প্রায়ই মনে হতো, কোন এক অফসাইডের বাঁশি আমাকে যেতে যেতে থামিয়ে দিচ্ছে বারবার। আমার কোন সুন্দর অনুভূতি নেই, গলার স্কার্ফ টা খুলে আনন্দে গোলচক্কর কাঁটার কোন স্মৃতি, কিংবা ভয়ংকর কোন রাত!! যে রাতে অলৌকিকভাবে নেমে এসেছিল রক্ত খেকো ভ্যাম্পায়ার। দেখো দেখো ভাবলে এখনো গাঁয়ের লোম খাড়া হয়ে যায় সে রাতের কথা ভেবে। না, আমার এমন কোন রাতও ছিলনা। ছিল অনন্ত ঘুমের প্রতিক্ষা। ছিলো লোভ; সুন্দর, কুৎসিত কিংবা যা ইচ্ছে তাই কোন স্বপ্নের। সকালগুলো ঘুমন্ত অনুভূতিগুলো সময়ের তালে মিশিয়ে দিত, যেমন দিত কুয়াশার ব্যারিকেড, ছিলো সেই হারিয়ে যাবার অভিমান।
আজ একটি তারিখ আছে। বাঁশি আছে, তবে সে অফসাইডের নয়। অখ্যাত বাঁশুরিয়া জালালের সুর কিংবা সনি বয় উইলিয়ামসনের হারমনিকা। থামিয়ে দেয়না, সে আমায় চলতে শেখায়। নৃত্য আছে আনন্দভৈরবীর। সুর, তাল, লয়বিহীন দিনের একটা ফিউশন আছে। ভয়ংকর কিছু ঘটে যাবার উন্মাদনা আছে। একটি দিন আর রাতের মিশেল আছে, যার মাঝখানে সেতু হয়ে সন্ধ্যে নেমে এসেছিল। আমার আর অভিযোগ নেই। পালা আর বদলের হাপিত্যেস নেই, নেই হিসেবের গন্ডগোল।
তুমি কি জানো, আমি আজো সেদিনেই আছি? অতীতের একটি তারিখই এখন বর্তমান।
একটি মেহেদী গাছ লাগিয়েছি স্বপ্নের ভিটেয়। কচি সবুজ পাতাগুলো যখন বাতাসে কাঁপে, আমিও কেঁপে উঠি, কোন একদিন এ পাতাগুলো টুকটুকে লাল হবে ভেবে............
৪০টি মন্তব্য
মিথুন
এমন করে কারো সন্ধ্যেও আসেনি :p
মেহেদী গাছ স্বপ্নের ভিটেয় লাগানো, মরে যাবেনা কখনোই। ধন্যবাদ সজু ভাইয়া।
অনিকেত নন্দিনী
স্বপ্নের ভিটেয় লাগানো মেহেদী গাছ ঝাঁপিয়ে পাতা আসুক, মেহেদীর গাঢ় লালের ছোপে রঞ্জিত হোক জীবন, আনন্দভৈরবীর তালে কাটুক প্রতিটি মুহুর্ত।
অশুভকামনা রইলো।
মিথুন
অশুভকামনা রইলো? 🙁
অনিকেত নন্দিনী
পোস্টের মন্তব্যে “শুভকামনা” যে “অশুভকামনা” হয়ে গেছে ব্লগার সজীব বলার আগে তা জানতামই না।
অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
মিথুন
এটা আপনার টাইপিং মিস্টেক ছিল বুঝতে পেরেছি। কেমন যেন একটু ভয়ের অনুভূতি হয়েছিল বোকার মত। ইটস ওকে আপু……..
স্বদেশী যোদ্ধা
থামিয়ে দেয়না, সে আমায় চলতে শেখায় ……..
শেখায় কিভাবে বাঁধা-বিওত্তিকে খুন করে একটু একটু করে অসীমকে জয় করে নিতে ।
মিথুন
হুম, আনন্দের ক্ষমতা কস্টের চাইতে বেশি। ধন্যবাদ আপনাকে……………
অরণ্য
তুমি কি জানো,
আমি আজো সেদিনেই আছি?
