১৯৯০ সাল তখন সবে মাত্র এস এস সি পরীক্ষা দিয়েছি।হাতে অফুরন্ত অবসর সময়।এলাকায় যারা তাবলীগ করতেন তাদের অনেকেই আমাদের খুব কাছের লোক সমাজের মান্যগণ্য লোক ছিলেন তাদের আবদারে প্রথম তাবলীগে যাওয়ার মনঃস্থির করলাম।সেই হিসাবে কাওরান বাজার মসজিদ থেকে আমাদের কয়েক জনকে ভাগ করে দিলেন ঢাকার কোন এক মসজিদে নামটি মনে নেই তবে বানরের বাদরামীগুলো মনে আছে বলে,ছিলাম সম্ভবতঃ পুরাতন ঢাকায়।ডান পা দিয়ে মসজিদে যখন প্রবেশ করলাম তখনি শরীরে এক বিশেষ বাতাস শরীরকে শির শির ধরিয়ে গেল।ভিতরে ঢুকে ছামানা গুলো নিদিষ্ট স্থানে রাখলাম।তখন সকাল নয়টা কি দশটা হবে পেট বলছে খাই খাই।আমাদের আমিরকে বললাম তিনি বললেন আমরা সবাই এক সঙ্গে বসবো।আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন আমি কি খাবার এনেছি।
-চিরা মিঠাই।
-ভাল খাবার।
চিরা মিঠাইগুলো খুলতেই দেখি সব কালচে কালচে।প্রথমে বুঝতে পারিনি পাত্রের মুখ একটু বড় করে খুলে দেখলাম অসংখ্য পিপড়াদের বস বাস।আমিতো অবাক পাশা পাশি চিন্তিত ,এখন খাবো কি!আমিরকে ডাকলাম,সে আসলেন,বসলেন আমার পিপড়ায় ধরা খাবারের সামনে।বললেন
পুরো চিরা মিঠাইগুলো একটি পাত্রে ঢেলে দাও।
সিলভারের একটি বড় থালায় দিলাম ঢেলে।তবুও একটি পিপড়াও সরছে না যদিও তাদের চলাচলের ব্যাস্ততা খুব বেড়ে গেছে।আমিরকে জিজ্ঞাসা করলাম ভাই পিপড়াতো সরছে না।
সে বললেন,
আমার সাথে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম বলে ফু দিয়ে থালাতে একটি টুকা দাও।
আমি তাই করলাম।মাত্র কয়েক সেকেন্ডেই অবাক হলাম।পিপড়াগুলোর মাঝে হাজারো স্পিডের দৌড় শুরু হয়ে গেল।নিমিশেই সব পরিস্কার কোথাও কেউ নেই।আমরা তখন মজা করে সকালের নাস্তাটি চিরা মিঠাইতে সারলাম।

জীবনের প্রথম কোন এক মসজিদে তিন দিন কাটাতে হবে।এবাদত,দাওয়াত আর দ্বীন প্রশিক্ষণে দিন চলে যায়,চলে যায় রাত।তরুন বয়স অচেনা নতুন একটি মসজিদে বন্দি থাকাটা অসহ্য মনে হচ্ছিল।ঠিক সে সময় মুখে লম্বা দাড়ি ও টুপি পাঞ্জাবী পড়া এক ভদ্রলোক আমাদের লোক সংখ্যা অনুযায়ী পেপসি মানে কোল্ড ড্রিংস নিয়ে এলেন।সে সবার হাতে একটি করে পেপসি বা কোল ড্রিংস ধরিয়ে দিয়ে বললেন।
-যে ক’দিন এখানে থাকবেন কাউকে আর রান্না করতে হবে না আমি তিন চার বেলা খাবার পাঠিয়ে দিব।আর আছঁরের নামাজের পর আমরা দাঁওয়াতে বের হব।দাঁওয়াতের সকল নিয়ম কানুন এমন কি রাস্তায় বের হলে এক জনের পিছনে এক জন দাড়িয়ে সারি বন্ধ ভাবে আমরা দাওয়াতের জন্য রাস্তায় বের হব যাতে অন্য কোন পাবলিকদের চলাচলে কোন সমস্যা না হয়।
আমরা সস্মতি জানিয়ে মাথা নাড়ালাম।আছরের নামাজটি পড়ে বের হলাম দাওয়াতে।লোকটি আমাদের দুটি ভাগ করলেন এক ভাগে লোকটি যেহেতু এলাকার স্থানীয় সে আমি সহ আরো কয়েক জনকে নিয়ে বাসায় বাসায় দাওয়াত দিতে চলে যাবেন অন্যরা বাজারের বিভিন্ন স্থানে দাওয়াত দিতে চলে যাবেন।

