ক্রুশে বিদ্ধতা

ছাইরাছ হেলাল ২৩ মার্চ ২০১৭, বৃহস্পতিবার, ০৯:৫৫:০৬অপরাহ্ন একান্ত অনুভূতি ৩৯ মন্তব্য

ঘুঘু ডাকা ভোর, শেষ বিকেলের কুহুতান, গ্রীষ্মের নিষ্প্রভ নক্ষত্র, উত্তাল ঝোড়ো হাওয়া, রূপোর জ্যোৎস্না সবই আছে যেমন ছিল, চারণভূমির ঝর্ণাটিও। শিশির-ভোরের রোদ্দুর, নিঃশব্দ ডানায় দ্রুত উড়ে যাওয়া বিভ্রান্তির প্রজাপতি, ঘুম জাগা ফুল, জেগে-ওঠা পাখিদের কুজন, কাস্তের কানাকানি, ক্রুশ বেঁধা যীশুমূর্তি,

শুধু সানন্দের ভোর-আনন্দে নেই ফিংয়ে পাখিটি, সকালেই দুপুর-ক্লান্তি, খুঁজছে নিভৃত নীরবতার ছায়া, নেই কবিতাগুচ্ছের ওড়াউড়ি, সুনীল অপরাজিতা বা দোপাটি ফুলেরা অপেক্ষার চোখে আলো ফেলছে বন-দ্বীপের অন্তরালে!

সময়ের যাঁতাকলের প্রকাণ্ড যাঁতা পাথরের ঘর্ষণ শব্দ ঠিক তেমন ই আছে নিরীহ অশরীরীর বেশে, সুদীর্ঘ সেই সময়কাহন অস্তরাগ ভুলেছে মায়া, নিয়মের বেড়াজালে।

0 Shares

৩৯টি মন্তব্য

  • প্রহেলিকা

    মায়াময় খরা তবুও পেতে গিয়ে রোদে পুড়েছি,
    অবশেষে পেলাম, ক্রুশে বিদ্ধ খয়েরী সময়নামা।
    শুনেছি নদীর পাড়ে বিছিয়েছেন গোলাপের শিথান
    প্রতিবেশী শব্দদেরও শাসাচ্ছেন পাঁজর স্পর্শ করে
    তবুও কেন বাসন্তী প্রহরে এতো আড়ালে লুকানো?

    সময় কি তবে এভাবেই আসে, সকালেই দুপুর-ক্লান্তি নিয়ে
    জন্মান্ধের মতো, ফিঙেটি বাঁচে মরা নদীটার মতো?
    নিয়মের এই বেড়াজাল জলপাথর হয়ে আছড়ে পড়ার আগেই
    ঢের ভালো হয়, যদি গড়ে তুলে এক সবুজ সমাধি।

    নিদারুণ বাস্তবতা লেখার আদ্যোপান্তে ফুটিয়ে তুলেছেন লেখক। লেখকরা পারেনও বটে! জল, যদি, ঘুহু, ডাহুক, ভোর, দুপুর সন্ধ্যা কিংবা রাত, আঁধার নক্ষত্র কিছুই এড়িয়ে যেতে পারে না লেখকদের দৃষ্টি থেকে।

    • ছাইরাছ হেলাল

      হ্যাঁ, লেখকেরা অবশ্যই পারেন, পারবেন-ও সে তো দেখতেই আছি,
      দারুণ সক্ষমতা দেখিয়েছেন, সংক্রামিত হতে পারলে ভালই হতো, সবাই পারে না,
      এসবই প্রকৃতি থেকে নেয়া, আর উপমা দেয়া ছাড়া লেখক আর কী-ই-বা করতে পারে।

      • প্রহেলিকা

        লেখকদের হাতেই উপমা মানায়। অবাক লাগে কোত্থকে যে কি নিয়ে এসে উপমা দেয় উনারা। এতো এতো উপমা, কোনো কিছুই বাদ যায় না। প্রতিদিন নিয়ম করে দিতে হবে।

      • ছাইরাছ হেলাল

        উপমা এমন কিছু না, আপনি তো এর থেকেও ভাল কিছু দিচ্ছেন/দিতেও পারেন।

        আমার প্রিয় কবি উপমা দিয়েও হেনস্থা হয়েছিলেন অনেক অনেক। (জীবনান্দ দাশ)
        আগে আপনি শুরু করুন নিয়মটি,

      • প্রহেলিকা

        আপনাকেই বলি হতাশার কথাটি। যা দিচ্ছি একটু ঘষামাজা করে দিচ্ছি। খুব কষ্ট লাগে যখন মনে পড়ে আমি গত একটি বছরে একটিও লিখতে পারিনি। সোনেলাতে মাঝে কিছুটা সময় অনিয়মিত ছিলাম বলে এই লেখাগুলো জমা ছিল। অল্প অল্প করেই দিচ্ছি। আমার সব আছে মনে হয় এখন তবুও সুখী নয় এই একটি কারণে।

        আপনি লিখুন, এই যে আপনার লেখার পিঠে আজ চেষ্টা করলাম। হয়তো আবার পারবো।

      • ছাইরাছ হেলাল

        উহ, হতাশার কিছু নেই, পেছনে তাকানোর-ও কিছু নেই,
        আমরা আনন্দ নিয়ে আনন্দ করেই লিখি, লিখব-ও। পড়তে ও লিখতে পছন্দ করি,
        তা ও আমাদের জানা। যদিও আমি লিখি শুধুই নিজের জন্য, তারপর-ও পড়া-পড়ি গপা-গপি ভাল-ই
        লাগে, এবং তা যদি হয় মন-পছন্দ কারও সাথে তাহলে তা সোনায়-সোহাগা।
        আচ্ছা, ল্যাহা-লিহি চলবে,

