আততায়ী

তেলাপোকা রোমেন ১ জুলাই ২০১৭, শনিবার, ০৩:৫৮:১৮পূর্বাহ্ন একান্ত অনুভূতি, গল্প ১৫ মন্তব্য

ভদ্রলোক সোফায় গা এলিয়ে দিয়ে টিভি দেখছিলেন। মজার প্রোগ্রাম। এই প্রোগ্রাম আমি দেখেছি। এক এক করে সব ম্যাজিশিয়ান দের সিক্রেট ফাঁস করে দেওয়া হয়। একজন তরুণীকে কফিনে ভরে কফিনেই ছোরা চালানো হচ্ছে এফোঁড়ওফোঁড় করে। কিন্তু কফিন খোলার পর দেখা যাচ্ছে তরুণী দিব্যি হাসিমুখে দর্শকের উদ্যেশ্যে হাত নাড়ছে!
রহস্য হলঃ কফিনের মধ্যে আরো একটা গোপন কম্পার্টমেন্টে ছিল। কফিনে ঢুকেই মুহূর্তের মধ্যে তরুণী ঐ গোপন কম্পার্টমেন্টে চলে যাবে। ছুরি তলোয়ার কোন কিছুই তাকে স্পর্শ করবে না।

আমার সময় খুব অল্প। আমি আমার রিভলভার বের করে দুটো গুলি করলাম জানালা দিয়ে। একটা বুকে আরেকটা মাথার পিছনের দিকে। ইনফর্মারের দেয়া তথ্য অনুযায়ী এই বাড়িতে ভদ্রলোকের একা থাকার কথা এই সময়ে। কিন্তু করিডোর ধরে দৌড়ে লিফটের কাছাকাছি যেতেই আবছায়া একটা নারীমূর্তি চিৎকার করে এগিয়ে আসছে।

আমি আরো একটা অব্যর্থ শ্যুট করলাম এবং ততক্ষণে দৌড়ে আসা নারীমূর্তিরর চেহারা স্পষ্ট। আমার প্রাক্তন প্রেমিকা। সোমদত্তা!

প্রকৃতি কতকগুলো ঘটনার একটামাত্র ছবি সাজায়। জিগস পাজলের মত। অনেকগুলো কাঠের টুকরোতে একটা ছবির বর্ণনা দেয়া থাকবে। টুকরোগুলো কখনোই এক করা যাবেনা। মানে পাজল সলভ করে ছবি সম্পূর্ণ করা যাবেনা। কিন্তু জীবনের উত্থান পতনে এই পাজলের টুকরোগুলো মাঝেমাঝে ছবির কিছু অংশ তৈরি করবে। সেই ছবির একাংশে দেখা যাবে সোমদত্তা আমার সাথে বসে বাদাম খাচ্ছে। কিন্তু ঘটনাচক্রে দেখা যাবে পাজলগুলো আবার কোন কারনে নাড়াচাড়া লেগে আরেকটা অসম্পূর্ণ ছবি তৈরি করেছে। সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে সোমদত্তা নামের সেই তরুণী আবার অন্য একজনের স্ত্রী হিসেবে রান্নাঘরে কফি বানাচ্ছে!

আবার পাজলের টুকরোগুলো অন্য কোন ঘটনায় নাড়াচাড়া লেগে আরেকটা অসম্পূর্ণ ছবি তৈরি করছে। সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে কিলিং কন্ট্রাক্টে সোমদত্তার স্বামী আমার রিভলভারের দুটো গুলিতে মারা যাচ্ছে। কিন্তু আমি জানতে পারছিনা এটা সোমদত্তার স্বামী! এবং ঐ একই ছবিতে সোমদত্তার আততায়ী আমি! এই বৃহৎ পরিকল্পনার ছবি প্রকৃতি কখনোই প্রকাশ করবেনা।

আমি সেন্ট্রাল এসির মধ্যে থেকেও ঘামছি। সোমদত্তার হাতে দৌড়ে আসার সময় কফির কাপ ছিল। সেটি ভেঙে মেঝেতে টুকরোটুকরো হয়ে আছে।

আমি ছুটে ঘর থেকে বের হলাম ভবিষ্যতের দিকে। আমাদের মনস্তত্ত্ব ভবিষ্যতমুখী। আমরা অতীতের কোন ঘটনাই মনে রাখিনা। আমাদের গন্তব্য ভবিষ্যতের দিকে। সোমদত্তার হাতের কফির কাপ একসময় রান্নাঘরে ডেস্কের উপর ছিল এই ঘটনা আমরা মনে রাখবো না। আমরা মনে রাখব সোমদত্তার কফির কাপ ভেঙে টুকরো হয়ে মেঝের উপর ছড়িয়ে আছে।