লোকটির সাথে বেশ কয়েকটি বাসায় যুবকদের দাওয়াত দিলাম।ঢাকা শহরে এমন সাড়া পাবো আমিতো অবাক।আমাদের দলটি ট্রেনের বগির মতন ক্রমাগত লম্বা হতে থাকে সে সময় মনে হল লোকটি যেন হেমিলিওয়নের বাশিওয়ালা।লোকটির দেহ গঠন লম্বা চেহারা্য় যেন নূরানী এ যেন আল্লাহর খাটি বান্দা।

তার পর্দাশালীনতা দেখে আরো অবাক হলাম।সম্ভবত বিল্ডিংটির তিন চার তলায় এক যুবককে দাওয়াত দিতে লোকটি কলিং বেল্ট টিপলেন হঠাৎ দরজার খোললেন স্যালোয়ার কামিজ পড়ুয়া বেপর্দা এক রমণী।তাকে দেখা মাত্রই লোকটি "নাউজুবিল্লাহ" বলতে বলতে আমাদের সহ মেয়েটির মুখ দেখা হতে মুখ ঘুরিয়ে তড়িৎ বেগে নীচে নেমে এলেন।সেদিনের মতন দাওয়াত দেয়া বিরত রেখে লোকটি চলে গেলেন তার গন্তব্যে আমরা চলে এলাম আমাদের মসজিদে।ততক্ষণে মাগরিবের আযান হল।

এই লোকটি সম্পর্কে খোজঁ নিয়ে জানা গেল।স্থানীয় বাজারে তার একটি কাপড়ের দোকান আছে।এই দোকানটি দিয়েই সে নিজে এবং তার মা বাবাকে হজ্ব করিয়েছেন।সাথে এলাকায় একটি বহুতল ভবন নির্মাণ করেছেন,করেছেন অনেক অনাথকে স্বাভলম্বী অথচ মজার ও অবাক করা বিষয় হলো মাল বিক্রয়ের জন্য সে দোকানটি কখন খোলেন আর কখন বন্ধ করেন তা স্থানীয়রাও ঠিক মতন বলতে পারেন না।তাদের মতে এই দেখলাম দোকানটি খোলা আবার বন্ধ।এখন কথা হল তাহলে সে এত অর্থ কোথায় পায় কিংবা দোকানে তার ব্যাবসা কি করে হয়?তাহলে কি জ্বীন পরীরা এসে দেদারসে মিনিটেই খরিদ করে চলে যেত!হ্যা এমনটির আভাস পেলাম লোকটির চাচাত এক ভাইয়ের কাছে।

তার চাচাত ভাইয়ের মতে ভাইজান নেক বান্দা আমার জীবনে যতটুকু জানি তার চুল পরিমানও এলাকায় কোন বদনাম নেই।তার রয়েছে ইসলাম ধর্মের নিয়ম মাফিক জীবন সংসার।ঘরে তার দুটো মেয়ে ও এক ছেলে।মেয়ে দুটোর বার তের বছর হওয়ার সাথে সাথে তাদের জীবন চলায় সব কিছুতে আলাদা আলাদা ব্যাবস্থা করেন।সে নিজে কিংবা মেয়েরা তার কাছে এলেও পর্দাশীল অবস্থায় আসেন।বার তের বছরের পর হতে সে নিজেও তার মেয়েদের ফেইস কেমন তা ভাল করে বলতে পারবেন না কেবল অনুমানে নাম ধরে দুই মেয়ের সাথে প্রয়োজনীয় কথা বলে বিদায় হন।এ ছাড়া তার অন্যান্য চাচাত ফুফাত খালাতো বোনদেরতো সে ইচ্ছে করে চোখেই দেখেননি।বলা যায় তার জীবন সংসারে পর্দা ছিলো,ছিলো পাপ হতে বেশ সচেনতা।তার কথা হল ‘মন খুব কঠিন এক জিনিস,মনে কখন যে পাপেরা এসে ভিড় করবে তা বলা মুসকিল,তাই সব সময় সতর্ক থাকা আর খুব বেছে বেছে চলাটা উভয়ের,জীবন ও আখেরাতের জন্য জরুরী।
ভাইজান সেই ছোট কাল থেকেই এই দোকানেই কাপড়ের ব্যাবসা করতেন।আমি আজ পর্যন্ত দেখিনি দোকানটি এক টানা কয়েক ঘন্টা খোলা ছিলো।কখনো সকালে কখনো বিকালে কখনো বা সন্ধ্যায় দোকানটি খোলতেন।কখন যে কেনা বেচা করতেন বা করেন বলতে পারবনা তবে কেনা বেচাতো অবশ্যই হয় বরং অন্যান্য দোকাদারদের তুলনায় কম নয়।নতুবা জীবন চলে কি করে?আমার জানা মতে তার রোজগারের অন্য কোন উৎসহতো নেই।

