পাতার ফাঁক গলে যে চূর্ণ রোদ খেলে মাটির বুকে
তার উপর আমি স্বপ্ন আঁকি।
নদীর কিনারের সাথে নদীর জলের সঙ্গমে একটু না হয় প্রেমই শিখি!
বৃক্ষের খোড়লে যত্নে রাখি উদাসিন শব্দ কিছু।
নিজস্বতা আমার যা কিছু,
তা সে ভুল বা সঠিক
বুকের পাঁজরে আটকে থাকুক।
আকাশের ঐ মেঘ যতো গভীর কালো হয়
তার বর্ষণও কি ততো ভারি হয়।
আজ তাই এ মধ্যরাতে বর্ষণ হোক।
মধ্যরাতে ঘুম ভেঙ্গে যাওয়া সৌভাগ্য মনে হয়!
হবে হয়ত, শব্দ তখন সরল পথে তোমার দুয়ারে।
রাতের নির্জনতায় কতো শব্দের প্রেমে মাতো?
তবে কি রাত তোমার শব্দের সাথি?
এক পঞ্চমির চাঁদ আমারও আছে।
তবে তাতে ধুলো পড়তে দেইনি
জলের নীচে আকাশ, তাকেও রেখেছি স্বচ্ছ জলে,
চোখ দিতেই স্পস্ট করে হেসে ওঠে।
২১টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
মাটির বুকে স্বপ্ন আঁকা!! তা যদি হয় চূর্ন-রোদে
সে তো এক দারুণ আঁকা,
আপনি সত্যি সত্যি শিল্পী হয়ে দেছেন দেখছি।
জলের নীচে আকাশেও স্বচ্ছ জল দেখতে পারা চাট্টিখানি কথা না,
বেশি বেশি জলা-জলি!! করে লিখুন।
মৌনতা রিতু
তাই না! শিল্পী। তাই তো কম কথা না! কল্পনায় কতো কি যে দেখা যায়! কবির চোখে দেখছেন তো, তাই সবই ভাল লাগছে।
মোঃ মজিবর রহমান
অসাধারন ভাল লাগলো।
মৌনতা রিতু
ধন্যবাদ মজিবর ভাই। শুভেচ্ছা রইলো।
চাটিগাঁ থেকে বাহার
ভালো লাগা রেখে গেলাম। -{@ -{@
মৌনতা রিতু
ধন্যবাদ ভাই। ভাল থাকবেন।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
জলের নীচে আকাশ, তাকেও রেখেছি স্বচ্ছ জলে,
চোখ দিতেই স্পস্ট করে হেসে ওঠে।
এতো সুন্দর কথা মনে আসে কি করে!এক কথায় চমৎকার।সব গুলো সংগ্রহে রাখবেন।
মৌনতা রিতু
ধন্যবাদ ভাই। এই সোনেলাই আমাকে সংগ্রহ করতে শেখালো।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই। ভাল থাকবেন। শুভেচ্ছা রইলো।
জিসান শা ইকরাম
শিরোনামটিই তো একটি সুন্দর কবিতার মত। শব্দের বুনন ভালই পারছ তুমি আজকাল।
কতকিছু ভাবছ তুমি!
সুন্দর হয়েছে।
মৌনতা রিতু
হুম ভাইয়া, আপনার মনু আকাশে ডানা মেলে উড়ছে। এতো সুখ কখনো আগে আমার আসেনি। সব আপনার ও আপনাদেরসবার দোয়া ও ভালোবাসা। আল্লাহর মেহেরবানী।
ভাল থাকবেন ভাইয়া।
প্রহেলিকা
শিরোনাম আই ক্যাচ করার মতো। অনেক সময় একটি যথার্থ শিরোনামের অভাবে অনেক ভালো লেখা থেকেও পাঠক বঞ্চিত হয়। কেবল শিরোনাম নয় পুরো লেখাটিকেই রূপ দিয়েছেন নিখাদ কবিতার শরীরে। তবে ভীত হবার কিছুই নেই, একান্ত অনুভূতিতে না দিয়ে কবিতা বিভাগেই বেশি মানাতো।
কবির ধুরন্ধর আঙুল তুলে শব্দসুর
রাতের নির্জনে মাতে পোড়া শব্দপ্রেমে,
তবুও দেখা পায় না বাসন্তী উঠোনে
একান্ত গোপনে ফোঁটা কোনো কাঁচা রোদ্দুরের!
