যৌতুকের বলি ৫ম পর্ব

মনির হোসেন মমি ২৩ ডিসেম্বর ২০১৪, মঙ্গলবার, ০৯:৫০:৩৫অপরাহ্ন গল্প ১২ মন্তব্য

রাষ্ট্রের গুরুত্ত্বপূর্ণ বিভাবগুলোর মাঝে পুলিশ বাহিনী একটি।যার প্রধান মূলনীতি হচ্ছে জনগণের সেবা করা এবং জনগণের জান মালের নিরাপত্তা দেয়া।জনতার এই নির্ভর যোগ্য প্রতিষ্টানটির দায় দায়ীত্ত্ব বিশাল যা অন্য যে কোন বাহিনী থেকে তাদের প্রতি একটু ভিন্ন নজর থাকে রাষ্ট্র বা জনতার।পুলিশ সার্ভিসের যে সব সেবাগুলো আমরা বা জনগণ ভোগ করতে পারবো কিংবা সেবা দিতে বাধ্য থাকিবেন তা হলো -{@
(y) পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সাটিফিকেট
(y) গ্রেফতার হলে
(y) চেক ডিজঅনার হলে
(y) উচ্চ আদালতে মামলা হলে
(y) শ্রম আইনের সহযোগিতায়
(y) যান বাহনের মামলা
(y) ইন্টারপুলের সমস্যা
(y) বিদেশ গিয়ে বিপদে পড়লে, সোনেলার অনেক বিদেশ বিভূইয়ে বন্ধুদের জন্য দরকারী লিং
(y) ফায়ার সার্ভিস এবং সিভিল ডিফেন্স
(y) লাইসেন্সকৃত আগ্নেয়াস্ত্র রাখা
(y) বাংলাদেশ পুলিশের তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর কার্যক্রম
(y) অর্থ পরিবহনে পুলিশী নিরাপত্তা
(y) বাংলাদেশ পুলিশ ও সিটিজেন চার্টার
(y) কমিনিউটি পুলিশ
(y) সিটিজেন হেল্প রিকোয়েষ্ট
(y) বিভিন্ন ফৌজদারী মামলা
(y) এজহার করতে
(y) পুলিশ ব্লাড ব্যাংক
(y) পুলিশের পদ সমুহ
(y) অনলাইন জিডি পদ্ধতি নিয়ম
(y) অভিযুক্তের আইনগত অধিকার
(y) ভিকটিম সাপোর্ট
(y) ভুমি আইন,এবং বাংলাদেশ পুলিশের সাধারন কিছু আইন
এছাড়াও এই বিভাগটি ফোনের মাধ্যমেও জনগণের সেবা দিতে বাধ্য থাকিবেন........
(y)  ফোনে ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশ,
(y) ফোনে পুলিশ সদর
(y)   ফোনে সি আই ডি
(y) ফোনে ডি আই জি ও হাইওয়ে পুলিশ
(y) (y) স্বর-বর্ণ অনুযায়ী 
ব্যাঞ্জণ বর্ণ অনুযায়ী কয়েকটি সেবা

 

নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করতে ফুলী ও ফুলীর বাবা নিকটস্হ থানায় অনেক আশা নিয়েই ছুটে গিয়েছিলেন কিন্তু সেই আশা যে গুড়ে বালি হয়ে যাবে ভাবতে পারেননি ফুলীর বাবা অবশেষে ভয়ে সাধারন ডায়রী করার মনস্হ করেন।থানাটি ছিল গ্রামের অনেক ভিতরে যেখানে যাতায়াতের একটি মাত্র আধা পাকা রাস্তা।স্যাত স্যাতে ভঙ্গুর অন্ধকার যুক্ত পূর্বো পুরুষদের পুরনো ফেলে যাওয়া বিল্ডিংই এখন থানা হিসাবে ব্যাবহারিত হচ্ছে।অজোপাড়া গাওয়ের থানা হিসাবে এখানকার এই থানাটি ছিল নামে মাত্র অথচ এর সমস্ত সুবিদাই ভোগ করছেন মোড়ল রশিদ মোল্লা ।পুলিশের কর্ম কর্তারা মোড়লের ইশারাই থানাটি চালান।এ রকম থানায় পুলিশ অফিসার অনেকেই বদলি হয়ে আসতে নারাজ উপরের নির্দেশে যিনিই আসেন সেই হয় রশিদ মোল্লার তালে তাল মিলিয়ে চলতে হবে নতুবা অন্যত্র বদলি হতে হবে..এ রকম ঘটনা এ থানায় ঘটেছে বহু অবশেষে বর্তমান কর্মকর্তাটি টিকে গেল।বহু বছর যাবৎ রশিদ মোল্লার হয়ে কাজ করছেন বলে।
ফুলী,চম্পা এবং তার বাবা থানায় প্রবেশে থমকে দাড়ায়....একি অবস্হা এ কি থানা নাকি মদের দোকান।থানার সম্মুখে খোলা মাঠে দূর্বা ঘ্রাসের উপর মাদুরের পাটি বিছিয়ে আরামছে বেশ কয়েক জন সদস্য মদ,তাসের খেলায় মগ্ন।ফুলীদের ভিতরে প্রবেশ করতে দেখতে পেয়ে সবাই হা করে তাকিয়ে রইল তাদের দিকে।
ফুলীরা থানার ভিতরে প্রবেশ করতেই এক পিয়ন কিছিমের লোক তাদের দেখে বিরক্তিকর ভাব নিয়ে এগিয়ে আসেন।
-কি ব্যাপার,কি চান?কেনো আইছেন?বড় স্যার বাহিরে আপনারা কালকে আসুন।
ফুলীর বাবা কথা বলতে গিয়ে যেন পিয়ন সাহেব যেন বড় সাহেব বনে গেলেন।
-বললাম না স্যার নেই।
পিয়নের সাথে তর্ক বিতর্কের সময় থানার দারোগা সাহেব শোরগোল শুনে তার রুম থেকে বেড়িয়ে আসেন।
-কি হচ্ছে ...মতি মিয়া?
-না স্যার কিছু না...
এরই মাঝে ফুলী সময়ের সুযোগ নেন।
-স্যার আমরা একটা সাধারন ডায়রী করতে এসেছি।
-ও,,,ঠিক আছে ,এই মতি মিয়া... ওদের ডায়রীটা করে দেও।
-ওকে স্যার।
পিয়নের চোখে মুখে বিরক্তিকর অনুভূতির প্রকাশ।বাধ্য হয়ে কিছু আউট ইনকাম ছাড়াই নাম মাত্র ফি নিয়ে সাধারন ডায়রী করলেন ফুলী।এর পর থানা থেকে বের হবার সময় সামনে পড়েন আজরাঈল মানে মোড়লের ভন্ড ছেলে আকমল সাথে দু'একজন বন্ধু।চলার পথে তাদের কারো সাথে করোই কোন কথা হলো না শুধু হঠাৎ থমকে গতি মন্থর করে ফের দ্রুত প্রস্হান নেন ফুলীরা।

চলবে...

যৌতুকের বলি ৪র্থ পর্ব

কৃতজ্ঞতায়

(গল্পটি কাল্পনিক)

0 Shares

১২টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