প্রথমেই বলে নিই আমি সব ধর্ম কে সমান সম্মান করি ।
নিজেকে দিয়েই বলি
এখন চলছে পবিত্র রমজান মাস ।
দিনের বেলা পান আহার বন্ধ বা নিষেধ ।
এতে বিশেষভাবে সমস্যায় পড়ছে আমার মত অমুসলিম ব্যাচেলর রা । দিনের বেলা রান্না বন্ধ হওয়ার দুপুরের খাবার প্রায় দিনই খেয়ে বা না থাকতে হয় । আবার হোটেল গুলোতেও একই অবস্থা । দুপুরে ভাতের ব্যাবস্থা আছে কিনা সেটাও শুনতে হয় বেশ নিরবে যেন বেশী লোক না জানতে পারে ।
এরপরও যদি অনেক দূরে কোথাও হিন্দু হোটেল পাওয়া যায় সেখানেও সমস্যা । দোকানীর ভুলে বা বাতাসে যদি হোটেলের বোরকা সামান্যতম উন্মুক্ত হয়ে যায় তখন ই সুমধুর কন্ঠে শোনা যায়
ঐ মালুর বাচ্চা পর্দা ঠিক কর , তোদের দোকান বন্ধ করে দেয়াই উচিত ।
কিন্তু দুপুর থেকে রাস্তার সামনে লোভনীয় ইফতার সাজিয়ে রাখলে কোন সমস্যা হয় না ।
আপনি হয়তো বলবেন সবাই এমন নয় । হ্যাঁ অবশ্যই আপনি ঠিক বলছেন । আমি আপনি হয়ত এমন নই কিন্তু এমন লোক যে একেবারেই নেই এটা কিন্তু ভুল । এমন দু একজন অবশ্যই আছে । দুধের মাঝে এক ফোঁটা গো মুত্র পড়লেও সেটা দূষিত । আমি আপনি ঐ একজনের দোষে অল্প হলেও দোষী । কারণ আমরা যদি তাৎক্ষণিক ভাবে ওদের প্রতিবাদ প্রতিরোধ করতাম তাহলে ওদের সাহস এবং সংখ্যা অনেকাংশে ই কমে যেত । তাই আমরাও প্রত্যক্ষ না হোক পরোক্ষভাবে দায়ী ।
মেয়েদের সব সময় বোরকা দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে কারণ উহারা তেঁতুলের ন্যায় লোভনীয় বস্তু।
রোজার মাসে পুরো দোকানটাই বোরকা দিয়ে ঢাকতে হবে কারণ খাবার লোভনীয় ।
কিন্তু কখনোই নিজের চোখ কে নিজের কামনা বাসনা কে নিয়ন্ত্রণ করা যাবেনা !!!
সারা পৃথিবীর সব লোভনীয় বস্তুকে বোরকা না পরিয়ে নিজের মন চক্ষু কে খারাপ চিন্তা থেকে বিরত করা যাবেনা !!!
জুতা আবিষ্কারের গল্প বোধকরি সবাই জানেন । রাজা তার পায়ে ময়লা না লাগানোর জন্য কত কিছুই না করলেন । এমনকি শেষ পর্যন্ত পুরো রাজ্য টা চামড়া দিয়ে ঢাকার ব্যাবস্থাও করা হল । কিন্তু চামড়া দিয়ে পুরো রাজ্য ঢাকার চেয়ে নিজের পা টা ই চামড়া দিয়ে ঢাকা বেশী বুদ্ধিমানের কাজ । যে বুদ্ধি রাজার মন্ত্রী রা দিতে পারল না । সেই বুদ্ধিটা দিয়েছিল একটা মুচি বা চামার ।
আমরা কি ঐ পুরনো গল্প থেকে এতটুকু শিক্ষা নিতে পারি না ???
