গ্রামের নাম অজানা

শুন্য শুন্যালয় ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৪, সোমবার, ০৩:২২:১৪অপরাহ্ন একান্ত অনুভূতি ৬২ মন্তব্য

 

শুভ্র ভোর। হিম হিম বাক্সবন্দি অনুভূতি পুরোনো চোখে বের করে আনছে থেকে থেকে। নিয়ে যাবে কোথায় আজ? প্রশ্ন করি ভোরকে। আলসে ভোর ঘাপটি মেরে থাকে কোথাও। আমি হঠাৎ এক প্যাঁচে শাড়ি পরে নেচে বেড়ানো গ্রামের ভোর বধূ। একহাতে শাড়ির খুঁট, অন্য হাতে আলগা বাতাস। মক্তবে দল বেঁধে হেঁটে যাওয়া বালিকার দেয়াল। তুমি কে? দেখিনিতো এ গ্রামে আগে। আমি বলি এ গ্রামের মালকিন আমি, ভোর এ গ্রামটি আমাকে উপহার দিয়েছে। বালিকা দলের উসখুস প্রশ্ন, ভোর কে? আমি আহত বিস্মিত চোখে পাল্টা নিরব প্রশ্ন রাখি। ভোরকে চেনোনা? অবজ্ঞাতেই এড়িয়ে সামনে ছুটি। টিং টিং সাইকেল চাক্কা ঘুরিয়ে দৌড় দেয়া বালক। চলে ছেলেমানুষি পাল্লাপাল্লি। কোথাও মৃদু কান্না, ওপারে চলে যাওয়া কারো, সত্যি আর মেকির প্রমাণটা না জেনেই। এখানে ভোর হয় রাতের শেষ আয়োজনে। তখনও কোথাও ঘুরে বেড়ায় হয়তো দামাল জোনাকি অথবা ক্লান্ত গোয়েন্দা চাঁদ। এখানে ভোর হয় বেঁচে থাকার নতুন আনন্দে, বিলাসী স্বপ্নের ভিড়ভাট্টা এড়িয়ে। দূর থেকে দেখি শ্যালো মেশিন দিয়ে পানির তোড় বয়ে যাচ্ছে ক্ষেতের পর ক্ষেত। কৈশোরে ফিরে যেতে মানা করবার আজ কেউ নেই । পায়ের একপাটি স্যান্ডেল ভাসিয়ে দেব অই বয়ে যাওয়া পানিতে ঠিক যেভাবে দিতাম ছেলেবেলায়, কিন্তু পায়ে যে দেখি কাঁচের জুতো। কখন এড়িয়ে গেছি, শুকিয়ে যাওয়া রক্তের খোঁচাখুঁচি। আমার স্বপ্ন সত্যির মাঝে তখন শুধু ইচ্ছে দূরত্ব। ভোর? কোথায় ভোর? এ গাঁয়ে ফিরতে হলে আবার চাই আরেকটি রাতের চলে যাওয়া, আরেকটি ভোর ঘুম …

0 Shares

৬২টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