ভুল ত্রুটি করি/হয়-ও, ইচ্ছেয়-অনিচ্ছায়;
ক্ষমা চাইতেই পারি, চাই-ও, যৌথ-অযৌথতায়।
হাত-পা পা-হাত ধরে, কেউ একটু বেশি এগিয়ে
অনেক কিছু অনেক কিছু ধরে-টরে,
অবশ্য ক্ষমা করা-না-করা একান্ত তার-ই এখতিয়ারে!
সামান্য শিক্ষানবিস ল্যাখক হিসেবে
‘অসামান্য/সামান্য’ লেখা-জঞ্জালের জন্যে
গুচ্ছের/মুঠো না হোক নিদেন পক্ষে
এক চিমটি ধারালো ধন্যবাদ ছুঁড়ে/ফুঁড়ে
দিলেও দিতে পারতেন, নুবেল তো চাইনি!!
হে বিধাতা!
আঁতকে উঠি,
দুর্ভোগ-দুর্দশার পরগনায় সাজানো সুখ/দুঃখের সুতানটিতে
জাঁকালো মাদলের শব্দে!!
এতটা বখিল ভাবতেই চাই না তাঁকে; উহ্!!
সরাসরি নয়, জায়গা-মত ফেললেই পেয়ে যেতাম প্রসাদটুকু।
বলছি না, লেইখ্যা-টেইখ্যা অণুকুল হাওয়া বইয়ে দেব!!
এই জলজের উপকুলে!! সে ক্ষ্যামতা দেন-নি বিধাতা ভুল করে!!
এক বিষণ্ণ খ্যাঁক-খ্যাঁক খ্যাঁকোর-খ্যাঁকোর
বুকের ফাঁপা পাঁজরে লুকিয়ে থাকে
সুখের তুমুল উদ্যানে বাদামী পাতাদের ভীড়ে;
গোস্তাকিটুকুর জন্য মাফি ফের!!
১৮টি মন্তব্য
নীলাঞ্জনা নীলা
এভাবে বলবেন না। আপনি ফিরে এসেছেন। একে একে সকলেই ফিরবে। আগে ল্যাপু ছাড়া মন্তব্য করতে পারতাম না। এখন সেলফোনে পাসওয়ার্ড পেয়েছি, যখন খুশী তখন ব্লগে আসা-যাওয়া করি। এই দেখুন কেমন বকবকানি শুরু করে দিলাম! আগামীকাল আবার আসবো কিন্তু লিখতে মন্তব্য। 😀
ছাইরাছ হেলাল
ফিরে এসেছেন মানে কী!! আমি আছি তো, বরং আপনি নানাবিধ কারনে-অকারণে অনুপস্থিত ছিলেন!!
তবে হ্যা, এখন সবাই মিলে বক-বকানি করবো এটা অনেক আনন্দের।
রোজ একটি করে কবিতা নিয়ে আসবেন, খালি হাতে এলে আপনার খবর আছে কিন্তু।
অপেক্ষা চালু রাখলাম।
দাঁত সামলে!!
নীলাঞ্জনা নীলা
খালি হাতেই এসেছি। বলুন কয়টার খবর করবেন? কোন চ্যানেলে দেখা যাবে? 😀
ছাইরাছ হেলাল
ওরে বাবা, রণরঙ্গিণী!!
মৌনতা রিতু
হাওয়া তো আমি অনুকূলেই দেখতে পাচ্ছি।
আমি তো খুশিতো কতোকিছু সাজিয়ে বসে পড়লাম। এখন, আমার মতো বোকাসোকা পাঠক দিয়ে মন না ভরলে কি আর করা!
হুম, আসুক ফিরে কেউ, যার অপেক্ষায় লেখকের দিন কাটে। একটা ধন্যবাদ পাওয়ার জন্য দিন কেটে যাক।
ছাইরাছ হেলাল
পাঠক লক্ষ্মী, বোকা না।
অবশ্যই অণুকুলে (সে তো আপনার জন্যই হয়েছে), বাতাসের ভাবেই তা বোঝা যাচ্ছে।
লেখক যে কার অপেক্ষায় দিন গোনে তা লেখক ঠিক-ঠাক জানে কীনা তাতেও
সন্দেহ আছে, লেখক কিন্তু আপনার লেখার জন্যও অপেক্ষায় আছে।
এবারে বলুন……
লেখক আপনার মত হয়ে একটি লেখা জোড়াতালি দিয়েছে, (যদিও আপনার মত ভাল হয়নি!!)