সু খবর
এন্ডুয়েড ইউসার রা ফ্রি খেলা দেখতে জিপির 3g একটিভ করে এই rtsp://10.165.58.54:1935/live/wc7?TOKEN=GP1403970610487 এড্রেসে যান আর বিশ্বকাপ উপভোগ করুন ।
৩২টি মন্তব্য
মোঃ মজিবর রহমান
দাদা উগ্র কিছু বা ব্যাতিক্রম কিছু থাকবেই এটা সবসময় অতীত, বরতমান ও ফিউচারেও থাকবে কেমন।
সঞ্জয় কুমার
ঠিকই বলেছেন
মা মাটি দেশ
এ দেশে আমরা সব ধর্মের লোকের সাথেই সহমত সহযাত্রী হিসাবে জীবন চালাই মানুষ হিসাবে এটাই নিয়ম।রোজা হলো অন্য ক্ষুধার্থ মানুষের ক্ষুধার যন্ত্রনাকে নিজের মনে ও প্রানে অনুধাপন করা।সুতরাং এটা হিন্দু ধর্মেও আছে।এক দেশের বুলি অন্য দেশের গালি ভেবেই আমাদের অনেক অপ্রীতিকর ঘটনাও মেনে নিতে হয়।ধর্মে রমজানে যেহেতু মুসলমানদের দিনের বেলায় পানাহার প্রকাশ্যে নিষেধ এটা মানতেই হবে প্রত্যক মুসলমানকে এখন আপনি যদি অন্য ধর্মের হন আর অন্যের ধর্মের প্রতি সহযোগিতার ভাব থাকে তবে আপনার মন বিবেকই বলে দিবে আপনার কি ভাবে চলা উচিত।এতে কোন ব্যাখ্যার দরকার নেই। -{@ (y)
সঞ্জয় কুমার
দেশ তো একটাই । এখানে ভাষা বিকৃতি র কোন সম্ভাবনা দেখছি না । । বুবুলি আর গালিতে অবশ্যই ফারাক আছে । । সহযোগী তা করা মানেই নিজে অপমানিত নির্যাতীত হওয়া নয় । । আমি শুধুমাত্র দৃষ্টি ভঙ্গি বদলানোর কথা বলেছি
সঞ্জয় কুমার
এখনে কোন গালি টা বুলি হিসাবে ব্যাবহার হয় ??? দয়া করে জানাবেন । জ্ঞানের সিমাবদ্ধতার কারণে আমি বুঝতে পারছি না । আমার মনে হয় আপনি পুরো লেখাটা ভালভাবে পড়েন নি । শেষে আমকেই আবার ঠিকমত চলতে বলেছেন । ব্যাপারটা এমন যার ঘরে চুরি হয়েছে দোষ তারই । চোর ব্যাটা ভালো মানুষ@মা মাটি দেশ
ছাইরাছ হেলাল
যেখানে যেমন সেখানে তেমন নিয়ম মানাই নিয়ম ।
কিছু অসামঞ্জস্যতা থাকে ,তা আমাদের এড়িয়ে যেতেই হয় ।
সঞ্জয় কুমার
তাহলে আর আইন সবার জন্য সমান কথাটির তাৎপর্য থাকল কোথায়???
