yfyfচমকি গেইট খুলে অবাক! এতো স্মার্ট মেয়ে মানুষ সে জীবনেও দেখেননি।যেমন তার রূপ তেমনি তাহার পোষাক যেনো কুড়ের ঘরে ডানা কাটা পরি এসে নামল।
-কে আপনি?কাকে চাই,কেনো কোথা থেকে এসেছেন?
মেয়েটি চোখের সান গ্লাসটি ডান হাতে নামিয়ে সদা মিষ্টি হেসে চমকির প্রশ্নের উত্তর দেন।
-এতো প্রশ্ন এক সঙ্গে,....ঠিক আছে আমি জয়া,এটা কি সূর্য্যদের বাড়ী?
চমকি মাথা নেড়ে হ্যা বলেন।
-ভিতরে আসুন,ভাইয়া খালাম্মা দুজনেই আছেন।
জয়া সূর্য্যদের ড্রইং ঘরে প্রবেশ করে দাড়িয়ে দাড়িয়ে সূর্য্যের বাবার ছবি দেখছিলেন ঠিক সেই সময় রোজী মানে সূর্য্যের মায়ের কথার সঙ্গে ড্রইং রুমে আগমন।
-ওটা সূর্য্যের বাবার ছবি,তুমি বসো।এই রে দেখতো কি কান্ড, আমি যাকে মন চায় তাকেই তুমি করে বলে ফেলি।
-না না ঠিক আছে,আমিতো আপনার মেয়ের মতোই।
-হুম,তা তোমার পরিচয়তো দিলে না।কে তুমি?
-জি মানে,আমি এসেছিলাম সূর্য্যের কাছে...এক সাথে ভার্সিটিতে পড়ি।
-ও আচ্ছা... সূর্য্য বাথ রুমে গেছে, তুমি বসো আমি তোমার জন্য চা পাঠিয়ে দিচ্ছি।
মা চলে যায় অন্দর মহলে সূর্য্য বাথ রুম থেকে সদ্য স্নান সেরে তাওয়ালে মাথার চুলের জল মুছতে মুছতে তার সমনে এসে সোফায় বসেন।
-কি খবর জয়া, তুমি এখানে?
-ভাইয়া আমি এসেছিলাম,আপনার কথা মতো যে যে ভাবে পারেন,মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সব মানুষের মনে জাগাতে হবে সেই হিসাবে আমি মুক্তি যুদ্ধের উপর একটি ডকুমেন্টরি ভিডিও তৈরী করেছি আপনি যদি তা দেখে প্রচারে ব্যাবস্থা করতেন।
-ঠিক আছে দাও,আর শোন তুমি একটু বসো আমি রেডি হয়ে আসছি।ভোট দিতে যাবো।তুমি কি ভোট দিয়েছো?
-না,ভাবলাম আপনার সাথে দেখা করে তার পর ভোট দিতে যাবো।
-ভালোই হলো.....অভি,সমরও আসছে...ওরা এলো বলে মনে হয়। তুমি বসো কেমন।এই ....চমকি তোর আপাকে চা দে....।
সমর আসবে! যা ভেবেছিলাম তাই,যাক বহু দিন পর আমাদের আবার দেখা হচ্ছে।কিন্তু দেখা হলে ও যদি রাগ করে!আমার কি দোষ জাত বিজাতের পাল্লায় আমাদের মিলন হয়নি,তাই বলে ভালবাসাতো ফুরিয়ে যায়নি।ও ভাল বাসুক আর নাই বাসুক আমি ভালবেসেছি এবং ভাল বেসে যাবো, দেখি ভগবান কিংবা ঈশ্বর ভালবাসাকে কি ভাবে হারায়"।
এমন সব ভাবনাই জয়ার মনে ঘোরপাক খেতে থাকে ঠিক সে সময় ওরা ভিতরে প্রবেশ করে।জয়াকে দেখে চলে যেতে চাচ্ছিল সমর কিন্তু অভি আটকে দেয় আর এর মধ্যে ওদের কন্ঠ শুনে সূর্য্যও রেডি হয়ে সমরকে আটকায়।
-কৈ যাবি?জয়ার সাথে রাগ দেখিয়ে লাভ নেই,পারলে বিয়ে করে ফেল...দেখি কত বড় পুরুষ তুই।
কথাগুলো বলতে বলতে সূর্য্যও সোফায় বসে শার্ট প্যান্ট ঠিক ভাবে পড়েছেন কি না পরখ করছেন কথার ছলে এরই মধ্যে অপর প্রান্তে মা চমকিকে দিয়ে সকালের হালকা চা নাস্তা নিয়ে এসে হাজির।সে অন্য এক পাশে সোফায় বসলেন।
-কার বিয়ে?নিশ্চয় সূর্য্যের নয়।
-মা যে কি!, বিয়ের কথা উঠলেই আমারটা ভেবে বসেন।...সমর আর জয়ার কথা বলছিলাম।
-ও ..হ্যা রে সমর তোমার খবর কি সত্যিই?
