রান্নায় আমি খুবই অলস, বিশেষ করে নিজেদের জন্য করতে। তবে অতিথি আপ্যায়ণে অস্থির হয়ে যাই। চেষ্টা করি ভিন্ন রকমের খাবার তৈরীর। এক্সিডেন্টের পর এখন রান্না মোটেও করা হয়না। এখন লং উইকএন্ড চলছে, আজ শেষ দিন ছুটির, তাই রান্না করলাম। ভাবলাম রান্নাগুলো সোনেলার সবাইকে নিয়েই খাই। বলে রাখি, আমি যখন রান্না করি, ভুণা ছাড়া আর কোনোকিছুতেই পেঁয়াজ-রসুন ব্যবহার করিনা।
ভর্তা ঃ- নিজের ঢোল নিজেই পেটাই। আমার হাতের ভর্তা এমন কেউ নেই যে পছন্দ করেনা। তাই নিশ্চিন্তে সকলেই চেখে দেখুন। ওহ আরেকটি কথা আমি চেষ্টা করি ভর্তায় একঘেঁয়েমী না আনার। তাই অদল-বদল থাকে এবং বৈচিত্র্যও।
পালং শাক ঃ- সর্ষে তেলে কালোজিরা আর ধনেপাতা দিয়ে পালং শাক ভাঁজলাম। অবশ্য পেঁয়াজ-রসুন-আদাবাটাও দিয়েছি।
ঝিঙে পোস্ত ঃ- পোস্তদানা দেশে অনেক দাম। গতবছর এখান থেকে মামনির জন্য নিয়ে গিয়েছিলাম। পোস্তবাটা দিয়ে ঝিঙে খুবই প্রিয় আমার, মামনি আর বাপির।
পেঁপে দিয়ে মাগুর মাছের ঝোল ঃ- চোখ বন্ধ করে ঘ্রাণ নিলে মনে হবে একেবারে মাংস রান্না। আমি মাছের ঝোলে পেঁয়াজ ব্যবহার করিনা মোটেও।
ভাঁপে পাবদা মাছ ঃ- ইলিশ ভাঁপে হতে পারলে, পাবদা কেন নয়? মন্দ হয়নি কিন্তু।
আলু-ফুলকপি-পনির দম ঃ- এ তরকারীটি আমার ছেলের অসম্ভব প্রিয়। আগে দেখা যেতো পনির আর ফুলকপি শেষ হয়ে গেছে, সব্জী থেকে গেছে। এমনই পাজি, দুষ্টু ছেলে ছিলো। এখন বড়ো হচ্ছে বেশ খেয়াল করে সবার জন্য আছে তো ঠিক?
মুরগী(নাকি মোরগ? 😀 ) মাখানী ঃ- নিজের মনে যেমন এসেছে তেমন করে রেঁধেছি। আজই প্রথম করলাম। তবে রেসিপি নিজের। ছেলে এসে বললো ইয়ামি। ওর জিহবার স্বাদের উপর ১০০ ভাগ নিশ্চয়তা।
লেবুপাতা দিয়ে মুশুর ডাল ঃ- আমি ডালে পেঁয়াজ দেইনা। শুধু যদি ডালভুণা করি, তাহলেই পেঁয়াজ-রসুন ব্যবহার করি। আমাদের পরিবারে শুধু ডাল রান্না হয়না। ডালের ভেতর কিছু না কিছু থাকেই। যেমন লাউ/মুলা/টম্যাটো/বাঁধাকপি/ফুলকপি এসব সব্জী থাকবেই। তেমনি লেবুপাতা থাকলে আর কোনো সব্জী দেয়া হয়না।
এতো খাবার দিলাম, এবার সকলে মিলেমিশে খেয়ে নিন। খাওয়া শেষ হলে, এই যে এখানে পানপরাগ রাখা। ভয় নেই, এতে জর্দা-চুন এসব কিছু নেই। তবে স্বাদে মন্দ লাগেনা। পান যারা খান, দিতে পারলাম না বলে মনে কিছু করবেন না। আজকের মতো এটুকুই।
হ্যামিল্টন, কানাডা
১ আগষ্ট, ২০১৬ ইং।
৫০টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
নেট থেকে ছবি নামিয়ে রান্না করেছি বলে চালিয়ে দেয়া ঠিক না।
আপনি কিচ্ছুই রান্না করতে পারেন্না, সে জানাই আছে।
বললেই হয় না, প্রমাণ দিতে হয় খাইয়ে বা ওয়াদা করে।
কবিতা কৈ!!
