স্তব্ধ নিস্তব্ধতার গভীরতম তলদেশ থেকে উঠে আসা
গা গুলোতে থাকা অব্যর্থ যন্ত্রণা, ঘুরপাক খায় ঘুরপাক খায়,
আবদ্ধ করে, আচ্ছাদন করে;
এই পথ ধরে হেঁটে গেছেন এক ধন্বন্তরি কবি,
গোপন খবরে জানতে পেরে পিছু নিয়েছি,
ধরে ফেলা দূরত্বে এসে খেই হারিয়ে ফেলেছি,
এ-যে সাত, চৌদ্দ বা সারে তেত্রিশ মাথার ধাঁধাঁ!
কোন দিকে যাবো?
হাঁটছি নিঃশ্বাসের দীর্ঘশ্বাস ফেলে ফেলে
অ-নাটুকে গন্তব্যে পৌঁছুলাম বলে,
আংটি আর আঙুলের যৌথতার আনন্দবিহার
হবে কিনা কে জানে?
নিমজ্জনের পাতালপুরীতে নেমে এসে ঠায় দাঁড়িয়ে আছি
নিষ্টুপ সেমিকোলন হয়ে,
গেল কোথায় সেই আহম্মক কবি?
কবির বগলের খেরো খাতায় নাকি আছে পুষ্টি-কবিতা-গুচ্ছ,
অমরত্ব লোভী পাঠক! বিনা মন্থনেই পেয়ে, বেঁচে থাকবে
আস্বাধ অমৃতে;
ছিনিয়ে নেব খেরো খাতাটি, বন্দী হব অমরত্বে,
খুনি হয়ে স’রে পড়ব কোন এক অনির্ণিত শেয়ালনির্জনতায়,
দুর্মুখ জনারণ্যকে পেছনে ফেলে,
ছেড়া স্বপ্নসুঁতো জুড়ে নেবো প্রাণপনে।
নেই এখানে কোন পুণ্যস্নানের তাড়াহুড়ো;
৩০টি মন্তব্য
প্রহেলিকা
প্রথমেই ধন্যবাদ আবদার রাখার জন্য। শিরোনামে খেরোখাতার কবি বললেও কবিতার আদ্যোপান্তে যা দেখেছি তা এক ক্ষুধার্ত পাঠকের হাহাকার। তৃষ্ণার্ত চাতকের মতো পাঠকের অধীর অপেক্ষা। সন্ধানী তীক্ষ্ণদৃষ্টিও যে পাঠকের রয়েছে। হয়তো পড়ুয়া বলেই।
খুনি হবেন তাও মানা যায়। কবির কাছ থেকে যদি খেরোখাতা ছিনিয়ে নেয়া হয় তখনই কবি খুন হয়ে যায়। কবির সৃষ্টির মাঝেই বেঁচে থাকেন কবি। খুব সচুতুর ভাবে শেষ লাইনে অনেক কিছুই বলে গেলেন।
নাই চাইলে পেতাম হয়তো, কিন্তু দেরি করে পেতাম।
ছাইরাছ হেলাল
আপনি ঠিক ধরেছেন, এ লেখাটি যে কবে প্রকাশ পেত তা জানিনা,
আজ তো কিছুতেই না,
কাল হয়ত ছোট্ট কোন লেখা দিতাম, তেমন ই ঠিক করে রেখেছিলাম, হঠাৎ এটী-ই দিয়ে দিলাম,
ভাবনার মুণ্ডহীনতা হয়ত!!