অতীতের একটি তারিখই এখন বর্তমান।
একটি মেহেদী গাছ লাগিয়েছি
স্বপ্নের ভিটেয়।
কচি সবুজ পাতাগুলো যখন বাতাসে কাঁপে,
আমিও কেঁপে উঠি,
কোন একদিন এ পাতাগুলো
টুকটুকে লাল হবে ভেবে…………
ভাল লাগলো লেখাটি।
অভিযোগতো স্পষ্টই দেখতে পাচ্ছি।
নিজেই নিজেকে এতো অভিযুক্ত করতে নেই।
নিজেকে মুক্ত করা নিজেরই দায়িত্ব।
ভাল থাকবেন।
মিথুন
কবিতার মত করে লেখা লাইনগুলো দেখতে ভালো লাগছে। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া। না, কোন অভিযোগ নয়, এটা শুধুই একটি আনন্দের দিনের কথা বলতে চাওয়া।
মেহেরী তাজ
স্বপ্নের ভিটের উর্বরতা ঠিক থাকুক। মেহেদী গাছ টা বেড়ে উঠুক স্বপ্নের মত দ্রুত,পাতাগুলু লাল হোক আরও দ্রুত।
ভালো লেখাটা….
মিথুন
ধন্যবাদ আপু।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
তুমি কি জানো, আমি আজো সেদিনেই আছি? অতীতের একটি তারিখই এখন বর্তমান।
তারিখটি সব সময় শুভ বার্তা বয়ে থাকুক অনন্তকাল।সুন্দর অনুভূতি।
মিথুন
সুন্দর প্রার্থনা, সুন্দর মন্তব্য…………
সোনিয়া হক
এমনি ভালোলাগার অনুভুতি নিয়ে বেঁচে থাকুন আপু।খুব সুন্দর লিখেছেন অল্প কথায়।
মিথুন
অনুভূতি টা সেভাবে বোঝানো যায়না লেখায় আপু। এমন মন্তব্য পেলে লিখবো আরো, হাবিজাবি।
অলিভার
একটি দিনেই ফিরে আসুক প্রিয়জন, একটি দিনেই রাঙ্গা হয়ে উঠুক মেহদীর পাতা গুলি। ঘটুক অপেক্ষার অবসান…..
মিথুন
এমন দিন একটিই যথেস্ট। ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য………
লীলাবতী
কতদিন পরে লিখলেন।কত আবেগ দিয়ে লেখেন আপনি।এমন ভালো লেখা হতে আমাদের বঞ্চিত করা কি ঠিক আপু?
মেহেদীর রঙ্গে টুকটুকে লাল হয়ে থাকুন 🙂
মিথুন
আপু, লেখালেখির অভ্যাস নেই আমার আপু, তাছাড়া খুব ব্যস্ত থাকতে হয়। সময় পেলে সোনেলায় নিয়মিত আসি, পড়ি। লগিন হওয়া হয়না। চেস্টা করব নিয়মিত হবার। আপনার আইডি দেখে আপনাকেও আমার মেহেদীর মত লাল টুকটুকে মনে হয়।
ইমন
অতীতের একটি তারিখই এখন বর্তমান।
মিথুন
হুম 🙂
খেয়ালী মেয়ে
একটি মেহেদী গাছ লাগিয়েছি স্বপ্নের ভিটেয়। কচি সবুজ পাতাগুলো যখন বাতাসে কাঁপে, আমিও কেঁপে উঠি, কোন একদিন এ পাতাগুলো টুকটুকে লাল হবে ভেবে—–বাহ!!!!! কত্তো সুন্দর করে লিখেছেন….
অতীতের একটি তারিখই এখন বর্তমান–ঐ তারিখটা সবসময় শুভ হোক, ঐ একটা তারিখই জীবনে সব পাওয়ার আনন্দ নিয়ে আসুক….
