ফেরার পথে যদি বলেই ফেলি,
এই-যে কুহকিনী
কার ঘাড়-মটকে এখানে এলে, এখুনি!!
শাস্ত্রীয় বিধান মেনে, ঝেড়ে ফেলে সব লোভ,
তর্পণ করো এ-ই দেবতাকে;
প্রতিমার পূর্ণতা দেবো তোমাকে,
তুমিই তা-পাবে!!
প্রণত হও চিরন্তন পরমসত্তায়,
অবিস্মিত উদারতায়, স্থির প্রজ্ঞায়,
প্রাণবন্ত মুক্তোদানার বৃষ্টি, তুমিই পাবে।
কপট কুয়াশার শিশুতোষ প্রহেলিকা
অব্যক্ত ঈর্ষা-কাতরতার অগ্নিকুণ্ড ছুঁড়ে ফেললে,
একমাত্র তুমি-ই পাবে, পুণ্যময়ী পবিত্রতা!!
অবরুদ্ধ দ্রবীভূত বুকফাটা ছটফট,
জ্বলবে-না আর দাউ-দাউ যন্ত্রণার জ্বলন;
প্রাণ-মন জুড়ানো ঐশী-আলোর-বন্ধন,
শুধু তুমি-ই পাবে!!!!
বহুরূপিনীর কূটবেশ ফেলে দিয়ে,
উন্মাতাল-ঝলমল নিমজ্জনে, জ্যোৎস্না-স্নানে এসো;
লজ্জা ভেঙ্গে পেলব ভালোবাসার উর্বর-রমণীয়-কমনীয়তায়
রক্ত-সজীবতার উষ্ণ-আবেদনে, এসো;
এসো, দেবতার অলৌকিক নগরে,
এবারের বৈশাখে;
১৭টি মন্তব্য
শুন্য শুন্যালয়
প্রণাম দেবতা। শুধু কুহকিনীরাই বহুরূপী হয়না, দেবতারাও হয়। সকল লোভ ছেড়ে আসতে দেখানো হচ্ছে আরো আরো লোভ।
বৈশাখ মাসে উষ্ণ হওয়ারই কথা অলৌকিক নগর।
তবে হাতপাখার শীতলতা ছিলো সেইই।
বছরের প্রথমদিন, আবজাব বাদ দিয়ে সুন্দর একটা লেখায় ফেরা। ভালো লেগেছে বেশি বেশিই।
ছাইরাছ হেলাল
প্রণামি-বিহীন প্রণাম!! একটু ইয়ে-মত হয়ে গেল-না!! ব্যাপার-না, আমরাই মোরা!!
দেবতারা দেবতা, তাঁরা পাপ-পঙ্কিলতার উর্ধ্বে, আলোর পথে ডাকে, ডাক দেয় মুক্তির নিমিত্তে।
আপনি জ্ঞানী-জন, সব অ-জানাই জানা,
আপনার আর্শীবাদ পয়মন্ত,
বৈশাখের ঝড়ো শুভেচ্ছা আপনাকেও।
আব্জাব ল্যাহায় আপনি মন্তব্য দেন-না, তা-তো দেখি-ই।
আগুন রঙের শিমুল
আলৌকিক সাজসজ্জা খুলে সামনে দাড়ালে কি দেখবো শেষে? ভুমিসূতা?
ছাইরাছ হেলাল
ভুমিসূতার চারপাশ মিলিয়ে দেখলে মন্দ লাগার কথা না!!
নীহারিকা
শুভ নববর্ষ ভাই।
ছাইরাছ হেলাল
আপনাকেও শুভেচ্ছা অনেক অনেক।
ইঞ্জা
কুহকিনীর জালে ধরা খেলেন তাহলে, এখন বুঝবেন নিশুতি কেন জাগে :p
খুব ভালো লাগআর কাব্য, মুগ্ধ না হয়ে পারিনা ভাইজান। 🙂
ছাইরাছ হেলাল
ধরা-তো খাইতেই চাই, ডাকাডাকি করি,
ধরে-তো-না।
আপনাকে অভিজ্ঞ মনে হচ্ছে!!
ইঞ্জা
কি বলেন ভাইজান, অভিজ্ঞতা মানে, পুরাই ডক্টরেট করছি এই বিষয়ে। :p
ছাইরাছ হেলাল
সাহসে বুক বাঁধলাম!!
ইঞ্জা
লাগার★
নীলাঞ্জনা নীলা
“এ কোন অলৌকিক আহবান কবিবর!
বিধ্বস্ত হয়ে যাওয়া কুহকী শব্দগুলোকে কেন স্বপ্ন দেখাও?”—-কবিতা হলো আবেগের জায়গা। লিখতে সকলেই পারেন, কিন্তু সকলে কবি হতে পারেন না। এতোসব কথা বলার একমাত্র কারণ আপনার কবিতা আমার খুউব বেশি ভালো লেগেছে।
শুভ নববর্ষ কুবিরাজ ভাই। 😀
ছাইরাছ হেলাল
বুঝতে সবাই পারে না, কেউ কেউ পারে!!
গুরুর ভাল লাগছে শুনলে প্রাণ ফালাফালি করে ওঠে!!
আপনাকেও শুভেচ্ছা, বেশি বেশি।
নীলাঞ্জনা নীলা
বোঝার কথা কইলাম কই! ;?
কে যে কার গুরু, এইড্যা আজও জানলাম না। 😀
ছাইরাছ হেলাল
আপনি আমার গুরু,
কতকিছু শিখেছি আপনার কাছে প্রথম, এখনও শিখছি,
বাদবাকিটুকুও শিখে নেব ফাডা-কপাল নিয়ে,
চাটিগাঁ থেকে বাহার
নীলাঞ্জনা নীলাপু লিখেছেন,
লিখতে সকলেই পারেন, কিন্তু সকলে কবি হতে পারেন না। (y)
ছাইরাছ হেলাল
আমিও তা-ই বলি সবাই কবি না,
আউল- ফাউল ল্যাখলেই কবিতা হয় না।