রেশমি মেঘেদের দীর্ঘশ্বাসে
মেঘ-চোখের জলস্রোত ঝুলে আছে, ভারী হয়ে,
ভাবে, রক্তস্রোত হয়ে গড়াবে, হয়-না গড়িয়ে পড়া।
এ আমার-ই মেঘ-জল;
দিনের ওবেলায় আকাশের গায়ে এলো-চুল মেলে
বসে আছে মেঘ, দু’জনায় কবিতা পড়বে বলে,
বিঘত চুলে, চোখ চিবুক জড়িয়ে ঢেকে যাবে
গুচ্ছ-গুচ্ছ কবিতা, বারে-বারে;
কবিতা-সন্ধ্যা
কবিতা-রাত্রি
কবিতা-সকাল,
গভীর সবুজ ছুঁয়ে জেগে জেগে স্বপ্নজাল বুনবে
ঝ’রে পড়ে ম’রে যাবে না নিরর্থ আলাপ প্রলাপ-গুঞ্জনে;
দরশে-পরশে সুখের সুখে দুঃখের দুঃখে,
চাঁদের আলোয় চিকচিকে এলো-চুলে
হাওয়ায় ভাসিয়ে চলে এসো;
এখুনি, এখানে-না-হয় ওখানে, যেখানে-খুশি,
এসো-তো, আসোই-না ঐ দিগন্তের সবুজ-ছোঁয়ায়,
ছুঁড়ে ফলে অগাধ বিশ্রান্তি, অপেক্ষা,
বরেণ্য অবিশ্রান্ততায়
সবুজ বিকেলের সোনাজলের রঙিন-মায়ায়।
১৮টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
এবার না এসে পারবেই না,
এমন আমন্ত্রন উপেক্ষা করে কিভাবে?
ছাইরাছ হেলাল
আমিও দেখি,
দেখি-না কী হয় সিস্টেমে!!
মৌনতা রিতু
মেঘ যখন গড়ায় ভাসিয়েও নিবে সব।
কবিতার শব্দমালার সুরও তখন করুণ হবে।
আবার ছেড়া নূপুরের ধ্বনির মতো রিনিঝিনি বেজেই নিরব হবে।
সন্ধ্যা, রাত্রি ও সকালের কবিতা আলাদা শব্দের জানান দিবে।
ছাইরাছ হেলাল
ভাসিয়ে নিক এটা আমাদের সবার-ই কাম্য!!
কিন্তু না-নিলেই যত সমস্যা,
সকাল, সন্ধা ও রাত্রি আলাদা বা এক হয়ে এসে শব্দ বুনলেও আপত্তি নেই।
নীলাঞ্জনা নীলা
কবিতার সাথে মেঘের সখ্যতা দেখে আকাশ নুয়ে পড়ে
গায়ে বর্ষা মাখবে বলে।
প্রদোষকালীন বিশীর্ণ চাঁদোয়া সমস্ত চরাচর জুড়ে থাকতে চায়
কিন্তু জলের ধারা থামাবে কে!
অমন মায়াবী বৃষ্টিতে রূপবতীর রূপ ঝরে পড়ে ফোঁটা ফোঁটা রুপালী জলকে ছুঁয়ে।
——কুবিরাজ ভাই এতো ভালো কুবিতা লেখা ভালু না। মন্তব্য করা কঠিন হয়ে পড়ে। বুঝেছেন? 😀
ছাইরাছ হেলাল
এসো তবে জলধারা হয়ে নব নব রূপে!!
আহে না তো!!
ল্যাখতে বহুত তেল/ঘি পোড়াতে হয়,
একটু কষ্ট-ক্লেশ করেই না-হ্য় মন্তব্য করবেন!!
আপনি নাকি এখন খুপই ভালু ল্যাখেন!! সবাই বলে,
তাই অনেক কষ্টে অনেক বেদনায় আমিও এট্টু ট্রাই করি!!
নীলাঞ্জনা নীলা
ভালো লেখেন দেইখ্যা আমারে এইভাবে পচানি কিন্তু ঠিক না।
সবাই বলে, আর আফনে কি বলেন, সেইডা তো কইলেন না?
ছাইরাছ হেলাল
সেইটা কি দিন-তারিখ দিয়ে বলতে হবে!!
সে-তো সবার আগেই বলে বসে আছি!!
আপ্নে লেডি-গুরু আপনারে কেমনে পচাই!!
আপনি ভাল লেখেন বলেই- না, আমরাও চেষ্টা করছি, আমরা তো আমরাই।
ইঞ্জা
মেঘেদের এমন সুন্দর বর্ণনা দিলেন যে, উনারা না এসে কি পারেন, এসেই গেলো।
চমৎকার মেঘ বন্দনা করলেন ভাইজান।
ছাইরাছ হেলাল
তাই-তো দেখছি, ভেসে ভেসে!!
ঐদিক দিয়ে যাচ্ছে, টের পাচ্ছেন তো ভাল করেই।
ইঞ্জা
হাড়ে হাড়ে ভাইজান। \|/
ছাইরাছ হেলাল
পাইলেই হয়, তা হাড়ে বা মাংসে যে ভাবেই হোক না কেন!!
নীহারিকা
এমন ভাবে ডাকলেন বলেই ক’দিন ধরে এসে আর যাচ্ছেই না। দুনিয়াতো ডুবায়া ফালাইলো।
তাইতো বলি যায়না ক্যান? এমন ডাক কি উপেক্ষা করা সম্ভব?
ছাইরাছ হেলাল
বড় দেইখ্যা একটা কলস দেন, সাথে দড়িও!!
নীহারিকা
যে বৃষ্টি নামাইছেন, বাড়ির সামনে গিয়া খাড়ান এমনিতেই ডুইবা যাইবেন। আমারে হুদাহুদি ফাঁসানোর কি দরকার?
ছাইরাছ হেলাল
একাকী ফেঁসে আনন্দ নেই,
দল বেঁধেই ফাঁসি!!
প্রহেলিকা
দেরি করে আসলাম নব নব কোনো খবরাখবর পাই কি না। ডাক শুনে আসলো কি আসলো না তাতো কিছুই জানালেন না।
নাকি আহ্বানের সাথে সাথে এসে ধরা দিয়েছে কে জানে। যার কারণে আবার লাপাত্তা!! এমনি বুঝি হয় ফুসলানো?
দিগন্তের সবুজে যেন আড়াল না থাকে।
ছাইরাছ হেলাল
কোনই আড়াল নেই, সব-ই ফকফকা।
খবর চালুই থাকে, তবে অন্যদের খবরাখবর পাই-ই না।
ঝড়ে-বকে অবস্থা, অন্য কিছু না।