নীলাঞ্জনা নীলা
আপনি দেখি অনেক কিছুই জানেন!
একটা কথা বলতো বরিশালের মা, পুরুষের ভালোবাসা হলো পাকস্থলীতে। আর মেয়েদের যথারীতি হৃদয়ে। তাই প্রায় সকল নারী-ই মন দিয়ে রাঁধে তার প্রিয় মানুষটির জন্য। কানাডায় আসুন, এই হ্যামিল্টনে। রেঁধে খাওয়াতে আমি ভয় করিনা।
কবিতা আছে হার্ড ডিস্কে, মানে মস্তিষ্কের কেন্দ্রবিন্দুতে। আবেগের ভর্তাটা মাখা হোক, তারপর খাবো। কবিতা তখন আসবে।
বুঝলেন? 😀
ছাইরাছ হেলাল
ও আচ্ছা, দিন তারিখ দিয়ে আসে বুঝি।
তা ডিস্কখানায় একটু হাওয়া দিন, দুলে উঠুক,
বা সামান্য আঁচ দিয়ে তাতান, গরগর করে বেড়িয়ে আসবে,
সব কিছু গরম করে রাখবেন, এসে খেয়ে যাব,
জিভ না পুড়লেই হয়, রান্নার যা ছিরি!!
নীলাঞ্জনা নীলা
একটু বেশী ভি.আই.পি কবিতাগুলো। :p
কি আর করি বলুন! 😀
দেখি যেভাবে বললেন সেভাবেই চেষ্টা করবো রান্না করার, আপনি হলেন কবিতার ডাক্তার। আপনার প্রেসক্রিপশন নিশ্চয়ই কাজে আসবে।
চলে আসুন। শুনলাম নানা ২০১৮ সালে আসবেন এখানে। আপনিও আসুন, অবশ্যই ঠান্ডা খাওয়াবো। জিহবা পোড়ার সুযোগই থাকবে না। 😀
গাজী বুরহান
ভেতর থেকে মনের অজান্তেই একটা শব্দ আসছে “ইস!”
নীলাঞ্জনা নীলা
ইস! আমারও খারাপ লাগছে আপনার “ইস” শব্দটা শুনে। 🙁
মিষ্টি জিন
রান্নার ছবি গুলো দেখে ভেবেছিলাম যাক এবার কিছু রেসিপি পাব। বিশেষ করে ভর্তার।
ওরে ফাঁকি বাজ !!!!শুধু ছবি দিয়ে লোভ লাগিয়ে দিল..,রেসিপি চাই.., 😀
নীলাঞ্জনা নীলা
আপু ভর্তার রেসিপি খুব সহজ।
বাঁধাকপি ভর্তা রেসিপি – প্যানে ঘিঁ দিন। গরম হলে শুকনো মরিচ আর কালোজিরা ফোঁড়ন দেবেন। তারপর কুচি কুচি করা বাঁধাকপি ঢেলে দিয়ে ভাঁজুন। ওহ অল্প একটু জিরা গুঁড়া আর অবশ্যই লবণ দেবেন। তারপর হাল্কা আঁচে ঢেকে দিন। বাঁধাকপি তার নিজের জলেই সেদ্ধ হয়ে গেলে মাখা মাখা অবস্থায় রাখুন। তারপর ব্লেন্ড অথবা শিলপাটায় পিষে নিন। হয়ে গেলো বাঁধাকপি ভর্তা। তখন আবার একটু ঘিঁ আর শুকনো মরিচ দিয়ে দিন। সুন্দর গন্ধ বের হবে।
আপু আমি পরে সব রান্নার পোষ্ট দেবো। ঠিক আছে? আপাতত এটা ট্রাই করুন। 🙂
মিষ্টি জিন
বাঁধাকপি ভর্তার কথা এই প্রথম শুনলাম। আজকেই ট্রাই করবো
ধন্যবাদ আপু.
