এ কি ভুল! (অণুগল্প ৩)

নীহারিকা ১৮ মার্চ ২০১৭, শনিবার, ০৩:৫৭:১১অপরাহ্ন গল্প, রম্য ২৫ মন্তব্য

প্রচন্ড ঝড় বইছে বাইরে। সন্ধ্যা থেকে ইলেক্ট্রিসিটিও নেই। বাতাসে বাড়িঘর উড়িয়ে নেয়ার দশা। রাতের খাবারের পর সংসারের সব কাজ শেষ করে শুতে যাচ্ছিলো পিয়া। অনেক ক্লান্ত! হঠাত মনে পড়লো আজ সন্ধ্যায় ছাদ থেকে কাপড় আনা হয়নি। কাজের ব্যাস্ততায় একদম ভুলে গেছে। কিন্ত এখন কি হবে? কাপড়গুলো কি ছাদে আছে নাকি উড়ে চলে গেছে? ভয়ে ভয়ে রাকিবকে বললো ব্যাপারটা। খুব বিরক্ত হলেও রাকিব বললো, 'মোম নাও, গিয়ে দেখি।' ছাদে গিয়ে দরজা খুলতেই মোম নিভে গেলো। বিজলীর আলোয় দেখে কাপড় মেলার তার শুন্য। অন্ধকারে পুরো ছাদ হাতড়ে হাতড়ে সালোয়ার আর ওড়না পেলো ছাদের দুপ্রান্তে। কিন্ত জামা? এর মধ্যে বৃষ্টিও শুরু হয়ে গেছে। রাকিব বললো, 'ও আর খুঁজে লাভ নেই, কোথায় উড়ে গেছে কে জানে। পিয়ার মনটা খচখচ করছে। মনে হচ্ছে কেঁদেই ফেলবে। নতুন থ্রিপিসটা ক'দিন আগেই খুব শখ করে কিনেছিলো। রাকিবের মানা সত্বেও ছাদের কিনারে গিয়ে উঁকি দিয়ে দেখছিলো, পাশের মাঠে যদি পড়ে থাকে কামিজটা? হঠাৎ বিজলীর আলোয় মাঠে কালো মত কি একটা চোখে পড়তেই "পেয়েছিইইইইইইইইইইই' বলে খুশিতে চিৎকার করতে করতে সিঁড়ি দিয়ে নিচে ছুটলো কামিজ আনতে। কামিজটা ছিলো কফি কালারের। হয়তো সেটাই পড়ে আছে মাঠে। রাকিব পিয়ার পেছন পেছন ছুটতে ছুটতে বললো, 'আরে আস্তে দৌড়াও, এত রাতে তুমি বাইরে যেও না, আমিই নিয়ে আসি। বৃষ্টি পড়ছে তো!' কে শোনে কার কথা। এক দৌড়ে বারান্দার গ্রীলের গেট খুলে পিয়া পাশের মাঠে পৌছে গেছে। রাকিবও ততক্ষণে বারান্দার গেটে। কিছু বুঝে উঠার আগেই দেখে পিয়া কামিজটিতে হাত দিয়েই এক চিৎকার। হাত ঝাড়তে ঝাড়তে বারান্দার দিকে ছুটে আসছে। রাকিব ভাবছে, সাপ-টাপ নয়তো ওটা? পিয়া এমন চিৎকার করছে কেন? কাছে আসতেই রাকিব বিস্ময় নিয়ে তাকিয়ে দেখে কামিজ কোথায়, পিয়ার হাত ভর্তি যে গোবর। 🙂

(সত্য ঘটনা অবলম্বনে)

 

0 Shares

২৫টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