তাইতো রাতই আমার শব্দের সাথী,
কালো শ্লেটে আঁকি কলঙ্কিনী চাঁদ।
আমি জলের নিচে বিশ্বাস জমা রাখি, তুমি রাখো আকাশ
তবুও কেন প্রেম শিখতে চাও? তারচে বরং-
পাথরের দিকে মুখ ফিরিয়ে ঘুমিয়ে পড়ো
কাগজের নৌকায় ভাসিয়ে দাও রাতের শব্দ।
ভালো লিখেছেন কবিতা, ভালো লিখেন।
মৌনতা রিতু
পাথর ও আমকে দেখে ভেবে বসে,” তোমার থেকে ও নরম আমি, কান পেতে শোনো। হৃদয়ে ঠাসা দিয়ে দেখ রক্তক্ষরণ হবে। তুমি বড় নিষ্ঠুর অতি রক্তক্ষরণ ও হয় না তোমার। বৃষ্টি হলে তুমি লুকাও ছাতা খোঁজো, আমি দেখ ভিজে এই বৃষ্টির ছোয়ায় নরম হই।”
তাই আমি পাথরের দিকে মুখ করে ঘুমিয়ে যাব যদি একটু নরম হই!
ধন্যবাদ কবি। ভাল থাকবেন। শুভেচ্ছা রইলো রাশি রাশি।
নীলাঞ্জনা নীলা
মৌনতা আপু তুমি তো দেখছি শব্দের কারিগর হয়ে উঠেছো! এসব সাধারণ শব্দকে অসামান্য করে সাজানো, এ চাট্টিখানি কথা নয় কিন্তু।
জলের নীচে আকাশ, তার মানে শান্ত-ধীর-স্থির-অচঞ্চলা নদী এবং নদীর জল আর ওই উপরের আকাশ সব একই মনে এসে মিলেছে।
অসাধারণ লিখেছো আপু। এককথায় বাহ! -{@
মৌনতা রিতু
গুরুজীর মান রাখা বলে কথা। তার উপর দুই দস্যি ননদিনী। কোথায় যাই বলো! তবে এই শব্দমালা গোছাতে প্রহেলিকার কবিতা খুবই খুবই সাহায্য করেছে। প্রহেলিকার আগের কবিতা পড়েই মন্তব্য দিতে এগুলো শব্দ মনে এলো।
তোমার ভাল লেগেছে ভেবে খুবই আনন্দ লাগছে।
নীলাঞ্জনা নীলা
কে যে কার গুরু!
শান্তসুন্দরী আমি তোমার শিষ্য হতে চাই। -{@
মৌনতা রিতু
কি যে বলো না আপু! -{@ (3
মিষ্টি জিন
রীতু, অসাধারন শব্দ চয়ন। ডিটেলসে আর গেলাম না।
খুব খুব ভালো হয়েছে।
মৌনতা রিতু
ধন্যবাদ আপু। ভালবাসা নিও। ভাল থেকো (3 -{@
আগুন রঙের শিমুল
ভালো হয়েছে লেখা, কিন্তু অন্ত্যমিল দিতে গিয়ে ছড়ার মতো হয়ে গেছে 🙂 চোখে লাগে, মৌনতা অন্ত্যমিলই কিন্তু শেষ কথা নয়। গদ্যকবিতার একটা ধারাও প্রচলিত আছে ম্যাম, যেইটাতে অন্ত্যমিলের কোন ব্যাপার ই নেই।
মৌনতা রিতু
অনেক ধন্যবাদ ভাই। ভাল থাকবেন। খেয়াল রাখব।
আগুন রঙের শিমুল
থ্যাঙ্কিউ 🙂