-হ্যা খালাম্মা,জয়া এবং আমার পরিবারের ধর্মের মিল নেই বলে কারো মা বাবাই আমাদের বিয়েতে রাজি নয়।
-এ আবার কেমন কথা!জগতে কি ভিন্ন ভিন্ন ধর্মাবলীর নর-নারীর বিয়ে হয়নি আর!
-মা,তোমার মতো যদি সবাই এমন মন মানষিকতার হতো তবে তো কোন সমস্যাই হত না।যাকগে...চল সকাল সকাল ভোট দিয়ে প্রোগ্রামে বেরুই।
-আজ যেনো কি প্রোগ্রাম আছে?
অভি যেনো ভূলে গেছেন আজ ওদের ইভটিজিংয়ের বিরুদ্ধে নগরে ঘাটে প্রান্তরে লিফলেট বিলি করে ইভটিজিংয়ের বিরুদ্ধে জন সচেনতা সৃষ্টি করবেন।তাদের সাথে যোগ দিয়েছেন কিছু অন লাইন ব্লগার কবি সাহিত্যিকগণ।তাদের মধ্যে সামু ব্লগের অন্যতম ব্লগার,সমাজ কর্মী শিপুর বন্ধুরাও....প্রতিবাদ নয়,এবার হোক প্রতিরোধ
-তুই না কি, কেবল ভূলে যাস তুই বেশী করে মনে রাখার ভাইটামিন খাবি বুঝলি..যা বলছিলাম(কথার সূত্র হারিয়ে ফেলেন)...ওকে চল ভোট কেন্দ্রে যাই...।
তখন সকাল দশটার মতো অভি এবং সূর্য্যের ভোট কেন্দ্র একই কেন্দ্রে সমর এবং জয়ার ভোট অন্য আরেকটি কেন্দ্রের তাই ওরা কিছু দূর যাবার পর দুই দিকে ভাগ হয়ে গেলো।প্রথমে নিজের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করার ভোটে ভালো একজন মেয়রকে সমর্থন দেয়া পরে ফোনালাপে পরবর্তী প্রোগ্রামে যোগ দেয়া।
সূর্য্য এবং অভিকে ছেড়ে সমর এবং জয়া চলে গেলেন তাদের ভোট কেন্দ্রের দিকে।
ভোটের কারনে গাড়ী ঘোড়া চলা নিষিদ্ধ থাকায় ওরা পায়ে হেটেই রাজপথ দিয়ে গন্তব্যের দিকে চলছেন।পাশা পাশি চলার পথে প্রথম কে কখন উভয়ের হস্ত বন্ধনীতে আবদ্ধ হলেন তা অনুমান করতে পারছেন না তবে চলার পথে তাদের দু'জনের মাঝে একে অপরের সাথে প্রকাশ্যে কোন কথা বার্তা হচ্ছে না, যা বলছেন মনে মনে,হৃদয়ের অতৃপ্ত আকুতি প্রকাশ করছেন কেউ দূর খোলা আকাশেঁ উড়ে চলা ক্ষুদ্রকার পক্ষী যুগলের দিকে তাকিয়ে কেউ বা প্রকাশ করছেন চলন্ত রাস্তার খোলা মেলা পথচারীর চাল চলনের দিকে লক্ষ্য করে।
-ইস্ ঐ উড়ে চলা পাখিগুলোর মতো যদি আমাদের জীবন হতো, কতটা স্বাধীন ওরা "যখন ইচ্ছে, যেথায় খুশি সেথায় যাচ্ছে, বসছে কোন বাধা যেন নেই...স্বাধীন একেবারে স্বাধীন।
এমনি অতৃপ্ত জীবনের গভীর ভাবনার মাঝে হারিয়ে যায় জয়া আর ঐদিকে সমর চলন্ত খোলা রাজপথের ধূলিকণায় দিকে চেয়ে চেয়ে খুজেঁ ফিরে জীবনের অতৃপ্ততা...আমিওতো ওদের মতোই শুধু নিজেকে বিলিয়ে দিচ্ছি অপরের ভাবনায়,আর নিজের ভাবনাগুলো যেন ধূলিকণায় ভাগ্যের রাক্ষুসী চাকায় পিষ্ট হচ্ছে বার বার।
চলার পথে এমন সব ভাবনার মাঝে মনের অজান্তেই দু'জনায় হাত দ্বয় ধরাধরি করে হাটছিলেন হঠাৎ চোখঁ পড়ে সমরের।ভাবনার রাজ্যে আকাশের দিকে তাকানো জয়ার চলন্ত এক পা যেন,এই বুঝি পড়বে ম্যানহোলের গর্তে।ভাগ্যিস মনের অজান্তে জয়ার হাতটি ধরা ছিল,বন্ধন যুক্ত হাতটি সমর টান দেয়াতে সে যাত্রায় মারাত্বক দূর্ঘটনা হতে রক্ষা পান জয়া।সেখানেই স্টপ হন ওরা।
-তুমি কি বলোত?আর একটু হলেতো সর্বনাশ হতো...পথ দেখে চলতে পারো না?
