ধুম লেগেছে; গুম হয়েছে,
খুব বেড়েছে বোমাবাজ;
পুড়ছে মানুষ, পোড়ায় মানুষ,
ঘুম হচ্ছে আরামে।
ধুম লেগেছে; খুন হয়েছে,
খুব বেড়েছে চাপাবাজি;
গাড়ি ভেঙ্গেছে, ঘর পুড়েছে,
খাওয়া হচ্ছে আরামে।
ধুম লেগেছে; ধুন লেগেছে,
খুব বেড়েছে সন্ত্রাসী,
বিবেক পুড়েছে, কিনছে মানুষ,
গণতন্ত্রের ব্যারামে।
খুব লেগেছে; অফ হয়েছে,
খুব থেমেছে প্রেমালাপ;
এপস্ বন্ধ, সব অন্ধ,
বিবেক বুদ্ধি সর্বস্বান্ত।
খুব হয়েছে; বাড় বেড়েছে,
খুব হয়েছে রাজকাজ;
আমিও মানুষ, তুমিও মানুষ
গর্ভেই গণতন্ত্র; লাশ।
২৭টি মন্তব্য
প্রহেলিকা
এইতো যুগের কবিতা লিখে ফেলেছেন আজ থেকে ১০০ বছর পড়ে এই কবিতা কেউ পড়লে ঠিক বুঝে উঠতে পারবেন এখনকার পরিস্থিতি। গণতন্ত্রের “গ”টি উপরের লাইনে চলে গেছে। ভালো লেগেছে অনেক লেখাটি, অভিনন্দন!
নীতেশ বড়ুয়া
আন্তরিকভাবেই দুঃখ প্রকাশ করছি শব্দ বিভ্রাটের জন্যে এবং ধন্যবাদ তা দেখিয়ে দেয়ার জন্যে 😀
কি যে বলেন না! ১০০ বছর! আমি তো বিশ্বাস করি আর মাত্র ৭ বছর…এর মধ্যেই পাল্টে যাবে সব। এই দেশের মানুষ বন্ধ করবে এইসব…আমি বিশ্বাস করি তাই জানি দেশ পাল্টাবেই 😀
ধন্যবাদ প্রহেলিকা ভাই 😀
প্রহেলিকা
আপনার মতো আশাবাদী মানুষ দেখলে আমিও আশাবাদী হয়ে উঠি হোক তা খানিকের জন্য, আমরা সকলেই চাই পাল্টে যাক, আপনার কথাই যেন সত্যি হয় নীতেশ ভাই। শুভ কামনা।
রিমি রুম্মান
ছন্দে ছন্দে পড়ে ফেললাম মাথা দুলিয়ে দুলিয়ে, যেমন করে কবি জসিমউদ্দিনের “আসমানিরে দেখতে যদি” কবিতাটি পড়তাম পিচ্চিকালে 🙂 🙂
নীতেশ বড়ুয়া
ওহ্ না! কিসের সাথে কি 😛
আমি ছন্দ পারি না তেমন। অনেক কঠিন, শব্দ ভান্ডার সীমিত বলেই ছন্দে লেখা হয় না। ছন্দে লিখতে হলে প্রচুরররররররররররর শব্দ জানা থাকা প্রয়োজন আর তার ব্যবহারে দক্ষতাও দরকার। আমার সে একদ্মই নেই আপু।
তবে হ্যাঁ, আমার সাথে শব্দে দুলেছেন বলে অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা 😀
শাহানা আফরিন স্বর্ণা
একদম যুগপযোগী!!
গণতন্ত্রের গ উপরে উঠে ভালই হয়েছে।
পুরো গণতন্ত্রেরই উপরে উঠে যাওয়া উচিৎ!
নীতেশ বড়ুয়া
আন্তরিকভাবেই দুঃখ প্রকাশ করছি শব্দ বিভ্রাটের জন্যে এবং ধন্যবাদ তা দেখিয়ে দেয়ার জন্যে 😀
গণতন্ত্রের উপরে ‘ব’ থাকলেই ভাল হতো। তবে বুদ্ধির ‘ব’ নয় বরং বিবেকের ‘ব’ 🙂
ধন্যবাদ স্বর্ণা লেখার সাথে থাকার জন্যে 🙂
শাহানা আফরিন স্বর্ণা
বিভ্রাট নয়। ধরিয়ে দেইনি 😀 এই ভাল হয়েছে!!
