ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট

ছাইরাছ হেলাল ১৮ আগস্ট ২০১৫, মঙ্গলবার, ০৬:১৭:৩২পূর্বাহ্ন একান্ত অনুভূতি ৪৪ মন্তব্য

☻কবিঃ ভেতরে আসতে পারি??

☺নন্দিনীঃ এসো এসো দুনু-মুনু দুরাত্মা, সমস্যা নেই। এত ভং ধরার কিছু নেই। কাছে এসে বসো, সাবধানে, মনে থাকে যেন।

☻কবিঃ তা ম্যাম আপনার লেখালেখি কেমন চলছে, কত দূর? ‘নুপেল’ কমিটির সাথে যোগাযোগ করে বলে দিয়েছি, ব্যাপার না কোন।

☺নন্দিনীঃ ও তাই!! তাহলে তো এবার নাকে তেল সিস্টেম চালু করাই যায়।(ভাব গতিক তো ভাল ঠেকছে না)

☻কবিঃ আচ্ছা এ দিকটায় খোট্টা-মোট্টাদের দোকান-পাট কিছু নেই?
খেতে খেতে বেশ জমিয়ে আড্ডা-ফাড্ডা দেয়া যেত।

☺নন্দিনীঃ আচ্ছা আচ্ছা খাওয়া আর আড্ডা সবই হবে, তবে তার আগে একটু কাজ কর, দেখতো, ওদিকে ওপাশে রাখা কাঁচা জালি বেতটি খুঁজে আমার হাতের কাছে এনে রাখো।

☻কবিঃ আচ্ছা দেখছি, (বেত আবার হাতের কাছে রাখতে চাচ্ছে কেন? এ দাঁতী কে বিশ্বাস করা ঠিক হবে না, অটুট ঝাঁজ, একটু দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। ইয়া আলী, বুকে ফুঁ দিয়ে নিলাম।)

☺নন্দিনিঃ এবারে আসল কথা বলো।

☻কবিঃ হুজুর, ভয়ে না নির্ভয়ে?

☺নন্দিনীঃ আমার কাছে ভয়!! মন খুলে নির্ভয়ে বল, বৎস। (ধড়িবাজ শয়তান)

☻কবিঃ আচ্ছা ভয়ে ভয়ে নির্ভয়েই বলছি। একটু লুল হতে চাই।

☺নন্দিনীঃ তা তো আছোই, এ আর এমন নূতন কী? সবাই সব পারে না, অন্য কথা বলো।

☻কবিঃ না না,আমাকে এবার পারতেই হবে, দু’ কুড়ি সমুদ্র ও নদীর চৌদ্দ গুষ্টির সব কাদা সব জল খেয়ে হলেও পারতেই হবে। করেঙ্গে ইয়ে মরেঙ্গে।

☺নন্দিনীঃ ও এই কথা! বড়ই চিন্তার বিষয়। তা স্টেশনের নাম ঠিকানা তো কিছুই জানা হলো না।

☻কবিঃ সে হবে ক্ষণ, অন্য কথা বলি। বাড়ীতে তো অনেকদিন যান-টান না, সেই যে সেবারে আমাকে সাথে নিয়ে গেলেন। তা আপনার আম্মা কেমন আছেন? শরীর পত্র কেমন যাচ্ছে? এই বয়সেও এখনও যা ফিট। আর দেখতেও মাশাল্লা।(খণ্ডে হার বাতাতি ইমারত বুলন্দ থা) আর সেই লাফাঙ্গা গাঞ্জুটি ভাই, না না, হিপ্পিটির অবস্থা কী? আমাকে সেবার মেরেই ফেলত আপনি না হলে।

☺নন্দিনীঃ ভালো আছে সবাই আল্লাহর ইচ্ছায়। আমরা আম্মার কিছুই পেলাম না, না রূপ না গুন। হ্যাঁ, ওরা আসবে বেড়াতে শীঘ্রই। লেখালেখির কী অবস্থা? (ঘটনা তো প্যাঁচ খেয়ে যাচ্ছে, বুঁঝছি না কিছুই)

☻কবিঃ চলছে দুর্বার দুর্মর গতিতে, এটি হবে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ‘মেহা কাব্য’। পৃথিবীর প্রায় সব ভাষাতেই অনুদিত হবে, গ্রহান্তরের এলিয়ানদের জন্য ও কিছু কিছু কপি পাঠানোর ব্যবস্থা থাকছে।

☺নন্দিনীঃ বুঝতে পেরেছি, এজন্যই ইদানীং কাকদের সংখ্যা বেশ কমে যাচ্ছে।

☻কবিঃ ওরা আমাদের ই স্বজাতি, তাই এদিকেই এসে যাচ্ছে। ব্যাপার না। ইয়ে, একবার আপনার আম্মার হাতের মালাইকারি রান্নার গুন-গান শুনিয়েছিলেন, এবার এলে একপেট খাইয়ে দিয়েন মনে করে। ও ভালো কথা, তা উনার ফেবু একাউন্টটি কী নামে ?

☺নন্দিনীঃ আম্মার ফেবু দিয়ে কী হবে?(বদমাইশ, পাজির পা-ঝাড়া)

☻কবিঃ কিছু না, ‘ফ্রেন্ডু’ বানাইতাম চাই।
সপাং শব্দে চকিতে জালি বেতটি কানের পাশ দিয়ে বাতাসে শিস কেটে বেড়িয়ে গেল।

☻☻কবি রিক্সায় বসে গান ধরেছে ‘হাওয়া মে উরতা যায়ে............’।

0 Shares

৪৪টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