সমরের এমন অভিযোগে জয়ার অভিমানের সূর।
-কি আর হতো তোমার আপদ সরে যেত।তুমি হতে স্বাধীন...।
-ভাগ্য ভালো হাতটি ধরা ছিল।
-হাত কখন ধরলাম আমরা?
-জানি না!....আর এ ভাবে পথ চলিও না, জীবনকে ভালবাসতে শিখো....।
-তুমি বললে?
-হ্যা,
-ঠিক আছে,তোমার কথা রাখার চেষ্টা করব...দেখি জীবনকে ভালবাসলে,জীবন কি দেয় আমাকে।....ঐতো ভোট কেন্দ্রের কাছাকাছি চলে এসেছি আমরা,চলো ভোটটা তারাতাড়ি দিয়ে আসি।
-চলো....।
fyfffগত ১৭ই এপ্রিল ২০১৫ হয়ে গেলো তিনটি সিটি নির্বাচন ঢাকা,চট্রগ্রামসিলেট।অনেক রাজনৈতিক জল্পনা কল্পনা শেষে সব দলের অংশ গ্রহনে চলছিল ভোট গ্রহনের পর্ব।যারা আমাদের মেয়র এবং কাউন্সিলার হবেন   তারা সবাই খুশি মনে স্ব স্ব কেন্দ্রে ভোট দিলেন অবশ্য নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভাবে হয় সে জন্য সরকারের উপর বিদেশীদের তাগাদা  ছিল বেশ লক্ষনীয়।ভোট গ্রহন শুরুর সারে চার ঘন্টার পর বিরোধী দল বি এন পি নির্বাচন বয়কটের ঘোষনা দেন।এ নির্বাচন নিয়ে বিশ্বের পরা শক্তি আমেরিকাও হতাশ।অবশ্য সব বিষয়ে সব দেশে নাক গলানো তাদের একটি বদ অভ্যাসে পরিনত হয়েছে এখন।

অভি ও সূর্য্য তাদের কেন্দ্রে গিয়ে হতাশ হন পাশা পাশি অবাক হন যখন তেমন কাউকে ভোট দিতে লাইনে দাড়াতে না দেখে।এক আধা বয়স্ক লোক নিজেকে নিজে ধিক্কার দিতে দিতে তাদের দিকে আসতে সূর্য্য তাকে নরম সূরে জিজ্ঞাসা করাতে সে রেগে অগ্নিমূর্তি ধারন করেন।তাকে কয়েক বার ডাক দেবার পর সারা দেন।
-আংকেল...আংকেল...আপনি কি ভোট দিয়ে এলেন?
-কিয়ের ভোট!এডারে ভোটা ভোটি কয় নাকি?সালারা যত সব চোর বাটপারে ভরে গেছে দেশটা।
-তার মানে আপনি ভোট দেননি!
-ভোট দেবো কি কইড়া...সব বেলট পেপারেতো আগে থেকেই সিল মারা ।সেখানে যাওয়াতে আমাকে ভোট দিতে দিলো না ওরা বলল আপনার ভোট দেয়া হয়ে গেছে!পাগলে কয় কি... আমি ভোটই বা দিলাম কখন?আফসোস এই সোনার বাংলাকে বঙ্গ বন্ধু দেখে যেতে পারল না,থাকলে নিশ্চিত সে আত্বহত্যা করত।
লোকটি ভোট দিতে না পরে হতাশ হয়ে বাড়ী ফিরেন।নিজের অধিকার প্রতিষ্ঠায় বড় ধরনের হোচট খেলেন।
সূর্য্যরা তবুও আশা নিয়ে যে লাইনে কিছু লোক জন ছিল সেখানে দাড়ালেন প্রায় ঘন্টা খানেক হয়ে গেল লাইনের কেউ একজন কমছেন না এক ভলেনটিয়ারকে জিজ্ঞাসা করাতে হতাশা জনক বক্তব্য দেন।
vb jh-এই যে বাহিরে যত ভোটাররা লাইনে দাড়িয়ে আছেন এক সময় সবাইকে ভোট না দিয়ে চলে যেতে হবে কারন ভিতরে তারা নিজেরাই সিল মারছেন পুরোদমে .... হা হা হা কোন লাভ নেই ভাই এই রোদ বৃষ্টিতে অপেক্ষা না করে ফেরত চলে যান।
-বলেন কি ভাই সত্য নাকি!?
