ঘুঘু ডাকা ভোর, শেষ বিকেলের কুহুতান, গ্রীষ্মের নিষ্প্রভ নক্ষত্র, উত্তাল ঝোড়ো হাওয়া, রূপোর জ্যোৎস্না সবই আছে যেমন ছিল, চারণভূমির ঝর্ণাটিও। শিশির-ভোরের রোদ্দুর, নিঃশব্দ ডানায় দ্রুত উড়ে যাওয়া বিভ্রান্তির প্রজাপতি, ঘুম জাগা ফুল, জেগে-ওঠা পাখিদের কুজন, কাস্তের কানাকানি, ক্রুশ বেঁধা যীশুমূর্তি,
শুধু সানন্দের ভোর-আনন্দে নেই ফিংয়ে পাখিটি, সকালেই দুপুর-ক্লান্তি, খুঁজছে নিভৃত নীরবতার ছায়া, নেই কবিতাগুচ্ছের ওড়াউড়ি, সুনীল অপরাজিতা বা দোপাটি ফুলেরা অপেক্ষার চোখে আলো ফেলছে বন-দ্বীপের অন্তরালে!
সময়ের যাঁতাকলের প্রকাণ্ড যাঁতা পাথরের ঘর্ষণ শব্দ ঠিক তেমন ই আছে নিরীহ অশরীরীর বেশে, সুদীর্ঘ সেই সময়কাহন অস্তরাগ ভুলেছে মায়া, নিয়মের বেড়াজালে।
৩৯টি মন্তব্য
প্রহেলিকা
এই লেখায় আমি বাদে অন্য কাউকে আমি প্রথম মন্তব্য করতে দিতে নারাজ।
ছাইরাছ হেলাল
আইচ্ছা, ফাস্টো হইছেন!!
প্রহেলিকা
\|/
ছাইরাছ হেলাল
আরে!! এইডা কী!!
আমি এডি চাই না। দেই-ও না।
প্রহেলিকা
এই যে আমি ফাস্টো হইলাম। আমিও দেই না এগুলান। খুব বিরক্তিকর মনে হয়
ছাইরাছ হেলাল
ফাস্টো হইলে দু’লাইন ঝেড়ে দেবেন!!
আসলে আমি ব্লগে ইমোর বিপক্ষে, (ব্যাক্তিগত ভাবে)।
আমার সামান্য ল্যাহা-ল্যাহির জীবনে এই কাম করি নাই, ইচ্ছে যে হয়নি তা নয়,
তবে এটি লিখে ভাব প্রকাশের অন্তরায় ও একধরনের ফাঁকিবাজিও। আপনি এখন এটি দিছেন বলেই
নিজের কথা অবলীলায় বলতে পারলাম।
এখন গোটা কয়েক দিন, এবারের মত।
প্রহেলিকা
ইমোর ব্যবহার পছন্দই করি না। লক্ষ্য করলে দেখবেন হয়তো মাঝে মাঝে একটি ইমো দিয়ে মন্তব্যের জবাব দেয়। যখন ধন্যবাদটুকুও জানাতে দ্বিধাবোধ করি ঠিক তখন এটি হয়।
ব্লগে থাকতে পারে, কালেভদ্রে সামঞ্জস্যতা রেখে ব্যবহার করাও যেতে পারে। তবে যখন ইচ্ছে হয় তখন লিখতেই ভালো লাগে।
না না আর দিমু না, দেইও না। তবে কারো কারো জন্য আজীবন বরাদ্ধ এই ইমো।
ছাইরাছ হেলাল
দেখুন, যা লিখি, যেমন লিখি-না কেন, কেউ ইমো শুধু ইমো দিয়ে উত্তর দিলে
খুব অপ্রস্তুত লাগে, আজ সরাসরি আপনাকেই বললাম। আপনার ইমোর জন্য না-কিন্তু।
তা আপনি আরও কিছু বরাদ্দ রাখুন/করুন সমস্যা নেই। আমরা যেহেতু আমরাই।
প্রহেলিকা
যারা মূলত এভাবে ইমো দিয়ে বা ভালো হয়েছ, সুন্দর, চমৎকার এর আশ্রয় নেয় তারা লেখা পড়েই না। ভাবটা এমন আমি এসে উপস্থিতি জানান দিলাম আপ্নেও আসেন আমার পোষ্টে।
ছাইরাছ হেলাল
ফেসবুকের কুফল,
ব্লগে খুবই অচল, পাঠক নিজের ইচ্ছেয় পড়ে।
এখানে লাইক অচল।
প্রহেলিকা
মায়াময় খরা তবুও পেতে গিয়ে রোদে পুড়েছি,
অবশেষে পেলাম, ক্রুশে বিদ্ধ খয়েরী সময়নামা।
শুনেছি নদীর পাড়ে বিছিয়েছেন গোলাপের শিথান
প্রতিবেশী শব্দদেরও শাসাচ্ছেন পাঁজর স্পর্শ করে
তবুও কেন বাসন্তী প্রহরে এতো আড়ালে লুকানো?