      • প্রহেলিকা

        এই ল্যাহা ল্যাহি চালু রাখলেই হলো। এবেলায় আপনাকে ধরেই উদ্ধার হয়ে যাবো।
        পুরোনো লেখা যদি পোষ্ট না করি গপ্পোটোপ্পো হয় না তাই দেয়া।
        আর এটাতো চিরন্তন সত্য যে, যখন কোনো লেখক লিখতে বসে অলিখিতভাবে একটা উপলক্ষ্য কাজ করেই। উপলক্ষ্য যেমন থাকে তেমনি মনের মধ্যেও একটা চাপা বাসনা থাকে।
        চালু রাখলেই হলো। না হলে গপ্পোও করা হবে না। পুরোনোগুলোই দিব শেষ হয়ে গেলে হাত পা ছড়িয়ে বসে থাকব। তবে লেখার চেয়ে আপনারটা পড়তেই বেশি ভালো লাগে।

      • ছাইরাছ হেলাল

        আসলে লেখার কিন্তু নূতন-পুরাতন বলে কিছু নেই,
        কেউ কাউকে ধরে-ফরে উদ্ধার হয়- না, নিজ যোগ্যতায় তা হয় এবং তা সে পারেও,
        তবে অনুকুল হাওয়া প্রশান্তি দেয়, নেয়-ও।
        আবার একজন লেখক কিন্তু সার্বক্ষণিক লেখক, মনোরাজ্যের আবাহন-অবগাহন স্রোতধারার মতই চলমান।
        নিজেদের ঘরে হাত-পা পা-হাত যেমন খুশি ছড়ানো যেতেই পারে,
        আমি নিজেও কিন্তু সামান্য পাঠক মাত্র, মনে রাখতে হবে।

      • প্রহেলিকা

        অনুকুল হাওয়া প্রশান্তি দেয়, নেয়-ও।
        আবার একজন লেখক কিন্তু সার্বক্ষণিক লেখক, মনোরাজ্যের আবাহন-অবগাহন স্রোতধারার মতই চলমান।

        সুন্দর ও মূল্যবান একটি কথা বলেছেন।

        পাঠক হওয়া কিন্তু লেখক হওয়ার চেয়েও কঠিন তবে আপনি পারেন তাও জানি। পড়ে পড়েই না হয় পরে আমাদেরকে কিছুটা উঁকি দেয়ার সুযোগ করে দিবেন।

      • প্রহেলিকা

        যেদিনই বসবেন একসাথে খসড়াতে ফেলে রাখবেন তাহলে আর এতো অনুনয় করতে হবে না প্রতিদিন। আমরা স্বয়ংক্রিয়ভাবেই পেয়ে যাব।

  • নীলাঞ্জনা নীলা

    আচ্ছা এতো শব্দ মাথার কোথায় জমা রাখেন বলেন তো কুবিরাজ ভাই? তা আপনার অনুভূতির ব্যাঙ্কে আরোও কতো উপমা জমা আছে, তারও হিসেব চাই। তা নইলে মন্তব্য করবো না। শব্দকর বিভাগে খবরও দিয়ে আপনার উপমা একাউন্টটি বন্ধ করাবো। জানেন না তো অনেক পাওয়ার আছে আমার।

    এবারে আসি লেখায়।

    যে যাবার সে যায়। অনিয়মের নিয়ম ভেঙ্গে গোছালো ভাবে তছনছ করে যায়।
    আসলে সে যায়, যায়না কোথাও’র কোনো একখানে আবাস গড়ে
    আমরা দেখি নেই এবং না-এর মধ্যে,
    ওই “না” আদতে কোথাও কি আছে? নেই-এর ভেতর না-ও থাকেনা।
    তাহলে? তবে কি যাওয়ার ভেতরেই আছে? রেখেছে নিজেকে;
    পাখিটি তাই আছে। 😀 (ইমু দিমুই দিমু। ইহা আমার ফেব্রাইট ইমু 😀 )

    • ছাইরাছ হেলাল

      “ই মা, খাইছে আমারে”
      এসব মন্তব্যের উত্তর দেয়ার খ্যামতা নেই, (নাকি কান্না হপে!!)
      ইমো দ্যান, দ্যান যত্ত-খুশি!!
      দাঁতে কিন্তু টোকা দিমু!!

      আপনি চাইলে ব্যাঙ্ক উল্টে দিমু, অনুভুতি বিছিয়ে দিমু (কিছু ভেঙ্গে গেলে দায় কিন্তু আমার না),
      তাও এমন মধু-মধু মন্তব্য হারানোর যন্ত্রণা সহ্য করতে পারমু না!!

      আসলে কেউ-ই কোথাও যায়-না
      যাওয়া-যাওই হয়-না,
      এ-যাওয়া মানে একেবার-ই
      থেকে-থেকে-যাওয়া।

      দেখি এবার কে কোথায় যায়!!

  • মিষ্টি জিন

    কবিতায় আর কি মন্তব্য করুম,,
    দুই কবিয়ালের কথার যুদ্ধ শুধু দেখি আর দেখি।
    বাববাহ পারেন ও আপনারা , কেউ কারো থেকে কম না ।
    :D) :D) :D)
    এই সব ইমো কুবিরাজের জন্য।
    \|/ 😮 ^:^

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