তার সাথে কথা বলতে বলতে সন্ধ্যা হয়ে মাগরিবের নামাজের সময় হয়ে এলো।রাতে এশার এর নামাজ ও অন্যান্য দোয়া দরূদ পড়ে ঘুমিয়ে পড়লাম।মাঝ রাতে আমার কানে অন্য রকম অস্পষ্ট কিছু শব্দ এলো।একেতো নতুন জায়গা তার উপর আমি আমার নিজস্ব ঘর ছাড়া হঠাৎ অন্য কোথাও গেলে আমার ঘুম আসে না।তাই এখানকার মসজিদে আমার জন্য ঘুম যেন অসম্ভব।এ দিকে এমন  শব্দ হচ্ছে যে ভয়েও আবার চোখ খুলছি না।যা হবার হবে চোখ বন্ধ করেই হোক।

মনে পড়ল সেই নেক বান্দাটির কথা।তার চাচাত ভাই বলেছিলেন সে প্রায় রাতে নাকি মসজিদে ভাল জাতের জ্বীনদের সাথে কথা বলেন।তা মনে পড়তেই আমারতো শরীর ভয়ে কাপন এসে গেল।আবার কৌতুহলও জাগে,চোখ খুলে দেখি তো জ্বীনেরা দেখতে কেমন হয়।আমি ভয়ে ভয়ে চোখ খুললাম।একটু আড় চোখে এদিক সে দিক তাকালাম।কৈ কাউকেতো দেখছি না।তবে ফিস ফিস শব্দ আসছে কৈ থেকে!আর একটু মাথাটা উচু করে তাকালাম।দেখতে পেলাম একটি লোক মসজিদের শেষ কোণায় নীরবে নামাজ আদায় শেষে সালাম ফিরায়ে কাকে যেন বলছেন।
-এবার বলো।কি বলবে?
লোকটির কথাগুলো স্পষ্ট আবার কখনো কখনো দুর্ভ্যেদ্দ্য মনে হল।লক্ষ্য করলাম সে কার সাথে কথা বলছেন।না কিছুই দেখতে পাচ্ছি না।তবে অস্পষ্ট একটি ছায়া দৌড়াচ্ছে মসজিদের এ মাথা হতে ঐ মাথায়।কখনো কখনো স্থির অন্ধকার কখনো বা মৃদু আলোতে।এই আলো অন্ধকারের মাঝে লোকটিকে যেন আমি স্পষ্টই দেখতে পেলাম।যেন তার চেহারায় নূরানীর নূর বের হচ্ছিল ঠিক সেই লোকটিই যিনি আমাদের সেবায় ব্রত।কিছু ক্ষণ কথা শেষে লোকটি তার ডান হাতটি সম্মুখে বাড়িয়ে দিয়ে হ্যান্ডসেকের মতন অভিনয় করলেন।অতপর বেরিয়ে গেলেন মসজিদ হতে।

