‘ভোর’ ভাবনা

বনলতা সেন ২০ ডিসেম্বর ২০১৪, শনিবার, ০৯:৪৯:৪১অপরাহ্ন একান্ত অনুভূতি ৪২ মন্তব্য

সুতীব্র অভিযোগের শর পায়ের কাছে ফেলেছে ‘ভোর’।বুকে বিঁধিয়ে দেয়নি বলে সাকুল্যে একটিই প্রাণ আমার,তা এবারের মত রক্ষা পেল।হুট করে ফেলে যাওয়া,রেখে যাওয়া ঠিক হয়নি মোটেই।আড়ি পর্ব চলছে চলবে।ফেলে রেখে চলেই যদি গেলাম তবে এলাম কেন? না এলেই ভাল হতো।এসেই আবার ইতং-বিতং শুরু হয়ে গেল। ভোরের কথা কে আর ভাবে? যার কাছে রেখে গেলে সে এখন মেঘ বালিকা,বাতাস বালিকা,গাছ বালিকা,আরও কত কী।এই বুঝি রেখে যাওয়া?
'চল না ভোর,এই বিকেলে বসফোরাসের তীরে বসে বালি ভাঁজা বাদাম খুঁটে খুঁটে খাই'।
'হি হি,তা মন্দ হয় না। কিন্তু আড়ির কী হবে?চালু থাকবে কিন্তু।'
আচ্ছা,চালু থাকবে।
ভয় পেয়ে ভয় দেখিয়ে রেখেছিল খাঁচায় পুরে।না কোন উপদেশ,না কোন সতর্কীকরণ,না কোন জ্ঞানবানী,কোন নিষেধের আঙ্গুলের তোয়াক্কা না করেই তিতির পায়ে কায়দা করে হেঁটে এসেছি এলোমেলো পলায়নে। প্রখর রোদের বখাটেপনা এড়িয়ে,গন্ধ শুঁকে শুঁকে পিল পিল করে এসেছি চলে। হৃদয়ের স্পন্দমানতায় হাত রেখে বলছি,বুলবুলের অবিরাম গানের কথা ভেবে বলছি -তোমাকে ছাড়া কিছুতেই চলবে না।(সবজান্তা হাসি বিনিময়) আড়ি থাকবে।
সাদা আলখেল্লায় গা ঢেকে মুখভর্তি পানে সুগন্ধী দোক্তার ঘ্রাণ ছড়িয়ে দেবীরা বাতাসে ঘুড়ে বেড়ায় বুড়ির বেশে।বিষাধবোধাচ্ছন্নতায় এলোমেলো করে দেয় বসন্ত বাগান তিব্বতী স্তব্ধতায়,ছড়ায় নিবিড় নীল আগুন।
সাবধান।আড়ি আছে।

0 Shares

৪২টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