কিছুই করি যা ছাত্রের মানসিক বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করে।

      তবে কিছু শিক্ষক এখনো নিজের সবটুকু ঢেলে দিয়ে প্রাণপণ চেষ্টা করে তার ছাত্রছাত্রী ভালো করুক জীবনে। এর জন্য কিঞ্চিত শাষন করলে সেটা দোষের কিছু নয়। এটাই কাম্য একজন শিক্ষকের কাছ থেকে।

      মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া, অবশ্যই লিখবো।

  • মনির হোসেন মমি

    কত কাল মলা আর বেতের বাড়ি যে খাইছি তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না কিন্তু তা ছিল শিক্ষকদের ভালবাসা।তখন শিক্ষদের ঘরে অন্ন ছিলো অপ্রতুল কিন্তু ছাত্রদের মানুষ করার মানষিকতা ছিলো পিতৃতুল্য।লেখার শিরোনামটি অতীত নয় বর্তমানকে ইঙ্গিত করছে একজন ভাল মনের শিক্ষকই পারেন ছাত্র তথা সমাজ দেশ জাতির উজ্জল ভবিষৎ সৃষ্টি করতে।লেখাটি খুব ভাল লাগল।

  • নীরা সাদীয়া

    একজন শিক্ষক/শিক্ষিকা তার ছাত্রকে নিজ সন্তানের মতই দেখেন। তাঁরা চান, ছাত্রটি ভালো ফলাফল করুক, ভালো একটা চাকরী পাক, দেশের, দশের সুনাম বয়ে আনুক। এখন সব ছাত্রতো এক রকম না। তাই হয়ত নিরুপায় হয়ে একটু মিষ্টি শাসন করেন। এটুকু করতেই পারেন। পুরো ক্লাসটাকে যিনি নিয়ন্ত্রণ করবেন,তাঁর এতটুকু অধিকার না থাকলে তিনি শেখানোর পরিবেশ নিয়ন্ত্রন করবেন কি করে?

    তবে হ্যাঁ, আমি কখনোই অতিরিক্ত শাসনের পক্ষপাতী নই। আবার অনেকেই ছাত্রদের সাথে পক্ষপাত দুষ্টু আচরন করেন, কেউ আবার নিজের হীনতা (গ্যাপস) ঢাকার জন্য এমন কঠোর হন যেন ভয়ে কোন ছাত্র কোন প্রশ্ন না করতে পারে। এগুলোর পক্ষপাতী আমি নই।

  • রিতু জাহান

    বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি পোষ্ট।
    জুলফিকার ক্লাস ফাইভ ও এইটে বৃত্তিপ্রাপ্ত ছাত্র। ওদের পারিবারিক অবস্থা খুব খারাপ ছিলো। স্কুল টিচার ছাড়া আলাদা টিচার দেয়া তাদের সামর্থ্য ছিলো না। ওদের স্কুলের অংকের টিচার বাড়িতে না গিয়ে ওদের আলাদা ক্লাস নিতেন। তিনি রাতে খালি বেঞ্চে ঘুমিয়ে পড়তেন। জুলফিকারকে একটা অংক ভুলের কারনে কষে কানের গোড়ায় একটা চড় দিয়েছিলো। সেই থেকে জুলি অংকে ভীষণ ভালো। আমার দুই ছেলেকে সে অংক দেখায়। ওরাও বেশ অংকে ভালো।
    স্যার আমার বাসায় গেছিলো রাজশাহীতে। আমার মাথায় হাত দিয়ে আশীর্বাদ করেছিলো। স্যার মারা যাবার পরে আমি জুলিকে কাঁদতে দেখেছি।
    আমার এক প্রিয় স্যার ছিলো কালীপদ স্যার। স্যার বেঞ্চে ঢুকে খাতা তিয়ে আমার পিঠে মারতেন। মাগো বলে ডাক দিতেন। একবার রমেশ স্যার বেত দিয়ে মেরে আমার আঙ্গুল ফাঁটিয়ে দিয়েছিলো। দোষ আমার ছিলো। পড়া হইছিলো না। দুই তিন দিন পর পরীক্ষা। সেই থেকে আমি ইংরেজী গ্রামারে খুব ভালো। বাচ্চাদের ইংরেজী আমি দেখি।
    তবে হ্যাঁ, এখনকার সন্তানদের ম্যানার্স হয়তো আমরাই শিখাতে পারিনি। কিছুটা দায়ী সময়ও। শিক্ষকগণও যে দায়ী নয় তা বলব না।
    আসলে এ সিস্টেমটা আদৌ ঠিক হবে কিনা জানি না। বাচ্চাদের শাসন দরকার আছে। সেদিন রিয়ানকে আমি পিটুনি দিছি বেশ কয়েকটা। কারণ, মোবাইলে গেম খেলা নিয়ে। কি যেনো গেম ক্লাস অফ ক্লান্স। ওখানে নাকি আবার ম্যাসেজও করা যায়। একটা গ্রুপিংও আছে নাকি। আমি ফোন চেক করে দেখি পলাশ নামে এক লোক ওকে ডিরেকশন দিচ্ছে অন্য একটা গেমে গিয়ে ওদের গেম নষ্ট করতে৷ সাথে সাথে ফোন আগে ভেঙ্গেছি তাও আমার স্যামসাং ফোনটা। একেবারে টুকরো। ওকে সত্যি খুব জোরে মারছি। রুটি বেলার বেলনা দিয়ে। ছেলে আমার আজ তিন চারদিন হাঁটতে পারেনি ভালোমতো।
    ও আর ফোন ধরবে না আমি জানি। একটা বিষয় কি, ছাত্র জীবন মানেই ছাত্র জীবন। সেখানে যখন তারা বড়ত্ব ভাব আনবে তখন মুখ থুবড়ে পড়ে যাবে। আজ থেকে খুব কড়া নিয়মে রেখেছি রিয়ানকে। একেবারে রুটিন।
    আমরা আসলে অতিরিক্ত দিয়ে ফেলছি সন্তানদের। শিক্ষকও অসহায়। এজন্য দায়ী বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অভিভাবক।