শেষে একাকীর স্বার্থপরতায় নিঃশব্দ অনন্ত অবগাহনের কথা বলার চেষ্টা করা হয়েছে।
নিজের লেখার কথা নিজে নিজে বলা খুুউউব কঠিন।
প্রহেলিকা
একাকীত্বও ঢের ভালো যদি অকৃত্তিম হয়, আজকাল একা থাকাটাও যে খুব বড় পাওয়া হয়ে যায়। আসলে যা ভাবছি তা হলো, ঝোলা বেশ কানায় কানায় পূর্ণ তা ঠাহর করতে পেরেছি। এভাবে লুকানো ঠিক না, ঠিক হয়ও না। এভাবে হুটহাট করে দিতে আপত্তি কই বা কেন? আপনি জানেনতো কবিতার আদলে কিভাবে ছোটগল্প লিখে? না জানলে শিখে নিতে পারেন এই লেখাটিই পড়েই। পাঠক হয়েই পড়ুন।
ছাইরাছ হেলাল
দেখুন আমার মন যা চায় তাই-ই লিখি, ভাল-মন্দ-পাঠক-ফাঠক কিছু মাথায় রাখি না,
ঈশ্বরের কাছে অশেষ কৃতজ্ঞতা, মনের কথা বলতে পারছি নিজের কাছে মহানন্দে।
এর বেশি কিছু চাওয়ার নেই। তবে লেখক কোনভাবে না, পাঠক হতে চাই সাধ্যাতীত ভাবেই।
গল্প-কবিতা কিছুই শিখুম না পণ করা আছে। তবে পড়তে আপত্তি নেই।
বনভুমের নির্জনতা আঁজলা ভরে নিতে চাই,
প্রহেলিকা
পাঠককে খুশি করতে গিয়ে নিজের সত্ত্বাকে বিসর্জন দেয়ার পক্ষপাতী আমিও না। এইতো সাদা পৃষ্ঠায় শব্দ আঁকছি, আঁকা শেষ হলেই ডুব দিচ্ছি আনন্দের সাগরে। এই’বা কম কিসে। বাহবা কুড়াতে চাই না তারচেয়ে বরং আপনার পথেই হাঁটি। কিছু পাওয়ারর জন্য নয় কেবল
দুর্মুখ জনারণ্যকে পেছনে ফেলে,
ছেঁড়া স্বপ্নসুঁতো জুড়ে নেবো প্রাণপনে।
সবার লেখা পড়ি না, কারো কারো লেখা পড়ি।
ছাইরাছ হেলাল
এই তো লাইনে আইছেন, নিজের থেকে বড় পাঠক আর কে আছে!!
প্রতিটি অক্ষরের অক্ষাংশ অক্ষাংশের রহস্য যেখানে জানা থাকে,
থাকে হাজারর-বিজার বলা-না-বলা
আনন্দ-দুঃখ বার্তা, লক্ষ কোটি রহস্যময় উল্লাস-চেচামেচি।
সবারটা পড়ে সময় নষ্ট করা ঠিক না, তাও তো বলি!!
প্রহেলিকা
পড়িতে হইবে, অখ্যাত, সুখ্যাত, বিখ্যাত, কুখ্যাত। নাহলে হয় না। বিপরীতে পার্থক্য বের করতে পারি না। বুঝেনিতো সবাইতো আর আপনার মতো নয়। আমাদের সময় দরকার হয়। অবিরাম ফুসরত।
ছাইরাছ হেলাল
অবিরাম ফুসরত অবিরাম সবুজ,
আউল-ফাউল না,
কেউ কারো মত না, তবে আমি আপনার মত সুন্দর লিখতে চাই, ঝটপট।
আগুন রঙের শিমুল
কত্থক মিলিয়ে গেলে অন্ধকারে –
ছাঁয়াদের হয় বোধোদয়,
হায় নিজেই নিজেকে শোনালে
একজীবনের উত্থান পতন,
নিজেকেই দিয়ে যাওয়া অনন্তর বরাভয়।
ভাল্লাগছে ভাই (3
ছাইরাছ হেলাল
আমারও কিন্তু বেশি, অনেক বেশি ভাল লাগছে।
ছাঁয়াদের বোধোদয়ে কায়ারা জাগে না
উত্থানরহিত পতন শুধুই গড়ায়
অন্ধকারের হাতে হাত রেখে।
শুন্য শুন্যালয়
প্রথম প্যারা থেকে যদি শুরু করি – একজন যন্ত্রণাবিদ্ধ পাঠক অমরত্ব লাভের আশায় কবির পথে পথে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ধরে নেই পাঠক আর কবি বিপরীত লিঙ্গের, (আংটি আর আংগুলের আনন্দ বিহার)।
আগে লিখলাম সবকিছুর শেষ অই চেটেপুটে নেওয়াতেই, এখানেও তাই। সবটুকু পেতে খুনের বিকল্প কী!