0 Shares

১৫টি মন্তব্য

  • আগুন রঙের শিমুল

    আমরা ব্রাত্য এই ব্লগে সেইটা বোঝানোর জন্যই কমেন্ট করলাম 🙂 এক সোমদত্তা রেখাটা স্পষ্ট করে দিয়েছে, যতই মানসম্পন্ন লেখা হোক তাল মিলিয়ে যারা তোমার লেখা রিমুভ করার দাবী তুলেনাই বরং তোমার পক্ষ নিছে তাদের এবং তোমার লেখা এমন কইরায় দ্বিতীয় পৃষ্ঠায় চলে যাবে। আর বানান ভুল সর্বস্ব আর প্রত্যুত্তর রে প্রতি উত্তর লেখা লেখকদের (ব্লগার ইচ্ছে করেই বল্লামনা) লেখা সপ্তাহের শীর্ষ লেখার তালিকায় ঝলমল করবে 🙂 যাইহোক প্রকৃতির বিচার অদ্ভুত … সংখ্যা নয় মানেই টিকে থাকে 🙂 নির্ভয় ভবঃ মানসিক সংকীর্ণতা আর অপরিপক্কতা আসলে কোন ওষুধে সারেনা 😉

    • জিসান শা ইকরাম

      কিছুটা দ্বিমত পোষণ করছি শিমুল ভাই। যে যার সাধ্যমত লেখে। প্রতিটি লেখকের কাছেই তার নিজের লেখা প্রিয়। আর এই ব্লগে বলতে গেলে সবাই শিক্ষানবিশ লেখক।একজন অলেখক, যার লেখা সম্পর্কে ধারণাই নেই, নিজে লিখতে পারবে এমন আস্থাই তার নেই, তাকে দিয়ে লেখা কিন্তু অনেক অনেক কঠিন। সোনেলায় যারা লিখছে তারা প্রায় সবাই এমন। কেউ হয়ত এই স্কুলের প্রাইমারীর ছাত্র বা সদ্য ভর্তি হয়েছে স্কুলে, কেউ মাধ্যমিক পর্যায়ে কেউ বা এসএসসি দিল। কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় এর যোগ্য খুব কম। তারপরেও তারা যা লিখছে, তা তাদের সর্বশেষ সামর্থ দিয়েই লিখছে এবং প্রত্যেকের কাছেই প্রত্যেকের লেখা বা অনুভুতির মূল্য আছে।

      ব্লগে বা সামাজিক সাইট সমূহে একটি বিষয় আছে। তা হচ্ছে যোগাযোগ। আমি আপনার লেখা পড়বো, আপনি আমার লেখা পড়বেন। আমি আপনাকে দেখলেই সালাম দেবো, আপনি কোনদিন আমাকে দেখে আগ বাড়িয়ে সালাম দেবেন না। এটি কিন্তু আজকাল অচল। এটি একদিন দুইদিন, একমাস দুইমাস চলতে পারে, কিন্তু অব্যাহত ভাবে মাসের পর মাস চলতে পারেনা। হুমায়ুন আহমেদ বা জাফর উল্লাহ্‌ প্রচন্ড জনপ্রিয়, এরপরেও কিন্তু তারা বই মেলায় গাছের তলে প্লাস্টিকের চেয়ারে বসে পাঠক ভক্তদের সাথে সেলফি তোলেন। খুব কাছ থেকে এসব দেখি আমি। আপনার রাজপুত্রের মত ছেলেকে আমি আমার এলাকায় আসলেই রোজ আদর করবো, আর আমার কালো অন্ধ ছেলে আপনার এলাকায় গেলে আপনি আদর তো দূরের কথা, তার দিকে অবজ্ঞার চোখে তাকাবেন এটি কিন্তু আমার ভাল লাগবে না। আমারই তো ছেলে, হোক তা সে অন্ধ, প্রতিবন্ধী, কানা। এখানে আপনার লেখা আপনার ছেলে, আমার লেখা আমার ছেলে। লেখা পড়াতে হলে অন্যের লেখাও পড়তে হবে, এর বিকল্প নেই। এই সোনেলায় বঙ্গবন্ধুর জীবনী পোষ্ট হয় প্রতি শনিবার। মন্তব্যহীন পড়ে থাকে, খারাপ লাগে দেখতে, নিয়মিত প্রায় সবাই বঙ্গবন্ধুর প্রতি অন্ধ, অথচ কমেন্ট দিচ্ছে না। একমাত্র কারণ- কতদিন আর একা একা সালাম দেবে? আশাকরি বুঝতে পেরেছেন মূল সমস্যাটা কোথায়।