ছাইরাছ হেলাল
আপনি তো অন্য দিকে নিয়ে যাচ্ছেন আলোচনা ।
আপনি বলুন এ সমস্যার সমাধান কী ? পিন পয়েন্ট আলোচনা চাই ।
আজিম
বিতর্কটা আর বাড়তে দেয়া উচিত হবেনা।
কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি কামনা করি।
ছাইরাছ হেলাল
সে তো খুঁচিয়ে কথা বলছে ।
সঞ্জয় কুমার
পুরো লেখাটা সম্পূর্ণ পড়লেই সমাধান পেয়ে যাওয়ার কথা । আমিও কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি । লেখা অপ্রাসঙ্গিক হলে আমাকে আই পি সহ ব্যান করা হোক । ।
ফরহাদ ফিদা হুসেইন
হিন্দু হোটেল জিনিশটা কি? ফাইজলামির সীমা থাকা উচিৎ। বেয়াদবি করবেন আর থাপ্রা খাইলে কইবেন ব্যাবহার ভালো না তাহলে তো হইলো না।
শাহ আলম বাদশা
সহমত কিছু কথার সাথে। তবে আপত্তিকর কিছু কথাও বলেছেন বোরকার বিরুদ্ধে। ফলে আপনি নিরপেক্ষতার সীমা লংঘন করেছেন।
তবে মুসলিম নামধারী আছে যারা হারাম ও নিষিদ্ধ গালাগালকে বেশ রপ্ত করেছে–আসলে তারা মুসলিম নয় ইসমাওমতে-তারা মুনাফিক-যারা জাহান্নামে যাবে বলেই হাদীসে আছে।
আমি হলে অবশ্যই প্রতিবাদ করতাম। আর ইসলামে কিন্তু বলা নেই কোথাও যে, খাবার দোকান রোজার মাসে বন্ধ বা ঢেকে রাখতে হবে। সরকারও নির্দেশ দেয়নি। যদি তাই হতো তবে দোকান ঢাকা নয় বন্ধই থাক্তো।
বেচাকেনা কম হবে বলেই অনেকে এমন কাজ করে। এটা ইসলামের দোষ নয় ভাই–আপনারাও আমার মতো যদি অন্যধর্মের ধর্মগ্রন্থ পড়তেন–জ্ঞান বাড়তো। কেননা আপনি সত্য ও বাস্তবতা তুলে ধরলেও অনেকেই একে ইসলামবিরোধী বলার সাহস দেখাবে; অথচ এরা ইসলামের দুর্নামই করছে।
সঞ্জয় কুমার
সহমত । আমি ইসলামের বিরুদ্ধে নই ধর্মীয় গোরামীর বিরুদ্ধে ।
সঞ্জয় কুমার
কে বেয়াদবি করছে??????? mind ur language . হিন্দু হোটেল মানে যে হোটেলের মালিক হিন্দু । যাদের দুপুরে রান্না করতে মানা নেই ।
শাহ আলম বাদশা
দেখলাম একজন বেয়াদব বলেছেন যা সমর্থনযোগ্য নয় কিতু আপনারাও এভাবে বলা ঠিক নয়। হিন্দু হোটেল আছে আমি বিদেশেও দেখেছি। পাকিস্তানী, মুসলিম হোটেলও দেখেছি। আপনার আরো শান্ত ও নিরপেকশ হলে আপনার সুন্দর ও কিছু সত্যকথার সাপোর্ট পেতেন আমার মতোই ভাই
সঞ্জয় কুমার
সবসময় সবাই আমাকে সমর্থন করবে এটা আমিও আশা করি না । মত বিরোধ থাকতেই পারে ।
জিসান শা ইকরাম
ভালো একটি পোষ্ট এটি ।
রমজানে হোটেল জোড় করে বন্ধ রাখার পক্ষপাতি আমিও নই ।
এটি ঐচ্ছিক , কেউ ইচ্ছে করলে বন্ধ রাখতে পারেন , কেউ খোলা রাখতে পারেন।
হোটেল বন্ধ রাখলে , শুধূ অন্য ধর্মের মানুষদের সমস্যা হয়না , সমস্যা হয় শিশু , অসুস্থ মানুষদেরও ।
যাদের খাবার দেখলে জিবে লোল এসে যায় , তাঁরা সারাদিন বাসায় বসে থাকলেই পারে ।
অনেক রোজাদার আছেন যাদের রোজা অনেক দৃঢ় , সহজে ভাঙ্গবে না ।
এমন পোষ্ট দিলে , ঠাণ্ডা , বুদ্ধি দিয়ে জবাব দিতে হয় ।
সমালোচনা আসবেই এমন পোষ্টে ।
মন্তব্য এবং এর জবাব এ সহিষ্ণুতা কাম্য ।
শাহ আলম বাদশা
আল্লাহ বরং রোজাদার সামনে খাবার সাজিয়ে ইফতারের আশায় যখন বসে থাকে, তখন খুব খুশি হয়ে ফেরেস্তাদের কাছে গর্ব করে বলে–দেখো, আমার বান্দা কেমন আল্লহভীরু এবং ধৈর্যশীল যে, খাবার দেখেও খাচ্ছেনা?
