চুল

সোনেলা রোদ্দুর ৭ ডিসেম্বর ২০১৪, রবিবার, ০২:৩৯:২০অপরাহ্ন একান্ত অনুভূতি, ছবিব্লগ, সঙ্গীত ৪০ মন্তব্য


ময়না লো তোর লম্বা মাথার কেশ............ মিষ্টি মধুর হাসি দিয়া পাগল করলি দেশ......... ময়না লো   পোষ্টের থিম সং এটি। ক্লিক না করলে পোষ্টের মজা নেই

তোমার মাথায় কত চুল ........তুমি চুল পরিমান ভালো বাসা আমায় যদি দিতে.........
আমি আর কিছু দিন থাকতাম বেঁচে এইনা পৃথিবীতে ....... আহারে কত দুস্কে মরনের পথে যাত্রা 🙁 (-3
গানটি কিন্তু সুন্দর 🙂 এমন কথা শুনে যে কোন মেয়ে মোমের মত গলে যাবে। আমিও :p

চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা, মুখ তার শ্রাবস্তীর কারুকার্য .........। কত কিছু পায় নারীদের চুলে 🙂 কিন্তু আমরা পুরুষদের এই গান কাব্য উপেক্ষা করে চুলকে কেটে পুরুষদের হৃদয় ভেঙ্গে টুকরো টুকরো করে দেই। আমি অবশ্য না।  আমার চুল দেখুন :p

চুল নিয়ে আমাদের দেশে কত কাব্য, কত গান, কত হেয়ার ষ্টাইল, কত পরিচর্য্যা। কত জাহাজ নারকেল তেল আমদানী করতে হয় দেশে কে জানে?


আমাদের সোনেলার ব্লগার বন্দনা কবীর আপুর চুলও কিন্তু অবাক করার মত লম্বা। যদিও আপুটাকে এখন পর্যন্ত সামনা সামনি দেখিনি আমি,তবে দেখে ফেলবো যে কোনোদিন 🙂 আপুটাকে অনেক শুভেচ্ছা  -{@ আপুর সাথ দাঁড়ানো তার ভাইকেও শুভেচ্ছা  🙂

সুচনা সমাপ্ত, আসুন এবার মূল লেখায়

চীনের একটি সুন্দর গ্রাম। পাহাড় বেষ্টিত গ্রামটির বাড়িগুলোর পাশ দিয়েই বয়ে গিয়েছে একটি সুন্দর নদী। কি আছে এই গ্রামটিতে ? যা অন্য গ্রাম বা বিশ্ব থেকে আলাদা বৈশিষ্ট এনে দিয়েছে? চীনের হুয়াংল্যু গ্রাম , ''world’s longest hair village” বিশ্বের লম্বা চুলের গ্রাম হিসেবে স্বীকৃত গিনিচ বুকে।
এই গ্রামের নারীদের চুলের গড় দৈর্ঘ পাঁচ ফুট ছয় ইঞ্চি, বড়দের চুলের দৈর্ঘ ছয় থেকে আট ফুট। জীবনে একবারই মাত্র এখানের নারীরা চুল কাটে, তা ঠিক ষোল বছর বয়সে বিয়ের পুর্বে  🙂

লম্বা এবং কালো চুলের গোপন রহস্য কি ?

এই নদীর পানিতে চুল ধোয়াই আসলে এর গোপন রহস্য। কোন শ্যম্পু ব্যবহার করেন না এই সব নারীগন। সপ্তাহে দুই দিন চুল ধুতে আসেন এই নদীতে।


চুল ধোয়া শেষ, এবার শুকানোর পালা। নিজের চুলে নিজেই মুগ্ধ সবাই।


বাড়িতে যাবার পুর্বে হালকা চিরুনি দেয়া


মোটামুটি একটি খোপা করা হলো, এবার বাড়িতে আসুন 🙂


এত লম্বা চুল তো আর বসে বসে আঁচড়ানো সম্ভব নয়, তাই বাড়ির বারান্দায় দাঁড়িয়ে চুল ঝুলিয়ে আঁচড়াতে হয়। এই চুল দেখে কোন যুবক উপর দিকে তাকিয়ে রাস্তায় কিছুর সাথে ধাক্কা খেয়ে পরে গেলে আমরা কিন্তু দায়ী নই। বাসার অভ্যন্তরে তো আর বারান্দ থাকে না। বারান্দ রাস্তার পাশেই থাকে। হে যুবক সাবধানে পথ চলিও 🙂



চুল আচড়ানো হয়ে গিয়েছে। এখন খোপা করার পালা। ১,২,৩,৪ ধাপে দেখানো হয়েছে কিভাবে খোপা করতে হবে। ৪ নং ফটোতে দেখুন খোপা করার পরে কত গর্জিয়াস লাগছে 🙂
বাইদা ওয়ে, যত বৃধা নারীই হোকনা কেনো, এই গ্রামের কোন সাদা চুল ওয়ালা নারী নেই। নদীর পানি বোতল যাত করে বিক্রী কেনো যে চীন সরকার নেয় না বুঝিনা।

পোষ্ট উৎসর্গঃ
ছাইরাছ হেলাল ভাইয়া, আমার এই সমস্ত পচা পোষ্টেও যিনি মন্তব্য করে উৎসাহ দিয়ে আসছেন।
শুন্য শুন্যালয় আপু , যিনি আমাকে আদর করে ঢংগি ডাকেন, যদিও কাউকে বলিনি একথা এখনো। বলবোও না ।
দুজনেই হাফ সেঞ্চুরী পোষ্ট দিয়েছেন। শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন দুজনকে।

 

0 Shares

৪০টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