      শীর্ষ পঠিত লেখার বিষয়ে একটা পোষ্ট দেব ভেবেছিলাম। কিছুটা বলি এখানেই। সোনেলার প্রায় ৮৩% ( গতমাসের হিসাব এটি, গড়ে ৭৮% ) পাঠক বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিন থেকে আসে। গুগল থেকেই বেশি। মাত্র ১৭% পাঠক সোনেলার নিয়মিত ব্লগার। এরমধ্যে গত দু মাসে যারা অধিক নিয়মিত, আমি সহ তাদের অনেকেই বিভিন্ন ব্যক্তিগত ঝামেলায় আসতে পারিনি ব্লগে। আর যেহেতু নিয়মিত ব্লগাররা কম আসেন, তাই আড্ডা টাইপের মন্তব্য কম হয়, নতুন পোষ্ট পঠিত কম হয়, একারনেই পূরাতন লেখা শীর্ষে চলে আসে, তাকিয়ে দেখুন শীর্ষ ১৫ লেখা, কয়টা নতুন আর কয়টা পুরাতন। কোন লেখা শীর্ষে ক্লিক করে দেখুন।

      বানান ভুল সর্বস্ব লেখা আসে এখানে, আগেই বলেছি স্কুলের কথা, তাই আর না বলি।
      হ্যা সামান্য প্রভাব পড়েছে নিকট অতীতের ঘটনায়। যে সমস্ত কারনে সামু থেকে একযোগে অনেক ব্লগার চলে এসে যখন সোনেলা প্রতিষ্ঠা হয়, সে একই অবস্থা, পরিবেশ যদি এখানেও আবার দেখা যায়, কিছুটা ছন্দ পতন তো হবেই। পরিবেশ অনুকুল রাখতে না পারার দায় অবশ্যই আমার।

      সকলে সুখী হোক 🙂

      • তেলাপোকা রোমেন

        @আগুন রঙের শিমুল
        @জিশান শাহ ইকরাম

        এই ব্যাপারটা আমি টের পাইঃ পাঠকদের ভোটে নির্বাচিত চিঠির সময়টাতে।
        আমি ব্যাপারটায় ডাউন ফিল করেছিলাম। হায় হায় একটা ভোট পাইলাম মাত্র!!!

        পাঠকদের বলা হয়েছিল নির্বাচন করতে। পাঠকেরা জিসান ভাইয়ের সালাম দেয়ার ব্যাপারটার মত ভোট দিয়েছিলেন।

        বানান ভুলের ব্যাপারটায় একটা কাণ্ড দেখেছিলাম। বানান ভুল করা কোন ব্যাপার না। আমি প্রচণ্ড বানান ভুল করি। কিন্তু বানান ভুল ধরিয়ে দেওয়াতে সেইটা নিয়ে ক্যাচাল হয়েছিল। এই নিয়ে দুয়েকজন ব্লগেও আসেন না!

        সোমদত্তা আসলেই একটা বিভেদ টেনে দিয়েছিল এবং বলা চলে এটার দরকার ছিল। কিছু লোকের মানসিকতা এবং মুখোশ উন্মোচনের জন্য।

        ঐ বিতর্কিত পোষ্টের কারনে আমরা দেখেছি কারা আমি আমি করে, কারা অকারনে ছোট্ট বিষয়কে খুব বড় করে ফেলেন।

        তবে আমি ক্ষমা চাইসি মুখোশ খুলে দেবার পরিবেশ তৈরি করে দেবার জন্য।

        …………………………………………………………………………..
        ^ক্ষুধার মত ভালোবাসি মানুষকে^

      • আগুন রঙের শিমুল

        জিসান দা, আমি আসলে আমিই আমি এমনই, আমি বিরাট হ্যাডম এইগুলা আসলে গুননের টাইম নাই 🙂 আপনার এবং শুন্যালয়ের সম্মান রাখতে পোস্ট এডিট কইরা দিসিলাম .. কমেন্ট এবং পোস্ট ডিলিট দেওয়ার ও কোন প্রতিবাদ করিনাই। কিন্ত তারপরও আপনাদের ( পাঠকদের) প্রিয় ব্লগার একবার স্যরি বলতে পারেন নাই – ব্লগের পরিবেশ রক্ষার্থে কিংবা অই মহিলাকে নুন্যতম ভদ্রতা শিখাতে আপনাদের উচিৎ ছিলো তাকে বয়কট করা বরং আপনারা আমাদের (রিয়াজের পক্ষে কলম ধরাদের) বয়কট করছেন 🙂 বেপান্না, আপনারা তাকে এইটুকু বুঝাতে পারেন নাই সে যে ব্যবহার করেছে সেটার জন্য তার স্যরি বলা উচিৎ। যাইহোক প্রতিবাদ হিসেবে নিজের লেখাগুলো ডিলিট করছি একে একে … একদিন নাই হয়ে যাবো, নো ওরিস হ্যাপী ব্লগিং