পর দিন আমাদের চলে আসব মানে আমাদের এখানে তাবলীগ জামাতের তিন দিন শেষ।নিয়ম অনুযায়ী আমাদের প্রস্থান নিতে হবে।সকাল সকাল আমরা আমাদের ব্যাগপত্র গুছিয়ে রেডি হচ্ছি ঠিক সে সময় সেই লোকটি খুব উন্নত মানের কিছু পারোটা নাস্তা আর কোল ড্রিংস নিয়ে এলেন।সবাইকে দিয়ে অনেকটা নত হয়ে বললেন…আল্লার বান্দারা আপনাদের আজ যেতে হবে বা চলে যাবেন,আমি দুঃখিত ও ব্যাথিত ঠিক মত আপনাদের খেদমত করতে পারিনি সে জন্য সকল অপরাগতা ও ভুলত্রুটির জন্য ক্ষমা চাচ্ছি।আর কখনো দেখা হবে কি হবে না আল্লাহ মালুম…মনে কষ্ট থাকলে মাফ করে দিবেন।আর আপনারা এখন বয়সে অনেক ছোট সবে মাত্র জীবন চলার পথ শুরু তাই জীবন চলার পথে একটি কথাই মনে রাখবেন...এই পৃথিবীটা রঙ্গ মঞ্চ এখানে ভাল মন্দ সবিই আছে এখন কোনটা গ্রহন করবেন তা আপনার সচেনতার উপর নির্ভর করে আর সব সময় মনের ভিতরে জিকির করবেন,মৃত্যুই এক মাত্র সত্য আর সব মিথ্যে"
আসসালামুআলাইকুম।বলে তিনি বিদায় নিলেন।

বি:দ্র: লেখার বিষয়টি এর আগে সম্ভবত কোন এক শিরোনামে লেখা হয়েছে এই সোনেলায় ঠিক মনে নেই।

0 Shares

১৫টি মন্তব্য

  • ইঞ্জা

    অদ্ভুত কিন্তু সত্য, আমিও এমন কিছু শুনেছি বিভিন্ন মাধ্যমে, উনারা আসেন, নামাজ পড়েন সাধারণের ভিড়ে, খুব আগ্রহ নিয়ে পড়লাম, আল্লাহ্‌র দুনিয়াই কতো কি যে হয়, এগুলো সব আল্লাহ্‌র রহমত।

  • মৌনতা রিতু

    পৃথিবীতে অনেক এমন ঘটনা সত্যি আছে। আমার দাদাবাড়ি খুবই রক্ষনশীল মুসলিম পরিবার যাকে বলে। আমাদের বাড়িতে নিজেদেরই মসজিদ আছে অনেক আহে থেকে। কোনো ইমাম ছিলো না। মোটামুটি সবাই খুব ভালো আযান দিতে পারতো। আমার আব্বা ছাড়া। আমাদের মসজিদের পাশেই আছে অনেক বড় পারিবারিক কবরস্থান। শুনেছি আমার দাদা বেঁচে থাকতে তিনিই বেশিরভাগ আযান দিতেন। একদিন ফজরের আযান দেওয়ার জন্য দাদা ঘর থেকে বের হয়ে মসজিদে গেছে, আযানও দিয়েছেন। কিন্তু কেউ আসছে না দেখে দাদা একাই নামাজ পড়তে লাগলেন। আসলে তখনও ফজরের সময় হয়নি। দাদা সালাম ফিরাতে গিয়ে প্রথমে বাম দিকে দেখে কেউ নেই ডান দিকে ফিরে দেখে অনেক মানুষ নামায পড়তেছে। দাদা ভাবলো নামায পড়তে পড়তে হয়তো সবাই এসেছে। সেজদা থেকে উঠে দেখে কেউ নেই। দাদা তখন ঘেমে গেলো। সে দেরি না করে ঘরে গিয়ে আমার দাদিকে বলল, একটা মাদুর দিতে। বসে দাদিকে পুরো ঘটনাটা বলল। দাদা বারান্দাতে ঐ মাদুরের পরে বসেই মারা যায়। আমাদের ঐ মসজিদে অনেকেই এমন অপরিচিত মানুষ দেখেছে। সবাই বলে আমাদের মসজিদে জিন আছে। আমি একদিন দেখেছিলাম। আমার দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে হাসতেছিলো। তার চেহারা আজও আমি ভুলিনি।
    আমি তো ছোটোবেলায় কোনো কিছুতেই ভয় করতাম না। সব যায়গা যখন তখন আমার যাতায়াত ছিলো। তো, একদিন সন্ধ্যায় খেলা শেষ করে ঘরে ফিরছি। দেখি গাছের ডালে বসে এক লোক আমাকে ভ্যাঙচি কাটতেছে। রাগ করে আমিও তাকাইছিলাম। পরে ভাবলাম একে তো আমি চিনি না। কেনো ভ্যাঙচি কাটলো! ফিরে তাকাতে আর দেখলাম না। মাকে বলতেই, মা ধমক দিয়ে বলল,” যেখানে সেখানে কেনো যাও, কালই বাসায় চলে যাব আমরা।” আমার তো গ্রাম ভাল লাগতো, তাই বাসায় যাবার ভয়ে অনেক সময় কোনোকিছু দেখলেও চুপ করে থাকতাম।
    সত্যিই কি অলৌকিক কিছু কি আছে?

      • মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)

        হুম অবশ্যই।
        আমাদের সবার জানা আছে, যে পবিত্র কুরআনে মোট ১১৪ টি সূরা রয়েছে। আর এই ১১৪ টি সূরার মধ্যে ৬৬৬৬ টি আয়াত রয়েছে। আল্লাহ তাআলা এই ১১৪ টি সূরার মধ্যে অন্তত ১৬ টি সূরার ৩১ টি আয়াতে ৩২ স্থানে জিনের কথা উল্লেখ করিয়াছেন। তন্মধ্যে সূরা আনআমে ৪ টি আয়াতেÑ আয়াত নং ১০০, ১১২, ১২৮ ও ১৩০। সূরা আরাফের ৩৮, ১৭৯ নং আয়াতে। সূরা বনী ইসরাইলের ৮৮ নং আয়াতে। সূরা হূদের ১১৯ নং আয়াতে। সূরা হিজরের ২৭ নং আয়াতে। সূরা কাহাফের ৫০ নং আয়াতে। সূরা নামলের ১৭ ও ৩৯ নং আয়াতে। সূরা সাজদাহ্ এর ১৩ নং আয়াতে। সূরা সাবা এর তিনটি আয়াতেÑ আয়াত নং ১২, ১৪, ও ৪১। সূরা সাফ্ফাতের ১৫৮ নং আয়াতে জিন শব্দ দুবার উল্লেখ করা হয়েছে। সূরা যারিয়েিতর ৫৬ নং আয়াতে। সূরা আর-র‏‏হমানের ৫ টি আয়াতেÑ ১৫, ৩৩, ৩৯, ৫৬, ও ৭৪ নং আয়াতে। সূরা জিনের মধ্যে ১, ৫, ৬ নং আয়াতে। সূরা আহকাফের ১৮ ও ২৯ নং আয়াতে। সূরা হা-মিম সাজদাহ্-এর ২৫ ও ২৯ নং আয়াতে এবং সূরা নাসের ৬ নং আয়াতে। এই মোট ৩২ স্থানে আল্লাহ তাআলা জিনের কথা উল্লেখ করেছেন।

        ধন্যবাদ। -{@

  • নীলাঞ্জনা নীলা

    অলৌকিক অনেক কিছুই আছে।
    আমাদের “পুরাণে” আছে “বিশ্বাসে মিলে কৃষ্ণ, তর্কে বহুদূর।”
    আর শ্রীমদ্ভাগবত গীতায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন,
    “যো মাং পশ্যতি সর্ব্বত্র সর্ব্বং চ ময়ি পশ্যতি।
    তস্যাহং ন প্রণশ্যামি স চ মে ন প্রণশ্যতি।।” ষষ্ঠ অধ্যায়, শ্লোক ৩০।
    অর্থ হচ্ছে, “যিনি আমাকে সর্ব্বভূতে অবস্থিত দেখেন এবং আমাতে সর্ব্বভূত অবস্থিত দেখেন, আমি তাহার অদৃশ্য হই না, তিনিও আমার অদৃশ্য হন না।”
    কত্তো মিল প্রতিটি ধর্মের সাথে। অথচ আমরা কতো ঝামেলা তৈরী করি!

    মনির ভাই ভালো লিখেছেন।

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