শিরোনাম: জনপ্রিয় পর্যটক কেন্দ্র হিসেবে খুলনা বিভাগের আভিজাত্য

খুলনা বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য। ২০২২ সালের পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে খুলনায় প্রায় ৫ মিলিয়ন পর্যটক এসেছিলেন। এই পর্যটকদের মধ্যে ছিল স্থানীয় এবং বিদেশী উভয়ই।খুলনার জনপ্রিয় পর্যটন এলাকার মধ্যে আছে সুন্দরবন জাতীয় উদ্যান ,খুলনা ময়ূরীমারি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য, বাগেরহাটের ষাটগম্বুজ মসজিদ,রামপালের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, খুলনা নদীবন্দর,খুলনা মন্দির, খুলনা শহীদ মিনার,খুলনা জাদুঘর।
সুন্দরবন জাতীয় উদ্যান খুলনার সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটন আকর্ষণ। এই উদ্যানটি বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন এবং এটি ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান। সুন্দরবনে পর্যটকরা নৌকা ভ্রমণ, বন্যপ্রাণী পর্যবেক্ষণ এবং জঙ্গলে হাইকিং করতে পারেন।
খুলনা ময়ূরীমারি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যটি একটি ছোট বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য যা খুলনার উপকূলে অবস্থিত। এই অভয়ারণ্যে বিভিন্ন ধরনের পাখি, স্তন্যপায়ী প্রাণী এবং সরীসৃপ রয়েছে।
বাগেরহাটের ষাটগম্বুজ মসজিদটি একটি ঐতিহাসিক মসজিদ যা বাগেরহাটে অবস্থিত। এই মসজিদটি ১৫ শতকে নির্মিত হয়েছিল এবং এটি বাংলাদেশের অন্যতম বিখ্যাত স্থাপত্য।
রামপালের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি একটি বিশাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র যা খুলনার রামপাল উপজেলায় অবস্থিত। এই কেন্দ্রটি বাংলাদেশের বৃহত্তম তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং এটি দেশের চাহিদার প্রায় ১০% বিদ্যুৎ সরবরাহ করে।
খুলনা নদীবন্দরটি একটি বড় নদীবন্দর যা খুলনা নদীর তীরে অবস্থিত। এই বন্দরটি বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নদীবন্দর এবং এটি দেশের আমদানি-রপ্তানির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র।
খুলনা মন্দিরগুলি খুলনার একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় কেন্দ্র। এই মন্দিরগুলি বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষের দ্বারা পরিদর্শন করা হয়।খুলনার শহরের মধ্যে বেশ কিছু প্রাচীন স্থাপত্য রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে প্রাচীন মসজিদ, মন্দির এবং অন্যান্য ধর্মীয় ভবন।
খুলনা শহীদ মিনারটি একটি স্মৃতিসৌধ যা ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরণে নির্মিত হয়েছিল।
খুলনা জাদুঘরটি একটি জাদুঘর যা খুলনা শহরে অবস্থিত। এই জাদুঘরে বাংলাদেশের ইতিহাস এবং সংস্কৃতি সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রদর্শনী রয়েছে।
খুলনার পর্যটন শিল্পে আরও উন্নতি করার জন্য সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। এই পদক্ষেপগুলির মধ্যে রয়েছে:
১. সুন্দরবন জাতীয় উদ্যান এবং অন্যান্য পর্যটন আকর্ষণগুলির উন্নতি করা : খুলনাতে আরও কিছু নতুন পর্যটন আকর্ষণ তৈরি করা যেতে পারে, যেমন একটি মিউজিয়াম, একটি অ্যাকোয়ারিয়াম, বা একটি থিম পার্ক। এই আকর্ষণগুলি খুলনাকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলবে এবং আরও বেশি পর্যটককে আকর্ষণ করবে।
২. নতুন পর্যটন পণ্য এবং পরিষেবাগুলির বিকাশ করা: খুলনায় পর্যটন পরিষেবাগুলির উন্নয়ন করাও গুরুত্বপূর্ণ। এই পরিষেবাগুলির মধ্যে রয়েছে হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন এবং অন্যান্য পর্যটন-সম্পর্কিত পরিষেবা। ভালো মানের পর্যটন পরিষেবাগুলি পর্যটকদের অভিজ্ঞতাকে আরও উপভোগ্য করে তুলবে।
৩.পর্যটন বিপণন এবং প্রচার করা:খুলনা পর্যটনকে প্রচার করাও গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রচারণার মধ্যে রয়েছে বিদেশী পর্যটন বাজারে খুলনাকে প্রচার করা এবং স্থানীয় পর্যটকদের জন্য খুলনার পর্যটন আকর্ষণগুলি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
এই পদক্ষেপগুলির মাধ্যমে, খুলনা একটি জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য হিসাবে আরও উন্নতি করবে। বাংলাদেশে খুলনা বিভাগ পর্যটনে বিশেষ গুরুত্ব রাখছে বলে আশা করা যায়।খুলনা বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম শহর হিসেবে খুলনার প্রবেশদ্বারকে আরো শক্তিশালী করলে ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটলে পর্যটনে অর্থনীতিতে বিশেষ অবদান রাখবে।

শিক্ষার্থী সৌরভ হালদার
ব্যবস্থাপনা বিভাগ
সরকারি ব্রজলাল কলেজ খুলনা
skhsouravhalder@gmail.com

0 Shares

একটি মন্তব্য

  • নার্গিস রশিদ

    ‘পর্যটন শিল্প’ বর্তমান সময়ের একটি বিরাট শিল্প। শুধু তাই নয়, এর চাহিদা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং তা দ্রুত গতিতে। ধনী দেশ গুলোতে মানুষের চিন্তায় ভাত কাপড়ের চাহিদার মতোই পর্যটন একটি অপরিহার্য বিষয়। তাই এই চাহিদাকে সামনে রেখে আমাদের সুন্দর বনকে তুলে ধরতে হবে এই বাজারে। সুন্দরবন কে দেখার সাথে সাথে আমাদের কিছু কিছু “Thrill”বা এক্সাইটেড কি ভাবে বাড়ানো যায় তার চিন্তা করতে হবে। যেমন জীপ লাইন, ক্যাবলকার , ট্রি হাউস রিসোর্ট, ট্রি টপ ওয়াক ওয়ে, বিরাট ঝুলন্ত দোলনা যার মাধ্যমে সুনবন সুন্দর করে দেখা যাবে। সুন্দর লেখার জন্য অনেক ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা।

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