ছোট্ট শিশু দোলনায় দোলে, দোলে মায়ের বুক জুড়ে ফোকলা দাঁতে, কালো মায়ের পাথর বুকে হাসি ঝোলে, ভুলে যায় সব কিছু পিছু ফেলে। স্বপ্নের সিঁড়ি বেয়ে খটখটে শুকাল ভূমিতে সবুজের অপরূপ পথ বেয়ে খুকুমণি হেঁটে যায় সোনা দিগন্ত পানে চিরায়ু স্বপ্নচাষীর বেশে। জল পিপাসার ধূসরতা মুছে সুবিস্তৃত সবুজ শুভ্রতা শিশুদের জন্য তুলে রেখে কালো মা কাজ ভুলে থমকে দাঁড়াবে সঞ্চয় স্বপ্নের বড় হওয়া দেখতে দেখতে।
জাঁহাবাজ সময়ের হাত ধরে ফেরার পথে ফিরে যাবে যে যার গন্তব্যে নগণ্য আধরাত্রির জীবন ফেলে। গুনগুন সময়ের ফোড়ন কেটে ঘুমায় শিশু, শিশু ঘুমায় সিঁথিমতো সোজা তরুছায়াময় সময়পথের পাশ এড়িয়ে।
ঢ্যামনা আহাম্মক বিরক্তিকর বুড়ো বাপ বকবকানি ফেলে ফিক করে হাসে আড়াল হয়ে।
৬৩টি মন্তব্য
অরুনি মায়া
আসলেই কল্পনায় সব মায়েরাই শিশু দের জন্য একটি আলাদা জগৎ গড়ে তোলে। সেখানে সে স্বপ্ন সাজায় আপন শিশুটির জন্য। কল্পনায় বিভোর মা বাস্তবতার কঠিনতা থেকে বের হয়ে হারিয়ে যাই ক্ষণিকের জন্য। যেখানে তার ছোট্ট শিশুটি খেলা করে কোন ধূসর দিগন্তে নয় সবুজের সমারহে।
তবে শিশুরা ঘুমালে মায়ের চাইতে বাবারাই বেশি খুশি হয়। আর কেন হয় তা সবাই জানে,,,,,,
ছাইরাছ হেলাল
আগে বলুন মায়ের উপলব্ধি ঠিক ভাবে নিয়ে আসতে পেড়েছি কিনা,
ওরে পাক্কা রে পাক্কা!!!!!!!
অরুনি মায়া
একজন বাবা হয়ে মায়ের অনুভূতি কে নিজের মাঝে ধারণ করেছেন একি সহজ কথা। সব বাবা রা বোঝেনা ভাইয়া মায়েরা কি ভাবে। আপনি বুঝেছেন তাই বিশাল একটা ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
এই পুরুষ জাতির প্রতি আমার একটা ক্ষোভ আছে বিশেষ করে যারা বাবা হয়েছে। তারা না বোঝে একজন নারীকে না বোঝে একজন মা কে।
এত পাকা পাকা বললে আমি কিন্তু কাক পক্ষি নয়তো কাঠ বিড়ালীর পেটে চলে যাব। পরে আপনারা আমারে হারাবেন :p
ছাইরাছ হেলাল
আমি কিন্তু মায়েদের পক্ষে,
বাবাকে তো গাড্ডায় ফেলেছি।
এতো প্রশংসা দেরি করে করলে হবে না।
না না কিছুতেই আপনাকে হারানোর ঝুঁকি নিতে পারবো না।
চক্ষুলজ্জার একটি ব্যাপার কিন্তু থেকেই যায়।
অরুনি মায়া
তাও ভাল বলেন নি মেয়েদের পক্ষে :p
উফফফ ভাইয়া কত্ত কাজ থাকে তবুও কাজের ফাঁকে ফাঁকে চলে আসি আপনাদের কাছে। পা ভাঙার কারণে এতদিন রেস্টে ছিলাম সারাদিন অনেক সময় ছিল। কিন্তু আবার হাটতে শুরু করায় ব্যস্ত হয়ে যাচ্ছি।
তবে হারিয়ে যাবনা 🙂
কিছু কিছু সময় প্রশংসা একটু দেরি করে করলে তৃপ্তি বেশি পাওয়া যায়,,,,, 🙂
ছাইরাছ হেলাল
তবে তো দেখছি ভাঙ্গা পা ই ভাল ছিল।
প্রশংসা পেলেই হয়।
অরুনি মায়া
আপনার এমন ভাবনায় আমি কিন্তু আবার পা ভাঙার আশংকা করছি 🙁
ছাইরাছ হেলাল
হাল্কা একটু ভেঙ্গে রাখলে মন্দ হয় না।
অরুনি মায়া
মনে একটু মায়া দয়াও নেই দেখছি 🙁
ছাইরাছ হেলাল
মায়ার কোন অভাব নেই, খালি দেহাইতে পারি না এই যা,
অরুনি মায়া
কি আর করা দিন কাল ভাল নাতো তাই মায়া থাকলেও দেখানো যায়না,,,, দু:খ,,,,,, এত মায়া সব অব্যবহৃতই রয়ে গেল 🙁 :p
ছাইরাছ হেলাল
হক কথা।
লীলাবতী
প্রশ্ন হচ্ছে বাপ আড়াল হয়ে হাসবে কেনো?
