-{@ স্যার ড.হুমায়ুন আজাদ
ttdfr
২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি রাতে একুশে বইমেলা থেকে ফেরার পথে বাংলা একাডেমীর উল্টো পাশের ফুটপাতে হামলার শিকার হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদ।২৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৪ সাল। বাংলা একাডেমিতে বইমেলা চলছে। সন্ধ্যার পর বইমেলা থেকে বেরিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিজের বাসায় যাবার পথে ঘাতকদের আক্রমণের শিকার হন তিনি। তাঁর পবিত্র রক্তে পিচ্ছিল হয়ে ওঠে টিএসসি চত্ত্বর। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বাধ্য হয়ে সরকার সেসময় তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠায়। তিনি সুস্থ হয়ে দেশে ফিরে আসেন। কিন্তু মৃত্যু তাঁর পিছু ছাড়েনি। হত্যা প্রচেষ্টার ঘটনার কিছুদিন পরেই জার্মান সরকার বিশ্বখ্যাত কবি হাইনরিশ হাইনের ওপর কাজ করার জন্য জার্মান সরকার বৃত্তি প্রদান করেন। তিনি জার্মানির মিউনিখে চলে যান। সেখানেই ২০০৪ সালের ১২ আগস্ট আকষ্মিক ভাবে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন হুমায়ুন আজাদ । ২৭ আগষ্ট তাঁর মৃতদেহ বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হয় এবং ওই দিনই জন্মস্থান বিক্রম পুরের রাঢ়ি খাল গ্রামের পারিবারিক বসতবাটি প্রাঙ্গণে তাঁকে সমাধিস্থ করা হয়।
বহু মাত্রিক জ্যোর্তিময় কবি, ঔপন্যাসিক, সমালোচক, ভাষাবিজ্ঞানী, প্রাবন্ধিক, রাজনীতিক বিশ্লেষক ও কিশোর সাহিত্যিক অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদ চেয়েছিলেন সমাজের কু-কর্ম মানুষগুলোকে বুদ্ধির বন্দিত্ব থেকে মুক্তির দিক নির্দশনা দিতে।আর এ কারণেই চিরদিন স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।তার ওপর হামলার পর বিক্ষোভে ফেটে পড়েন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকরা। কয়েক সপ্তাহ আন্দোলনের এক পর্যায়ে হামলা কারীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তি দাবিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে স্মারক লিপি দিতে গেলে আন্দোলন কারীদের ওপর চড়াও হয় পুলিশ, যাতে আহত হয়েছিলেন বেশ কয়েক শিক্ষার্থী।হুমায়ুন আজাদের ওপর চরমপন্থী ইসলামী জঙ্গিরা এই হামলা চালিয়েছিল বলে পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে আসে।
ড.হুমায়ুন আজাদের বই সমুহ এখানে পাবেন
ব্লগার রাজীব হত্যা
jgjhvbযে দিন তাকে হত্যা করবে সে দিন ১৫ই ফেব্রুয়ারী ২০১৩ সাল হত্যাকারীরা রাজীবের বাসার সামনে ক্রিকেট খেলেন। সন্ধ্যার পর রাজীব শাহবাগ থেকে বান্ধবী তানজিলাকে বাসায় পৌঁছে দিয়ে বাইশটেকি হয়ে নিজের বাসার দিকে যাওয়ার পথে ওই পাঁচ শিক্ষার্থী রাজীবকে ঘাড়ে চাপাতি দিয়ে কোপ দেন তারা হলেন এহসান রেজা রুম্মান, মাকসুদুল হাসান অনিক, নাঈম সিকদার ইরাদ সহ আরো দুজন।তাতে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।নাঈম রাজিবকে এলো পাতাড়ি ভাবে চাপাতি দিয়ে কোপানোর সময় অনিকের জুতায় কোপ লাগে এবং পায়ের একটি আঙ্গুল সামান্য কেটে যায়। এ জুতা তিনি চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধি দফতরের পুকুরে ফেলে দিয়ে যান। এরপর তারা তাকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যান। যাওয়ার সময় চাপাতি একটি পান দোকানের সামনে ফেলে যায়। আলাugujgমত হিসেবে এগুলো উদ্ধার করা হয়েছে।
সে ছিলেন  প্রকৌশলী ও ব্লগার অ্যাক্টিভিস্ট আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী এবং শাহবাগে চলমান গণজাগরণের নেতা ইমরান এইচ সরকারের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। নিহত রাজীব ‘থাবা বাবা’ নাম আমার ব্লগ ও নাগরিক ব্লগে লিখতেন।

