প্রজম্মের ঋণ শোধ০৬

মনির হোসেন মমি ১৩ আগস্ট ২০১৪, বুধবার, ১০:০৮:২৭অপরাহ্ন গল্প, সমসাময়িক ১৩ মন্তব্য

সূর্য্য সহ আরো অনেকেই টিভিতে লাইভ দেখছেন।কি বিভৎস দৃশ্য গ্রেনেডের আঘাতে ছিন্ন ভিন্ন চেনা অচেনা মানুষগুলো।রক্তে ভেসে যায় রাজপথ অল্পের জন্য হায়াতের জোরে বেচে যান টার্গেট তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী এবং বঙ্গ বন্ধুর নাম জিয়িয়ে রাখা শেখ হাসিনা।

২০০৪ সালের ২১শে আগস্ট ঢাকায় আওয়ামী লীগের এক জনসভায় গ্রেনেড হামলা, যে হামলায় ২৪ জন নিহত হয় এবং তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা সহ প্রায় ৩০০ লোক আহত হয়। এই হামলায় নিহতদের মধ্যে আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নারী নেত্রী মিসেস আইভী রহমান অন্যতম, যিনি বাংলাদেশের মরহুম রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী।এ ঘটনায় তৎকালীন চারদলীয় জোট সরকারের সাবেক উপমন্ত্রী ও বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম পিন্টু, হরকাতুল জিহাদ প্রধান মুফতি হান্নান ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ২২ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়।

সূর্য্য যেন মায়ের কথা ভূলতে বসেছেন এক সিকুরিটির ডাকা ডাকিতে সূর্য্য বুঝতে পেরে মায়ের কাছে যায়।মা এখন অনেকটা সুস্হ্য তবে ডাক্তার সাহেবরা তাকে পুরোপুরি রেষ্টে থাকতে বলেছেন।মাকে সূর্য্য বাসায় রেখে একটি রিপোটার্স মিটিংয়ে প্রেস ক্লাবের দিকে রওয়ানা দিলেন।সেখানে সকল তথ্য সরবরাহকারীদের একটি ঐক্যের ডাক দিয়েছেন সূর্য্য, তার ডাকে অনেকেই সাড়া দিয়েছেন।অনেকটা ঘরোয়া মিটিংয়ের মতন,আলোচনায় উঠে আসে দেশ ও দশের কল্যানে সাংবাদিকদের ভুমিকা কি হওয়া উচিত।উঠে আসে কিছু হলুদ সাংবাদিকদের কারনে পুরো প্রতিষ্টানটিই বদনামে পড়ে যায়।যা প্রকাশে বিদেশে এবং দেশে এ দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয় তা প্রকাশে বিরত থাকার জন্য সাংবাদিকদের অনুরোধ করা হয়।

সংবাদপত্র এবং সাংবাদিক উভয় একটি পুস্তিকা ন্যায় যা থেকে শুধু মানুষের কল্যানের কথা বলবে।কোন রকম পক্ষ পাতিত্ত্ব থাকে যেখানে,সেখানে মহৎ কোন সূ-সংবাদ থাকে না।তাই সাংবাদিকদের সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক হিসাবে তার পেশায় নিয়োজিত থাকা বাঞ্ছনীয়।সূর্য্যের বক্তিতায় উঠে আসে কিছু দিক নির্দেশনা যা দেশের প্রতি নতুন প্রজম্মের ঋণ শোধের কিছুটা স্বার্থকতা পাবে যদিও দেশ মাতৃকারে শহীদের ঋণ কখনও শোধ করা যায় না তবে একটি স্বাধীন দেশের পূর্ব শর্ত হলো রাষ্ট্রে নাগরিকদের মৌলিক অধিকারগুলোর রাষ্ট্রের যথাযথ ব্যবহার হলে শহীদ কিংবা গাজীদের আত্ত্বায় শান্তি আসে।