সময় কি তবে এভাবেই আসে, সকালেই দুপুর-ক্লান্তি নিয়ে
জন্মান্ধের মতো, ফিঙেটি বাঁচে মরা নদীটার মতো?
নিয়মের এই বেড়াজাল জলপাথর হয়ে আছড়ে পড়ার আগেই
ঢের ভালো হয়, যদি গড়ে তুলে এক সবুজ সমাধি।
নিদারুণ বাস্তবতা লেখার আদ্যোপান্তে ফুটিয়ে তুলেছেন লেখক। লেখকরা পারেনও বটে! জল, যদি, ঘুহু, ডাহুক, ভোর, দুপুর সন্ধ্যা কিংবা রাত, আঁধার নক্ষত্র কিছুই এড়িয়ে যেতে পারে না লেখকদের দৃষ্টি থেকে।
ছাইরাছ হেলাল
হ্যাঁ, লেখকেরা অবশ্যই পারেন, পারবেন-ও সে তো দেখতেই আছি,
দারুণ সক্ষমতা দেখিয়েছেন, সংক্রামিত হতে পারলে ভালই হতো, সবাই পারে না,
এসবই প্রকৃতি থেকে নেয়া, আর উপমা দেয়া ছাড়া লেখক আর কী-ই-বা করতে পারে।
প্রহেলিকা
লেখকদের হাতেই উপমা মানায়। অবাক লাগে কোত্থকে যে কি নিয়ে এসে উপমা দেয় উনারা। এতো এতো উপমা, কোনো কিছুই বাদ যায় না। প্রতিদিন নিয়ম করে দিতে হবে।
ছাইরাছ হেলাল
উপমা এমন কিছু না, আপনি তো এর থেকেও ভাল কিছু দিচ্ছেন/দিতেও পারেন।
আমার প্রিয় কবি উপমা দিয়েও হেনস্থা হয়েছিলেন অনেক অনেক। (জীবনান্দ দাশ)
আগে আপনি শুরু করুন নিয়মটি,
প্রহেলিকা
আপনাকেই বলি হতাশার কথাটি। যা দিচ্ছি একটু ঘষামাজা করে দিচ্ছি। খুব কষ্ট লাগে যখন মনে পড়ে আমি গত একটি বছরে একটিও লিখতে পারিনি। সোনেলাতে মাঝে কিছুটা সময় অনিয়মিত ছিলাম বলে এই লেখাগুলো জমা ছিল। অল্প অল্প করেই দিচ্ছি। আমার সব আছে মনে হয় এখন তবুও সুখী নয় এই একটি কারণে।
আপনি লিখুন, এই যে আপনার লেখার পিঠে আজ চেষ্টা করলাম। হয়তো আবার পারবো।
ছাইরাছ হেলাল
উহ, হতাশার কিছু নেই, পেছনে তাকানোর-ও কিছু নেই,
আমরা আনন্দ নিয়ে আনন্দ করেই লিখি, লিখব-ও। পড়তে ও লিখতে পছন্দ করি,
তা ও আমাদের জানা। যদিও আমি লিখি শুধুই নিজের জন্য, তারপর-ও পড়া-পড়ি গপা-গপি ভাল-ই
লাগে, এবং তা যদি হয় মন-পছন্দ কারও সাথে তাহলে তা সোনায়-সোহাগা।
আচ্ছা, ল্যাহা-লিহি চলবে,
প্রহেলিকা
এই ল্যাহা ল্যাহি চালু রাখলেই হলো। এবেলায় আপনাকে ধরেই উদ্ধার হয়ে যাবো।
পুরোনো লেখা যদি পোষ্ট না করি গপ্পোটোপ্পো হয় না তাই দেয়া।
আর এটাতো চিরন্তন সত্য যে, যখন কোনো লেখক লিখতে বসে অলিখিতভাবে একটা উপলক্ষ্য কাজ করেই। উপলক্ষ্য যেমন থাকে তেমনি মনের মধ্যেও একটা চাপা বাসনা থাকে।
চালু রাখলেই হলো। না হলে গপ্পোও করা হবে না। পুরোনোগুলোই দিব শেষ হয়ে গেলে হাত পা ছড়িয়ে বসে থাকব। তবে লেখার চেয়ে আপনারটা পড়তেই বেশি ভালো লাগে।
ছাইরাছ হেলাল
আসলে লেখার কিন্তু নূতন-পুরাতন বলে কিছু নেই,