ছাইরাছ হেলাল
ঢ্যামনা আহাম্মক বিরক্তিকর বকবকানি বুড়ো বাপের সামনে এসে
হাসার উপায় নেই যে, তাই আড়াল-আবডালেই থাকতে হয়।
মোঃ মজিবর রহমান
বাপরে বাপ।
এত দেখি কঠিনতর থেকে জটিল শব্দে ভরা।
পালাতে হবে এখান থেকে।
মাথায় কিছুই ঠোকে না
ছাইরাছ হেলাল
খুব সহজ, নিয়মিত পড়লে।
মোঃ মজিবর রহমান
পড়িত ভাই সময়ের যে বুধ্বি শুধ্বি হয় না,
কেমনে আসিব আমি ধরায় যে
থাকেনা সময় মরার পূর্বে।
ছাইরাছ হেলাল
ব্যাপার না।
নাসির সারওয়ার
হায়রে কপাল, ইচ্ছে হয় অনেক বুঝতে।
পারবো কি করে? এতো কঠিন বাক্যমালা, নাইতো কিছু ঘটে।
ধন্য হতাম যদি বলতেন শেষ লাইন এর মানেটা কি। সব বুড়োরা কি ঢ্যামনা, আহাম্মক আর বিরক্তিকর?
আমি এই প্রথম কোন ব্লগে কমেন্ট করলাম। আশা করি বের করে দেবেন না অনুগ্রহ করে।
ছাইরাছ হেলাল
ইচ্ছে থাকলে আমরা নিশ্চয়ই বুঝতে পারব।
ঘটে কিছু থাকতেই হবে এমন কথা নেই। এ লেখায় অ এমন কিছু নেই।
দেখুন এই লেখক ও সত্তরোর্ধ্ব, তাই ঢ্যামনাদের সে ভালই জানে নিজকে দেখে দেখে।
স্বাগত আপনি এখানে।
অবশ্যই বের করে দেয়া হবে না।
নাসির সারওয়ার
দুখিত: সব বুড়োরা নয়, সব বুড়ো বাপ পরতে হবে
ছাইরাছ হেলাল
অই একই কথা, যাহা বাহান্ন তাহাই তেপ্পান্ন।
জিসান শা ইকরাম
ইদানীং সহজ লেখা বুঝতে পারিনা
মস্তিষ্ক বক্র পথে চলার উপসর্গ নাকি এইটা?
একটা বড় সর বিশ্রাম নেয়া দরকার মনে হয় আমার…………
ছাইরাছ হেলাল
মস্তিস্কের দোষ দিয়ে লাভ কি!!
ফাইনালের আগে সম্ভব হবে না।
জিসান শা ইকরাম
শুধু রূপকথা লিখলে হপে?আমাদের নিয়েও একটু লেখুন 🙂
ছাইরাছ হেলাল
লিখতে তো চাই ই।
ঠিক হপে কিনা বুঝছি না।
আবু খায়ের আনিছ
কি যে কি হলো, চোখের পাওয়ার না দুঃখিত মনের উপলব্দি কি হারিয়ে গেল নাকি? শুধু পড়লাম আর বুঝলাম, দেখলাম না কিছু।
ছাইরাছ হেলাল
বুঝলেই হবে, আমি কিন্তু নিজেই সব বুঝি না,
দেখা তো বহুত দূর কি বাত।
আবু খায়ের আনিছ
আমি একটা কথা জানি, লেখক যা লিখে তা সে তার নিজের চোখের সামনে দেখতে পায়।
ছাইরাছ হেলাল
আপনি ঠিক ই জানেন, তবে সবাই না।
আবু খায়ের আনিছ
হতে পারে। ধন্যবাদ ভাইয়া
ছাইরাছ হেলাল
আপনাকেও, ধন্যবাদ।
নীতেশ বড়ুয়া
জঠিল ;?