ব্লগার অভিজিৎ হত্যা(ভিডিও)

vb  vc২৬শে ফেব্রুয়ারী ২০১৫ বৃহস্পতিবার রাত সোয়া নয়টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পাশে সন্ত্রাসীরা অভিজিৎ​ রায় ও তাঁর স্ত্রী নাফিজা আহমেদকে কুপিয়ে জখম করে।আহত অবস্থায় তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে রাত সাড়ে ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান অভিজিৎ​।অভিজিৎ​ ও তাঁর স্ত্রী দুজনই আমেরিকা প্রবাসী। তিনি মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা ও লেখক।তাঁর লেখা নয়টির বেশি বই রয়েছে। অভিজিৎ​ বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অজয় রায়ের ছেলে।ধারালো অস্ত্রধারী দু-তিনজন সন্ত্রাসী অভিজিৎ​ ও তাঁর স্ত্রীকে কুপিয়ে জখম করে।এ ঘটনার পরিপেক্ষিতে ফারাবী গ্রেফতার করেন পুলিশ।অথচ পুলিশের সামনেই ঘটেছিল এই হত্যাকান্ডটি।
তার সহধর্মীনি চিৎকার করে ডাকছিলেন কেউ এসে তাদের প্রান বাচাতে অথচ অবাক দৃষ্টি চেয়ে ছিলেন সবাই মনে হচ্ছিল তারা কোন সিনেমার সুটিং দেখছেন।এক ফটো সাংবাদিক ভাই এগিয়ে এসে তাদের সহযোগিতা করেন।বাকীরা চুড়ি হাতে পড়ে বৌয়ের আচলে মুখ লোকায়।

150330150257_bd_washikur_blogger_640x360_bbc_nocreditদুই হিজড়া প্রমান করল তারা কাপুরুষ নয় ব্লগার ওয়াশিকুর রহমানকে যখন সন্ত্রাসীরা জখম করে পালাচ্ছিল তখনই তাদের ধরে ফেলেন।গত সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার সময় ব্লগার ওয়াশিকুর রহমান ওরফে বাবু তার দক্ষিণ বেগুন বাড়ির বাসা থেকে কর্মস্থল মতিঝিল ফারইস্ট ট্রাভেল এজেন্সি অফিসে যাওয়ার জন্য বের হলে তিনজন তাকে উপর্যুপরি কুপিয়ে আহত করে।আটক কৃতদের একজন চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসার ছাত্র জিকর”ল্লাহ ও অপর জন রাজধানীর মিরপুরের দার”ল উলুম মাদ্রাসার ছাত্র আরিফুল ইসলাম অবশ্য পরে এর কোন সত্যতা মিলেনি।এসময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে রক্ত মাখা চাপাতি উদ্ধার করেন।
(y) এ সকল ঘটনাগুলো দেশে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করে এবং সরকার বেশ বেকায়দায় পড়তে হত্যাকারীদের গ্রেফতার এবং বিচারে কাজ সমাপ্তি না করায়।পুলিশের ধারনা হত্যাগুলো একই কায়দায় হয় যাতে প্রতিয়মান হয় যে ঘটনাগুলো কিছু উগ্রবাদী মুসলিম ঘটিয়েছে।সব ঠিক আছে তবে আমার মতে পর পর এতোগুলো ঘটনা ঘটল কিংবা ভবিষৎএ আরো ঘটতে পারে, তবে কে দিবে আমাদের নিরাপত্তা? লক্ষ্য করলে দেখা যায় প্রায় সবগুলো ঘটনাই এই ঢাকা শহরে,কেনো কারা করছেন তা কি জানার অধিকার আমাদের নেই।যারা যে কারনেই করে থাকুক সেই কারনগুলোকে হাইলাইট করে তার প্রতিকার করার দায়ীত্ত্ব কার?।
(y)  যারা বা যে গোষ্টিই এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটান তাদের ভাষ্য মতে তারা আল্লাহর আদেশে কিংবা ছোয়াবের জন্য করছেন।লেখা হিট বা জনপ্রিয় করা র জন্য কিংবা নিজেকে বেশী পন্ডিত ভেবে যারা যে কোন ধর্মের সমালোচনা করেন তাদের ভাবা উচিত মুক্ত মত কিংবা বাক স্বাধীনতা বলতে যা তা বলা বা লিখা কিংবা লিখতে আপত্তি আছে কিংবা জাতিগত স্পর্শকাতর বিষয়েও লেখা যাবে তাদের ধারনা কিংবা চিন্তা ভাবনা আমার মতে সম্পূর্ন ভূল।এ সব বিষয়ে আপনি লিখতে পারেন তবে তা হতে হবে ঐসব ধর্মীয় কিতাবে হুবহু তরজমা কোন ধর্মকে ছোট করে তার বাণীগুলোকে বিকৃতি করা মোটেও উচিত নয়।যেমনটি করেছেন অভিজিৎ দা।যদিও আর সবার লেখা আমার পড়া হয়নি তার লেখা পড়ে আমি নিজেই থ' খেয়ে গেছি কেননা আমি মুসলমান আমার ধর্মকে এমন বিকৃত রূপে প্রকাশ করা তার উচিত হয়নি বলে যে তাকে হত্যা করতে হবে তা আমি কেনো, আমার ধর্মের কোথাও নেই যে তাকে হত্যাই করতে হবে।আর তাতে ছোয়াব পাওয়া যাবে এ রকম ধারনা করা আমার মতে ভূল কেননা ইসলামই এক মাত্র সহি ধর্ম যেখানে সকল ধর্মের প্রতি সহানুভূতি দেখাতে বলা হয়েছে। -{@