মিথুন
আপনার মন্তব্য পড়ে খুব ভালো লাগলো। এমন একটি দিনের আনন্দ হাজার কস্ট দূর করে দিতে পারে। আপনি ভালো থাকবেন আপু……………
জিসান শা ইকরাম
যাক তাহলে একটি তারিখ আপনি পেয়েছেন
একটি সুন্দর সময় আছে আপনার
লাগিয়েছেন একটি মেহেদি গাছ।
যত্ন করে রাখুন
আর ভালো থাকুন সারাক্ষন এমনি করে।
ভালো লেখেন আপনি 🙂
মিথুন
এমন করে না বললে তো, লেখা বন্ধ করে দেব 🙂 হুম, একটি তারিখ আছে আমার। 🙂
স্বপ্ন
কি লিখবো এমন লেখায় জানিনা।বাক্য হারা হয়ে গিয়েছি।
একটি গাছ তো আমিও লাগিয়েছি স্বপ্নের ভিটেয়। কচি সবুজ পাতাগুলো যখন বাতাসে কাঁপে, আমিও কেঁপে উঠি।কিভাবে মিলে গেলো আপনার সাথে বলুন তো?
কতদিন পরে লিখলেন আপনি।একটি বেশী বেশী লিখলে কি হয়? 🙂
মিথুন
আমি আপনার চাইতে বেশিই লিখি। আপনি এখন আমার স্বপ্নও চুরি করে দেখা শুরু করেছেন? আপনার আমার ছাদ মনে হয় একটাই, এজন্যই দুজনেই একই গাছ লাগিয়েছি। 🙂
গান বিশেষজ্ঞ হয়েছেন, দেখতে পাচ্ছি। তা এখন কি গান শুনছে? আপনি তো আবার এক গান সারাদিন শোনেন।
মিথুন
এই যে আমি ভাউ, কেনো করেন হাউকাউ?
আশা জাগানিয়া
ছবিটার দিকে তাকিয়েই আছি।নাচছেন একজন মেয়ে,গীটার বাজাচ্ছেন একজন।দুজনেই মগ্ন যে যার কাজে।চিন্তা করছি গিটারের ছন্দে মেয়েটি নাচছেন?নাকি মেয়েটির নাচ দেখে গীটারওয়ালা মুগ্ধ হয়ে গিটার বাজাচ্ছেন?ছবিটায় কেমন এক যাদু আছে।
মিথুন
একমাত্র আপনাকেই দেখলাম ছবিটা নিয়ে কথা বলতে। খুশি হলাম। এই ছবিটা সিলেকশান করতে আমি অনেক সময় নিয়েছি। কোন ছবিই যেন আমার লেখার কথা বোঝাতে পারছেনা। লেখায় এক আনন্দের অনুভুতি রয়েছে। মেয়েটির আনন্দভৈরবী নৃত্য, ছেলেটির সুরে ছন্দে একসাথে মিশেছে। দুজনকে ঘিরে যে রঙের তরঙ্গ, তাতে দুজনই নিজেদের মত, আবার একই সাথে দুজনের। যারা ছবি বোঝে তারা হয়তো ভালো ব্যখ্যা দিতে পারবে।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আশা জাগানিয়া
ছবিটির রং আর দুজনের অভিব্যক্তিতে চোখ আটকে গেলো প্রথমেই।এরপরে লেখা পড়েছি 🙂
মিথুন
আচ্ছা এবার তাহলে বলুন লেখা কেমন হয়েছে? 🙂
আশা জাগানিয়া
লেখা কেমন হয়েছে?আবার জিগায় 🙂 নতুন লেখা পাব কবে আপুনি?
মিথুন
দিয়ে দিয়েছি একটা। আশা জাগানিয়া আছে তাতে। 🙂
শিশির কনা
ঐ একটি দিনিকে সাথে রাখুন সারাক্ষন,ভালোবাসায় আগলে রাখুন স্বর্নালী দিনটিকে।আর আবেগে কাপুন 🙂
মিথুন
ধন্যবাদ আপু………
শুন্য শুন্যালয়
গলার স্কার্ফ খুলে আনন্দে গোলচক্কর কাটুন, ভালো থাকুন দুজনে।
সুন্দর লেখেন।
মিথুন
ধন্যবাদ আপনাকে …….
স্বদেশী যোদ্ধা
দিদি আপনার লিখাটা একবার আবৃত্তি করে নিলাম । আবৃত্তি করতে করতে মনে হচ্ছিলো আপনি লেখাটা দিয়ে যেন একটা ছবি এঁকে গেছেন ।
মিথুন
এটা যে লেখা নয়, একটা দিনের ছবিই। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।