-সম্মানীত অতিথী বৃন্দ আমার সালাম নিবেন,উপস্হিত সাংবাদিক ভাইদের প্রতি দৃষ্টি আকর্শন করছি,আমরা দেশের জন্য কাজ করতে ঐক্যবদ্ধ যা দেশের ক্ষতিকর সে সমস্হ নিউজ পরিহার করতে হবে আর সবার লক্ষ্য থাকা চাই ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তের এই ১৬ কোটি মানুষের বাংলাদেশ সবার আগে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ছড়িয়ে দিয়ে মানুষকে দেশ প্রেমে উদ্ভুদ্ধ করতে কাজ করে যেতে হবে কাগজে কলমে মনে রাখা জরুরী কলম একটি শক্তিশালী মাধ্যম তার সঠিক ব্যাবহার সঠিক ভাবে প্রয়োগ করতে হবে।যেখানেই অন্যায় সেখানেই প্রভাবহীন মুক্ত মনের সাংবাদিক।দূর্যোগের মোকাবেলায় আমাদের আশ্রয়হীনদের পাশে সজাগ থাকতে হবে।

সিলেট,সুনামগঞ্জ,মৌলভী বাজার, হবিগঞ্জে বন্যায়(২০০৪সাল)ভেসে যাচ্ছে মানুষ গরু তাদের পাশে আমাদের ঐক্য বদ্ধ ভাবে দাড়াতে হবে তবেইতো যুদ্ধে শহীদদের আত্ত্বায় শান্তি পাবে ওরা বলবে যুদ্ধে শহীদ হয়ে দেশ স্বাধীন করে ওরা ভূল করেননি ওদের উত্তরসূরীরা আজ ওদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করছেন।তবে হ্যা রাজাকার আল বদর যাদের একাত্তুরের পর ক্ষমা করেছিল তাদের ছাড় নেই কারন স্বাধীনের এতগুলো বছরেও ওরা বাংলাদেশী হতে পারেননি,ওরা পাকিস্হানের এজেন্ডা হিসাবে এখনও কাজ করে যাচ্ছে।তাদের মধ্যে জামাত অন্যতম ভয়ংকর একটি রাজনৈতিক দল ওরা ধর্মকে ব্যাবহার করে সাধারন মানুষকে বোকা বানিয়ে পাকিদের শর্ত পূরণ করেন।ওদের কোন নিউজ পাবলিস করা যাবে না।

আমরা আমাদের যে টুকু দায়ীত্ত্ব আছে তা যদি সৎ থেকে ঐক্যতায় সঠিক ভাবে পালন করে যেতে পারি তাহলে আমাদের সহদোর সহ যোদ্ধা দম্পত্তি সাগর-রুনি সহ সকল সাংবাদিকদের মৃত্যুর বিচার করতে পারবো।ঐক্য এমন একটি শব্দ যা সকল শব্দকে এক পাল্লায় দাড় করাতে বাধ্য করে।

সর্বশেষ আমরা যে যেখানেই যে কাজেই থাকিনা কেনো…যেমন কাজ করি অর্থের জন্য তেমনি ভাবতে হবে দেশ উন্নয়নে শীতল পরিবেশ কর্ম ক্ষেত্রে বজায় থাকে..কাজের মাঝে কোন রাজনিতী নয়।যে অর্থের জন্য আপনি আমি এত পাপাচার করি তা ভোগে সময় কিন্তু আপনিও পাবেন না।মৃত্যুর পর আপনাকে পাপগুলোকে সঙ্গে নিয়ে সম্পদগুলোকে পৃথিবীতে রেখে যেতে হবে…এটাই চির সত্য।খোদা হাফেজ।