      • আগুন রঙের শিমুল

        বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী তে কমেন্ট যে কারণে করিনা সেই একই কারণে আমি আমি করা মহিলার কোন পোস্টে আমার কমেন্ট নাই জিসান দা, একটা বই বা বইয়ের অংশ বিশেষ হুবহু তুইলা দিলে সেইটা নিয়ে বড়জোর পাঠ প্রতিক্রিয়া হইতে পারে পর্যালোচনা করার সুযোগ কই? ইতিহাস বই থিকা পড়লাম আর টাইপ কইরা গেলাম টাইপের পোস্ট বোরিং হয়

      • জিসান শা ইকরাম

        @রোমেন,
        একটি ঘটনা ঘটার পরে আমরা যে যার অবস্থান থেকে বিচার করি। আমরা দু একজন যারা মাঝা মাঝি থাকি, তারা দুদিকের কথাই দেখি। আমার ব্যক্তিগত মতামত হচ্ছে, আপনাদের প্রতিক্রিয়া প্রয়োজনের তুলনায় একটু বেশিই হয়েছে। মশা মারতে কামান দাগার মত। এ নিয়ে ব্লগে পোষ্ট এসেছে। ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দেয়া হয়েছে কয়েকটি উপহাস করে, মন্তব্যেও তা দেখা গিয়েছে। অন্য পক্ষ আর কোন প্রতিক্রিয়া দেখাননি, তিনি থেমে গিয়েছেন।

        আপনি একটি নির্দোষ পোষ্ট দিয়েছিলেন যা সমস্যার প্রথম কারণ। একটি লেখায় যে কোন নাম আসতেই পারে। আপনি সোমদত্তা নাম নিয়ে গুগলে সার্চ দিয়ে একটি চশমার ছবি পান, তা পোষ্টে দিয়ে পোষ্ট করেছেন। এই পর্যন্ত আপনার তরফ থেকে কোণ সমস্যা ছিল না। এই পর্যন্ত আপনার অবস্থান কেউ কি জানতো? একজন ব্লগার দেখলেন তার সোমদত্ত নামের বোনের সাথে তার আপলোড করা ছবি সহ আপনার পোষ্ট। কেবল নামের মিল হলে তার কোন প্রতিক্রিয়া হত বলে আমার মনে হয় না। ্কিন্তু আসল সোমদত্তার আপলোড করা ছবি এবং নাম এর মিল দেখে সে তার বোনের কাছে বিষয়টা জানায়। আসল সোমদত্ত আপনার পোষ্টে এসে প্রতিক্রিয়া জানায়, তার প্রতিক্রিয়ার ভাষাটা শোভন ছিল না। তার মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় আপনার মন্তব্যের ভাষাও শোভন ছিল না। আমি হলে প্রথমে তাকে আমার অবস্থান বুঝাতাম, এরপর সে আমার কথা না বুঝে তার প্রতিক্রিয়া অব্যাহত রাখলে হয়ত অন্য প্রতিক্রিয়া দেখাতাম। আপনি ব্লগে আপনার পোষ্টের বিষয়ে কোন কথা না বলে, ব্লগের বাইরে আপনার শুভাকাঙ্ক্ষীদের জানালেন। বাইরে যা জানালেন, তা ব্লগে একটি কমেন্টে জানালেই ঘটনা আর এত দূর আগাত না বলেই আমার বিশ্বাস।
        সব কিছুই যে একটা ভুল বুঝাবুঝির ফলে সৃষ্ট প্রতিক্রিয়া তা আমরা মাঝামাঝি অবস্থানে থাকা মানুষজন বুঝি। আপনার সেই সোমদত্ত পোষ্টের পরে যা হয়েছে –
        ১। ব্লগে কোন ব্লগার/ লেখকের বিরুদ্ধে নাম ধরে এই ব্লগে প্রথম পোষ্ট এসেছে।
        ২। ফেইসবুক থেকে মন্তব্য করার অপশন তুলে দেয়া হয়েছে।
        ৩। ব্লগের ভিজিটর বৃদ্ধি পেয়েছে (ক্যাচালে সব সময়ই মানুষের সমাগম হয়)। কিন্তু আমরা এই সোনেলার প্রতিষ্ঠাতা গন কখনো ক্যাচাল চাইনি। শান্ত একটি পরিবেশ বজায় রাখতে চেয়েছি। তাতে ভিজিটর যদি পাঁচ জনও হয় তাতে আমাদের সমস্যা নেই। সোনেলা থেকে লাভের কোন পরিকল্পনা নেই আমাদের যাতে ভিজিটর এর চিন্তা করব আমরা।
        ৪। ক্যাচাল পছন্দ করেন না এমন কয়েকজন নিয়মিত ব্লগার ব্লগ থেকে চলে গিয়েছেন।
        ৫। ক্যাচাল পছন্দ করেন এমন দু একজন ব্লগ থেকে চলে গিয়েছেন।