ছাইরাছ হেলাল
ফাঁকি দেয়ার বুদ্ধি, কোন জটিল না।
নীতেশ বড়ুয়া
:p
মেহেরী তাজ
কেউ না বুঝলেও আমি কিন্তু বুঝে ফেলছি ” বাবা আড়ালে হাসে কেনো”? :p :p
আমার আগের মন্তব্যকারী দের তার জন্য ধন্যবাদ। 🙂
ছাইরাছ হেলাল
খুব দুষ্ট হয় এরা, তাই আড়ালে হাসে।
অরুনি মায়া
যত গন্ডগোলের মূল ওই বুইড়া বাপ টাই। এটা রূপকথা না হলে ওই বুইড়া নির্ঘাত আমার হাতে মরত। :@
ছাইরাছ হেলাল
আপনার কাছে পাঠিয়ে দিমুনে।
নাসির সারওয়ার
বুড়া বাপটা হাসে, এটাই কি তার অপরাধ?
ছাইরাছ হেলাল
বুইড়ার এত্ত হাসার দরকারটা কী!!
নীলাঞ্জনা নীলা
;? ;? ;? ;?
ভেবেই চলছি। রূপকথার শিশু???
রাজা-রানী-রাজকন্যে-রাজপুত্তুর শুনেছি, শিশু!!!
যাই হোক বাবা যে হাসি দিতে পারছে এই মন্দার সময়ে। সেইতো অনেক।
“বুঝিয়া লিখো রে নীলা, না বুঝিয়া লিখোনা।
কি করিয়া বুঝাইবো, এইসব লেখা তোমার জন্যে না।” 😀 😀 :D) :D)
ছাইরাছ হেলাল
একজন মায়ের কাছে তাঁর শিশুটি কত আদরের ও মা তাকে নিয়ে কত স্বপ্ন দেখে
তাই আউল-ফাউল ভাষায় বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে মাত্র।
এ ভাবে না বোঝার চেষ্টা করা ঠিক না।
নীলাঞ্জনা নীলা
অনেক ভালো লিখেছেন একজন পুরুষ হয়ে।
অনেক মজা করেছি যদিও। কিন্তু এও সত্যি আপনার ভাবনা এবং লেখা থেকে এটুকু বোঝা যায়
আপনার মনের বিস্তৃতি কতোটুকু।
লিখুন এভাবেই। -{@
ছাইরাছ হেলাল
যাক, আউল-ফাউল ও গুণী জনের দৃষ্টি সীমায় এসেছে দেখে
আনন্দ পাচ্ছি।
নীলাঞ্জনা নীলা
আনন্দে আবার বেশী লাফাবেন না যেনো। জন্মদিন গেছে মাত্র, বয়স কিন্তু এক বছর যোগ হয়েছে। :p 😀 :D)
ছাইরাছ হেলাল
২৫ থেকে ২৬ এর দিকে যাচ্ছে মাত্র, ব্যাপার না।
লাফালাফির এই তো টাইম।
ব্লগার সজীব
মায়েরা এমনই হয় আর বাবারা আড়ালেই হাসেন,প্রকাশ্যে কাঠিন্য দেখান 🙂
ছাইরাছ হেলাল
তা ঠিক, মায়েরা মা ই।
বাবারা বাবাই।
রিমি রুম্মান
জটিলতার গ্যাঁড়াকলে পরেও এটুকু বুঝতে পেরেছি যে… একজন মায়ের উপলব্দি লিয়ে লেখা… তবে বুড়ো বাপ আড়ালে হাসে… এটাও এক রকম উপলব্ধি 🙂
ছাইরাছ হেলাল
আপনি অবশ্যই ঠিক ভাবে বুঝতে পেরেছেন।
ব্যস্ততার মাঝেও পড়ছেন দেখে আনন্দিত হচ্ছি।
স্বপ্ন
সন্তান যাই করুক মায়ের মমতা কমেনা। আপনার মাঝে মাতৃ রূপ প্রবল।তবে মায়ের পাথর বুক কোমল হলেই ভালো হয়।
ছাইরাছ হেলাল
মাতৃ ভাব প্রবল কিনা জানি না, তবে এমন ভাবনা ভাবি।
মায়ের বুক কোমল ই, সব কিছু সহ্য করে বুকে পাথর চেপে।
এ জন্য মা মা ই।
অরুণিমা
বাবা হয়ে মা এর অনুভূতি প্রকাশ! উৎসাহিত হলাম দাদা।
ছাইরাছ হেলাল