    • তৌহিদ

      একটু আধটু শাসনের প্রয়োজন আছেই আপু। না হলে বাচ্চারা শিখবে কি করে কোনটা ভুল কোনটা শুদ্ধ?

      ভাইয়া মার খেয়েই অংকে ভালো করেছে আর আমায় মেরেছিলো বলে সেই টিচারই বাদ দিয়েছিলাম। আসলে দুষ্টু ছিলাম ভীষণ। যেই টিচার শাসন করবে আমি সেখানে নাই 😃

      আহা! এত রাগারাগি বাবুর সাথে করে কি লাভ হলো? মোবাইলটা গেলো!! আসলে আমরা অভিভাবকরা বাচ্চাদের আদর একটু বেশীই দিয়ে ফেলি। যা মোটেও তাদের জন্য মঙ্গলজনক নয়। এমন অনেককে বলতে শুনেছি -জানেন আমার বাচ্চারা এত এত মোবাইল সম্বন্ধে জানে আমি নিজেও জানিনা। অথচ সে গার্জিয়ান নিজেই জানেনা বাচ্চাটার কি ক্ষতি করছে।

      আপনি আদর্শ মা। আর আমার মামুরা বেষ্ট বাচ্চাকাচ্চা ☺

      • নীলাঞ্জনা নীলা

        আপু তুমি মা। সন্তানকে মানুষ করার জন্য দিনরাত কষ্ট করে যাচ্ছো। তবে আপু আমি হলে অন্যভাবে শাসন করতাম। সন্তান মায়ের যা কিছু দেখে, তাই কিন্তু বেশি মনে রাখে। বুঝিয়ে বলায় যে কাজ হয়, তা হাজার শাসনেও কাজে আসেনা। একটা কথা বলি, তীর্থর বয়স যখন ৯, তখন এই গেম নিয়েই একটা মিথ্যে বলেছিলো। শাস্তিস্বরূপ বুবুল বলে ডাকা থামিয়ে দিয়েছিলাম। সেই মিথ্যেটা এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ ছিলোনা। কিন্তু সে বুঝেছিলো আমি খুবই আঘাত পেয়েছি। চারটি বছর আমি তীর্থ বলে ডেকেছি। তেরোতম জন্মদিনে আমায় জড়িয়ে ধরে বললো, “মাম আমি বুবুল ডাক মিস করি। আমি আর জীবনে কখনো তোমাকে মিথ্যে বলবোনা, প্রমিজ!” সেই আবার ডাকা শুরু করলাম। বরং মিথ্যে যাতে না বলে তার জন্য আরোও ওপেন করলাম নিজেকে।
        স্যরি আপু তোমার কথার ভেতর এসে এভাবে লিখলাম বলে কিছু মনে করোনা।