কবির কবিতা রস আস্বাদে অমরত্ব! এখন থেকে আরো মনোযোগী পাঠক হতে হবে দেখছি। কতটুকু বুঝেছি জানিনা তবে সুন্দর কিন্তু।
ছাইরাছ হেলাল
বাহ্, আপনি যে ভাবে এ-লেখাটি দেখছেন তা-ও ভাবা যেতেই পারে,
এ-থেকে লেখকের ভাবনার জায়গাটি আরও বিস্তৃত হলো,
বোঝাবুঝির স্থানে আপনি বরাবরিই কদম কদম এগিয়ে,
খুব মনযোগ অবশ্যই দিতে হবে, অনেক লেখা পাওনা হয়ে আছে
আপনার কাছে,
ব্লগার সজীব
ঐ কবি যদি আপনাদের মত কঠিন কবিতা লেখে তাহলে তো খুঁজবোই না তাঁকে। কবিতা না পড়েই অমরত্ব লাভ করবো 🙂
ছাইরাছ হেলাল
এমন শর্টকাট রাস্তা আমুও খুঁজি, এ তুরুপে মাইল পার!!
আবু খায়ের আনিছ
দুই কবি এক সাথে হয়েছে, এখানে দেখতে পাচ্ছি। কবিদের ভাষা কি শুধু কবিরাই বুঝে নাকি? আমরাও কিছু বুঝতে চাই।
ছাইরাছ হেলাল
কারেকশন প্লিজ, এক কবি ও এক কুবি বলতে হবে, ভাবতেও;
অবশ্যই আপনার সাথে আছি, আমিও বুঝতে চাই, কবিতা কাহাকে বলে ও কত প্রকার।
আপাতত কী কী জানতে চাইছি না।
প্রহেলিকার অবশ্যই আমাদের সাহায্য করাই উচিৎ।
আবু খায়ের আনিছ
ঘোর দাবী জানাচ্ছি কবিতা কাহাকে বলে এবং কত প্রকার তাহা জানাইবার জন্য।
ছাইরাছ হেলাল
আমিও জানতে চাই কাহাকে কী বলে!!
নিতাই বাবু
চমৎকার,
এমন লেখা পড়লেই মনে আনন্দ জাগে ।
ধন্যবাদ ভালো থাকবেন ।
ছাইরাছ হেলাল
পড়ার জন্য ধন্যবাদ দিচ্ছি আপনাকে।
নীলাঞ্জনা নীলা
কি বলবো আমি! মন্তব্য তো লিখে করতে পারছিনা। তাই জোরে জোরে পড়লাম বহুবার।
তারপরে রেকর্ড করলাম। মন্দ হয়নি মনে হচ্ছে। তারপরে কি আর করা! শ্রোতা কোথায় পাই? আমার সব রেকর্ডের প্রথম শ্রোতা আমার একমাত্র নানাকে পাঠালাম, দেখি কি বলে! 😀
এতো ভালো লেখা ভালো না। সত্যি বলছি। খুব বেশি কঠিন লেখা ভালো, বুঝতে পারিনা। কিন্তু এতো গভীর আবেগের লেখা বুঝি, আবার কিছুই বুঝিনা। কেমন জানি, কি জানি!
