কল্পনা-ক্লান্ততায় ভর করে আছে কসমিক কান্না,
কাঁপতে থাকা খর-তাপ চলছে এঁকে-বেঁকে,
পথে ঘাটে, বাজারে, লঞ্চে, নৌকায়, গলি পথে,
শুধুই মানুশ আর মানুশ! কিছু কী ঘটেছে?

চিঠিকে চিঠি দেয়ার কথা ভাবছি
চিঠি নেয়ার-ও;

কোন মহাজাগতিক প্রশান্ত/প্রশস্ত অপরাধ উত্তাল-উল্লাস ফুসফুসে!
মৌনী হয়ে ভাবতে বসি, ক্যামনে কী? আদিগন্ত জুড়ে হুল্লোড়-মাতম!

চিঠি চাই;

পা টিপে টিপে ফোঁটা কয়েক ছিন্নমতি প্রাণবতী
বৃষ্টি এলে মন্দ হতো না, মহা-দূরত্ব কাটিয়ে,
ঘন হয়ে একটু বসা যেতেই পারে ঢুলুঢুলু চোখে,
হতে পারে তা খটখটে কোন এক গিরিপথের কোল ঘেঁসে;

চিঠি,
নিষেধের চিরকুট ছিঁড়ে ফেলে আড়ি দিচ্ছি/নিচ্ছি না!

কপটতাময় বিস্মিত ভঙ্গিতে দিবা-বিশ্রাম বা সুনসান মধ্য রাতে
কেউ না কেউ সামান্য চিঠি দিতে-নিতে তো পারেই, পারে না?

দীর্ঘশ্বাসের চিৎকার চেঁচামেচি মুঠোয় পুড়ে
হ্রস্ব বা দীর্ঘ চিঠিকে নিয়মে/অনিয়মে ফেলে,
প্রাচুর্য-বতী করা যেতেই পারে, শূন্য সাগরের নীরবতা ভুলে;

বৃত্তাকার পথে হেঁটে হেঁটে একটু খানি (চিঠির) আদান-প্রদান হতেই পারে;
খরস্রোতের রাত্রি-মধুর মত!! নিষেধের নিরুদ্দেশ শিউলিতলে!!

খুঁতখুঁতে হেঁয়ালি পুঁথিটি মুড়িয়ে, মৃদু আলোজ্বলা উচ্ছল উষ্ণতায়
যখন তখন একটুখানি নিমজ্জন রহস্যের আহ্লাদী চিঠির চিঠিতে।

ছবি নেট থেকে।

0 Shares

১২টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