নীলাঞ্জনা নীলা
আমায় জানাবেন কিন্তু। কেমন লাগলো খেতে? বাঁধাকপির ভর্তা আরেক রকমে সকলেই করে। আমি এবারই প্রথম অন্যভাবে করেছি। মানে এই রেসিপি তৈরী করেছি নিজে। সবাই ভালো বলেছে। আশা করছি ভালো লাগবে। তবে প্লিজ জানাবেন যদি স্বাদ খারাপ লাগে।
খেয়ালী মেয়ে
ছবি দেখে তো খিদে লেগে গেলো, এবার তাহলে খাওয়া শুরু করে দিই 🙂
আপু ভর্তা আমার খুব প্রিয়, ভর্তার রেসিপি দিয়ো নেক্সট টাইম,,
নীলাঞ্জনা নীলা
পরী আপু এরপর অবশ্যই সকল রান্নার পোষ্ট দেবো।
আপাতত বাঁধাকপির ভর্তা রেসিপি দিচ্ছি।
বাঁধাকপি ভর্তা রেসিপি – প্যানে ঘিঁ দিন। গরম হলে শুকনো মরিচ আর কালোজিরা ফোঁড়ন দেবেন। তারপর কুচি কুচি করা বাঁধাকপি ঢেলে দিয়ে ভাঁজুন। ওহ অল্প একটু জিরা গুঁড়া আর অবশ্যই লবণ দেবেন। তারপর হাল্কা আঁচে ঢেকে দিন। বাঁধাকপি তার নিজের জলেই সেদ্ধ হয়ে গেলে মাখা মাখা অবস্থায় রাখুন। তারপর ব্লেন্ড অথবা শিলপাটায় পিষে নিন। হয়ে গেলো বাঁধাকপি ভর্তা। তখন আবার একটু ঘিঁ আর শুকনো মরিচ দিয়ে দিন। সুন্দর গন্ধ বের হবে।
জানিও কেমন লাগলো।
খেয়ালী মেয়ে
এখন বাজারে বাধাকপি আছে কিনা আমি জানি, কাল খোঁজ নিতে বলবো,,পাওয়া গেলে তো অবশ্যই ট্রাই করবো এবং জানাবো তোমায়,
নীলাঞ্জনা নীলা
ঠিক আছে পরী আপু। আশা করি ভালো লাগবে। আর এখন দেশে তো অসময়েও সব সব্জী পাওয়া যায় দেখলাম।
হয়তো পেয়ে যেতে পারো।
অপার্থিব
রান্না দেখে খাওয়ার লোভ জাগলো। রেসিপিটা দিয়ে দিয়েন। জ্ঞান বাড়াই, হবু বউকে ইম্প্রেস করতে কাজে লাগতে পারে।
নীলাঞ্জনা নীলা
বাহ! আপনার বৌ দেখছি দারুণ ভাগ্য নিয়েই আসছেন।
কথা দিচ্ছি এরপর রান্নার পোষ্ট দিলে সব রেসিপি দেবো।
খুশী? 🙂
নাসির সারওয়ার
বাহ, চমৎকার খাবার দাবার এবং আপনারই রান্না। নইলে কি ডালে চুল খুঁজে পেতাম!!!
নীলাঞ্জনা নীলা
ডালে চুল!!! ওটা কালোজিরা ভাসছে। আমি লেবুপাতা ডালে সবসময় কালোজিরা ফোঁড়ন দেই।
নিশ্চিন্তে খান, আজ পর্যন্ত কোনো রান্নায় আমার চুল পড়েনি। 😀
শাওন এরিক
জিভে জ্বল এসে গেলো তো….. কত কিছু রাঁধতে পারেন, বাহ! 😀
আমার মা প্রতিদিন নতুন নতুন রেসিপি আবিষ্কার করতে থাকেন। সেই খাবার মুখে নেওয়া যায় মাত্র, গিলতে মন চায়না।
আবিষ্কৃত হওয়া এতো সব রেসিপি কেন রাঁধতে চাননা সেটা কিছুতেই বুঝতে পারিনা!
