শুকাতে শুকাতে যখন তার
চামড়া মাংস হবে কঙ্কালসার
বোধে তার বাধিবে কি সাধে ?
চারিদিকে শুধু হাহাকার ।।
যুদ্ধ করে দেশটা করে স্বাধীন
শিকল ছিঁড়ে পেলাম খাঁচার অধীন
ইচ্ছে হলেই পাওয়া যায়না পার
এই দেশ ছেড়ে বৈদেশ পালাবার।।
আবার যখন করবে কোন কাজ
ঠকবে নিত্য যেন দণ্ড রাজ
মাইনে যাহা মিলবে তাতে নয়
পর্যাপ্ত খাবার মিলে আজ।।
অর্ধ-পেটা অন্ন অবধি ওরা
দিবে অনেক যোগ বিয়োগ কষে
খাইয়া বাঁচো মরণ যাবত কাল
মহাজনের হালের লাঙল চষে।।
সভ্যতার এই চরম স্বর্ণ যুগে
অসভ্যতার লালন করে যারা
নিত্য কত সভা সেমিনারে
গলাবাজি করে চলছে তারা।।
গঠন করে নতুন কমিশন
নাম দিয়ে তার "মানবাধিকার"
পুঁজিবাদের করছে দালালি
নেশাগ্রস্ত সভাপতি তার।।
নিত্য কত ক্ষুদার জ্বালা সয়ে
মরছে মানুষ লাখে হাজার শ'য়ে
রাষ্ট্র জুড়ে চলছে ব্যবিচার
যেন সে এক কানার হাট বাজার।।
মুক্তিযোদ্ধা তুমি তাতে কি
মরলে বাঁচে- চোর ডাকাতের দল
সুবিধে তার অনেক গুনে বাড়ে
মরতে যাবে..? যাওনা সদলবল।।
এসো আবার ডাক দিয়ে হাঁক ছেড়ে
যাই এগিয়ে আবার যুদ্ধ করি
পুঁজিবাদের মরণ থাবা হতে
দেশ বাঁচাতে আবার অস্ত্র ধরি।।
© অনন্য অর্ণব
( বি. দ্র. কবিতাটি ১৯৯৬ সালে লেখা)
২৭টি মন্তব্য
তৌহিদ
স্বার্থপর কিছু মানুষের লোভের কারনেই সাধারণ মানুষ জরাজীর্ণতার শিকার হচ্ছে। যারা প্রকৃত দেশপ্রেমী তারা এসব দেখে কস্ট পায়। আমাদের বোধহয় নতুন করে যুদ্ধে নামতে হবে। এ যুদ্ধ নিজের বিবেকের সাথে, নৈতিকতা আদর্শের সাথে। দেশপ্রেম, মানবপ্রেম জাগ্রত হোক সবার এটাই কাম্য।
ভালো লিখেছেন ভাই।
অনন্য অর্ণব
দাদাভাই আপনার একটা মন্তব্যের জবাব আমাকে দিতে হবে। কিন্তু সেই জবাবটা হবে অনেকটা তথ্যবহুল লেখা। আমি ব্যস্ততার কারণে সময় করে উঠতে পারি না। ইনশাআল্লাহ একদিন সব তথ্য একত্রিত করে জবাব দেবোই।
জিসান শা ইকরাম
১৯৯৬ সনের লেখা হলেও বর্তমানেও এর আবেদন একই রকম আছে।
ভাল লেগেছে প্রিয় ব্লগার।
অনন্য অর্ণব
অসংখ্য ধন্যবাদ দাদাভাই। ভালোবাসা রেখে গেলাম।
মোঃ মজিবর রহমান
দারুন বাস্তব। এই লেখার কোন সময় নাই সর্বদা এর জাগ্রত আক্সহে। প্রয়োজন ফুরায়নি।
অনন্য অর্ণব
এটা ছিলো প্রাণের আর্তি। আমার নহে, আমাদের সবার।
নুর হোসেন
ছবিটি সম্ভবত আফ্রিকার দুর্ভিক্ষ প্রবণ এলাকার দুর্দশা, পীড়িত কোন জনগোষ্টির।
-আমরা প্রয়োজনের পাহাড়ের ম্যাংগো পিপল।
খাচ্ছি দাচ্ছি ঘুমাচ্ছি,
ছুতো পেলেই সরকারের চৌদ্দ গোষ্ঠিকে ভারতে পাঠাচ্ছি;
এগুলো সমাধান নয়।
সমাধান হলো,
ধনী ও গরীব উভয়ে উভয়ের অভাব/প্রয়োজন পুরণ করা।
আমরা নিজেরাই নিজেদের অধিকার নষ্ট করে কষ্ট পাচ্ছি।
অনন্য অর্ণব
আমি জানি না আপনি কোন অর্থে এই মন্তব্য করেছেন। তবে বাস্তব সত্য হলো পুরো পৃথিবীর নিয়ন্ত্রণ মাত্র নয়টা মতান্তরে এগারোটা পরিবারের হাতে। পৃথিবীতে সাতশো কোটির ও বেশি মানুষ, আর মাত্র দশ জনের কাছে টোটাল পৃথিবীর অর্ধেকের ও বেশি সম্পদ।
নিতাই বাবু
হয়তো আর কখনোই এঁদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরে প্রতিবাদ করা যাবে না। প্রতিবাদ করতে হবে কাগজে-কলমে।
অনন্য অর্ণব
নিতান্তই বাস্তব সত্য । এ যে কঠিন উপলব্ধি। সবাই সেটা বুঝবে কি ?
