অপেক্ষার চৌহদ্দি পেরিয়ে ছায়ার উঁকিঝুঁকি
রোদ আসে-না/আসে-নি, এমন হয়-না/হয়-নি
কখনও আগে।
কু-ডাক!
তাও-তো মনে আসে-না/আসে-নি এখনও।
পরকীয়া! তাও মানি-না/মানছি-না,
নিকুচি করি নূতন নিয়মের, সেফ কচুকাটা।
উদাস দুপুরে চ’সে ফেলা এদিক সেদিক
নীলের সমুদ্র ঝড়
সবুরের মেওয়া, তাও ঠাণ্ডায় গুটিসুটি;
স্বহনন! উহ্, তাও সম্ভব না, বাঁধা আছে সহ-মরণে!
অকস্মাৎ তেড়েফুঁড়ে বাতাস ফেলে গেল ছোট্ট চিরকুট
বুকে হাপর তুলে প্রমাদ গুনছি! কিছু একটা গোল
বেধেছে/বাধিয়েছে নিশ্চয়ই!
সাবমেরিন কেবল সহসাই কাটা আ-কাটায়
ঘুমিয়ে পড়ে, নিঃশ্চুপ ভাইবার মেসেঞ্জার হোয়াটস-আপ।
নিকুচি করি। কচু পুড়ে খা, কাচাও যদি মন চায়!
হারামি-বজ্জাত-শকুন-তেলাপোকা-খাটাশ-ছুঁচো যত্তোসব!
মর, মরে প্যাত্না হ, ঘাটের-মরা খা,
হিংসে হয়!! জানিতো!
পেল্লায় পাহাড় দাঁড়িয়েছে এবার রোদের পথ আঁটকে!!
স্বেদ-বিন্দুর সোনালী ক্রন্দন ঝুলে থাকে
আলোর আলেয়া হয়ে!!
অপেক্ষার সৎকার সে-ও তো হবার নয়।
কিছু বিষাদ এঁকেছে চোখ, বিপন্ন বিস্ময়ে
রোদ আসেনি বলে
সান্ধ্য-নির্জনতায় ছায়ার অভুক্ত চোখে;
অভিশাপে ছুঁড়ে দিলাম একটি মাত্র দশ মাত্রার ভূকম্প,
কাঁদো কাঁদো, কেঁদে-কেটে নিরন্ন হয়ে লুটিয়ে পড়,
সাবধান! হা যেন বড় না হয়, পাজির পা-ঝারা বীর পুঙ্গব!
২২টি মন্তব্য
মায়াবতী
হাহাহা কি সুন্দর সুন্দর শব্দ ! হারামী বজ্জাত শকুন খাটাশ !!! এতো এতো বিদ্রোহাত্মক হয়ে গেলো কেনো আমাদের প্রিয় কবি সাহেব ! ভুকম্প ছুঁড়ে ছুঁড়ে কি সব প্রতিশোধ নেয়া যায় !!!
🙁
ছাইরাছ হেলাল
আপনি বুজুর্গ-জন!
তাও সামান্য পাঠকের জায়গা থেকে এ লেখা নিয়ে বলছি!
ছায়া ও রোদর সম্পর্ক খুবই টাইট হৃদ্দি (অক্টোপাসি-প্রেম বলা যেতে পারে)।
‘অপেক্ষার চৌহদ্দি পেরিয়ে’ {এখানে তড়পানো (উথাল-পাথাল) হৃদয় বোঝানো হয়েছে} এ জন্য-ই।
স্বহনন (আত্মহত্যা) করা যাবেন কারণ সহমরণ ঠিক করা আছে (এক দড়িতে মড়ার চুক্তি বিদ্যমান), রোদের পরকীয়াও কিছুতেই মানবে-না ছায়া!
গালির বহর-বিস্তার লক্ষ্য করলে দেখা যাবে ডাল মে কুচ কালা হায়!
কান্নাকাটি করা যাবে কিন্তু মুখ হা করা যাবে না, তাছাড়া গালির শব্দ-সম্ভারে
কোথায় যেন একটি হৃদ-টান দেখা যাচ্ছে,
ছায়া সামান্য দ্বিচারিণী এখানে, একটু পরকীয়ার ছোঁয়া দেখা যাচ্ছে পাহাড়ের
সাথে, যদিও রোদর জন্য সব কিছু নৈব চ, নৈব চ!
অর্বাচীন ল্যাখকের মতামত জানা যায়নি!
মায়াবতী
এতো বড় ব্যাক্ষা ! আমি কি তাহলে কিছু ই বুঝিনি প্রথমে ??? ইস কত নির্বোধ আমি ***
কবি মনের এতো সব প্যাচানো প্যাচানো বিশ্লেষণ কি করে বুঝবো বলুন তো ???