দেখতে দেখতে চলে যায় দুটি বছর সূর্য্য তার বিভিন্ন দেশ উন্নয়নের কর্মসূচীর এবং বস্তুনিষ্ট সংবাদ পরিবেশনা সফলতায় ক্রমশত এগিয়ে যাচ্ছেন হয়ে উঠেন দেশের আলোচিত রিপোর্টার।তার মধ্যে সুবিধা বঞ্চিত মুক্তিযোদ্ধাদের খুজে বের করে চোখে আঙ্গুল দিয়ে সমাজ পতিদের দেখিয়ে দিয়েছেন শুধু হুকুম আর বক্তিতায় নয় মাঠে নেমে কাজ করতে হবে।আরো একটি রাজনৈতিক বিষয়ের রিপোর্ট ভাবিয়ে দেয় দেশের দেশপ্রেমিকদের,প্রতি পাচঁ বছর অন্তর অন্তর এ দেশে জাতীয় নির্বাচন আসে প্রতি বারই জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে কিংবা বহাল সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার বছর তিনেক আগ থেকেই শুরু হয়ে যায় নির্বাচন জয়ের আন্দোলনের ইস্যুর নামে দেশে অরাজকতা বিশৃংখলার সৃষ্টি করা।যেখানে সাধারন মানুষ থাকেন আতংকে আর অকালে প্রান হারান অসংখ্য জনতা।সে সময় দেশীয় সম্পদ বিনষ্ট কিংবা বৈদেশীয় আয়ের পথটি থাকে ভঙ্গুর।

‘৯০ এর পর দেশের জাতীয় নির্বাচনে কারা কর্তৃত্ত করবেন কিংবা কি ভাবে দেশে একটি জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচীত সরকার গঠিত হবে তার একটি সুষ্ঠু সমাধানের জন্য কেয়ার টেকার সরকার নামক ব্যাবস্হাটিকে কেন্দ্র চলে দলে দলে আন্দোলন আর পাল্টা-পাল্টি রক্তক্ষয়ী সহিংসতা যা থেকে এদেশের সাধারন জনতা আজও মুক্ত হতে পারেননি।কিন্তু উপায় কি?উপায় একটাই প্রতিটি প্রতিনিধিকে সূ-শিক্ষিত সৎ এবং স্বার্থহীন ভাবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশপ্রেম থাকতে হবে।আর প্রতিনিধিদের অবশ্যই স্ব-স্ব নির্বাচনী এলাকায় বসবাস করতে হবে অথবা বাসিন্দা হতে হবে।নির্বাচনী মেন্ডেট পেতে কিংবা নির্বাচন করতে অর্থকে প্রধান্য দেয়া যাবে না।তৃনমূল থেকে উঠে আসা নেতাই পাবেন নির্বাচনী মেন্ডেট।উচ্চ মহলের নির্বাচনী মেন্ডেট পাওয়া নামক অর্থ আর প্রভাবের জুয়া খেলা বন্ধ করতে হবে।নতুবা সঠিক জনপ্রতিনিধি জনতা পাবেন না।নিরবাচনী ব্যায়ের দিকে প্রশাসনের নজর আরো প্রখড় হতে হবে।সর্বোপরি নির্বাচনের সময় এলে বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর মতন শক্তিশালী নিরপেক্ষ সকল দলের অংশগ্রহনে একটি নির্বাচন কমিশনার নির্বাচনের ব্যাবস্হা করবেন।এ রকম আরো কিছু নিয়ম তার রিপোর্টে প্রকাশ পায়।

সূর্য্য বৈকাল থেকেই মায়ের সাথে তেমন একটা কথা বলছেন না এরই মধ্যে মা রোজী বেশ কয়েকবারই কয়েকটি প্রশ্ন করেন যার একটির উত্তরই পাননি।অবশেষে মা হাতের কাজ শেষ করে সূর্য্যের মাথায় হাত বুলান।

-কি রে সূর্য্য তোমার কি হয়েছে এতগুলো প্রশ্ন করলাম কোন উত্তরই দিচ্ছ না…কি তামান্নার সাথে কোন ঝগড়া হয়েছে?