নীলাঞ্জনা নীলা
ও মা তা কেন! নতূন রেসিপি তো ভালো লাগে আমার। একই ধাঁচের রান্না আমার অসহ্য।
ব্যতিক্রমী রান্না পছন্দ করি। তাই চেষ্টা থাকে নতূন কিছু করার। যেমন সকলেই ভর্তা বানাতে পারে, কিন্তু আমি চেষ্টা করি অন্যভাবে করার। তাও আমি তো কম। আমার মায়ের রান্না অসাধারণ। আর এক এক পদ রান্না করে কিন্তু ভিন্নতা থাকে। তাই খুব ভালো লাগে।
মোঃ মজিবর রহমান
চোখে দেখে খেতে ইচ্ছে জাগে থাক আর লবন হয়নি তাই খেলাম না।
(y)
নীলাঞ্জনা নীলা
মজিবর ভাই “আঙ্গুর ফল টক” তাই কি বললেন লবণ হয়নি? :p
তার চেয়ে বলুন লবণ অতিরিক্ত মাত্রায় পড়েছে। 😀
মোঃ মজিবর রহমান
কিন্তু আমার ভাগে কম পড়লত!!!!!!!!!!
:=
নীলাঞ্জনা নীলা
মজিবর ভাই ঠিক আছে আবার যেদিন রান্না করবো আপনার জন্য বেশী করে রাখবো সরিয়ে। 😀
আবু খায়ের আনিছ
রান্না করতে করতে বিরক্তি চলে এসেছে, তাই আর এই দিকে আগ্রহ নাই। না খেয়ে বাচঁতে পারলে না খেয়েই থাকতাম। খাওয়াটাই আমার কাছে বিরক্তি কর কাজ।
নীলাঞ্জনা নীলা
আনিছ ভাই কিন্তু আমরা আসলে এতোকিছু করছি খাদ্যের জন্যই। আহার নেই, জীবনও নেই।
ওই যে “ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়, পূর্ণিমার চাঁদ যেনো ঝলসানো রুটি।” 😀
আবু খায়ের আনিছ
এইটাই ত সমস্যা আপু। পৃথিবী চলে খাদ্যের সন্ধানে। যদি কোন কারণে মানুষ না খেয়ে বেঁচে থাকতে পারত তবে বোধ করি পৃথিবী এত আধুনিক হতো না।
নীলাঞ্জনা নীলা
আনিছ ভাইয়া আমরা কতো হতাশা নিয়ে শ্বাস নেই। কতো দার্শনিক কথা বলি। সবই ওই পাকস্থলী।
খুব সুন্দর মন্তব্য করেছেন আপনি। ধন্যবাদ আপনাকে।
ইঞ্জা
গরররত (ঢেকুরের শব্দ হয়েছে)। 😀
নীলাঞ্জনা নীলা
যাক আপনার হজম হলো। 😀
তার মানে রান্না ভালো হয়েছে। 😀
ইঞ্জা
(y) (y)
নীলাঞ্জনা নীলা
😀
জিসান শা ইকরাম
ভর্তা হলে আমার আর কিছু লাগেনা।
পিয়াজ ছাড়া রান্না? কেম্নে কি?
ফোনে তোমার নানিকে জানিও।
২০১৮ এর আগে দেশে এলে সব রান্না করে খাইও,
বেঁচে থাকলে ২০১৮ জুনে কেনাডা গিয়েই খাবো 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
নানা জানি তো ভর্তা তোমার খুব প্রিয়। কানাডা আসো, সত্যি খাওয়াবো। অনেক রকমের ভর্তা জানি আমি।
আমি পেঁয়াজ দিয়ে রান্না করি শুধু ভুণা টাইপ তরকারী। ঝোলে পেঁয়াজ দেই-ই না। আর সব্জীতেও পেঁয়াজ ব্যবহার করিনা।
যখন বাসায় থাকো, নানীকে ফোনটা দিও। অনেকদিন নানীর সাথে কথা হয়না।
নানীকে কি শেখাবো? যা সব রান্না দেখি, আর বিভিন্ন টাইপ পিঠা। ইস! :p
২০১৮ সালে আসবে কানাডা? সত্যি তো? নাকি ওই গাছে কাঁঠাল, গোঁফে তেল অবস্থায় রাখছো আমায়?