কামাল উদ্দিন
………….এটা আমার দেখা বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি। ভালোলাগা জানিয়ে গেলাম আপনার বিদ্রোহী কবিতায়।
অনন্য অর্ণব
ভয়াবহ অবস্থা দাদাভাই। এই অবস্থা থেকে কি মুক্তি মিলবে না ?
কামাল উদ্দিন
হয়তো হবে
ছাইরাছ হেলাল
আপনি তো ঘাগু কবি! বাপ্রে!
ভেবে চিন্তে কথা বলতে হবে!
অনন্য অর্ণব
দাদাভাই কলম ছাড়া আর কিছুই যে নেই আমার। দুঃখিত আমি, চে কে যেদিন মেরে ফেলা হয়েছিল সেদিন কি চে গুয়েভারা জানতো যে পৃথিবীর মানুষ জীবিত চে কে মূল্যায়ন না করলেও মৃত চে’র ছবিটা গলায় বুকে পিঠে মাথায় ঝুলিয়ে ঘুরবে🤔
প্রদীপ চক্রবর্তী
বাস্তবতা নিরিখে লেখনী।
শুভকামনা দাদা।
অনন্য অর্ণব
শুভ কামনা নিরন্তর 😍
সঞ্জয় মালাকার
স্বার্থপর কিছু মানুষের লোভের কারনেই সাধারণ মানুষ জরাজীর্ণতার শিকার হচ্ছে।
যুদ্ধ করে দেশটা করে স্বাধীন
শিকল ছিঁড়ে পেলাম খাঁচার অধীন
ইচ্ছে হলেই পাওয়া যায়না পার
এই দেশ ছেড়ে বৈদেশ পালাবার।।
এসো আবার ডাক দিয়ে হাঁক ছেড়ে
যাই এগিয়ে আবার যুদ্ধ করি
পুঁজিবাদের মরণ থাবা হতে
দেশ বাঁচাতে আবার অস্ত্র ধরি।।
বাস্তবতা নিরিখে লেখা।
শুভকামনা শ্রদ্ধে দাদা।
অনন্য অর্ণব
অনেক অনেক ভালোলাগা দাদাভাই 😍
এস.জেড বাবু
গঠন করে নতুন কমিশন
নাম দিয়ে তার “মানবাধিকার”
পুঁজিবাদের করছে দালালি
নেশাগ্রস্ত সভাপতি তার।।
সেই কুড়ি বাইশ বছর আগেও ভাল লিখতেন, শ্রদ্ধা রইলো।
অনন্য অর্ণব
অসংখ্য ধন্যবাদ দাদাভাই। ভালো থাকবেন সবসময়।
মোহাম্মদ দিদার
যুদ্ধ করে দেশটা করে স্বাধীন।
শিকল ছিরে পেলাম খাচার অধিন।
নির্মম বাস্তবিক উপলব্দির নান্দনিক উপস্থাপন
অনন্য অর্ণব
অসংখ্য ধন্যবাদ দাদাভাই 😍
মাহবুবুল আলম
“যুদ্ধ করে দেশটা করে স্বাধীন
শিকল ছিঁড়ে পেলাম খাঁচার অধীন
ইচ্ছে হলেই পাওয়া যায়না পার
এই দেশ ছেড়ে বৈদেশ পালাবার।।” এত হতাশ কেন ভাই! ভাল লাগলো।
অনন্য অর্ণব
দাদাভাই স্বাধীনতার বিপক্ষে যে কথা বলে সে অবশ্যই পশুত্ব বরণ করা মানুষ। কিন্তু স্বাধীনতাকে যারা কুক্ষিগত করে রাখে তারা কি? তারাতো আরো বড়ো বেশি প্রতারক। বড় বেশি ঘৃণিত কেউ।
রুমন আশরাফ
“মুক্তিযোদ্ধা তুমি তাতে কি
মরলে বাঁচে- চোর ডাকাতের দল
সুবিধে তার অনেক গুনে বাড়ে
মরতে যাবে..? যাওনা সদলবল।।”
দারুণ লিখেছেন ভাই।
অনন্য অর্ণব
অসংখ্য ধন্যবাদ দাদাভাই। আসলে ৭১ এর অশিক্ষিত বাঙালি মুক্তি যোদ্ধার কাছে এখনকার মুখোশ পরা দেশপ্রেমিক রা চরম পর্যায়ে হীন। অসংখ্য ধন্যবাদ দাদাভাই 😍