এই শিরোনামে কাল একটা লেখা পোস্ট করেছি । অনেকেই পড়েছেন এজন্য তাদের ধন্যবাদ জানাই । তবে আমি লেখাটি যে উদ্দ্যেশ্যে পোস্ট করেছি তা বুঝাতে ব্যর্থ হয়েছি । তাই একি শিরোনামে আমি ২য় লেখা পোস্ট করলাম ।

 

যারা ফেসবুক বা ব্লগে মুক্তচিন্তার মাধ্যমে সুখী ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ভিত্তিক দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখে তারা কোন ধরনের পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়াই এই কাজ করে । সরকার বা বিরোধী দল থেকে এদের কোন সাহায্য করা হয় না । সমাজ বা ধর্মও এদের পাশে দাড়ায় না। অনেক সময় ধর্মান্ধ সমাজ উল্টো এদের বিরুদ্ধাচরণ করে।নিজের কষ্টাপর্জিত টাকা বা বাপের টাকা খরচ করে নেট বিল দিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা এরা মুক্তিযুদ্ধ বা মুক্তচিন্তার পক্ষে কাজ করে যায়।এবং যারা মুক্তিযুদ্ধ বা ন্যায়ের পক্ষে কাজ করে তাদের বেশিরভাগেরই কোন রাজনৈতিক উচ্চাভিলাস নেই।কারো দ্বারা প্ররোচিত না হয়ে সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে এরা কাজ করে যায় ।আর আমি দেখেছি এই মুক্তমনা অনলাইন যোদ্ধাদের বেশিরভাগই বাস্তব জীবনে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও শুধুমাত্র ক্ষেত্রর অভাবে সরাসরি মানুষের কাছে সত্যের/ন্যায়ের বানী পৌঁছে দিতে পারে না। কিভাবে দেব??কোথা থেকে শুরু করব??প্রতিবন্ধকতা আসলে তা মোকাবেলার সময় পাশে কেউ থাকবে কিনা??মাঠ পর্জায়ে কাজ করার খরচ কে দেবে?? ইত্যাদি প্রশ্নগুলো খুব বেশি ভিড় করে মাঠপর্জায়ে কাজ করার সময় ।  

কিন্তু তাই বলে ছাগু বাহিনী কিন্তু বসে নেই । তাদের দল থেকেই অনলাইন হানাদার নিয়োগ দেয়া হয় ।তারা নেট বিলের বাইরেও একটা মাসিক সম্মানী পায়।শুধু তাই না সামাজিকভাবেও এদের একটা গ্যাং নিয়মিত কাজ করে যায় ।বিভিন্ন ধর্মিয় অনুষ্ঠানের নামে এরা তাদের উগ্র মতবাদ সাধারণ ধর্মপ্রাণ মানুষের রক্তে মিশিয়ে দেয়।প্রায় সব কওমি মাদ্রাসায় একমুখী শিক্ষার নামে এরা শুধু মৌলবাদই শিখায়।যেহেতু গরিব কওমি ছাত্রারা অর্থ ও কড়াকড়ির কারণে মুক্তচিন্তা ও জ্ঞান থেকে বঞ্চিত সেহেতু তারা আসল সত্য টা না জেনে মিথ্যার উপর নির্ভর করেই বেঁড়ে উঠছে । মসজিদে জুম্মার নামাজের পর বা আগে ইমাম সাহেব ছাগুদের পক্ষে সাফাই গায়।ওয়াজ মাহফিলে বক্তা চিৎকার করে ছাগুদের পক্ষে জীবন উৎসর্গ করতে বলে । সাধারণ মানুষকে বুঝানো হয় কোরআন পাঠ করা কোন ব্যাক্তি একজন মুসলমানকে হত্যা করতে পারে না । আর সাধারণ মানুষ এসব বিশ্বাস করে মুক্তমনাদের মানুষের শত্রু বা ইসলামের শত্রু ভাবতে থাকে ।

কিন্তু এই কথাগুলো যে ভুল বা তাদের যে ভুল বুঝানো হচ্ছে এটা বলার মত মানুষ তাদের পাশে নেই । তারা ভুল শিখে ভুল করে আর আমরা তাদের ছাগু,আবাল বা মৌলবাদী বলে গালি দেই । যারা অনালাইন ব্যাবহারে নুন্যতম সুযোগ থেকে বঞ্চিত, যারা স্কুলের গণ্ডী পার হয়নি । ভাতের চিন্তায় নিজের সন্তানের দিকে যারা তাকাতে পারে না তারা যদি ভুল ধারনার কারণে ভুল করে সে দোষটা  কিন্তু শিক্ষিত/স্বশিক্ষিত মানুষদের ঘাড়েই পড়ে।

 এখানে দেখার বিসয় উগ্র মৌলবাদ শেখার জন্য সব ব্যাবস্থা আমাদের সমাজেই আছে।কোন ধরনের প্ল্যান করা ছাড়াই ,সাংগঠনিক সল্প খরচে ছাগুরা তাদের মতবাদ খুব সহজে প্রচার করে যাচ্ছে । আর ধর্মিয় অনুভূতির কারণে মানুষ তা বিশ্বাসও করছে । কিন্তু সাম্যর বানী প্রচার করার জন্য কোন ব্যাবস্থা না আছে সরকারি পর্জায়ে, না আছে বেসরকারি পর্জায়ে । মন্দের ভালো আওয়ামীলীগও এ ব্যাপারে পুরা চুপ । তারা বিরোধী দল কে প্যাদাতে ও আখের গোছানর জন্য ব্যাস্ত থাকে সরকারে থাকা অবস্থায় আর বিরোধী দলে গেলে হামলা মামলার হাত থেকে বাচার জন্য পালাতে থাকে ।

কিন্তু ধর্মপ্রাণ সাধারণ অশিক্ষিত মানুষগুলোকে আলোর  পথ কে দেখাবে??? অনলাইন ভিত্তিক প্রচারণা চালিয়ে কোনভাবেই গ্রামের সাধারণ/গরিব/অশিক্ষিত মানুষের কাছে পৌঁছানো যাবে না।

0 Shares

১২টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