কেউ কাউকে ধরে-ফরে উদ্ধার হয়- না, নিজ যোগ্যতায় তা হয় এবং তা সে পারেও,
তবে অনুকুল হাওয়া প্রশান্তি দেয়, নেয়-ও।
আবার একজন লেখক কিন্তু সার্বক্ষণিক লেখক, মনোরাজ্যের আবাহন-অবগাহন স্রোতধারার মতই চলমান।
নিজেদের ঘরে হাত-পা পা-হাত যেমন খুশি ছড়ানো যেতেই পারে,
আমি নিজেও কিন্তু সামান্য পাঠক মাত্র, মনে রাখতে হবে।
প্রহেলিকা
অনুকুল হাওয়া প্রশান্তি দেয়, নেয়-ও।
আবার একজন লেখক কিন্তু সার্বক্ষণিক লেখক, মনোরাজ্যের আবাহন-অবগাহন স্রোতধারার মতই চলমান।
সুন্দর ও মূল্যবান একটি কথা বলেছেন।
পাঠক হওয়া কিন্তু লেখক হওয়ার চেয়েও কঠিন তবে আপনি পারেন তাও জানি। পড়ে পড়েই না হয় পরে আমাদেরকে কিছুটা উঁকি দেয়ার সুযোগ করে দিবেন।
ছাইরাছ হেলাল
বিখ্যাত কবির কথা নকল করেই বলি,
মুলত পাঠক, ভুলত লেখক!!
লেখক হওয়া যায় কী যায় না জানি না, পাঠক হওয়া সত্যি সত্যি বড্ড কঠিন।
সুযোগ উন্মুক্ত হওয়ার-ই কথা।
প্রহেলিকা
যেদিনই বসবেন একসাথে খসড়াতে ফেলে রাখবেন তাহলে আর এতো অনুনয় করতে হবে না প্রতিদিন। আমরা স্বয়ংক্রিয়ভাবেই পেয়ে যাব।
ছাইরাছ হেলাল
মডুরা গুপনে সব মজা আগে নেবে তা কী করে হয়।
লেখা তো দেই-ই, দেব-ও। ঘনপোস্ট দেয়া জায়েজ না সে তো আপনি-ই বলেছেন।
অনুনয় করতে হপে না, আপছে-আপ পেতে থাকবেন,
প্রহেলিকা
এতো বুদ্ধি নিয়ে থাকেন আপনি। আমার গোবর মাথায় আসলেই না এটা। না না তাজাটাই সবাইকে দিবেন। অপেক্ষা করতে জানি।
নীলাঞ্জনা নীলা
আচ্ছা এতো শব্দ মাথার কোথায় জমা রাখেন বলেন তো কুবিরাজ ভাই? তা আপনার অনুভূতির ব্যাঙ্কে আরোও কতো উপমা জমা আছে, তারও হিসেব চাই। তা নইলে মন্তব্য করবো না। শব্দকর বিভাগে খবরও দিয়ে আপনার উপমা একাউন্টটি বন্ধ করাবো। জানেন না তো অনেক পাওয়ার আছে আমার।
এবারে আসি লেখায়।
যে যাবার সে যায়। অনিয়মের নিয়ম ভেঙ্গে গোছালো ভাবে তছনছ করে যায়।
আসলে সে যায়, যায়না কোথাও’র কোনো একখানে আবাস গড়ে
আমরা দেখি নেই এবং না-এর মধ্যে,
ওই “না” আদতে কোথাও কি আছে? নেই-এর ভেতর না-ও থাকেনা।
তাহলে? তবে কি যাওয়ার ভেতরেই আছে? রেখেছে নিজেকে;
পাখিটি তাই আছে। 😀 (ইমু দিমুই দিমু। ইহা আমার ফেব্রাইট ইমু 😀 )
ছাইরাছ হেলাল
“ই মা, খাইছে আমারে”
এসব মন্তব্যের উত্তর দেয়ার খ্যামতা নেই, (নাকি কান্না হপে!!)
ইমো দ্যান, দ্যান যত্ত-খুশি!!
দাঁতে কিন্তু টোকা দিমু!!
আপনি চাইলে ব্যাঙ্ক উল্টে দিমু, অনুভুতি বিছিয়ে দিমু (কিছু ভেঙ্গে গেলে দায় কিন্তু আমার না),
তাও এমন মধু-মধু মন্তব্য হারানোর যন্ত্রণা সহ্য করতে পারমু না!!