 (y) নীচে আমি কিছু কোরান ও হাদিস এ সম্পর্কে রেফারেন্স দিলাম: -{@
 -{@ ‘একজন মানুষের জীবন বাঁচানো যেমন গোটা মানব জাতির জীবন বাঁচানোর সমতুল্য, ঠিক তেমনি কোন মানুষের জীবন সংহার করা গোটামানব জাতিকে ধ্বংস করার সমতুল্য।’ [আল-কুরআন- ৫:৩২]
-{@ “যে কোন লোক কোন মুমিনকে ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যা করবে, তার প্রতিফল হচ্ছে জাহান্নাম। সে চিরকালই সেখানে থাকবে। আল্লাহ তার প্রতি ক্রদ্ধ হন এবং তার প্রতি অভিশাপ করেন। উপরন্তু তিনি তার জন্য কঠিন আযাব প্রস্তুত করে রেখেছেন।” [আল কুরআন- ৪:৯৩]
-{@ ইসলাম ধর্মে হত্যার প্রতি প্ররোচনা দানকারী হিসেবে হিংসা-বিদ্বেষ-ক্রোধ নিয়ন্ত্রণ করতে বলেছে। এ বিষয়ে হযরত রাসূলুল্লাহ সা. বলেন, ‘তোমরা একে অপরের সঙ্গে বিদ্বেষ পোষণ করো না, হিংসা করো না এবং একে অপরের পেছনে লেগে থেকনা। আল্লাহর বান্দা সবাই ভাই ভাই হয়ে যাও। [সহিহ বোখারি]
-{@ এমনকি হত্যার প্রাথমিক বিষয় তথা অস্ত্র দিয়েও কাউকে ভয় দেখাতে নিষেধ করা হয়েছে। রাসূলুল্লাহ সা. বলেন, ‘তোমাদের কেউ যেন তার ভাইয়ের দিকে অস্ত্র তাক না করে। কারণ সে জানে না, হয়ত শয়তান তার হাত থেকে তা বের করে দিতে পারে, ফলে সে জাহান্নামের গহ্বরে নিক্ষিপ্ত হবে।’ [সহিহ বোখারি]
-{@ আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেন, “যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে মুসলমানকে হত্যা করে, তার শাস্তি জাহান্নাম, তাতেই সে চিরকাল থাকবে। আল্লাহ তার প্রতি ক্রদ্ধ হয়েছেন, তাকে অভিসম্পাত করেছেন এবং তার জন্যে ভীষণ শাস্তি প্রস্তুত রেখেছেন”। [সূরা আন নিসা: আয়াত নং ৯৩]
আল্লাহ তার পাক কালামে বলেছেন: ‘‘যারা আল্লাহর সঙ্গে দৃঢ় অঙ্গীকারে আবদ্ধ হওয়ার পর তা ভঙ্গ করে এবং যে সম্পর্ক অক্ষুণ্ন রাখার জন্য আল্লাহ নির্দেশ করেছেন তা ছিন্ন করে আর পৃথিবীতে অশান্তি সৃষ্টি করে বেড়ায় তাদেরই জন্য রয়েছে অভিশাপ এবং তাদের জন্য নিকৃষ্ট বাসস্থান।’’ (সুরা রা’দ, ২৫)
-{@ আরও নির্দিষ্ট করে পুনরুচ্চারণ করেছেন এই ভণ্ডদের জন্য নির্ধারিত শাস্তির: ‘‘আল্লাহ মুনাফেক নর-নারী ও অবিশ্বাসীদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন জাহান্নামের আগুনের যেখানে ওরা থাকবে চিরকাল, এই ওদের জন্য হিসেব। ওদের ওপর রয়েছে আল্লাহর অভিশাপ, ওদের জন্য রয়েছে স্থায়ী শাস্তি।’’ (সুরা তওবা ৬৮)