      • রিতু জাহান

        নীলাআপু, শরীরটা খুব খারাপ আমার। তার উপর জুলফিকারের শরীরটাও বেশ খারাপ। সারাক্ষণ আমাকে একটা চাপা টেনশনের মধ্যে থাকতে হয়।
        আমার দামী ফোনটাই ভেঙ্গেছি রাগ করে। ওকে মেরেছি কারন, আজকাল এরকম করেই কিশোর গ্যাঙ তৈরি হচ্ছে। বাচ্চারা হিংস্রতা শিখছে। পরে বুকে এসে কেঁদেছে আমিও কেঁদেছি।
        তুমি অবশ্যই বলবে আপু ভুল হলে।

  • ছাইরাছ হেলাল

    ‘ছোটবেলায় শুনতাম – গুরুজনেরা বলতেন শিক্ষকের মার যে খায়নি সে মানুষ হবে কিভাবে? জানিনা এর সত্যতা কতটুকু, তবে একজন শিক্ষক শেষ পর্যন্ত উপায়ন্তর না দেখে তার ছাত্রকে সামান্য শাসন করেন এটা ঠিক; এর প্রয়োজনও আছে।

    স্কুলজীবনে আমিও কম মার খাইনি শিক্ষকদের হাতে, অমানুষ হয়েছি কি? আমার মনে হয় ঐটুকু শাসন করেছেন বলেই আমি আজ লিখতে পড়তে পারছি। আমরা তাদের সন্তানের মতই। তা না হলে পিতামাতা শিক্ষকদের হাতে আমাদের ছেড়ে দিতেন না।’

    এখানে দ্বিমত পোষণ করি।
    শিক্ষার সাথে মার খাওয়ার কোন সম্পর্ক নেই।
    এক জন শিশুর সাথে জোরে কথা বলা যায় না ,যাবে না, সেখানে মার তো ফৌজদারী অপরাধ।

    ফিনল্যান্ডের শিক্ষা ব্যবস্থাকে এখন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ব্যবস্থা মনে কয়া হয়, সময় পেলে নেট ঘেটে দেখতে পারেন।

    • তৌহিদ

      আপনার দ্বিমত থাকতেই পারে, আপনার কথায় যুক্তিও আছে। আমি আমার নিজস্ব অভিমত দিয়েছি ভাই।

      শিক্ষক মারলে ফৌজদারি আইনের আওতায় পরবে যদি সে মার জীবন নাশকারী হয়, এখন বাবা মা একটু শাসন করলো বলে কি বাবা মাও সে আইনের আওতায় পরবে?
      তবে অত্যাধিক শাসন শিশুর মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত করে এটা ঠিক।

      ভাইরে আপনি বিজ্ঞ মানুষ, কিন্তু ফিনল্যান্ড শিক্ষাব্যবস্থা এদেশের প্রেক্ষাপটে কতটুকু কার্যকর তা ভেবে দেখবেন।

      মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

  • প্রহেলিকা

    সুন্দর পোস্ট, আলোচনার দাবীদার। ব্লগিং আসলে এজন্যই করা, পারস্পরিক মত-ভিন্নমতে ভাবনাগুলোকে বিকশিত করা। বেশ ভালো আলোচনা হয়েছে পোস্টে। সকলের আলোচনা থেকে নিজেও শিখছি।

  • নীলাঞ্জনা নীলা

    “শাসন করা তারই সাজে, সোহাগ করে যে!” এই প্রবাদবাক্যটির ব্যবহার সকলেই ভুলে গেছে।
    যুগ পাল্টেছে, মনমানসিকতার বদল হয়েছে। একটা সময় কোচিং ব্যবসা ছিলো না। গৃহশিক্ষক ছিলো না বলতে গেলেই হয়। পড়ালেখার জন্য যা কিছু শাসন সেসব স্কুলের শিক্ষকদের থেকেই পাওয়া হতো। শিক্ষকরা সময় দিতেন, ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি একটা মায়ার বন্ধনও তৈরী হতো। এখন শিক্ষকরা ব্যস্ত কোচিং আর প্রাইভেট পড়ানোর ব্যবসা নিয়ে। তাই শাসনটাও হয় নিষ্ঠুরতম। বর্তমানে খুব কম শিক্ষক আছেন যারা তাদের ছাত্রছাত্রীদের ভালোবাসেন।
    ভালো লিখেছেন।
    আমার প্রিয় শিক্ষক নিয়ে কয়েকটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেখানে এসবই তুলে ধরার চেষ্টা করেছিলাম।
    শুভ নববর্ষ ভাইয়া।

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