কতোবার বলেছো সামনের বছর, সামনের বছর। কতো সামনের বছর যে গেলো। :@
জিসান শা ইকরাম
তোমার নানিও অনেক ভাল রাঁধুনি, সেদিন বললাম ‘ তুমি অনেক ভাল রান্না করো, তোমাকে পুরুস্কার দেবো আমি’। সাথে সাথে বলে ‘ দশ লাখ পুরুস্কার দাও 🙂 ‘। আমি বললাম এত? সাথে সাথে উত্তর ২৬ বছরে দশ লাখ মোটেই বেশি না। 🙂
আল্লাহ্ চাহেন তো ২০১৮ তে আসবো।
দোয়া করিস, সুস্থ্য থাকি যেন।
নীলাঞ্জনা নীলা
নানীকে টাকাটা দিয়ে দিও। মাত্র দশ লাখ কিছুই না। ২৬ বছর, এটা কি কম কথা!
হিসেব করলে কোটি টাকাও কম পড়ে যায়। নানী এতো কম চাইলো কেন? অন্তত ২৬ বছরে ২৬ লক্ষ টাকা চাইতো।
মেয়েরা এমনই হয়।
আমার নানা বলে কথা! সুস্থ থাকবেই। আর অবশ্যই নানীকে নিয়ে এসো। এবার অন্তত নানীকে রেখে এসোনা নানা।
অপেক্ষা করা শুরু করলাম কিন্তু। কাউন্টডাউন ২০১৬ সাল, ৩ আগষ্ট। 😀
শুন্য শুন্যালয়
এই এই এইসব তুমি রান্না করেছো? ইশ বললেই হলো? ঠিক ঠিক বলো, নইলে পালংশাকের মতো তোমার পিন্ডি রান্না করবো। আমিতো এইসব জীবনেও রান্না করিনি, চিকেন টা ছাড়া। ^:^ আর চিকেনের যেই রূপ দেখাচ্ছো, তাতে তোমার রূপের দিকে আর কেউ ফিরে চাইবেনা, আগাম সাবধান করে দিলাম।
আমাকে ভাঁপে পাবদা, আর ভাঁপে ইলিশ শিখিয়ে দাও, এক্ষুনি, নইলে সবাইকে বলে দেব এগুলো আমার রান্নার ছবি, আর জানোই তো সব্বাই জানে আমি ম্যালা গুনী, তাই সবাই আমাকেই বিশ্বাস করবে 😀
উহ্ জেলাস জেলাস। তবে আমি ভালো টেস্ট করতে পারি, সত্যি বলছি। 😀
সকাল সকাল খিদা লাগায় দিলো বজ্জাত মাইয়া।
নীলাঞ্জনা নীলা
পালং শাকের পিন্ডি চটকানো খুবই কঠিন। অতো কুচিকুচি করে কাটা তোমায় দিয়ে হবেনা। তাও নইলে পারলা, কারণ শাকের তো আর হাড্ডি থাকে না। মানুষের শরীরে থাকে। পিন্ডি চটকাবা ক্যাম্নে মাইয়া? 😀 \|/
চিকেন মাখানীর সাথে আমার রূপের তুলনা করো, তোমার সাহস তো কম না! :@
যাও শিখামু না কিছু। খাঁটি অলিভ অয়েল তেল দিলেও শিখাবো না। -:-
তবে অনেক আদর মিশিয়ে মিষ্টি করে বললে অবশ্যই শিখিয়ে দেবো একেবারে (3 -এর আবেগ মিশিয়ে। -{@
শুন্য শুন্যালয়
কুচিকুচি কইরা পুরা শ্বশুরবাড়ির নাম কামাইছি, কি কও তুমি? সেই জন্য জ্বালাও কম পোহাইনাই। আমের আচার করা লাগলে বস্তা বস্তা আদা আর পেঁয়াজ আমারই কাটা লাগতো, এত কুচি কাজের মানুষ পারতো না। 🙁
পিন্ডি মানে কী ;? আমিই তো কনফিউজড হইয়া গেলাম।
আমিতো মিষ্টি করা ছাড়া কথাই বলতে পারিনা তুমি জানোনা? দাও দাও এইবার শিখিয়ে দাও নীলু নীলু আপু।
নীলাঞ্জনা নীলা
ওরে তুমি আমের আচার বানাইতে পারো!!! আমি পারিনা ;(
কুচিকুচি করে কাটতে পারো, এইটা কয় কি মাইয়া!!! ;?