দারূণ লিখেছেন ভাই জান :v
ছাইরাছ হেলাল
আহারে ভাইয়া’পা!
প্যাঁচ-পুচের কিচ্ছু না, তবে সামান্য আউল-ফাউল বলা যেতেই পারে,
আপনি বুঝতে পারেন-নি এমুন ভাবনা ভাবতে পারছি না, ভাবতে চাই-ও না।
ল্যাহা-লুহা দেন তো। কত্তদিন পড়ি না।
সাবিনা ইয়াসমিন
মর,মরে পেত্না হ, ঘাটের মরা খা, হিংসা হয় জানিতো!!!!! হিংসুটেদের উদ্দেশ্য এমন কথা এর আগে আর শুনিনি,, 😀 😀 😀 😀
ছাইরাছ হেলাল
এটি একটু সেকেলে ধরনের,
ডিজিটালি এগুলোই একটু অন্য ভাবে আমরা বলি,
একটু কান রাখুন, শুনতে পাবেন,
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
জিসান শা ইকরাম
কেউ উপেক্ষা পেলে সাবমেরিন ক্যাবল তো কাটতেই পারে, কি হবে এতো রোদ আলো দিয়ে?
ভাল্লাগছে।
ছাইরাছ হেলাল
হ্যা, এখন কাটাকুটির-ই প্রাধান্য।
তবে রোদ-ছায়া আমাদের লাগেই।
রিতু জাহান
কি যেনো এক কি খুঁজে ফিরি। পরকিয়ার সহমরণ! নাহ তা কি করে হয়।
রোদের তেজে সব পুড়িয়ে দিবে যে।
এ কোন রোদের অপেক্ষা শুনি? প্রেমে আবার অভিশাপ কি?
প্রেম যদি হয়েই যায়, পরকিয়ার আর রোদেরই বা কি তাতে?
গুরু চলিলাম দাঁতের ডাক্তারের কাছে। দাঁত প্রায় নড়বড়। খোঁজ নিয়ে জানলাম আশি হাজার টাকা নিবে ক্লিপ বেঁধে দাঁত টাইট করে বেঁধে দিতে। এরপর আর এমন লেখা পড়তে ঠকঠক শব্দ হবে না দাঁতে।
এতো নিষ্ঠুর কি করে হয় কবি!
ছাইরাছ হেলাল
এতো ট্যাকাটুকা খরচ করার দরকারটা কী!
ফোকলা দাঁত কিন্তু খারাপ না, সাথে কুট্টি একটি পান-ছেঁচুনি থাকবে।
দোক্তা দেয়া পানের খুসবু কিন্তু খারাপ না!!
লেখা-লেখি বাদ, আগে পরীক্ষা, বাবুর, পরে অন্য কিছু, তবে এখানে
অন্য জায়গার মত সরব উপস্থিতি না হলেও উঁকিঝুঁকি চালু রাখলেই হবে।
শুন্য শুন্যালয়
ভাউ এতোকিছু কাস্তে, শাবল, সূই শব্দের চাষবাস না করে, দুদিকেই সামলানোর পদ্ধতিটা শিখে ফেললেই পারতেন। মানে আপনাকে না, কবিকে বলছি। আপনার জন্য দুই চার দশদিক সামলানো কোন ব্যাপারই না। ইতিহাস স্বাক্ষি।
এদ্দিন পরে এসেছি, ভাগিয়ে দিয়েন না যেন। সুন্দর কিছু ঝাড়ুন, একদম লেখা পড়েই মরতে যাবো টাইপ।
ছাইরাছ হেলাল
যাক মানির মান আল্লাহর হাতে, এই ল্যাখক কবি না, তাই এযাত্রা রক্ষে্,
জয় রাম জি কা জয়!!
তবে হ্যা, কবিদের ক্যারেক্টর লুজ থাকে বলেই জানি, অবশ্য আপনি কবি নন!!
{ই…… মা কী পচা কথা বলে!! (এই মাত্র কৈশর উত্তীর্ন যুবতী কন্ঠের কৃত্রিম আর্ত-চিৎকর-ধ্বনি কল্পনায় শুনতে হবে)}
আপনাকেই আমার দাক্তার মেনেছি/মানি/মানব-ও, দশোধিক দিক সামলানোর জন্য অনুপান (পথ্য) সহ
একখানি প্রেসক্রিপশন লিখে দিলে বেঢপ কটিদেশে স্বর্ণ-মাদুলিতে ধারণ পূর্বক চিকিৎসা নিয়ে মোক্ষ লাভের
দিকে ধাবিত হইতে চাই!!