আজ সেই ধর্ম রক্ষার নামেই তারা রাস্তায় নামিয়ে দিয়েছে অল্প বয়সী কিশোর, তরুণদের। আজ যে তরুণ যে কিশোর যে যুবক রাস্তায় নেমে হত্যার উৎসবে মেতেছে, সে জানে সে জিহাদ করছে। মহান আল্লাহর রাস্তায় দ্বিনের কায়েমে সে নিজেকে উৎসর্গ করেছে কিন্তু সে জানে না বাস্তবে সে তার আত্মা বন্ধক রেখেছে শয়তানের কাছে, আর মানুষের কাছে সে জালিম হিসেবে আবির্ভুত হয়েছে। তার ইহ কালের সঙ্গে পরকালও সমস্যা গ্রস্ত ও আল্লাহর লানতের শিকার।
(y) আমাদের ইসলাম ধর্ম কতটা শান্তি প্রিয় তা নীচের এই বুখারী হাদিসটি পড়ে একটু চিন্তা করলেই আমাকে আর কেউ আপনাকে জ্ঞান দিতে হবে না।
-{@ হযরত আনাস (রা:) বর্ণিত: ‘‘রাসুলুল্লাহ (সা:)-এর জবান অশ্লীল কথা, অভিশাপ দেওয়া ও গালাগালি করা থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত ও পবিত্র ছিল।রাগ ও অসন্তুষ্টির সময়ও তিনি বলতেন, ‘তার যে কী হয়ে গেল’ বা ‘তার কপালের ধুলি মলিন হোক’।’’ (বুখারী)।
আর একটি কথা না বললেই নয় আয়ামে জাহালিয়া যুগে যখন জীবনের সর্বত্রই দাঙ্গা ফাসাদ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ লেগেই থাকত তখনই বিদায় হজ্জের শেষে আমাদের প্রিয় নবী পৃথিবীর প্রথম এবং শেষ নবী হযরত মোহাম্মদ সঃ তা সম্পূর্ণ হারাম বা নিষেধ করে দিয়েছেন।এবার আপনিই বলেন ইসলাম কি হত্যা করা জায়েজ করেছে?করেনি, আপনার বিবেককে প্রশ্ন করুন, যে যত বড় অন্যায়ই করুক তাকে পৃথিবী থেকে বিনা বিচারে চির বিদায় করে দেওয়া কতটা সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল আপনার কেননা পৃথিবীতে মানুষ কেবল একবারই জন্মায়

ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞ সবার কাছে কষ্ট করে পড়ার জন্য আর যদি কারো দ্বিমত থাকে থাকতে পারে কিন্তু কারো মনে আমার যদি কোন কথায় আঘাত লেগে থাকে তবে নিজগুণে ক্ষমা করবেন।

সূত্র:বিভিন্ন ব্লগ,পত্রিকা এবং অনলাইন

0 Shares

১৯টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