শ্বশুরবাড়ী প্রথম যেদিন রান্না করি, আমার ভাশুর ইলিশ, রুই, কৈ, কাজরী, পাবদা মাছ নিয়ে আসলেন। গুড়া মাছও এনেছিলেন অনেক। আমার জা’কে বললেন “নীলাকে দিয়ে মাছটা রান্না করাও। আর মাছটা যেনো ও নিজেই কাটে।” এটা আমার শ্বশুরবাড়ীর নিয়ম। মাছ রান্না করতে পারবো, সে ঠিক আছে। কিন্তু মাছ কাটা? ;(
আমার লক্ষ্মী-মিষ্টি-ভালো শাশুড়ী মা লুকিয়ে মাছ কেটে দিলেন। :p
যাক শোনো পিন্ডি চটকানো শব্দ দুটা শোনোনি? রাগের মাথায় বলে অনেকেই। একধরণের বকাঝকা আর কি! :p 😀
শিখিয়ে দেবো। যাও পরের পোষ্ট রেসিপি দিয়ে। অক্কে!!! 😀
হাবিব শুভ
ডায়েটে আছি। এমন ডেলিসিয়াস রেসিপি দেখে লোভ সামলাতে পারছি না। 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
এখানে যা যা রান্না সবই ডায়েট সমৃদ্ধ। আমি রান্নায় তেল-মশলা এতো কম দেই।
আমাদের দেশে সবাই ডায়েট করে না খেয়ে। কিন্তু ডায়েট করার নিয়ম ঘুম থেকে উঠেই এক লিটার জল খাওয়া। তার আধ ঘন্টা পর সকালের ভারী খাবার খাওয়া। দুপুরের লাঞ্চ সঠিক সময়ে করা। রাত আটটার পর ভারী কোনো খাবার না খাওয়া। রাতের খাবার ঘুমানোর অন্তত একঘন্টা আগে খাওয়া।
মেনে চললে কনফার্ম বডিবিল্ডার হবেন। ওহ আর ওয়ার্ক আউট করুন। বাইসাইকেল চালান, সাঁতার এবং হাঁটা-দৌঁড়।
মৌনতা রিতু
এসে দেখলাম খাওয়া দাওয়া শেষ। তাই কাইন্দালাইছি। আসার সময় আমার জন্য ও কিছু পোস্ত আনিও। পোস্ত দিয়ে কিছু পদ আমিও রান্না করি।
শুধু পানপরাগই খাই ;( ;( ;(
নীলাঞ্জনা নীলা
আহারে মনা রে, সোনারে। কান্দেনা রে।
পোস্ত অবশ্যই আনবো।
খালি পেটে পান পরাগ খেওনা আপু, পেট ব্যথা হবে।
হাসি দাও, এরপরের বার রেসিপি সহ পোষ্ট দেবো। খুশী? 🙂
মেহেরী তাজ
এতো খাবার এক দিনে খেলো কে গো শুনি? আপনি? খাদক আছেন দেখি! ;?
এতো এতো সুন্দর খাবার গুলোর ছবি পোষ্ট দিলেন আবার বলেন সোনেলার সবায় কে নিয়ে খাই! আপনি কি ভাবতেছেন আমরা খাবার দেখে মোবাইল, ল্যাপটপ এগুলার স্ক্রিনে জিভ দিয়ে চাটা দেবো! এছাড়া তো উপাই নাই!
যাই হোক আমি ছবি খাই না! দেশে আসলে রেঁধে খাওয়াবেন!
নীলাঞ্জনা নীলা
পিচ্চি আপু না গো এতো খাবার এক দিনে খাওয়ার জন্য না। আমি একসাথে পাঁচ দিনের রান্না করেছি।
আর আপনি যে কদম ফুলের পোষ্ট দিলেন, ঘ্রাণটা পেতে কতো ইচ্ছে করছে জানেন? ;(
দেশে আসলে না জানিয়ে আসতে হবে দেখছি। :p
মেহেরী তাজ
শুধু খাওয়ানোর ভয়ে আমায় না জানিয়ে দেশে আসবেন? এটা কিছু হইলো?
নীলাঞ্জনা নীলা
হাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহা!!! :D)
আমি লুকিয়ে না জানিয়েই আসবো। ঠিক আছে? 😀
ইলিয়াস মাসুদ
সব খাবার মনে রেখে দিচ্ছি কিন্তু
কি দারুণ সব খাবার দিদি………।
নীলাঞ্জনা নীলা
চলে আসুন। আপনি তো আর বেশী দূরে নেই। এলে অবশ্যই খাওয়াবো এসব।