বরফকুচির চোখ

ছাইরাছ হেলাল ৬ জানুয়ারি ২০১৭, শুক্রবার, ০৭:৪৪:১১পূর্বাহ্ন একান্ত অনুভূতি ২২ মন্তব্য

শিরদাঁড়া, জানু ও শেষে নধর গালে হাত বোলাতে বোলাতে ঘ্রাণ নিচ্ছি তরতাজা কুমারী বইয়ের,
ভাবছি শেষ পর্যন্ত পড়িয়েই ছাড়লে!! না পড়লে কী এমন হতো! পড়েই বা কী এমন হয়!! কিছু একটা হয় হয়তো!!
তবে হ্যা, চমক-ফমক ছিল, ছিল জানা-অজানা কলাকৌশল, এত্ত শিখে-ফিকে কোথায় কী এমন ফলাব!!

তার থেকে এইতো ভাল............
ছিপ ফেলে ঠায় দাঁড়িয়ে, বসে বা আধশোয়া হয়ে অপেক্ষায় থাকি,
এলো বুঝি ধাড়ী বা চিক্কন কোন মৎসরাণী,
মাছ না এলেও আসবে, এমন ভাবি,
নিত্য নিত্য নূতন চার দেই, চার ফেলি;
যাই আবার অন্য কোথাও, অন্য কোন এক নদী-পুকুর খুঁজি,
মাচা পাতি চার বানাই, চারা দেই।

বই-ফই আর পড়বো না ভাবছি
কানামাছি কানামাছি, বইয়ের নিকুচি;
চুপ চুপ, একদম চুপ,
হেসোনা হেসোনা বাঁকা দাঁতের দেঁতো হাসি
কাগজ-কলমের এই যুদ্ধ যুদ্ধ খেলায়
স্বীকার করেছি পরাজয়, হার মেনে নিয়েছি।

বইয়ের পীনবুকে কলমিছুড়িতে আঁক আর কষি না,
জ্যোৎস্না অব্দি জেগে থেকে নেশারু হয়ে ছুড়ি উন্মত্ততায়
পীনোন্নত পুঁথির বুকে বসে বসে ‘কোবতে’ আর লিখিও না।
বিষণ্ণতার বরফকুচি চোখে ঢেলে বই-টই আর পড়িই না।

0 Shares

২২টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