তামান্না সূর্য্যের ভার্সিটি পড়ুয়া বান্ধুবী।তামান্না সূর্য্যকে অনেক পছন্দ করেন সূর্য্যও যে তামান্নাকে পছন্দ কিংবা ভাল বাসেন না তা নয়।তবে সূর্য্যের একটিই কথা আগে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা তারপর যা কিছু একটা করা যাবে।মা ছেলের কথার মাঝে তামান্না এসে হাজির।

-কি হচ্ছে আমাকে নিয়ে, ষড়যন্ত্র।

-আরে তামান্না যে…আয় মা আয় আমি আর পারছি না তুমি দেখো সূর্য্যকে…সেই কখন থেকেই কথা বলছে না।

মা চলে যান অন্দর মহলে।তামান্নার হাতের শপিং ব্যাগ থেকে একটি সার্ট বের করে সূর্য্যকে দেয় সূর্য্য তাতে সায় দিল না।তামান্না মন খারাপ করে বসে রইল।

-আমি ভেবেছিলাম আমার টিউসনি রোজগাড়ের টাকার প্রথম উপহারটি তোমাকে দেবো,তুমি নিলে না।

সূর্য্য তামান্নাকে দেখে নিজেও অনুতপ্ত হন।নাহ্  ফেরত দিয়ে তামন্নার সাথে ব্যাবহারটি সে ঠিক করেননি।

-আগে বলবেতো,কই দাও।

তামান্নার হাতেই ছিল জামাটি তার হাত হতে স্ব ইচ্ছায় জামাটি হাতে নিয়ে খুশি মনে পরিহিত জামাটি খুলে প্রিয়ার সার্টটি পড়েন।

-দেখতো আমাকে কেমন লাগছে।খুব মানিয়েছে না।

তামান্না নিশ্চুপ।

-কি ব্যাপার আমার জান কি দিয়ে তোমার রাগ ভাঙ্গাবো বলোত।কি!কথা বলবে না।

-আমি রাগ করিনি,

তামান্না ব্যাগ থেকে একটি শাল চাদরঁ বের করেন।

-দেখোত এটা কেমন হয়েছে,এটা মার জন্য……মাকে ডাকো।

মা চাদরঁটি হাতে নিয়ে নেড়ে চেড়ে দেখে চোখের পানি ছেড়ে দেন।মায়ের এমন অবস্হায় সূর্য্য কিংবা তামান্না কি বলবেন কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না।

-তোমরা হয়তো ভাবছ আমি কাদছি কেনো।আমি কাদতে চাইনি পুরনো একটি স্মৃতি চাদরটি দেখে মনে পড়াতে চোখেঁ জল এসে যায়।

-কি স্মৃতি মা….. বলো না।

-১৯৭১ এ যুদ্ধের দামামা তখন তুঙ্গে এক দিন কনকনে শীতে গভীর রাতে হঠাৎ কিছু মুক্তিযোদ্ধা বাবা মানে তোমাদের নানু ভাইয়ের কাছে আসেন।মুক্তিবাহিনীর প্রায় সবাই শীতে কাপছিল তোমার নানু ভাই ঘরে ছিল বেশ কয়েকটি চাদরঁ আর আমার গায়ে ছিল তোমার বাবার দেয়া পছন্দের একটি শালের চাদর।সবাইকে একটি করে দেবার পর এক জনের জন্য চাদর টান পড়ে গেল।আমি আমার গায়ের সেই শালের চাদরটি দিয়ে দিলাম চাদর না পাওয়া মুক্তিযোদ্ধাকে তাতে তোমার বাবা আমাকে কিছু মন্দ কথা বলেন আমি তার উত্তরে বলেছিলাম “আমিতো কেবল তোমার শখের চাদরটি দিয়েছি আর ওরা যে নিজের প্রানটি দেশের জন্য উৎসর্গ করে দিচ্ছে”।কিন্তু সব চেয়ে বেশী মনে আঘাত লাগে যখন কিছু দিন পর জানলাম ঐ লোকটিকে পাকিরা আমার সেই চাদরটি তার পলায় বেধে গাছে ঝুলিয়ে ফাসি দিয়ে মেরেছে।