আমাদের দেশে এসব কুসংস্কার ভাই, রোজা মানে ব্যবসায় বন্ধ নয়–খাবার রান্না বন্ধ নয়–তাহলেতো আমাদের বাসায় ছোটদের রান্নাও বন্ধ করতে হবে—
সঞ্জয় কুমার
ধন্যবাদ @ইকরাম ভাই
পুষ্পবতী
রমজান মাসে দোকান পাঠ বন্ধ রাখতে হবে বা পর্দা দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে তা হাদিসে নির্ধারিত নয় বা ইসলাম ও তা নির্দেশ দেয় নাই।এইসব কাজ দোকানদাররা করে তাদের নিজের ইচ্ছায়।পর্দা নিয়ে আপনি যা বলছেন তা আপনার উচিত হয়নাই।তাই কোন কিছু না জেনে কোন বিষয়ে কথা বলবেন না।
খাবারের দোকানের পর্দা নিয়ে বলছেন হয়তোবা এমন অবস্থার সম্মখীন হতে হয়েছে তাই। কিন্ত বোরকা নিয়ে এমন বাজে কথা বলার আগে আপনার ভাবা উচিত ছিল।আপনার লিখার ভাব দেখে মনে হলো ইসলাম ধর্মের প্রতি আপনি ইঙ্গিত করেছেন। তাই ইসলাম সম্পর্কে সম্পুর্নরুপে ধারণা নিয়ে তারপর লিখবেন।
শাহ আলম বাদশা
সহমত–আমিও সেই পরামর্শই দিয়েছি
মোঃ মজিবর রহমান
আমার কারোঁ বিরুদ্বে নয়। ধরমভীরু যদি হন তবে, একটু সংযত ভাবে চললেই হল। আমার মনে যদি খদাভীরু থাকে তবে আমি অবশ্যই রজা, নামাজ ও ধর্মীয় কাজ করবই যেখানে যে অবস্থায়েই থাকিনা কেন। ধরমবিদরা যদি মানুষের আত্ত্বায় ধরময়াবলিয় সকল কাজ প্রচার করে আর সবাই যদি ধর্ম পালন করে তবে কোন সমস্যা হয়ার কথা না। আর কোন ধরমের ব্যাবহারী জিনিস বা পোশাক নিয়ে বলাও ন্যায় সংগত নয় ও কতুক্টি বলে মনে করি।
সনাতন ধর্মীয় কোন কাজের সময় তার সামনে যদি বিরুদ্ব কাজ করি তখন কি ভাল লাগবে? মতেও না। তবে এই তর্ক না বাড়িয়ে শেষ করাই শ্রেও বলে মনে করি।
সঞ্জয় কুমার
সহমত@বাদশা ভাই
সঞ্জয় কুমার
আমি কি কখনো ইসলামের বিরুদ্ধে কিছু বলেছি । পর্দার প্রয়োজন আছে কিন্তু পর্দাই শেষ সমাধান নয় । পর্দা থাকবে কিন্তু এর সাথে মনকেও সংযত রাখতে হবে । আমি বলব আপনি কষ্ট করে আর একবার লেখাটি পড়ুন । । কাউকে বা কোন ধর্ম কে অপমান করা আমার উদ্দেশ্য নয় । @পুষ্প আপু
মশাই