সাথে পাবেন সবসময় 🙂
নীতেশ বড়ুয়া
😀 অনেক ধন্যবাদ 😀
খসড়া
বড় কষ্টের ছড়া কিন্তু খুব বাস্তব। ছন্দে ছন্দে অপুর্ব। যদি বাস্তবতা এমন না হত তবে বেশী সুখ পেতাম।
নীতেশ বড়ুয়া
আমার জ্বলা পোড়ার অভিজ্ঞতা তেমন নেই তাই বুঝি না ওদের কেমন বা কি কষ্ট আবার এও বুঝি না যারা এই কাজ করছে তারা কোন বিবেক বা বুদ্ধিতে করছে। ওরা কি আসল?
তবে কষ্ট না বুঝলেও এই বুঝতে না পারার অক্ষমতা থেকেই ক্রোধ উঠে আসে শব্দে।
ধন্যবাদ খসড়া ভাই। 🙁
ব্লগার সজীব
এর সমাধান কি?বর্তমান পরিস্থিতি আর সহ্য করা যাচ্ছে না। (y)
নীতেশ বড়ুয়া
সমাধান? আমার চারপাশে কারা আছেন তাদেরকে চিনে রাখুন। কারণ যারাই এইসব বোমা ছুড়ছে পোড়ানোর জন্যে তাদের সবাই আমাদের চারপাশের লোক। একটু সজাগ থাকলেই বন্ধ হবে। আর হ্যাঁ, সামাজিক সচেতনতা বাড়াতে হবে। রাজনীতিবিদদের নিয়ে কিছু বলার নেই কারণ উনারা ইদানিং এসি রুমে বসে রাজনীতি করেন। বাস উঠলে সজাগ থাকলে বা রাস্তার আসেপাশে সজাগ দৃষ্টি থাকলে কেউই এগুতে পারবে না এই জ্বালাও পোড়াও কাজে…
অরণ্য
সময়ে আছেন, বর্তমানে আছেন। ভাল লাগলো। (y)
নীতেশ বড়ুয়া
ধন্যবাদ ভাই 🙂
প্রজন্ম ৭১
বন্ধ হয়ে যাবে আশা করি।ব্যবস্থা হচ্ছে 🙂
নীতেশ বড়ুয়া
আশা করি দ্রুতই হোক… 😀 এবং স্থায়ীভাবেই 😀 😀
ছারপোকা
বিবেক বুদ্ধি সর্বস্বান্ত এখানে “সর্বশান্ত” যথাসম্ভব এভাবে হবে ।
বাস্তবতার চেহরা পুরোপুরি খোলাসা করেছেন ।
ভাল লেগেছে ।
নীতেশ বড়ুয়া
না মনে হয়… ‘সর্বস্বান্ত’ হবে সর্বশান্ত না হয়ে… যদিও আমি পুরোপুরি শিওর না। লেখার আগেই একজন থেকে জানতে ছেয়েছিলাম। উনিই বলেছিলেন ‘সর্বস্বান্ত’ দিতে… অন্য কেউ যদি জানাতো!!
শুন্য শুন্যালয়
গর্ভেই গনতন্ত্র, লাশ। এমন পরস্থিতির পরিবর্তন কবে হবে কে জানে? ভালো লেগেছে কবিতা ভাইয়া।
নীতেশ বড়ুয়া
পরিবর্তন হতেই হবে… ধন্যবাদ ভাইয়া 🙂
জিসান শা ইকরাম
চলুক, অভ্যাস হয়ে যাবে একসময়
কোন একদিন হয়ত আমরা খাবার হোটেলের সামনে পোড়া লাশ রেখে খাবার খাবো।
নীতেশ বড়ুয়া
টিভির চ্যানেলে চোখ রেখে খাচ্ছি এখন… অভ্যেস হয়েই গিয়েছে সবার… 🙁
স্বপ্ন নীলা
সময় উপযোগী পোস্ট
অসাধারণভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন
নীতেশ বড়ুয়া
থ্যাঙ্কু আপু 🙂
লীলাবতী
বাস্তব কবিতা (-3
নীতেশ বড়ুয়া
এমন করে যেন আর লিখতে না হয় আমাদের 🙁