        আমরা চাচ্ছি এই ঘটনার এখানেই পরিসমাপ্তি হোক।

      • জিসান শা ইকরাম

        @আগুন রঙের শিমুল,
        গুননের টাইম নাই লিখছেন বা বলছেন, কিন্তু বাস্তবে ফেইসবুকের স্ট্যাটাস আর কমেন্টে প্রমাণ হচ্ছে গুননের যথেষ্ট টাইম আছে এবং গুরুত্ব দিচ্ছেন 🙂
        আপনার কমেন্টের উদাহরন কিন্তু আমি দেইনি, আমি বলেছি নিয়মিত যারা আছেন তাদের বিষয়ে। আপনি নিয়মিত নন।
        অন্যের লেখায় না গেলে নিজের লেখায় মন্তব্য আশা করা ঠিক না। কিছুদিন হয়ত পাওয়া যাবে, একটি পর্যায়ে এসে আর পাওয়া যাবে না।
        মশা মারতে কামান তো ছোট জিনিস পারমাণবিক নিক্ষেপ করা দরকার আছে কিনা, তাও ভেবে দেখবেন 🙂
        যা হয়েছে এবং যা হচ্ছে তা অনেক হয়েছে বলে আমার ধারনা। শেষ হয়ে যাক এখানেই সব কিছু, চাচ্চি আমরা এটা।

  • নীহারিকা

    মানুষের মন সত্যিই বিচিত্র। অতীতকে আমরা মনে রাখতে চাই না। সত্যি কথা বলতে প্রকৃতিই আমাদের অতীতের কথা মনে রাখতে দেয় না। লেখাটা বেশ ভালো লেগেছে তবে আপনার হাতে সোমদত্তার খুন হওয়াটা কষ্ট দিচ্ছে। ওকে বাঁচিয়ে রাখলেই পারতেন।

    • তেলাপোকা রোমেন

      প্রকৃতির সেই পাজল টুকরোগুলো অন্যভাবে আন্দোলিত হলে সোমদত্তা মরে যেতনা।

      মনে রাখার ব্যাপারটায় একমত না। তাপগতিবিদ্যার দ্বিতীয় সুত্র বলে সময়ের সাথে আনুপাতিক হারে বিশৃঙ্খল অবস্থার সৃষ্টি হবে। চায়ের কাপ হচ্ছে সংঘটিত অবস্থা। আর চায়ের কাপের মেঝেতে ছড়িয়ে থাকাটা বিশৃঙ্খল অবস্থা। অতএব সময়ের সাথে অবশ্যই আমাদের ঐ বিশৃঙ্খল অবস্থাটা মনে রাখতেই হবে 🙂

  • মোঃ মজিবর রহমান

    আমরা মানুষ মানুষ হয়ে একেওপরের পাশে থাকব, ভুল হলে একে অপরে শুধরে নেবো।

    আপনার লেখাটা পড়েছি ১ জুলাই। কিন্তু মন্তব্য করা হয়নি সময়ের অভাবে।আপনি আপনার মতই গল্প বানান স্বাভাবিক গতিতে। ভাল থাকুন।

  • শুন্য শুন্যালয়

    পাজেলের জন্য নির্দিস্ট ছবি থাকতে হয় কিংবা নির্দিষ্ট বিন্যাসের টুকরো, নইলে পাজেল মেলানো কঠিন। এলোমেলো পড়ে থাকলেও তা যদি এক স্থিরচিত্র হয়, তবে থাক পড়ে এলোমেলো পাজেল। আপনি অনেক ভালো লেখেন রোমেন।

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