অনেক ভাল পোষ্ট, রমজান মাসে দোকান পাট বন্ধ রাখতে হবে এমন হয়তো পবিত্র কুরআন অথবা হাদিসে লেখা নেই। উপরের কয়েকজনের মত আমিও তাকে কুসংস্কার বলেই বলছি। রোজা শুধু পানাহার থেকে বিরত থাকার নামই না। এতে প্রতিবাদ করা হোক, জিশান ভাইয়াও বলেছেন এতে অনেক সময় শিশু, অসুস্থ মানুষদের ভোগান্তি পোহাতে হয়। ধন্যবাদ পোষ্টের জন্য, সচেতনা সৃষ্টি হোক আমাদের সমাজে সেই কামনা আমি করি তবে তার আগে নিজে সচেতন হয়ে তারপর।
তবে সাহেব পোষ্ট কিন্তু খোচানো টাইপের হয়েছে। কেউ যদি কাউকে বলে I Eat Rice মানে কি? তাহলে সহজভাবে “আমি ভাত খাই” না বলে “আমার শ্বশুরের মেয়ের জামাই স্বিদ্ধ ধান গাছের খোসা ছাড়ানো ফল খাই” বললে যেমন হয় ঠিক তেমন হয়েছে। এই পোষ্ট আপনার মনের ভিতর জন্ম নেওয়ার কারণ আমার কিছুটা আঁচ করা আছে। যাইহোক বেশি কিছু বলব না কারণ ধর্ম ও রাজনৈতিক পোষ্ট আমি বরাবরই এড়িয়ে যাই। আসলাম শুধু আপানর একটা আহ্বানে, শেষ লাইনে বলেছেন যে “আমরা কি ঐ পুরনো গল্প থেকে এতটুকু শিক্ষা নিতে পারি না ???” হ্যাঁ পারি তবে এমন শিক্ষার দরকার নেই যা অর্ধ লব্ধ করেই আঁতেল সেজে যাব।
ভাল থাকুন।
সঞ্জয় কুমার
ধন্যবাদ লেখাটা একটু বেশী আক্রমণাত্নক হয়ে গেছে মনে হয় । । আসলে ক্ষুধার্থ অবস্থায় রাগীও মনে হয় একটুষে বেড়ে যায় । সাথে যদি থাকে আবার জ্বালাময়ী গালি মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
মশাই
ক্ষুধার্ত? কিসের ক্ষুধার কথা বলছেন? ভোজনের? যদি ভোজনের হয়ে থাকে তাহলে পরে আবার আসব।
অজানা এক পথে চলা
এক ধর্মের মানুষের প্রতি অন্য ধর্মের মানুষের শ্রদ্ধা বোধ থাকাটা উচিৎ । একজন রোজাদার মুসলিমের সামনে বসে কিছু খাওয়া উচিৎ নয় । দোকান পাট জোর করে বন্ধ রাখার পক্ষপাতি নই আমি ।
সঞ্জয় কুমার
ধন্যবাদ আপনাকে
মোঃ মজিবর রহমান
”মেয়েদের সব সময় বোরকা দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে কারণ উহারা তেঁতুলের ন্যায় লোভনীয় বস্তু।
রোজার মাসে পুরো দোকানটাই বোরকা দিয়ে ঢাকতে হবে কারণ খাবার লোভনীয় ।
কিন্তু কখনোই নিজের চোখ কে নিজের কামনা বাসনা কে নিয়ন্ত্রণ করা যাবেনা !!!
সারা পৃথিবীর সব লোভনীয় বস্তুকে বোরকা না পরিয়ে নিজের মন চক্ষু কে খারাপ চিন্তা থেকে বিরত করা যাবেনা !!!”