-বিশ্বাস না করলে লাইনেই দাড়িয়ে থাকুন।
অন্য আরেক কেন্দ্রের ভোটার এ কেন্দ্রে এসেছেন নির্বাচন দেখতে তার মুখের নির্বাচনীর অনিয়মের কথা শুনে সূর্য্যদের প্রথম বারের মতো সিটি নির্বাচনের ভোট দেবার স্বাধ মিটে গেল।
-সিটি নির্বাচনে এ এক অভূতপূর্ব অনিয়ম  যা আমার লাইফেও দেখিনি!আমার কেন্দ্রে পোলিং এজেন্টদের রুম থেকে বের করে দেয়।শুনেছি অনেকের পোলিং এজেন্টও নাকি ভোট কেন্দ্রে বসাতে রাজি করাতে পারেননি অনেক দল।
কি আর করা যা করেন তা আল্লাহ্ মঙ্গলের জন্যই করেন এই বিশ্বাসটুকু নিয়ে সূর্য্য এবং অভি ভোট কেন্দ্র থেকে নিরাশ হয়ে একান্ত মনের বাধ্য হয়েই মনের বিরুদ্ধে নিজেদের পরবর্তী প্রোগ্রামে যোগ করতে শাহবাগের দিকে এগুচ্ছেন।
শাহবাগের একটি ফুটপাতের চা স্টলে চা পান করছেন আর অপেক্ষা করছেন জয়া সমরের আগমনে।চা স্টলে তখন তুমুল নির্বাচনী আলোচনা সমালোচনার ঝড় চলছিল।প্রায় সবাই এক তরফা সরকারের বিপক্ষে মন্দ সমালোচনা করে যাচ্ছেন।তাদের মাঝে দু'একজন ছিলেন কোন পক্ষের নয় দেশের পক্ষে।তাদের মধ্যে একজন কথার মাঝে প্যাচ ধরেন।
-শুধু সরকাকেই দোষ দিচ্ছেন,আপনারা কত যে ভালো তার প্রমানতো নির্বাচন হঠাৎ বয়কট করে দিলেন।পারলে মোকাবেলা করতেন।
বিরোধীপক্ষ:বয়কট না করে উপায় কি বলেন যে ভাবে প্রশাসনকে সরকার ব্যাবহার করেছেন তা কল্পনাতীত।
দেশ পক্ষ:আপনারা কি কখনো ক্ষমতার অপব্যাবহার করেননি...একই তো আপনারা।তবুও ভালো এ সরকার ৪৪টি বছরের ঝুলে থাকা মুক্তি যুদ্ধাদের স্বপ্ন যুদ্ধাপরাধীদেরকে বিচারের আওতায় এনে তাদের স্বপ্ন পূরণ করছেন,দেশের হাজারো মা বোনের ইজ্জতের বদলা নিচ্ছেন,কৈ আপনার দল নেতা শহীদ জিয়াওতো মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন,নিজেদের স্বাধীনতার ঘোষক দাবী করেন, আপনারা এ কাজটিকে শুরু করলেন না কেনো?যখন শুরুই হলো তখন বিপক্ষ ঐ নরপশুদের বাচাতে এখনো সক্রিয় কেনো?কোন উত্তর আছে?নেই,দিতেও পারবেন না কারন আপনাদের দলে দেশপ্রেম বলতে নেই।
দেশ পক্ষ অন্য আরেক জন:এইতো আর কিছু দিনের মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে আরো অনেক সুখবর পাবেন..এই ছিটমহল বন্টন,স্থল সীমান্ত বন্টনের মতো জাতীয় বড় বড় কাজ গুলোর মীমাংসা হতে যাচ্ছে, যা ইতিপূর্বে কোন সরকারই করেননি।

চলবে...

(অনবরত চলছে ব্লগার হত্যা যা এ সরকারের আমলে আশা করিনি।যদি কখনো এ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হন তবে অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছে মুক্তমনা লেখদের দেশে রক্তের বন্যা বয়ে যাবে তাই অনতিবিলম্বে দোষীদের বিচারের আওতায় এনে শাস্তি দিতে না পারলে ভবিষৎ অন্ধকার।সব শেষে (১০/০৫/১৫ ) ব্লগার অনন্ত বিজয় হত্যা এ সম্পকিত সোনেলায় আমার একটি পোষ্ট )।ধর্মান্ধতায় অন্ধ আমরা

প্রজন্মের ঋণ শোধ ২২তম

0 Shares

১৮টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