কে কোথায়, কবে কখন, কেন জন্মেছিল কে জানে!
ভারী কুয়াশার পর্দা ছিঁড়ে খটখটে রৌদ্রে বা তুমুল বর্ষায়
গভীর ঘুম শেষে সহসা তীব্র চিৎকারে, কে কোন সুরে আজান ফুঁকেছিল
নেই মনে,
হে আমার জন্মান্তর।
এখানে এখন পিশাচ রাত্রির কলোচোখ পিছু নেয়, পিছু ডাকে, যেতেও বলে,
পেরেকের মত গেঁথে, বুকভরা নুনপানির তীরে,
পা ভিজিয়ে দাঁড়িয়ে আছে দারুণ অপেক্ষায়, দিগন্তব্যাপী শিশিরে ভেজা
কোন এক দূরাকাশে।
স্নায়ু-পেশি-তন্তু ছিঁড়ে-ফুঁড়ে ফেলে
ভাবি,
সময়ের প্রাগৈতিহাসিক বিচিত্র জন্তুর অনির্দিষ্ট-নির্দিষ্ট শাসন-শোষণ
এ কেমন আয়োজন!
ফিরিয়ে দাও সতীসাধ্বী জরায়ুশাসন,
জলপ্লাবনের চিরন্তন জল, ফুলমুকুলের মায়াজলের নদী,
অস্বভাবী অভাবি জন্মান্ধ দু’চোখ মেলে খুঁড়ে খুঁড়ে স্বর্ণাঢ্য ভূমি
ক্লান্ত হই নি;
স্বপ্নচোখ আমাকে দিতে চেয়েছিল
নেব না, নেই নি।
২৮টি মন্তব্য
ইঞ্জা
মন ছুঁলেন ভাইজান, খুব ভালো লাগলো।
ছাইরাছ হেলাল
পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ, ভাই।
ইঞ্জা
-{@
আবু খায়ের আনিছ
বড় কঠিন লেখা, মা, মাটি,মাতৃভুমি। অন্যায় অবিচার, ভালো মন্দ্, নারীর অধিকার সবই তো তুলে ধরেছেন কবিতা। কুবির পক্ষেই সম্ভব এমন করে উপস্থাপন। অসাধারণ হয়েছে ভাইয়া।
ছাইরাছ হেলাল
সদ্য জন্মগ্রহণ করা শিশু, এই পৃথিবীর সব ডাক উপেক্ষা করে
মাতৃ জঠরের নিরাপদ আশ্রয়ে ফিরে যেতে চায়,
কুবি আর হইতে পারলাম কৈ!!
জিসান শা ইকরাম
কেন জানি কঠিনই মনে হলো এই লেখাটি,
ছাইরাছ হেলাল
বেশি কঠিন না,
মন্তব্যে বলে ফেলেছি বিষয়টি,
জিসান শা ইকরাম
হুম কঠিন না এখন আর।
ছাইরাছ হেলাল
আচ্ছা,
মিষ্টি জিন
অনেক ভাল লেগেছে।
বুঁঝতে একটুও কষ্ট হয়নি।
শুভেচ্ছা।
ছাইরাছ হেলাল
বুঝতে আপনার কষ্ট হতেই পারে না,
তুখোড় জ্ঞানী আপনি!!
আপনাকেও বিপুল শুভেচ্ছা।
মিষ্টি জিন
সে আর বলতে…. 😀
মোঃ মজিবর রহমান
মা মাটী মানুষ সব আছে নায় সততা, দেশ প্রেম।
ভাল লাগা রইল।
ছাইরাছ হেলাল
অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
শুন্য শুন্যালয়
পিশাচ কালো রাত্রির কালোচোখের প্রলোভনের লোভ কম নয় মোটেই। তবুও অই মাতৃজঠরের আস্বাদ এর স্বাদ সবকিছু ছাড়িয়েই।
স্বপ্নচোখ আমরা সময়ে নিতেই শিখিনি। অসময়ে তড়পাই।
বহু আগের আমার লেখাটাই যেন, কিন্তু কতো সুন্দর করেই না লিখলেন। অনেক ভালো হয়েছে।
ছাইরাছ হেলাল
আমি ভাবছি, বহু আগের লেখাই যদি এমন হয়, এখন আপনি লিখলে কী কী হতো কে জানে!!
ঠিক বলেছেন, সময় ফেলে অসময়ে সাধন করার জন্য তড়পাই।
প্রলোভন আমরা এড়িয়েই চলি, (প্রায় সময়েই)
নিহারীকা জান্নাত
থীমটা বুঝতে পেরেছি কিন্ত এত কঠিন কঠিন শব্দ কোথায় পান ভাই? আপনার কবিতা পড়লে বুঝতে পারি কত কম জানি আমি।
স্যালুট।
ছাইরাছ হেলাল
আমি তো আপনার থেকেও অনেক কম জানি,
কবিতা-ফবিতা কিচ্ছু না,
সব ভুং-ভাং!!
নিহারীকা জান্নাত
ভুংভাং জানাটাই আসল কথা ভাই। বাকি সব মিথ্যে 🙂
ছাইরাছ হেলাল
আচ্ছা, অভয় যখন দিলেন তখন ভুংভাং চালু থাকবে।
নীলাঞ্জনা নীলা
“তোমার গর্ভে আবার ফিরে যেতে চাই। মা, জন্ম নেবো আবারও তোমার উষ্ণ উত্তাপের জন্যে।” —–আমার মনের কথাটা আরেকবার লিখলাম।
অতিরিক্ত আবেগ ভাষা খুঁজে পায়না।
তবে সত্যি বলছি মন ছুঁয়েছে আপনার এই কবিতার প্রতিটি পংক্তি। (y) :c
ছাইরাছ হেলাল
মায়ের অকৃত্রিম ভালোবাসার আধারে সত্যি ই ফিরে যেতে ইচ্ছে করে,
প্রশংসা বেশি বেশিই মনে হচ্ছে কেন!! কে জানে।
নীলাঞ্জনা নীলা
কুবিরাজ ভাই সন্দেহ একধরণের অসুখ। এর একমাত্র ঔষধ চিরতা-নিম-নিশিন্দার পাতা একসাথে বেটে রস করে সকাল, দুপুর এবং রাতে প্রতিবার চায়ের কাপের এক কাপ করে খেলে ঠিক হবেই হবে। 😀
ছাইরাছ হেলাল
আপনি যখন খেয়ে উপকার পেয়েছেন তখন এর দেরি করা
মনে হয় ঠিক হবে না,
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
এখানে এখন পিশাচ রাত্রির কলোচোখ পিছু নেয়, পিছু ডাকে, যেতেও বলে,
পেরেকের মত গেঁথে, বুকভরা নুনপানির তীরে,
পা ভিজিয়ে দাঁড়িয়ে আছে দারুণ অপেক্ষায়, দিগন্তব্যাপী শিশিরে ভেজা
কোন এক দূরাকাশে।
সব অন্ধকার ভেদ করে আলো ফিরে আসবে এটাই চাওয়া।চমৎকার কবিতার প্রতিটি বাক্য। -{@
ছাইরাছ হেলাল
নিরাপদ অবস্থানই এখন আমাদের খুব প্রয়োজন।
মৌনতা রিতু
কঠিন সব শব্দ। তবে সব সব পিশাচের দৃষ্টি থেকে সবাই ভাল থাক।
ছাইরাছ হেলাল
কঠিন শব্দ কৈ পাইলেন!!
সবাই ভাল থাকুক তা তা চাই-ই।