সঞ্চয় বাবু, তেঁতুলের সাথে তুলনার জন্য আহমদ সফি হুজুরকে কম বেগ পয়াতে হয়নি।
আমি কারমাইকেল কলেজে পড়েছি, জুম্যারদিনে নামাজ পড়িতেছি একদিন ইমাম সাহেবের বক্তব্য এই যে, ” মেয়েরা স্বাভাবিক বা শরীর আবৃত ভাবে যদি চলাফেরা করে তবে স্বাভাবিকভাবেই মানুষের কামভাব নজর দৃষ্টি কম জাগ্রত হবে এটা কিন্তু আমার নিকট বাস্তব ও স্বাভাবিক একটি তকমা। তিনি উদাহরন দিলেন, একটি মেয়ে যদি তার বক্ষদেশ ভালভাবে আবৃত না করে চলাফেরা করে তবে মাংস কেটে ভ্যানে করে বহন করার সময় জেভাবে নড়াচড়া করে তাতে মানুষের দেখেই থল্মল ভাব জাগ্রত হতে পারে। এটা কি স্বাভাবিক নয়। আমরা খেলা দেখছি অনেকে মেয়েদের উলঙ্গ দ্যান্স দেখার অপেক্ষয়ায় থাকি, তাই নয় কি? নিজের মনকে বলুন সামনে যদি আপনার প্রিয় জিনিস থাকে আপনার লভ হতেই পারে।
আর একটি উদাহরন দিছি, একটি বইয়ে পরেছিলআম জেটি, ১৯৪৭ দেশ ভাগের লড়ায়ের উপর, বাদল, দীনেস, কাত্তিক তিনজনকে গ্রেফতার করে শারিরিক ও মানসিকভাবে নির্মম অত্যাচার করআর জন্য অনশন করছিল, এই মুহুরতে যতক্ষন কন তথ্য না পেয়ে তাদের সামনে লভনীয় খাবার রাখাহয়েছিল। লভ সামলাতে পারবেনা বিধায় তারা খাবার প্রসাব করে রেখেছিল। যদিও এখানে আর আপনার বরননার অনেক অফাত তার পরও মিলিয়ে দেখুন কত টুকু যুক্তি যুক্ত বোরখা এখানে তেনে আনা।
সঞ্জয় কুমার
যে সব লাইন গুলিতে বিষ্ময় চিহ্ন !!!
দেয়া আছে ওগুলো বিশেষ ভাবে আমি কিছু ম্যাসেজ দিয়েছি । কেউ বুঝেছে কেউ বোঝেনি ।
যাই হোক পর্দা নিয়ে বিশেষ কিছু বলার নেই পর্দা মানুন সাথে মনের পর্দা টাও জোরদার করুন ।
হোটেলের পর্দা সামান্য আগলা হলে সমস্যা । কিন্তু দুপুরের পর খাবারের পসরা সাজিয়ে উন্মুক্ত করে রাখলে সমস্যা নেই ।
নিজের সংযম শক্তি ঈমান শক্তি আরও জোরদার করুন খাবারের পসরা দেখে লোভ আসার আগেই দৃষ্টি কে সংযত করুন ।
মেয়ে মানুষ কে মানুষ হিসাবে দেখুন মেয়ে হিসাবে নয় ।
কেউ খারাপ পোষাক পড়লে এটা তার ক্যারেক্টার । তাঁকে দেখে আপনার দৃষ্টি অবনত রাখা আপনার চারিৎত্রিক দৃড়তা ।
একটা গল্প পড়েছিলাম একটা যুবকের ঘরে একটা যুবতী এক রাতের জন্য আশ্রয় নিয়েছিল । ছেলেটি সারারাত মোমবাতির আলোর সামনে দাঁড়িয়ে ছিল । মেয়েটি সকালে যুবকটিকে জিজ্ঞাসা করল আপনি সারারাত মোমবাতির কাছে কেন ছিলেন ?
সে বলেছিলেন আমি সারারাত নিজেকে বোঝাইছি এই মোমবাতির আগুন যদি সহ্য করতে না পারি তবে জাহান্নামের আগুন কিভাবে সহ্য করব ???
আমি বারবার বলছি এখনো বলছি আমি কোন ধর্ম কে অসম্মান করতে চাই না ।
দৃষ্টি ভঙ্গি বদলান জীবন বদলে যাবে ।