রসিক

মনির হোসেন মমি ২০ ডিসেম্বর ২০১৪, শনিবার, ০১:১৫:০১অপরাহ্ন কবিতা, বিবিধ ২৫ মন্তব্য

-ভয়ংকর
মনের সাগরে ভয়ের ঢেউ তুল্লে
-নাইন এম এম অরজিনাল
ট্রিগার টিপে
এক সুটে মন্ডু,দরিয়ার এপার ওপাড়,

-একি করছ!যন্ত্রটা একটু সরাও
একটু ভূলে চলে যাবে তোমার জানটাও
-না,আমি নইতো অতো বোকা
তোমার তরে দিবো না প্রিয় প্রানটা,

-হুম!সত্যি কি তাই?
সে দিন তবে খেয়েছিলে কি ছাই,
বক বক করে বলেছিলে
শুধু ভালোবাস আমায়।

-লেডিস ফাষ্ট,মানলাম তোমার কথা
ভালবাসো কতখানি আমায়!
ধরো কেউ একজন ধরল,
গান টা আমার মাথায়
ট্রিগারের টিপে চলে যাবে প্রানটা
তুমিও কি দিবে তোমান সাধের জানটা।
-বলো কি!অমন অলুক্ষিনী কথা বলতে নেই
তুমি বিনে আছে কি অন্য কেউ যে,
বুঝবে আমার জীবনটা।

(3

বড় গিন্নী চলে যায় রান্না ঘরে
ছোট গিন্নী প্রবেশ করে অন্দর মহল
শালিকে পেয়ে দুলা মিয়ার মন যেন
এখন অধিক চঞ্চল।

সহ কলিগরা বলেন,
আমি নাকি ভাগ্যবান
আছে ,
আমার শালিকা ইয়া স্বাস্হ্যবান,
-কি বললেন?
-এই রে সেরেছে...না, কিছুই না।

পাশেই ছিল ছোট মেয়ে
শুনতে পেয়ে
খালা মণিকে দিলো বলে।

-খালামণি খালামণি
তুমি কি খুব বেশী মোটা?
-নাতো,,,
আমার চেয়ে আরো মোটাও আছে
-আব্বু তাহলে বলছেন, মিথ্যে।

দীঘল কালো চুল আর
কাজল নয়ন আখিঁ শ্যালিকার
রূপের এমন অপমানে,
মন মগজে ধরল যে আগুন।

বেচারা দুলা মিয়া
দুই সতিনের ঘরে আছেন
বড় জ্বালাতনে
বউকে বললে শালিকা রাগেন
শালিকে বললে বউ বকেন।

-এই রে,, গেলাম আমি বাহিরে
-কই জান, জানের জান দুলা মিয়া
উত্তরটা দিয়া যান
আমি কি দেখতে এতই খারাপ?
দুলা মিয়া ফোকলা হেসে
ওস্তাদ সে মেয়ে পটাতে
আল্লাহর কছম এই দুই চোখঁ ধইরা কই
-তুমি কেনো তোমার গুণধর বোন
খাইতে খাইতে আমার তলা শেষ
আর উনি
যেন হচ্ছেন কেবল পহাড়ের দেশ।

ও!তাই বুঝি!
হ্যা ঠিক তাই
চোখ মেলে ভালো করে দেখেন
অবাক!
শালিকা গেলো কই?

-{@ -{@ -{@ -{@ -{@ -{@ -{@

রাগবেন না, যদি রাগ উঠেই যায় তবে কি করবেন না তা এখানেই পাবেন এবং রাগের কিছু ক্ষতিকর দিক আছে যা জানা খুবই জরুরী তাও এখানেই পাবেন।মনে রাখতে হবে রাগ কেবল ধ্বংস করে সৃষ্টি করতে পারে না।

 রাগ যদি উঠেই যায় তবে কিঞ্চৎ পরামর্শ নিতে পারে

(১) নবী করিম(সঃ) বলেছেন, "কেউ দাঁড়ানো অবস্থায় রাগান্বিত হয়ে পড়লে তার উচিৎ সাথে সাথে বসে পড়া এবং রাগ না কমা পর্যন্ত ওই অবস্থায় থাকা। অন্যথায় তার উচিৎ শুয়ে পড়া। {আবু দাউদ ৪৭৬৪}
[নবী করিম(সঃ) এর বর্ণিত উপায়'কে বৈজ্ঞানিকভাবে বলা যায়, শান্তভাবে পাঁচ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকলে মানুষের রক্তে নর অ্যাড্রেনালিনের পরিমাণ দ্বিগুণ বাড়ে। এর সাথে সাথে অ্যাড্রেনালিনের পরিমাণও সামান্য বাড়ে। এখানে মনে রাখা উচিৎ যে, অ্যাড্রেনালিন হরমোনটি রাগ বা মানসিক চাপের কারণে বৃদ্ধি পায়। তাই এটা পরিষ্কার হয় যে, দাঁড়ানো অবস্থায় রাগলে আমাদের শরীরে এই হরমোনের নিঃসরণ মারাত্মক চাপ সৃষ্টি করে। যার নিঃসরণ আমরা বসে পড়লে অথবা শুয়ে পড়লে অনেকাংশেই কমে যায়।]

(y)   যখন কোন বিষয়ের উপর অথবা সেই বিষয় নিয়ে আমাদের রাগ প্রকাশ পায় তখন আমাদের অবশ্য কর্তব্য হচ্ছে বিষয়টি নিয়ে চিন্তা-ভাবনা সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেয়া। যতটুকু পারা যায় সেই চিন্তা থেকে দূরে থাকা।
(y)  আমরা ক্রমশ রাগান্বিত হতে থাকলে অন্য কিছু যা ইতি বাচক তার দিকে গভীর ভাবে মনো নিবেশ করা জরুরী।
(y)  অনেকটা মেডি টেশানের মতই, গভীর ভাবে শ্বাস নেয়া বারংবার; যা কিছু সময়ের মধ্যেই হয়তো শান্তি এনে দিতে পারে।
(y)  নিজের মনকে বোঝানো এবং সেই সাথে মনে মনে বারবার বলা, 'শান্ত, ধৈর্য ধরো,(যখন গভীরভাবে শ্বাস নিচ্ছেন আর ছাড়ছেন)।
(y)  এমন কিছু দৃশ্য, স্মৃতি, ঘটনা মনে করা যা ক্ষণিকের জন্যে হলেও স্বস্তি দিতে পারে। ঠোঁটের কোণে একটু হাসির আভাস দেখা যায় যাতে।
(y)  কিছুক্ষণ একা থাকা। হাঁটা হাটি করতে পারেন অথবা ছোট খাটো কোন এক্সার সাইজ।
(y)  নিজেকে বোঝানো, রাগ কোন কিছুরই সমাধান হতে পারেনা। তবে যেকোন সমস্যারই একটা সমাধান আছে এবং একটু শান্ত হয়ে ভাবলেই যা অবশ্যই সম্ভব।
(y)  মন একটু শান্ত হলে; যে বিষয় বা যার উপরে রাগ তা সত্যিই কি ঘটেছিলো তা যাচাই করতে পারেন। নিজের ভুল হলে তা শুধরে নিতে পারেন।

রাগকে অনুরাগে আনুন সবাই সুস্হ্য থাকুন -{@

0 Shares

২৫টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