হঠাৎ উদয় হলেন!!
ওহ, ধুম্র থিওরি!!
তাও আপনি পদধূলি/পদফুলি! নাহ, ফু হতে পারে দিয়ে ব্লগের
তড়পানো হৃদয়ে বৃষ্টি নামিয়ে মিট্টি কা খুসবু ছড়িয়ে দিলেন বলে (ভুয়া) ধন্যবাদ দিলাম।
ধুর!! কে যে কাকে কখন কাকে তাড়ায়!!
মরতে যাবো টাইপ লেখা দিয়ে আপনার বিশাল হৃদয়ে ধাক্কা দেয়া ঠিক হবে না;
তবে গলে গলে কলসি-উপচানো ভালুবাসামুলক লেখা দেয়া যেতেই পারে!
হুকুম যখন করেছেন! শুধু অভায়ানুমতির অপেক্ষা মাত্র।
শুন্য শুন্যালয়
এই ব্লগের স্বনামধন্য আদি ও একজন কবিকে আমরা সবাই চিনি, শুধু নামটা বলতে চাচ্ছিনা। পরোক্ষ স্বীকারোক্তি ভালোই লাগে, যদিও ক্যারেক্টার এর আবার সংজ্ঞা কী!!
ডাক্তার কবে থেকে সবদিক সামলানোর বটিকা দেয়া শুরু করলো? আর ভুলে গেলেন, আমি ডাক্তার, ওঝা, কবিতাড়ানি কিছুই না। একদিক সামলাতেই যেনতেন অবস্থা।
উদয় তো রোজই হই, সব কি আর কানাচোখে দেখতে পাবেন?
কলসি উপচানো লেখাখানি বেশ লিখেছেন। আর বেশি দিলে কিন্তু পড়ে যাবে। 🙂
ছাইরাছ হেলাল
ব্লগের পাখি-কবিকে (পাখাল) আমরাও সবাই চিনি! নাম-নুম ব্লা ঠিক না!
না মানে, শারদিয় শুভেচ্ছা! দশভূজাকে! বিপদতাড়িনি !
সামলাতে আপনি-ই পারবেন, পারতে যে হবেই।
না,না! কানাচৌক্ষে কিচ্ছুই দেখতে পারার কথা না, তবে অন্য চোখগুলো খুলতে হবে দেখছি!
ধুর! কী না কী লিখি!
মোঃ মজিবর রহমান
কি জানি সব ছাড়ছেন কবি সাব। রোদ্র-ছায়া, কু -সু, ভাল মন্দ একটা মানিয়ে নিলেই হয়না, কবি সাব!!!
৫/৬ কিচ্ছুয হয়না আবার ১০ ের ভয়ে ডরাব এটা মনে রাইখেন। আয়রন, ফরমালিন সব দেহে আছে ডরায়না।
সব মার গুলি মাথার উপরে গেছে …।
ছাইরাছ হেলাল
কিছু কিছু মাথার উপ্রে দিয়ে যাওয়াও দরকার!
মোঃ মজিবর রহমান
মাথার উপরে যাচ্ছেই যাচ্ছেই বক পক্ষি আমি কিচ্ছু জানিন না।
ছাইরাছ হেলাল
বক পক্ষি তো ভাল পাখি,
ভাল করে তাকিয়ে থাকুন, মন ভরে যাবে।
নীলাঞ্জনা নীলা
এ তো দেখি দা-খুন্তি প্রেম!
শূলে উঠানো হয় জ্যান্ত(আলো, সব ফকফকা! ও মনু এইডা জানি কী বাত্তি!),
আর নামিয়ে দেয়া হয়; মৃত(অন্ধকার, কিস্যু দেখা যায়না ক্যান! এইডা কই? নরকে বলে আগুণ থাকে! মনে হয় এইটা স্বজ্ঞ!)!
তেল/ঘি-তে মিলেমিশে একাকার।
================================
কুবিরাজ ভাই যা মনে এসেছে দিলাম ঝেড়ে। এখন অভিশাপ দিলে দ্যান। আইচ্ছা, কার অভিশাপে জানি কে মরেনা? \|/
ছাইরাছ হেলাল
শকুনের অভিশাপে গরু মরে!!
আর
জেলেদের অভিশাপে চিংড়ি ভেসে আসে।
নীলাঞ্জনা নীলা
আমি তাইলে কোনটা? আর আপ্নেও কোনটা? ;?
ছাইরাছ হেলাল
এত্ত কঠিন প্রশ্ন করা ঠিক কিন্তু।