আসলে কেউ-ই কোথাও যায়-না
যাওয়া-যাওই হয়-না,
এ-যাওয়া মানে একেবার-ই
থেকে-থেকে-যাওয়া।
দেখি এবার কে কোথায় যায়!!
নীলাঞ্জনা নীলা
ডরাইয়েন না ডরাইয়েন না। আমি তো ডরাই আপনারে। যে হারে ডাইনি-ভূত নিয়া চলেন। বাপ্রে!
শাঁকচুন্নী হইয়াও এক কোটি হস্ত দূরে সরিয়া থাকি।
শুনেন এমন কইরা প্রতিমন্তব্য দিলে আর লেখমুই না কইয়া দিলাম কিন্তুক! 😀
ছাইরাছ হেলাল
শাঁকচুন্নী তো খুপ কাছের,
এ দূর, দূর না,
কাছাকাছি কাচ-দূর!!
নীহারিকা
সময় বদলায়,
মানুষ বদলায়,
পড়ে থাকে স্মৃতিচিহ্ন।
এইতো নিয়ম!
ছাইরাছ হেলাল
এই নিয়ম তো কঠিন বে-নিয়ম,
মানি না, মানব না।
নীহারিকা
স্লোগান, আন্দোলনে লাভ নেই।
শুধু শুধু মিষ্টি গলাখান ফাটাবাঁশ হবে।
ছাইরাছ হেলাল
বলেন কী!!
দুর্বল আন্দুলুনেও কুন কাজ হবে না!!
এ জেপন তো আর রাকা যাবে না!!
মিষ্টি জিন
কবিতায় আর কি মন্তব্য করুম,,
দুই কবিয়ালের কথার যুদ্ধ শুধু দেখি আর দেখি।
বাববাহ পারেন ও আপনারা , কেউ কারো থেকে কম না ।
:D) :D) :D)
এই সব ইমো কুবিরাজের জন্য।
\|/ 😮 ^:^
প্রহেলিকা
যারা ভাব প্রকাশের জন্য কলম বা কিবোর্ডে হাত রাখে তারা ইমো পছন্দ করবে না এটাই স্বাভাবিক। ব্যক্তিগতভাবে আমিও এই ইমোর বিরুদ্ধে। আমরা যুদ্ধ করি না। আর উনাত সাথে যুদ্ধ করার সাহসও নেই।
তবে উনাকেই বেশি জ্বালাতন করি, এক অসাংবিধানিক অধিকার নিয়েই এই জ্বালাতন করি। গপ্পোবাজ আমি।
ছাইরাছ হেলাল
গপ্পো চলিবে।
মিষ্টি জিন
আপনাদের এই আড্ডা /কথামালা/কথারমালা যাই হোক না কেন আমি খুব উপভোগ করি। আমি গুছিয়ে কঁথা বলতে পারিনা তারপর ও চেষ্টা করেছিলাম আপনাদের দুজনের মাঝে ঢুকে কিছু বলতে কিন্তু তার সুযোগই পেলাম না। 🙁
এই যে ইমো দিলাম। হি হি হি হি
অবশ্যই গপ্প চলিবে কুবিরাজ ।
ছাইরাছ হেলাল
আল্লাহর মাল আল্লাহই হেফাজত করছে!!
গুছিয়ে কথা বললে তো আমরা নাই হয়ে যেতাম এতক্ষণে।
দেন দেন আরও দেন,
চল্পে গপ্পো!!
ছাইরাছ হেলাল
মন্তব্য না দেয়ার মোক্ষম যুক্তি বটে!!
দুই কৈ পাইলেন!! একজন কবি, অন্যজন ম্যাংগো পিপল!!
উমোর ঝুড়ি উল্টিয়ে জনমের মত দেন,
তাও আপনার পরাণ-ডা জুড়াক।
মিষ্টি জিন
হা হা হা হা হা… আমার কাছে একজন কুবিরাজ আর একজন কবিয়াল এই সংবিধান আমি বানিয়েছি।
দিলাম ইমো :D) :D) :D) :D)
ইমো না দিলে তো হেসে গড়াগডি খাওয়ার ফটু দিতে হবে।
সব ইমো দিলেও তো পরান জুডাবে না। :D) :D) :D) :D)
ছাইরাছ হেলাল
মধু হই হই ইমোর বিষ খাওয়াইলা
ভালোবাসার দাম ন দিলা!!
এককান ফটুক দিন না, জাতি গড়িয়ে যাক গড়গড়িয়ে!!
আপনার সঙবিধান না মেনে আর উপায় নাই দেখছি।