আচ্ছা কুবিরাজ ভাই, আপনার সব লেখার একেবারে শেষে এসে আপনি সবসময় “সেমিকোলন” চিহ্ন ব্যবহার করেন। তার মানে এখানেই শেষ নয়, আরো আছে। তাই কি? ;?
ছাইরাছ হেলাল
আপনি কিন্নরী, আপনার কিরণকণ্ঠের কিঙ্কিণী সুধার ভাগ আমাদেরও চাই, আমদের ধন্য করুন।
কঠিনাবেগকে ভালোবাসুন ভাল করে, মন দিয়ে, সব ফকফকা হয়ে যাবে।
যতি চিহ্ন নিয়ে গয় কাজ করে, অজ্ঞতা থেকেও তা হতে পারে, প্রচুর কমা, আশ্চর্য চিহ্ন, হাইফেন ও সেমিকোলন ব্যবহার করি,
দাঁড়িকে আমার খুব ভয়, মনে হয় এই বুঝি সব শেষ হয়ে গেল! পূর্ণচ্ছেদ চাই-ই না –যে।
অভেদ্য দেয়াল মনে হয়।
ঠিক বলেছেন, শেষ বলে কিছু নেই।
অবশ্য আপনার দাঁত শেষ !!
নীলাঞ্জনা নীলা
নানা আপনাকে শোনাবে বলেছে।
কিন্নরী কন্ঠ নাকি শাঁকচুন্নী সেটা শুনে নিয়ে সত্যিটা বলবেন।
বুঝেছেন?
আমার দাঁত খুবই সুন্দর হয়ে আছে। 😀
ছাইরাছ হেলাল
নিজের দাঁতের প্রশংসা নিজে করলে হবে না,
পরিক্ষা না করে মানি কী করে!!
নীলাঞ্জনা নীলা
আজকাল নিজের ঢোল নিজেরই পেটাতে হয়! বুঝলেন?
ছাইরাছ হেলাল
জয়ঢাক, খোল নাকি ডুম্বুরা, না দেখালে বুঝি কী করে!
মেহেরী তাজ
একে তো কবি তার উপর আবার আহাম্মক। খুঁজবো না তাকে। জীবনেও না।
গল্পের সাথে অমরত্বের কোন সম্পর্ক নাই? মানে গল্প বা গল্পের খাতা পড়ে যদি অমর হওয়া যায় আর কি!!!
তবে একটা জিনিস খুব জানি খুন ছাড়া অন্য কারর কিছু চিরতরে নিজের করা যায় না।
আর একটু সময়। ছন্দে ফিরে আসবোই আসবো।
ছাইরাছ হেলাল
কবি ও আহাম্মক-কে অবশ্যই এড়িয়ে যাবেন, আমিও এড়াই, খোঁজা-খুঁজির প্রশ্নই আসে না,
অমরত্বের জন্য খুন করবেন!! এ যাবৎ ক’টা করেছেন কে জানে!
হাত-পা কাঁপা-কাঁপা!!
সময় অফুরন্ত, ব্যাপার না,
মেহেরী তাজ
হুম খুঁজবোইই না। আপনি যখন বলেছেন তখন তো আরো না!
খুনের সংখ্যা টা বলা যাবে না কোন ভাবেই! তাইলে প্রমাণ থেকে যাবে যে!!!
হাত-পা কাঁপা কাঁপা? কেনো? কেনো? আহা আপনার কিছুই নিজের করতে চাইছি না এখন ও! এখন অব্দি পাইনি কিছু আর কি :p
অফুরন্ত সময়= অফুরন্ত ধন্যবাদ 🙂
ছাইরাছ হেলাল
খোঁজাখুঁজি বাদ, কিচ্ছুতেই কোন কিছুর প্রমাণ-ফ্রমাণ রাখা যাবে না,
কাঁপে এ-জন্য যে, আপনি কাম –কাইজ করবেন, তা দেখে সহ্য করতে হবে তো!!
আপনাকেও ধন্যবাদ,