ঠিক-ঠাক পেরেছি কিনা জানি না, চেষ্টা করলাম নিজের মত।
নাসির সারওয়ার
মগজকে বারতি চাপ দেবো এখন থেকে।
এই লেখকের জনম দিনে কেউ একজন বয়স জানতে চেয়েছিলেন। মনে হয় মোমবাতি কিনতে চেয়েছিলেন। আপনার নম্বরটা দেখে উনার কি এখনও মোম কেনার ইচ্ছে হবে? বড্ড জানতে ইচ্ছে হয়।
ভয়টা কাটাবো একদিন।
ধন্যবাদ আপনাকে। শিখবো কিছু সোনেলা থেকে।
ছাইরাছ হেলাল
চাপ দিন সমস্যা নেই, তবে সবদিকেই খেয়াল রাখতে হবে।
দেখুন প্রিয়জনেরা নম্বরে ভয় পায় না, তা আপনার জানার কথা। আর নম্বর কোন গতিশীলতার
বিপরীতগামী ও কিছু না। অতএব ‘ডরে না বীর’ সিস্টেমে আগে বাড়তে হবে প্রকাশ্যে।
আমরা নিয়তই কিছু না কিছু শিখছি।
নাসির সারওয়ার
মনে থাকবে । দেখি ভয়কে জয় করার পথ কতটা মধুর
কালো মায়ের সঞ্চয় স্বপ্নটা ঢ্যামনা বুড়ো বাপটাও দেখুক না।
ছাইরাছ হেলাল
দ্যাক্তে থাকুক, দ্যাক্তেই থাকুক।
শুন্য শুন্যালয়
কঠিন এর তকমা লেগে গেছে গায়, সহজে বেরুতে পারবেন না মনে হয়। আমার কাছে সহজই মনে হয়েছে। মা থমকে দাড়ায় স্বপ্ন সঞ্চয়ের বড় হওয়া দেখতে দেখতে, চমৎকার একটি লাইন। আরেকটি লাইন -শিশু ঘুমায় সিঁথিমতো সোজা তরুছায়াময় সময়পথের পাশ এড়িয়ে। খুব সুন্দর দুটো লাইন।
রূপকথা -3 এর বাবা আর শিশুর প্রভাব আছে এই লেখায়, এজন্যই এখানে বুড়ো বাপ এসেছে,, আর ঘুম পাড়ানোর দৃশ্যটা অন্যের চোখে একটু ফানি লাগতে পারে বিশেষ করে গুনগুনানো হয়তো একারণেই বাবা আড়াল হয়ে ফিক করে হেঁসেছে। ঠিক বললাম কি?
আধ রাত্রির জীবন ফেলে যে যার গন্তব্যে ফিরে যাবে, এটা ঘুম বোঝালে পার্ফেক্ট লেখা বলবো, মৃত্যু বোঝালে বেমানান লাগবে তাই ঘুমটাই নিলাম।।
সুন্দর লেখা ভাইয়া।
ছাইরাছ হেলাল
এত দিন কোথায় ছিলেন, তাও কঠিনের গাড্ডা থেকে তুলে নিয়েছেন দেখে আনন্দিত।
প্রত্যেক মায়ের কাছেই তার শিশুটি কতোটা আনন্দের কতোটা আশার তা নিজের কত করে বলতে চেয়েছি।
আপনি এ ক্ষেত্রেও জহুরি ভূমিকায়, একি ঢ্যামনা বাপের গপ্পো।
যাক, আমরা সহজ ভাবে ঘুমের অর্থেই থাকি, তাই বলে কালঘুম এড়াতে পারছি না।
আপনি ছাড়া আর কেউ সুন্দর বলতেই চায় না।
দুর্দান্ত লেখা নিয়ে এসে পড়ুন।
শুন্য শুন্যালয়
যাক, এবার সবুজ রঙ এর দেখা পাওয়া যাচ্ছে।
কালঘুম এড়ানো যাবেনা, যায়না। তাই বলে তাকে কানে ধরে সব লেখায় আনা ঠিক না।
লেখা নিয়ে এসেছি, তবে দূর না দন্ত্য স কি যেন বললেন? সেটা আবার কি লেখা!
ছাইরাছ হেলাল
আমিতো সবুজ দেখতে পাচ্ছি, আপনি ও দেখতে পাবেন অচিরেই।
আচ্ছা, ভাইয়ো, দেখেও তা দেখার ভান নিয়ে থাকব, আদেশ মত।
হাহা, লেখা তো সত্যিই অন্য রকম।