ভাবি নাই কখনও এভাবে লেখা হবে।এটা আমাদের জন্য অপমানজনক হলেও আজ কলম হাতে লাখো মানুষ নিজের দেশকে নিয়ে এমন মন্তব্য করায় মগ্ন যে সেখানে নিজেকে চুপ রাখতে পারলাম না।তাই এক প্রকার বাধ্য হয়েই লেখা কথাগুলো।

মহান আল্লাহ তাআলা মানুষ সৃষ্টি করেছেন তার নিজস্ব মহিমায় মহিমান্বিত করে আর অধিষ্ঠিত করেছেন সৃষ্টির সেরা জীবের আসনে।তো এটা যে কত বড় সৌভাগ্যের ব্যাপার তা আমরা মানুষেরাই উপলব্ধি করতে পারি না যা আমাদের জন্য অনেক দুর্ভাগ্যজনক কিন্তু সত্যি।আমরা আমাদের নিজেদের পায়ে নিজেরাই শিকল পরতে ও পরাতে ভালোবাসি।অহিংসতায় শান্তি না খুঁজে শান্তি খুঁজি সহিংসতায়।নিজেরাই নিজেদের সহদরকে হত্যা করে নিজেরাই নিজেদের শত্রুতে রূপান্তরিত হই যেখানে বাইরে থেকে শত্রু দ্বারা খয় ক্ষতি সাধনের কোন অবকাশই নেই।ঘরের লোকই যদি ঘরের লোকের শত্রু হয় সেখানে বাহিরের শত্রু দ্বারা ক্ষতি সাধনের জন্য শুধুমাত্র উস্কানিমূলক আচরণই যথেষ্ট।তাই নিজেদের শক্তি ও সাহসিকতার পরিচয় নিজেদের ঘর টিকানোর জন্য করাটাই প্রকৃত বুদ্ধিমানের কাজ।

নিজেরা নিজেদের রচিত কারাগারে বন্দী হয়ে থাকলে সেই কারাগার নিজেদেরই ধ্বংস করবে এটা চিরন্তন সত্য।ইতিহাসে বাঙালী জাতির গৌরবময় শত গাঁথা থাকলেও আজ সেই বাঙালীর মনে ঘুন ধরে সেই ইতিহাস বিকৃত হয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত।বলে রাখা ভালো যে আমার লেখার প্রেক্ষাপট রাজনীতি নয়।বাঙালী শান্তিপ্রিয় এবং সেই হিসেবে আমিও একজন শান্তিপ্রিয় বাঙালী।তাই শান্তির আহবানে মন থেকে আসা কিছু অশান্তির কথা লিখছি যদিও আমার এই বাক্যগুলোর শান্তি ফিরিয়ে আনার মত শক্তি এবং সামর্থ্য কোনটাই নাই।তবুও নিজের ভেতর শান্তি খোঁজার জন্য নিজেকে সান্তনা দেয়ার জন্য লেখা কথাগুলো।

আমরা আজ বীর বাঙালী থেকে এমন বাঙালীতে পরিবর্তিত হয়েছি যে আমাদের দেশপ্রেম কেবল কিছু জাতীয় দিবসে কিছু কার্যকলাপের মধ্যেই সীমাবদ্ধ।যেমন একুশে ফেব্রুয়ারীতে শহীদ মিনারে ফুল দেয়া,২৬শে মার্চে স্মৃতিসৌধে গিয়ে নীরবতা পালন করা এই আর কি।কিন্তু অরাজকতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়াও যে একজন নাগরিকের কর্তব্য তা আমরা ভুলে গেছি।প্রতিদিন পত্রিকার অশান্তিকর হাজারো খবরের ভীরে শুধুমাত্র একটি শান্তির খবর খুঁজি।কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সেটাও পাওয়া হয় না।হতাশ হওয়া ছাড়া তখন উপায় না থাকলেও আশাবাদী হয়েই রই।

আমার দৃষ্টিকোণ থেকে বলতে গেলে রাজনীতিতে থাকা যে কোন দলেরই দোষ ধরলে চলবে না।কারণ নিখুঁত নয় কেউই।যে প্রতিদিন উৎসুক হয়ে যে কোন দলের ভুল ধরার জন্য উৎসাহী হয়ে থাকেন সে কতটুকু নির্দোষ সেটাও বিবেচ্য বিষয়।দেশ পরিচালনা করা মুখের কথা না।শুধুমাত্র সরকারের উপর দেশের হাল ছেড়ে নিশ্চিন্ত হলে চলবে না।যার যার অবস্থান থেকে তাকেও সচেতন হতে হবে নিজের দায়িত্ব কর্তব্য সম্পর্কেও।তবেই একটা সুষ্ঠু দেশ গড়া সম্ভব।একটু অতীত নিয়ে ঘাঁটলে দেখা যাবে যে বাংলাদেশের পরে স্বাধীনতা প্রাপ্ত বহু দেশ আজ স্বয়ংসম্পূর্ণ।সেটা কেবলমাত্র সরকারের জন্য নয় বরং যার যার অবস্থান থেকে তার তার দায়িত্ব কর্তব্য পূরণেই তা সম্ভব হয়েছে।আমাদের নিজেদের বুঝতে হবে যে কি করলে বা কি পরিবর্তন আনলে দেশের উন্নতির চাকা আরও সচল হবে।

আমি আগেই বলেছি যে আমি শান্তিপ্রিয় বাঙালী এজন্য প্রথম চাওয়া হল শান্তি।দেশ যে ব্যক্তি পরিচালনা করুক না কেন যদি তার সংবিধান স্বয়ংসম্পূর্ণ হয় তবে দেশে শান্তি বিরাজ করবেই।

আর এই শান্তির জন্য প্রয়োজন কিছু পরিবর্তন।দেশের অনেক সংগঠন এই ধরণের কিছু পরিবর্তনের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।দৈহিকভাবে সম্ভব না হলেও মানসিকভাবে এই ধরণের অগ্রগামী পরিবর্তনের স্বপ্ন পূরণের চেষ্টায় নিয়োজিত সকল সংগঠনের প্রতিনিধি হিসাবে নিজেকে উৎসর্গ করলাম এবং সবার প্রতি রইলো আমার বিনম্র শ্রদ্ধা।ইনশাল্লাহ আপনারাও যে যার অবস্থান থেকে দেশের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে সচেষ্ট হোন।দেখবেন দেশ একদিন তার অবস্থানে পৌঁছাবেই ইনশাল্লাহ।

রাহাত হোসেন

0 Shares

৪টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