মা চোখের জল মুছেন।

-চাদরটি খুব সুন্দর হয়েছে।তুমি আবার এ সব কিনতে গেলে কেনো।

-আমার প্রথম টিউসুনির টাকা দিয়ে কিনেছি।

-তুমি যে টিউসনি করছ তোমার বাবা শুনলে রাগ করবেন না।

-যা ভাবে ভাবুক আমি কিছুই যায় আসে না।আমার মা নেই তোমার কাছে এলে মায়ের অভাবটা দূর করতে পাড়ি। আমাদের বাড়ীতে নিজেকে খুব বিরক্তিকর লাগে।বাসা সমাজের প্রতিষ্টিত ব্যাবসায়িক রাজনৈনিক বিদ….সময় নেই তার মেয়েকে স্নেহ করার তাইতো ছুটে আসি তোমার কাছে,তুমি আমাকে মেয়ে বলে মেনে নিবে না।

মা তামান্নার মাথায় হাত রেখে বুকে জড়িয়ে নেন।

-দূর পাগলি রেডিমেট মা হওয়া যে গর্ভের মায়ের চেয়ে কঠিন।তুমি আমার এক মাত্র মেয়ে তাতে কোন সন্দেহ নেই।

মা মেয়ের স্নেহ মমতার আবেগে চোখের জলে দুঃখের সাগর শুকিয়ে ফেলে ঐ দিকে সূর্য্য হা করে তাকিয়ে অনুভূতির দৃশ্য অবলোকন করে নিজেও আবেগে হারিয়ে যায়।মা সূর্য্য লক্ষ্য করে কিছুটা উপদেশ মূলক বাণী শুনান।

-ঐ হারামীটা বুঝল না মায়ের মমতা কি,ছেলে মেয়ের মুখ গোমড়া থাকলে সব বাপ মারই চিন্তা হয়।সে কখন থেকে বলছি কি হয়েছে….চুপচাপ কেনো কোন নেই।

-কি হয়েছে শুনবে,তোমাকে বললে তো তুমি আবার আমাকে রাজাকারের দলে ফালাও।আজকে দেখি  লগি বৈঠা দিয়ে তোমার গুণধর দলের লোকেরা  নিরীহ সাধারন মানুষের উপর হামলা করেছে।শুধু হামলা নয় এক জন মানুষ লাঠির আঘাতে অলরেডি ডাই তবুও তাকেই পিটাচ্ছে এ কোন দেশের বসবাস করছি যেখানে মানুষ মানুষকে এভাবে কখনও কেউ কি মারতে পারে।

-কেনো মেরেছে?

BANGLADESH-articleLarge-আওয়ামিলীগের দাবী নির্দলীয় নিরপেক্ষ লোকের কাছে মানে কেয়ার টেকার সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে।

-ঠিকইতো আছে,বি এন পি কেনো কেয়ার টেকার সরকারের হাতে ক্ষমতা ছাড়েননি।

-ছাড়েননি…ছাড়বে তাই বলে এ ভাবে দেশের মানুষকে পিটিয়ে মারবে?দেশের কোটি কোটি সম্পদ নষ্ট করবে আমি তা মানতে নারাজ।আমাদের দরিদ্র জনগোষ্টির রক্ত চোষা টাকা থেকে ওদের বেতন ভাতা সব দেয়া হয়শুধু জনগণের সেবা করতে তার বদলে আমি সব দলের লোকেদেরকেই বলছি ….তাই বলে ওরা আমাদেরকেই মেরে ফেলবে সংখ্যা লঘুদের উপর আঘাত করে রাজনৈতিক ইস্যু বানাবে?এক দিন দেখো মা স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি সহ সব রাজনৈতিক দলের নেতাকেই মানুষ ঘৃণা করবে এমনও সময় আসতে পারে ওরা পালাবার পথটিও পাবে না।এটা মন গড়া কথা নয় আমাদেরই ইতিহাস।

প্রজম্মের ঋণ শোধ০৫

 

চলবে….

0 Shares

১৩টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