সেটি পড়বেন? নাকি লেখক যার জন্য অপেক্ষা করছে সেই লেখাটি পড়বেন?
দুটোই তৈরি আছে, এবারে কিন্তু অপেক্ষা আপনার জন্য, আপনার মতামতের জন্য!!
আপনার নিত্ত-সুন্দর লেখার জন্যও।
মৌনতা রিতু
এমন লেখকের লেখা পড়ার জন্য অপেক্ষা করেছি, প্রতীক্ষা না। কবিতাটা পড়েছেন তো?
এতোদিন কতো চমৎকার লেখা থেকে আমাদের বঞ্চিত করেছেন বলুন তো! এর শাস্তি প্রতিদিন একটি করে কবিতা চাই।
ওয়াইফাই সে কাবাবে হাড্ডির যন্ত্রনা দিলেও পড়ে নিব ঠিকই। পড়ে নিচ্ছি, পড়তে চাই আরো। এখন দেখার প্রচন্ড এক আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষায় আছি কবি কোন লেখকের অপেক্ষায় দিন গুনছে।
ছাইরাছ হেলাল
প্রিংবদাজী,
অনুসুয়াকে সাথে ডেকে নিন!!
শাস্তি মাথা পেতে নিচ্ছি তবে প্লিগ লাগে শাস্তি বাড়িয়ে প্রতিদিন চারটে কোবতে লেখার অনুমতি দিন!!
অপেক্ষা করুন, অবশ্যই সহসাই হাজির হয়ে যাবে।
কবিতা পড়েছি মানে, হাড়ে হাড়ে পড়েছি;
আপনার লেখা কৈ!!
জিসান শা ইকরাম
গোস্তাকি! আমরা কি আবার নাবাব বাদশাহ আমলে ফিরে গেলাম?
এমন ভাবে লিখলে মাফ না হয়ে যায় কই?
কিন্তু ঘটনা কি? কার কাছে এই আর্জি? টপ সিক্রেট নাকি?
ছাইরাছ হেলাল
সিক্রটে-ফিক্রেট কিচ্ছু না, সবই ফকফকা!!
শক্তিমানেরা যুগ যুগ ধরেই যৌথ-অযৌথ ধরাধরি পছন্দ করে।
রীতি বা নিয়ম যাই -ই বলুন না কেন!! আমরা কেউ-ই নিয়মের বাইরে না।
আর্জি তো ‘বিধাতার’ কাছে!!
জিসান শা ইকরাম
যৌথ-অযৌথ ধরাধরি !! বাহ কত্ত সুন্দর বাক্য 🙂
ছাইরাছ হেলাল
তাত হতেই হবে!!
মায়াবতী
এতো অনুনয় বিনুনয় কার কাছে কবির ? ও মা গো, এমন কি গোস্তাকি ? বাহ কি সুন্দর ক্ষমা চাওয়ার প্রয়াস !
ছাইরাছ হেলাল
ক্ষমা তো আমাদের চাইতেই হয়, তাই অভ্যাস করতেছি!!
বিধাতা ক্ষমা চাওয়া পছন্দ করেন।
তৌহিদ ইসলাম
অসম্ভব সুন্দর শব্দচয়ন, বার বার পড়তে ইচ্ছে জাগে ভাই। আপনি অনেক বিনয়ী মানুষ।
ছাইরাছ হেলাল
এগুলো কিচ্ছু না,
যা যখন যে ভাবে মনে আসে।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
শুন্য শুন্যালয়
বুঝলাম না, কী পাপ কইরালাইছেন? কিয়ের গোস্তাকি? কিয়ের মাপামাপি? এত্তো দাম ক্যান কবির? ডাকলেও আহেনা, অথচ কাউরে ডাকলেই সুরসুর কইরা চায়! ল্যাখতে আমরাও পারি, খালি ভাষা মাথায় আহেনা। ধার দ্যান দেখি কিছু। প্লিজ
ছাইরাছ হেলাল
ভাই,
আমিও তো ধার-উদ্ধারের মধ্যে আছি, তারপর গুরুজনের কোথায় না বলতে নেই,
অধর্ম হয় তাতে। সবই তো আপনার/আপানাদের, নিন না দুহাত ভরে;
তবে আচল এ্যালাউড না কিন্তু।
আমিও ভাবি কোথায় কেমনে কি এমুন করলাম!!
সবই মায়া আর মায়া, শুধু আহে না চইল্লাও যায়!!
এট্টু ভ্রমণ কাহিনী-টাহিনী দ্যান, পইড়া জুড়াইয়া যাই।